ভোগান্তির যেন শেষ নেই || @shy-fox 10% beneficiary
ঘটনাটি গতকাল বিকেলের, যাইহোক আজকে শেয়ার করব আপনাদের সঙ্গে। বিষয়টা হচ্ছে হঠাৎ করে আবহাওয়া বিপক্ষে গেলে কেমন হয় ঠিক সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরব। আশা করি ভালো লাগবে।
টানা ৮ ঘন্টা চেম্বারে সময় দেওয়ার পরে, যখন ক্লান্ত শরীর নিয়ে সিএনজিতে উঠলাম। মন চাচ্ছে যেন, ফুরফুরে বাতাসে একটু জানালার পাশে বসে হাওয়া খেতে। কারণ আর ভালো লাগছে না । গরমে একদম জীবনটা অস্থির হয়ে গেছে।এমনিতেই বৃষ্টির আগমুহূর্তে পরিবেশের অবস্থা খুবই অনুকূল থাকে । চতুর্দিকে একদম আকাশ মেঘলা হয়ে যায় এবং কালো মেঘে ছেয়ে যায় পুরো আকাশ। যার কারণে একটু ভ্যাপসা গরম ছুটে যায় । এমনিতেই ডাবল মাক্স পড়ে আছি যার কারণে মনে হয়, নিঃশ্বাসটাও ভালোভাবে নিতে পারছিলাম না।
যখন গাড়ি ছেড়ে দিল তখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কারণ এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেই গাড়ি চলে যাচ্ছে গন্তব্যে। যেহেতু গাড়ির ভিতরে আছি তাই খুব একটা বেশি অসুবিধা বোধ হচ্ছিল না। কারন মোটামুটি ভালোই বাতাস লাগছিল তখন গায়ে, আমার ক্লান্ত শরীরটা যেন মুহূর্তেই ঠান্ডা হয়ে আসলো ।কিন্তু কিছুটা পথ এগোনোর পরেই অবস্থা ছিল আরও ভীষণ করুন। কারণ আবহাওয়া তার রূপ পরিবর্তন করে ফেলেছে এবং ভীষণ ঝড়ো হাওয়া ও সঙ্গে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে ।
ভাঙ্গাচুরা রাস্তা
কালো মেঘে ছেঁয়ে গেছে পুরো আকাশ ।
আমি মনে করি যারা, সিএনজিতে যাতায়াত করে এবং ঝড়ো আবহাওয়ার ভিতরে যদি কখনও তারা যাতায়াত করে থাকে তাহলে বুঝতে পারবে যে, ভাঙ্গাচুরা রাস্তার ভিতর যখন ঝড়ো হাওয়া হয় তখন গাড়ি মনে হয় এদিক-ওদিক এমনভাবে দোল খায়, যেন মনে হচ্ছে দোলনায় কেউ যেন দিচ্ছে। যাইহোক অবশেষে এইভাবে ভাঙ্গাচুরা রাস্তার ভিতর দিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গাড়ি চলছে এবং মোটামুটি চেষ্টা করছি নিজেকে মানসিকভাবে শক্ত করে রাখার জন্য।
ভাঙাচোরা রাস্তা, আবহাওয়া অনুকূল এবং সঙ্গে বৃষ্টি কোন কিছুই আমার কাছে খুব একটা বেশি কষ্টকর মনে হয়নি । তবে কষ্টকর মনে হয়েছে, রাস্তায় যখন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে জ্যাম লেগে গিয়েছিল সেইটা । কারণ হঠাৎ করে মাঝরাস্তায় কারা যেন বিক্ষোভ মিছিল করছিল। আসলে ওখানেই আমার কমপক্ষে আড়াই ঘন্টা সময় চলে গিয়েছিল। কারণ প্রচুর বৃষ্টি সঙ্গে পুরো রাস্তা জ্যাম আর যার কারণে একটা বিব্রতকর অবস্থা তৈরি হয়েছিল। মূলত এইটাই আমাকে মানসিকভাবে অনেকটা পেরেশানিতে ফেলেছিল।
এমনিতেই শহরের চেম্বারে সারাদিন থাকার পরে , যখন গ্রামের চেম্বারে উদ্দেশ্যে বিকেলের দিকে যাই। তখন যাত্রাপথে সিএনজির জানালার পাশে বসি । কারণ সেই বাতাসে মন কিছুটা হলেও হালকা হয়ে যায়। কিন্তু এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার ভিতর যখন পড়তে হয়, তাহলে সেটা অনেকটাই কষ্টদায়ক হয়ে যায়।যদিও কাল গ্রামের চেম্বারে বেশকিছু সিরিয়াল নেওয়া ছিল। তবে আবহাওয়ার অনুকূল, রাস্তায় জ্যাম এবং আড়াই ঘন্টা রাস্তার ভিতর অপেক্ষা করে বৃষ্টিতে ভিজে কিছুটা যখন অবস্থা নাজুক হয়ে গিয়েছে। তখন আর রোগী দেখার মন মানসিকতা ছিল না। সব মিলিয়ে সবদিক থেকেই ভোগান্তি যেন গতকাল আমার পিছু ছাড় ছিল না ।
আবহাওয়ার পরিবর্তন আমাদের ভোগান্তির সরূপ।এই বৃষ্টির ভোগান্তি শেষ না হতেই হতেই শীত চলে আসবে😒সেই সাথে ডেঙ্গু মশা তো আছেই কোথায় যাবো বুঝতেছি না 🐜
তাই তো চিন্তার বিষয় । ধন্যবাদ আপনার জন্য।
আসলেই ভাই ভোগান্তির শেষ নেই। আমাদের এখানে একটা রাস্তা আছে। খুবই খারাপ অবস্থা চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকে। তবুও এই সমস্যাগুলোর সমাধান আমাদের সকলে মিলে করতে হবে!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই এই অটো সিএনজিতে আমি নিয়মিত যাতায়াত করি। বৃষ্টি হলে সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়া লাগে। শীতের সময় বাতাসে হাড়ে কাপুনি ধরিয়ে দেয়। কী আর বলব।
এরকম মেঘলে আকাশ দেখলে আমার মন আপনা আপনি ভালো হয়ে যায় 😊😊।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
🙂🙂
মাটির ভাঙাচোরা রাস্তা তার উপরে বৃষ্টি। দুর্ভোগ যেদিন আসবে, সেদিন সব একসাথেই আসবে।
রাস্তা ঘাট ঠিক হলে দুর্ভোগ অনেকটাই কম পোহাতে হতো।
ঠিক বলেছেন ভাই ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
🙏🏾
রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল।মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা বা চলাচল ব্যবস্থা আগে প্রয়োজন।এইগুলি সমাজের ক্ষমতাসীন মানুষের কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।ধন্যবাদ দাদা।সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই ভাই ভোগান্তির শেষ নেই। আমাদের এখানে একটা রাস্তা আছে। খুবই খারাপ অবস্থা চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকে।
মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই এই বিষয়ে আমিও পোস্ট করেছি। রাস্তায ঠিক করার নামে টাকা ভাগাভাগি করে। আর মানুষের ভোগান্তি শেষ নেই। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া 🥀
ঠিক বলেছেন। ভোগান্তির শেষ নেই। এক দিকে করোনা। অন্যদিকে বৃষ্টি হচ্ছে ।কিন্তু জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুব একটা না থাকায় ভোগান্তি টা যেন আরো ও বেশি হয়। বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সারাদিন কাজ শেষে যখন মানুষ বাড়ির দিকে রওনা দেয় তখন যদি এমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় মেজাজটা খুবই খারাপ হয়ে যায়। আর আমাদের দেশে এই সমস্যা সহজে যাবে না। হুটহাট করে যখন তখন মিছিল মিটিং শুরু হয়ে যাবে এবং যথারীতি রাস্তা আটকে দেবে। মানুষের পেরেশানির কথা কখনোই এরা চিন্তা করে না। প্রকৃতির উপর কারও হাত নেই।তাই এটা নিয়ে খারাপ লাগলেও কিছু করার নেই। যাই হোক এ ধরনের পরিস্থিতি কারো কাম্য নয়।
চলার পথটির ছবি ও লেখনীতে ছিল খুরধার। আর শরৎ কালের গরম, সবমিলিয়ে যেন একাকার। সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ধন্যবাদ ভাই।