ব্যাংক ও আমার অভিজ্ঞতা ||shy-fox 10%beneficiary
আমি ভাই একদম নির্ভেজাল স্বভাবের মানুষ। কখনোই চেষ্টা করি না, আলাদা কোনো চাপ মানসিক ভাবে মাথায় নেওয়ার জন্য। এমনিতেই সারাদিন প্রচুর একটা দায়িত্বের ভিতরে থাকি, বিশেষ করে সেটা জব সেক্টরে। দুটো চেম্বার সামলানো প্লাস রোগীদের সঙ্গে কাউন্সেলিং করা।
সব মিলিয়ে আমার কাছে একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকে। আর সেখানে ফিনান্সিয়াল বিষয়গুলোর জন্য, যখন ব্যাংকের শরণাপন্ন হওয়া লাগে। তখন যদি, সেখান থেকে খুব ভালোভাবে সমাধান না পাওয়া যায় । সেটা অনেকটা আমার কাছে তিক্ততা পূর্ণ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে, যেমনটি আজকে হয়েছিল।
![PhotoCollage_1631547719155.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcZymPBRGSGjYCZQiiaGL5AMn38gz2mWatf5tdvhZdpmw/PhotoCollage_1631547719155.jpg)
শেষ যেবার ব্যাংকে গিয়েছিলাম, তখন মূলত মোটামুটি নিয়মকানুনগুলো এখনকার মতো ছিল না। কিন্তু করোনাকালীন সময়ের পর থেকে মনে হয় সব কিছু নিয়মকানুন পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ।যাইহোক এমনিতেই কড়া রোদ ছিলো সকাল বেলা থেকে, তারপরে চেম্বারে খানিকটা চাপ ছিল । সেগুলো কাটিয়ে যখন মূলত ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম ,তখন কিছুটা মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছিলাম যে, ব্যাংকে গিয়ে কি করবো।
মূলত যখন ব্যাংকের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠছিলাম,তখন আমার আস্তে আস্তে চিন্তাভাবনাগুলো কিছুটা যেভাবে পরিকল্পনা করে এসেছিলাম, সেই পরিকল্পনাগুলো আস্তে আস্তে ভেস্তে যেতে লাগল। কারণ এমনিতেই লোকের চাপ, তার মধ্যে ব্যাংকের ভিতরে ঢোকার পরে দেখি, বিভিন্নভাবে টেবিল দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রত্যেকটা সেক্টর ।যেটা আগের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।
কোন কিছু বুঝে না উঠে , যখন একদম সোজাসুজি ম্যানেজারের রুমে ঢুকতে গেলাম। তখনই আমার কিছুটা ধাক্কা লেগে গেল। কারণ ব্যাংকের গার্ড আমাকে একদম সোজাসুজি বলল যে, আগে যে কাজের জন্য এসেছেন, সেই কাজের টেবিলে যান এবং সেখানে গিয়ে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে আসুন । তারপরে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করুন।
যদিও আমি গার্ডের কথায় সেভাবে সায় দিলাম না কিন্তু পরবর্তীতে গার্ডের আচরণের কারণে আমি সাড়া দিতে বাধ্য হলাম। অবশেষে আমি যে কাজের জন্য এসেছি ,সেই কাজের জন্য যে টেবিল নিযুক্ত করা আছে, সেই টেবিলের অফিসারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলাম । কিন্তু গিয়ে দেখি লম্বা লাইন । আমি ভাবলাম যে কি করা যায় ।
বিগত সময়ে যে অফিসার গুলো ছিল, তারা মোটামুটি আমাকে চিনত। আমি আসলে, ব্যক্তিগতভাবে নিজের পরিচয় খুব একটা সব জায়গায় ব্যবহার করতে পছন্দ করি না। তবে আজকে আমাকে ব্যবহার করতে হয়েছে। এমনিতেই লম্বা লাইন,তার ভিতরে আমার চেম্বারে আরো অনেকগুলো কাজ বাকি আছে। কি করব বুঝে উঠতে পারছি না ।অবশেষে আমি লম্বা লাইনটা কোন মত পাশ কাটিয়ে অফিসারের টেবিলের কাছে কাছে গেলাম এবং অফিসার আমাকে দেখে মূলত কিছুটা বিব্রত বোধ করল। সে আমাকে একদম সোজা কথায় বলে দিলো যে, লাইন ব্রেক করে আসলে কোনো কাজ হবে না ।কিন্তু ঐদিকে যে আমার ক্লিনিকে রোগী গুলো আছে । তাদের কথা ভেবে আবার আমার চিন্তা হচ্ছিল।
অবশেষে বাধ্য হয়ে পকেট থেকে আইডেন্টিটি কার্ডটা বের করলাম এবং চেষ্টা করলাম অফিসারের টেবিলে এগিয়ে দেওয়ার জন্য। যদিও অফিসার আমার প্রথমে অনেকটা বিব্রতবোধ প্রকাশ করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে তার চেহারাটা মুহূর্তেই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল পরিচয়পত্র দেখার পর ।
যাইহোক ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কারণ সে চেষ্টা করেছে আমার বিষয়টা বোঝার জন্য । আমি বুঝতে পেরেছি সেও এই কঠিন সময়ে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করছে এবং যেহেতু আমিও মূলত আমিও একটা কাজের জন্য ব্যাঙ্কে এসেছি।তাই সেও আমার বিষয়টা বুঝতে পেরে, যেহেতু আমিও একজন ফ্রন্টলাইনার এই করোনাকালীন সময়ে, তাই সে আমাকে অনেকটা সহযোগিতা করেছে।
আসলে অধিক জনবসতির দেশে, মাঝে মাঝে নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় পত্র অনেকটা বড় হয়ে যায়। কারণ বিশেষ করে এরকম পাবলিক সার্ভিস গুলোতে ।মাঝে মাঝে নিজের একটু পরিচয় দিতে হয় নইলে অনেকটা বিলম্ব পোহাতে হয়। কারণ হয়তো আপনারা সবাই জানেন।
তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, কারণ আমাকে মূলত আমার রোগীর জন্যই আমার ব্যক্তিগত পরিচয়টা দেওয়া লেগেছে। তাছাড়া আমি চেষ্টা করতাম লাইন মেনেই কাজ করার জন্য। অতঃপর নিজের কাছে নিজের পরিচয় পত্রের জন্য ভালই কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ হচ্ছিল । না হলে, হয়তো পুরোটা দিন এই লাইনের পিছনেই সময় কেটে যেত।
আপনাকে অনেকটা ঝামেলা এড়াতে হয়েছে।আমাদের এদিকেও বিদ্যুৎ বিল দেওয়া জন্য মাঝে মাঝে হেনস্তার স্বীকার হতে হয়।কিছু করার নেই ভাই, যাই হোক অবশেষে যে আপনার বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করেছে তাতে খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাই আপনার অভিজ্ঞতা টি শেয়ার করার জন্যে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
তবে ভাই, আমাদের এখানে এত জামেলা হয় না কখনো, আপনার বেশ জামেলাই পোহাতে হল।
মানুষ বেশি এটাই হল মূল কারণ।
আমার কপাল ও সময় ভালো যাচ্ছে না 😭🥲
ডাক্তার গণ আমাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।কিছু কিছু জায়গায় তাদেরকে সুযোগ সুবিধা প্রদান করলে তা আমাদের জন্য ভালো। আপনি সেবক হিসাবে এই সুবিধা গ্রহন করতেই পারেন। আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যেকোনো কাজে নিজের পরিচিতি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।যেমনটি আজ আপনার ক্ষেত্রে হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা টি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে আপনার পরিচয় দিয়ে কাজটি করা আমার কাছে ভালো লেগেছে। কারন ভাইয়া আপনি তো নিজের স্বার্থে আপনার পরিচয় পত্রের কার্ডটি দেখান নাই। আপনি আপনার ক্লিনিকের কথা ভেবে আপনি আপনার পরিচয় পত্র টি প্রকাশ করেছেন। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় দেখানো যুক্তিযুক্ত ছিল। কারণ আপনার রোগী অপেক্ষা করছিল। কারুর ভালো করার জন্য একদিন সিরিয়াল ব্রেক করা যেতেই পারে। কিন্তু তাই বলে অনেকে আছে তাদের পাওয়ার খাটিয়ে প্রতিনিয়ত এই কাজটা করে। এটা আবার ঠিক না। ভালো লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
আপনি খুব ভালো একটা কাজ করেছেন ভাইয়া।আপনার কার্ডটা সো করে।এইদিকে ক্ষমতা দেখালেও ওই দিকে আপনার রুগীটার অস্বস্তি কম হচ্ছে।কিছু কিছু জায়গাই এরকম করা আমি সাপোর্ট দেই তবে সব সময় নাহ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।