আত্মতৃপ্তি ||@shy-fox 10%beneficiary
বলছি পঙ্কজ বাবুর কথা। আমার শহরের চেম্বারে খুব কাছেই থাকে, যদিও পংকজ বাবু অন্য ধর্মালম্বীর মানুষ, তবে আমার কখনোই তাঁকে এমনটা মনে হয়নি । কারণ তার সঙ্গে আমার আন্তরিকতার সম্পর্কটা ভিন্ন মাত্রার। আমার পরিবারের একটা অংশও বলা যায় পঙ্কজ বাবুকে । আমি তো মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারিনা যে,কোন সময়টা পঙ্কজ বাবু আমার পাশে ছিল না এবং আমি যতবার পঙ্কজ বাবুকে দেখি ততবার পঙ্কজ বাবুর মধ্যে যেন সবকিছু নতুন করে দেখার চেষ্টা করি। কারণ উনি ভিন্ন চিন্তার মানুষ। আর এ কারণেই হয়তো তাকে এতো আমার বারবার ভালো লাগে।
যদিও পঙ্কজ বাবু, বয়সে আমার বাবার সমতুল্য। তবে তার সঙ্গে আমার আলাদা একটা সম্পর্ক আছে। সেই সম্পর্কে আসলে বয়সের কোনো ব্যবধান নেই ।সেই সম্পর্কে নেই কোনো বাধা এবং বিপত্তি । সেখানে শুধু পঙ্কজ বাবু আর আমি মূলত ঐ সম্পর্কে সমবয়সী হয়ে যাই।
ভিন্ন শহর থেকে এসে, এই শহরে পঙ্কজ বাবু অনেক কষ্ট করে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। আমি মনে করি এই রকম পরিস্থিতির শিকার যারা হয়েছে, তারাই একমাত্র পৃথিবীটাকে খুব ভালোভাবে চিনতে পেরেছে । যাইহোক এই দিক থেকে আমি পঙ্কজ বাবুকে শ্রদ্ধা করি। কারন সে জীবন যুদ্ধে জয়ী একজন সৈনিক।
দুপুরের পরে যখন আমি চেম্বারে খাবার খাচ্ছিলাম, রিসিপশন রুমে করে কর্কশ গলার শব্দ। কিরে শুভো, আছিছ ভিতরে! ভিতরে ঢুকতে কি, তোর পারমিশন লাগবে নাকি। তখন আমি বুঝতে পারলাম মানুষটা আর অন্য কেউ না, মানুষটি হচ্ছে পঙ্কজ বাবু। আমি রিসিপশনিস্টকে তাড়াতাড়ি বললাম বাবুকে ভিতরে আসতে দাও ।
ভর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করছিস যে, দেখি তোর বউ কি রান্না করে পাঠিয়েছে বলে আমার তরকারির বাটিটা হাত থেকে নিল বাহ্ খাসির মাংস, বলেই 2 পিচ মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল । আমি বললাম, বাবু আরেকটু নাও কিন্তু বাবু বললো,আরে নাহ তোর কাকিমার নিষেধ আছে। দুপুর বেলা আমার রুটি চলে এখন । বলল এই নে ব্যাগটা ,এইগুলো তোর ব্যাটার জন্য । ব্যাটার মিষ্টি তো অনেকদিন আগেই তোর মা খাইয়েছে আমার দোকানে গিয়ে ।
আমি আসলে কিছুটা লজ্জা পেয়ে গিয়েছিলাম পঙ্কজ বাবুর সামনে, বললাম বাবু সবকিছু আসলে এমন ভাবে হয়ে গেল যে,আমি বুঝে ওঠার আগেই অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। পঙ্কজ বাবু আমাকে বলল , আরে পাগলা আমি মন খারাপ করিনি। আমি বুঝতে পেরেছি তোর অবস্থাটা। তুই অনেক ব্যাস্ততার ভিতরে ছিলি এবং তোর এখন অনেক ব্যস্ত সময় যাচ্ছে এটাও আমি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছি। যাইহোক মিষ্টি আমি খেয়েছি তোর মায়ের কাছ থেকে এবং ব্যাপার গুলো শুনেছি । তোর ব্যাটার জন্য আশীর্বাদ রইল, ওকে আমার ভালোবাসা দিস ।
যেখানে নিজের মানুষজন আমার মনের অবস্থা বোঝেনা, সেখানে দূর থেকে পঙ্কজ বাবু আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছে। যাইহোক এই মানুষগুলো এইরকমই । এরা ছায়ার মত পাশে থাকে এবং আজীবন থেকে যায়। আমি কৃতজ্ঞ পঙ্কজ বাবু তোমার কাছে।
একজন বাবার বয়সী একজন মানুষের সাথে এরকম সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ত্ব পূর্ণ মনোভাব গড়ে তোলার মধ্যে একটা আলাদা মজা রয়েছে।যেটা সকলের দ্বারা সম্ভব নয় না। পঙ্কজ বাবুর অনেক তথ্য শেয়ার করলেন।অনেক ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই সম্পর্ক গুলোর সত্যিই তুলনা হয়। যার নেই ধর্ম কিংবা বর্ণ। আছে শুধু পারস্পরিক সৌহার্দ্য। এসব সম্পর্ক বেঁচে থাকুক। 🤗
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পঙ্কজ বাবুর মত লোক সবার পাশে থাকলে সবার জীবন খুশিতে ভরে উঠবে, আপনি যেভাবে কথাগুলো পরিচালনা করেন মনে হয় কোন বিশেষ কাব্যগ্রন্থ পড়ছি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন ভাইয়া শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন আপনার অপেক্ষায় ছিলাম,
আজকে আপনার সাথে কথা হল যাই হোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,
কাপড় গুলো অনেক বেশি কিউট।
আসলে বাচ্চাদের ড্রেস গুলা অনেক বেশি কিউট হয়।।
ভালোবাসা গুলো আসলে এমন ই হয়।
ভালোবাসায় খুব একটা কথা বাড়ানো লাগে না, এসব ব্যাপার অল্পতেই বোঝা যায়।
আপনার কথা গুলোর উপস্থাপনাটা খুব ভালো লাগে
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি যখন আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে শেষ দিকে পড়ছিলাম তখন আমার চোখ দুটো জলে ভিজে গেছিল।কথাই আছে -আপনের থেকে পর ভালো ভাইয়া।আপনার বাবুর জন্য শুভকামনা রইলো অবিরাম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল তোমার জন্য।
আপনাদের দুজনের সম্পর্ক আজীবন নিরবচ্ছিন্ন থাকুক। ববার বয়সের একজনের সঙ্গে এতো গভীর সম্পর্ক এখন ভাবানার বাহিরে,,,আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।