আকর্ষণ || @shy-fox 10% beneficiary
শ্বশুরবাড়িতে এসেছি কম করে হলেও তিন থেকে চারদিন হচ্ছে । তাও এখানেও এসেও যেন স্বস্তি নেই । সারাক্ষণ মোবাইলটা নিয়েই বসে আছি । যদিও সঙ্গে এবার ল্যাপটপ নিয়ে আসিনি । কারণ আপাতত মিটিং নেই বললেই চলে । তাই বাকি কাজগুলো মোবাইল দিয়েই সেরে নেওয়া যাবে । তাই মূলত চেষ্টা করছি টুকটাক কাজগুলো করার জন্য এবং গ্রামীণ পরিবেশে নিরিবিলি বিচরণ করার জন্য ।
যদিও বাসা থেকে বের হওয়ার সময় বেশ ভালো একটা পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিলাম । তবে এসেই মূলত বৃষ্টির খপ্পরে পড়ে গিয়েছি । যার কারণে এখানেও অনেকটাই গৃহবন্দী সময় যাচ্ছে । তবে এর মাঝেও হীরা বসে নেই । ও তো প্রতিনিয়ত ছোটাছুটি করছে এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি । তবে আমি অনেকটা গৃহবন্দী ই আছি । তবে এখানকার বন্দি ভাবটা অনেকটাই উন্মুক্ত ।
এখানে সবাই আমার কাছে আসছে , কথা বলছে খুব একটা বেশি এলোমেলো লাগছে না । আমি তো সারাদিন ঘরের ভিতরে বসে থেকে জানালা দিয়ে বাহিরে বৃষ্টি পড়ার মুহূর্তগুলো দেখছি আর নিজের মতো করে সজীবতা ভাব অনুভব করছি ।
গ্রামে আসার পর থেকে খাতির যত্নের অভাব হয়নি । প্রতিনিয়ত প্রতিবেলাতেই বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া চলছে বরং খাওয়ার পরিমাণটা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে । আগে তো দুবেলা করে খেতাম আর এখন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাওয়ার উপরেই থাকতে হচ্ছে । দীর্ঘদিন পরে শ্বশুর বাড়িতে এসেছি বুঝতেই তো পারছেন, তার ভিতরে বৃষ্টির দিন আবহাওয়াকে সাক্ষী রেখে অনেক কিছুই রান্নাবান্না চলছে প্রতিনিয়ত । যাইহোক সেসব কথা পরে হবে ।
সম্ভবত প্রথম দিন এসে সন্ধ্যেবেলায় গ্রামের বাজারে একবার গিয়েছিলাম তাও নিজের কিছু প্রয়োজন ছিল সেগুলো মিটিয়ে মূলত আবারো বাড়িতে এসে প্রবেশ করেছি । ঐযে ঐদিন রাত থেকে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে তারপর যখনই ঘুম থেকে জাগা পাই দেখি বৃষ্টি আর বৃষ্টি । শেষ হওয়ার কোন নাম গন্ধ নেই ।
গতদিন যদিও একটু রেডি হয়েছিলাম বাহিরে যাওয়ার জন্য । তবে বের হতেই আবারো সেই বৃষ্টির হানা । মানে বৃষ্টি আমাকে ঘর হতেই বের হতে দেবে না ব্যাপারটা ঠিক এমনই । তবে তাও ভালোই উপভোগ্য ছিল সময়গুলো । শহরে তো আর এভাবে বৃষ্টি উপভোগ করা যায় না । আর এখানে এসে ঘরের চালে বৃষ্টি পড়ছে সেই শব্দ আর সঙ্গে মৃদু হাওয়া জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করছে এটা যেন অন্যরকম একটা অনুভূতি ।
এখানে আমি জীবনের দেড়টা বছর কাটিয়ে দিয়েছি । যদিও এইসব ব্যাপার নিয়ে আমি আর একটা সামনে পর্ব লিখব , সেখানে অনেক কিছুই বলার চেষ্টা করব । তবে এখনো আমার মনে পড়ে সেই দিনকার কথাগুলো , কিভাবে দেড়টা বছর ছিলাম এখানে । যাইহোক সেটা অনেকটাই আবেগপ্রবণ ব্যাপার ।
এই ডালিম গাছটা আমরা নিজে হাতেই লাগিয়েছিলাম । বিশেষ করে যখন এখানে ছিলাম তখন থেকেই হীরার বাগান করার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল । সেই সময় এই চারা সংগ্রহ করেছিলাম অনেক দূরের নার্সারি থেকে এবং নিজের হাতেই রোপন করেছিলাম । বেশ বড় হয়েছে গাছটি , এখন তো নতুন ফলও এসেছে । ছোট ডালিমের শরীরের উপরে যেন এখনো বৃষ্টির পানির ফোটা জমাট বেঁধেই আছে, কখন যেন পড়ে যাবে ।
বৃষ্টি হালকা কমে যাওয়ার একটু পরেই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল । তখন সম্ভবত সন্ধ্যের আগ মুহূর্তে একটু পায়চারি করছিলাম বাড়ির সামনে । খুবই কাদা এখানে । মূলত বর্ষাকালে এটাই একটা প্রধান গ্রামীণ সমস্যা । যাইহোক সেগুলো কথা পরে হবে । তারপরেও পায়চারি করছিলাম বাড়ির সামনে । ডালিম ফলের উপর জমে থাকা পানি, কচুর পাতার উপর জমে থাকা বৃষ্টির পানি যেন আমার নজরকে বারবার আকৃষ্ট করছিল । ইচ্ছে করেই সেই দিকটাতে একটু এগিয়ে গিয়েছিলাম ।
তাছাড়াও সজনা গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে যখন পড়ন্ত বেলার ঐ আকাশটাকে দেখছিলাম তখন বেশ ভালই লাগছিল দেখতে । একটু আগেও যে বৃষ্টি শেষ হয়েছে বোঝার কোন উপায় নেই । আবারও আকাশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে আবারো যে কোন সময় ঘন কালো অন্ধকারে ঢেকে যাবে চারিপাশ আর এই বুঝি বৃষ্টি নামবে, এমনটাই তো মাঝে মাঝে মনে হয় ।
আমি যেহেতু আর একটা পর্ব আজকের এই সময়টাকে কেন্দ্র করে লিখব । তো আমি মনেকরি সেই পর্বে আমি বেশ কিছু তথ্য দেবো যে এখানে থাকাকালীন সময়ে সময় গুলো কেমন ছিল আমার । অনেকটা স্মৃতিচারণ করব এই সময় গুলোর।
যদিও অসময়ে বৃষ্টি তারপরেও আমি মনেকরি হঠাৎ করে এমন সময়ে গ্রামের বাড়িতে এসে মন্দ হয়নি । হয়তো এই রকম পরিবেশে থাকতে পেরে এমন মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হতে পেরেছি, সেটাই তো অনেক বেশি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
গ্রামের প্রকৃতির সাথে একটু নিরিবিলি সময় কাটাবেন মনে করে এসে এভাবে বৃষ্টির জন্য গৃহবন্দী থাকা এক রকম দুঃখের। তবুও ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে গ্রামে বৃষ্টি হোক বা না হোক সময় বেশ উপভোগ্যই হয়। হয়তো গ্রামের মাটিতে দরদ বেশি বলে। যাকগে খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন, আজকে লেখা বেশ ভালই লাগলো।
এই বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হয়ে কোনো কাজ নেই ভাই।তার চেয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসে থাকেন আর ভালো মন্দ খাইতে থাকেন😁। আর ফটোগ্রাফি গুলা কিন্তু মন্দ হয় নি,বিশেষ করে প্রথমটা।🖤
হুম ঠিক বলেছো কিন্তু তুমি । তবে সময় গুলো বেশ ভালই কাটছে ।
বৃষ্টি থেকে যদি দারুন কিছু হয় তাহলে তো বৃষ্টিই ভালো। কর্ম ব্যস্ত জীবনে হয়তো এভাবে গ্রামীন পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না। তাই বৃষ্টির সময়টাতে গ্রামে কাটাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। এছাড়া বৃষ্টি ভেজা দিনে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে অনেক ভালো লাগে। আপনার নিজ হাতে লাগানো ডালিম গাছের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি পরবর্তী পর্বে আরো কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করবেন। বৃষ্টির দিন উপভোগ করুন এবং নিজের মত ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করছি ভাইয়া।
বেশ কয়েকদিন শহুরে জীবনে থাকার পরে হুট করে এই গ্রামীণ পরিবেশে এসে বেশ ভালোই লেগেছিল আপু ।
শ্বশুরবাড়ি মানে মধুর হাড়ি। আর শ্বশুরবাড়িতে বৃষ্টির দিনে তো বাহারি রংঙের খাবার খাওয়া যায় । বৃষ্টির ভিতর ঘরের মধ্যে বসে প্রকৃতির সজীবতা অনুভব করা সত্যিই খুব সুন্দর লাগে। বৃষ্টিতে গ্রামের সমস্যা একটা সেটা হল খুব কাদা হয়। আপনার নিজের লাগানো ডালিম গাছটা আজ দেখছি অনেক বড় হয়ে গেছে এবং ফলও এসে গেছে। আর ডালিম টা পাকলে খাইয়েন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা চমৎকার হয়েছে ভাই। ভাই আপনাকে ধন্যবাদ ।
ভাইয়া বৃষ্টির দিন কিন্তু ফটোগ্রাফি করার দারুন সময় তবে দুর্ভাগ্যবসত বৃষ্টি আপনাকে ঘর থেকে বের হতেই দেয়নি। আর আমি মনে করি এই ভাপা গরম থেকে বৃস্টি হাজার গুনে ভালো। তবে ভাইয়া আপনার দেড় বছর ভাবীর বাড়িতে থাকার বিষয়টা অবশ্যই বলবেন অপেক্ষাই থাকলাম
একদিক থেকে আপনি কথাটা বেশ ভালই বলেছেন ম্যাম , কারণ যে গরম ছিল তার থেকে এই বৃষ্টি কিছুটা হলেও প্রশান্তি দিয়েছে ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া বৃষ্টির জন্য ঘর থেকে বের হওয়ায় যাচ্ছে না, আমরাও ঘুরতে এসেছি কয়কদিন হলো কিন্তু বৃষ্টির জন্য একদম বাইরে যেতে পারারছিনা। শ্বশুর বাড়িতে গেলে খাওয়া দাওয়া একটু বেশিই হয়ে থাকে তার উপরে আবার এবার অনেকদিন পর ঘুরতে গেছেন তাই আদরের পরিমাণ অনেক বেশি। আপনার লাগনো ডালিম গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে দেখে খুব ভালো লাগলো।আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল সবমিলিয়ে পোস্ট টি খুবই সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
শশুর বাড়ি মানে ভাইয়া আদর স্নেহের জায়গা কারণ শ্বশুর-শাশুড়িরা তাই তার জামাইকে মন ভরে আদর আপ্যায়ন করার জন্য। আর সত্যি কথা বলতে কি ভাইয়া দায়িত্ববান মানুষের দায়িত্বের কোন শেষ নেই। বৃষ্টির দিনে শ্বশুরবাড়ি রংবেরঙের পিঠা পায়েস খান আর আমাদের মাঝে শেয়ার করেন ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল ধন্যবাদ দাদা শুভকামনা রইল সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই কামনাই করি।
এইটা সত্য বেশ ভালই খাতির যত্ন করেছেন তারা । আপনার মতামত বেশ ভালোই ছিল ।
দারুণ ফটোগ্রাফির সাথে পড়ে নিলাম আপনার গল্প। বৃষ্টির পর প্রকৃতি সুন্দর এর খেলায় মেতে উঠে। বৃষ্টির সময় গ্রামীণ পরিবেশ সত্যি দারুণ লাগে। আর এই ব্যাপার গুলাই খুব কাছ থেকে উপভোগ করছেন আপনি ভাই। ছবি গুলো পরিবেশ বুঝাতে যথার্থ ছিলো। এ যেনো সবুজ এর খেলা।
ভাইয়া ঘরের উপরে টিনের চাল থাকলে বৃষ্টির শব্দটা খুব সুন্দর ভাবে শুনা যায়। তখন শুনতে ভালই লাগে। আপনি বৃষ্টির দিনে শশুর বাড়িতে ভালই আরাম করছেন। আপনি ডালম গাছেন ডালিম,কচু পাতার পানি প্রকৃতি নিয়ে ভালই চিন্তা ভাবনা করেছেন। আপনার নিজের হাতে লাগানো ডালিম গাছে ডালিম দেখতে পেয়ে ভালেই লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি। তারপরে আবার দীর্ঘদিন পর পদার্পণ। সেই সাথে বৃষ্টির অভিরাম বর্ষণ। সব মিলিয়ে খাতির যত্ন বেশ ভালই হচ্ছে। সাথে প্রাকৃতিক দৃশ্য, গ্রামীণ সাদৃশ্য, নিজের হাতে লাগানো ডালিম গাছের ডালিম ফল, অপরূপ এক অপরূপ প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করছেন। আপনার সেই দেড় বছর অবস্থানের কাহিনী জানার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক মঙ্গল কামনা করছি।
দীর্ঘদিন পরে এসেছি , তাই বেশ ভালোই আপ্যায়ন করেছেন তারা , তাছাড়াও বেশ ভালোই সময় কেটেছে ।