শারদীয় শুভেচ্ছা || দ্বিতীয় পর্ব || @shy-fox 10% beneficiary
ঐযে গত দিন বলেছিলাম , এখন উৎসব চলছে । উৎসবের সময় মানুষের মনুষত্ব ও মানবিকতা নাকি প্রতিনিয়ত কানায় কানায় পূর্ণ থাকে । এজন্যই মানবিক মানুষগুলোকে স্বচক্ষে দেখার চেষ্টা করলাম । তবে চিরন্তন সত্য , যেটা আমি দেখেছি তা একদম ভিন্ন। আসলে যেটা দেখেছি, সেটা অনেকটাই লোক দেখানো আর বাহ্যিক সাজসজ্জা । তারপরেও কিছু মানবিক মানুষ চোখে পড়েছে । তবে সেটা খুবই নগণ্য। কথাটাকে দয়াকরে কেউ ভিন্নভাবে নিবেন না ।
আমি মনেকরি, এত মানুষের মনের ভিতরে তো আমি খুব সহজে প্রবেশ করতে পারবো না । তবে আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হাতে গোনা কিছু মানুষকে দেখেছিলাম , যাদেরকে প্রকৃত মানুষ মনে হয়েছিল । তবে সেই মানুষগুলোর অবস্থান ছিল, হয়তো কোন দায়িত্বের ভিতরে ।
যেমন উৎসবের পরিবেশ যেন সর্বদা সুন্দর ও আনন্দমুখর হয় , সেই বিষয়টা তারা নিশ্চিত করছিল । অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবক । বেশ অতিথিপরায়ণ ও কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে মন্দিরে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের । এই মানুষ গুলোকে দেখে দিনশেষে আমার বেশ ভালই লেগেছে । কতো চেষ্টা করছে আনন্দঘন মুহুর্তকে আরও গতিশীল করার জন্য ।
দীর্ঘদিন পরে সেই ফেলে আসা জীবনের মেলার মতো , এবারও খানিকটা মিষ্টান্নের দোকান দেখে কিছুটা মিষ্টান্ন ক্রয় করলাম আর খেয়ে নিলাম । এই গুলো কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা আমার জানা নেই । তবে এমন ভাবার মতো সময় আপাতত আমার হাতে নেই । আমি আসলে পুরনো স্মৃতিগুলোকে নতুন করে একটু প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম । এজন্য হয়তো একটু মুখে দিয়ে স্বাদটা গ্রহণ করার চেষ্টা করছি ।
শহরের মন্দির গুলোতে বেশ ভালই লোকজনের ভীড় । আসলে এই প্রান্তে বেশ ভালই ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জা, যা দেখার মতো । তবে গ্রামীণ অঞ্চলে যখন গিয়েছিলাম , তখন বেশ ভালই নিরিবিলি লেগেছিল পরিবেশটা ।
সর্বোপরি আজকের এই ২-৩ ঘন্টা সময়ের যদি অভিজ্ঞতা আমি বলি , তাহলে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে । তবে শহরের পরিবেশটা ভীষণ কোলাহল যুক্ত ছিল । আমি আসলে যেভাবে চিন্তা করেছিলাম , তারথেকেও বেশ ভালোই সময় আমি কাটিয়েছি । তাছাড়াও উৎসবমুখর পরিবেশে , সকলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করছে ব্যাপারটা বেশ উপভোগ্য ছিল ।
আমি আসলে ধর্ম বলতে যেটা বলতে বুঝি সেটা হচ্ছে , ধর্ম মানুষের নিতান্তই বিশ্বাসের একটা জায়গা । ধর্ম মানুষকে ধার্মিক বানায় আর যারা ধার্মিক মানুষ, তারা কখনো অন্যায় কাজ করতে পারে না এবং তাদেরকে দিয়ে কখনো কারো ক্ষতি হতে পারে না । তবে দিনশেষে প্রকৃত কয়জন ধার্মিক মানুষ আছে , সেটা নিয়ে বেশ সন্দিহান আমি ।
যেহেতু উৎসবের সময় চলছে আর উৎসবটা সকলের , তাই আনন্দ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ুক এটাই তো মূল কথা । ভেদাভেদ ভুলে , সকলে মিলিত হয়ে সময় গুলো আরও উপভোগ করুক এমনটাই তো প্রত্যাশা করি । বিষবাষ্প উড়ে যাক , জয় হোক মনুষত্বের । সবাইকে রইল , শারদীয় শুভেচ্ছা ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পরিবারের সাথে নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ এবং সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। খুবই ভালো লাগলো। আসলে স্বেচ্ছাসেবীরা খুবই দায়িত্বশীল প্রতিটা মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবীরা খুবই দায়িত্বের সাথে পালন করছে এবং তাদের দায়িত্বের কারণেই নিরাপত্তাও পাচ্ছে সাধারন মানুষ। যাইহোক আমি গত বিকেল বেলায় গিয়েছিলাম এবং সৌন্দর্যময় আলোকসজ্জাসহ ভ্রমণ করে দেখলাম। আজকে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো হয়েছে ভাইয়া।
আমার কাছে স্বেচ্ছাসেবকদের বেশ আন্তরিক মনে হয়েছে ভাই ।
পরিবার নিয়ে এই পুজোর সময় খুব ভাল সময় কাটাচ্ছেন ভাইয়া। অনেকেই আছেন যারা দেখতে একদম ফিটফাট কিন্তু তার ভিতর কলুষিত। তাই এতে কারও মনে করার কিছু নেই একদম বাস্তবতা। এরকম মেলায় গেলে টুকটাক ঝাল মিষ্টি খাওয়া হয়েই যায় এতে শরীর বা মহাভারত কোনটাই খুব বেশি অশুদ্ধ হয় না। পুজোর সাজসজ্জা বেশ ভালই হয়েছে আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর প্যান্ডেল সাজিয়েছে। মুরালি সাগরিকা দেখে ছোটবেলার মেলায় যাওয়ার কথা মনে পড়ে গেল। এই সমাজ এ লেবাসধারী মানুষের সংখ্যাই বেশি প্রকৃত ধার্মিক মানুষ পাওয়া বড় দায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রকৃত ধার্মিক ও প্রকৃত মানুষ বেশি থাকলে কবে পৃথিবীটা পরিষ্কার হয়ে যেত ।
চলেই আসলাম, রাতের বেলা এবার মেলায় ঘোরা হলোনা।তবে দিনের বেলা গিয়েছিলাম গতকাল।
এবার ওতোটা জাকজমক হয় নাই।তবে সব মিলিয়ে ভালো ছিল।
সুন্দর সময় ছিল ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো ❤️
মানবিক গুণে গুনান্বিত মানুষ খুবই কম আছে ভাই। যে মানুষকে ভালোবাসতে পারে না সে তার সৃষ্টিকর্তা কে কীভাবে ভালোবাসবে। সবশেষ বলা য়ায় ঐ বিশ্বাস টাই মূর্খ। পরিবার সঙ্গে নিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই।।
কথায় আছে ধর্ম যার যার উৎসব আমাদের সবার। তাইতো আমরাও এই পুজো উৎসবে নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটাই। ভাইয়া আপনিও আপনার পরিবার নিয়ে সুন্দর পরিবেশে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। হয়তো শহরে লোকসমাগম বেশি তাইতো একটু কোলাহলপূর্ণ। আর গ্রামের দিকে পরিবেশটা সবসময় কোলাহল মুক্ত থাকে। স্বেচ্ছাসেবকরা অতিথিদের জন্য কাজ করছে জেনে ভালো লাগলো। পুজো মন্ডবে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আমিও ছোটবেলায় পুজো মন্ডপে যেতাম। আর সেখানকার মুখরোচক খাবার গুলো কিনে খেতে বেশ ভালো লাগতো।
শহরের পরিবেশটা বেশ ভালোই ছিল তবে কোলাহল যুক্ত। তবে ভালোই সময় কাটিয়েছিলাম আমরা ।
বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া ৷ আসলে প্রকৃত একজন ধর্মীক মানুষ আর মানবিক মানুষের অনেক অভাব আছে ৷ নিজ নিজ ধর্ম আমরা সবাই মানি কিন্তু আমরা কখনো ধর্মীক হতে পারি না ৷যারা ধার্মিক মানুষ, তারা কখনো অন্যায় কাজ করতে পারে না এবং তাদেরকে দিয়ে কখনো কারো ক্ষতি হতে পারে না । আমরা ধর্ম মানি কিন্তু দিন শেষে অন্যায় করি অন্যের ক্ষতি করি ৷ যাই হোক শহরের মন্দিরে একটু বেশিই ভির থাকে কারণ সেখানে মন্দির গুলো বেশ ভালো ভাবে সাজানো হয় এবং বড় পূজা করার হয় ৷ কিন্তু গ্রামের মন্দির গুলোতে ছোট করে পূজা করা হয় যার জন্য ভীরও কম থাকে ৷ ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
ভাইয়া আমি আপনার দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করছিলাম ৷ যাগ আজকে দিয়ে দিছেন ৷ খুব সুন্দর সময় পাস করছেন ৷
খুব সুন্দর কথা বলছেন যে ধর্ম মানুষের নিতান্তই বিশ্বাসের একটা জায়গা৷ শুধু বললে আর ধর্ম হয় না সেটাকে মনে ধারন করে সেটাকে প্রকাশ করতে হবে ৷
যা হোক ওই সব বিষয়ে অনেক কথা যা বললে শেষ করা যাবে না ৷
খুব ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ৷
আশা করি ভাইয়া, ভালো আছেন? পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পূজাতে। তার সাথে সাথে কিছু দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। আসলে ধর্ম যার যার উৎসব আমাদের সবার। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
গ্রামীণ অঞ্চলে আপনি পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপূজা দেখেছেন এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।ভালো ছিল ছবিগুলো,আসলে এখানে ধর্ম প্রধান নয় ,মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ও মানবিকতা প্রধান বলে আমি মনে করি।আপনি সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আশা করি, মা আপনাদের মঙ্গল করুক এটাই প্রার্থনা করি।
একদম ঠিক কথা বলেছো আপু । শারদীয় শুভেচ্ছা রইল।