সাফল্যের জন্য লেগে থাকতে হয় || @shy-fox-10% beneficiary
আমার বাবা ও মা দুজনেই সরকারি চাকরির সঙ্গে সম্পৃক্ত। যাইহোক আমার বাবা মূলত হসপিটালের পরিসংখ্যান অফিসার হিসেবে এখনো কর্তব্যরত আছে । আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে এই জন্যই মূলত হয়তোবা আমি একটু অতিরিক্ত সুবিধা পেয়েছি। আমার প্রফেশন জীবন শুরু করার আগ মুহূর্তে । সেই কথাগুলোই বলার চেষ্টা করব আজকে আপনাদের সঙ্গে । আশা করি আমার যারা পাঠক আছে, তাদের কাছে আমার আজকের গল্পটা একটু হলেও ভালো লাগবে।
তখন সবেমাত্র ইন্টার্নশিপ শেষ করেছি এবং নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করছিলাম আমার প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের জন্য। কিন্তু শুরুতেই সবকিছু খুব একটা সহজ ছিল না আমার জন্য। তবে আমার বাবার জন্য কিছুটা হলেও আমার প্রফেশনাল জীবন অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছিল।বাবা যেহেতু স্থানীয় এক সরকারি হসপিটালে মোটামুটি বড় পোস্টে প্রশাসনিক দায়িত্বে আছে। তাই খুব একটা বেশি অসুবিধা হয়নি সেই হসপিটালে অনারারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে জয়েন করতে।তখন বয়স কতোই বা হবে 24 থেকে 25 বছর। কারণ আমার বয়সের তুলনায় শারীরিক গঠন খুব একটা ভালো ছিল না সেই সময়। আর আমাদের প্রফেশন গুলোতে অনেক কিছু ভ্যারি করে, বয়স অভিজ্ঞতা, পার্সোনালিটি ও অন্যান্য বিষয়। সত্যি বলতে কি, টানা দুই বছর আমি ফ্রিতে খেঁটে দিয়েছি সেই সরকারি হসপিটালে । মূলত অনারারি মেডিকেল অফিসার বলতে বুঝায় সম্মানিত মেডিকেল অফিসার । কিন্তু বাস্তবে এই চিত্র ভীষণ ভয়াবহ । ফ্রিতে খাটতে হবে কিন্তু কোন পারিশ্রমিক পাওয়া যাবে না।যেহেতু আমার আগ্রহ ছিল কাজ শেখার প্রতি। তাই মোটামুটি আমি নিজেকে কিছুটা উজার করে দিয়েছিলাম সেই সময় , সেই দায়িত্বে ।কারণ ওখানে আমার যে সুবিধা হয়েছিল সেটা হচ্ছে আমি খুব ক্লোজলি পেশেন্টদের সঙ্গে কথা বলতে পারছিলাম এবং তাদের কাছ থেকে পূর্ব ইতিহাস গুলো নিতে পারছিলাম সহজেই । যেগুলো আমার পরবর্তী প্র্যাকটিস জীবনে আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছে।
যেহেতু আমি একদম প্রান্তিক পর্যায়ের সরকারি হসপিটালে ছিলাম, তাই মূলত আমাকে সেখানে সাধারণ রোগীকে বেশি দেখতে হতো এবং সেখানে ডাক্তার স্বল্পতা ছিল এবং সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে সব কিছুরই স্বল্পতা অনেক বেশি ছিল। যাইহোক মোটামুটি ওখানে সব ধরনের রোগী দেখতে হতো। কিন্তু দাঁতের রোগী আমি সেখানে ভীষণ কম পেতাম । তবে সেটা নিয়ে খুব আমার একটা বেশী আফসোস থাকত না ।কারণ সেখানে যখন আমি সাধারন রোগীগুলোর সঙ্গে কাউন্সেলিং করতাম, তখন আস্তে আস্তে একটা সময় গিয়ে আমার নিজের পরিচিতি লাভ হয়ে গিয়েছিল।আমার ওখানে যাওয়ার প্রথম কারণ ও উদ্দেশ্য ছিল আমার ক্লিনিক্যাল কাজগুলো খুব ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য । কারন আমি নিজেকে হাতে-কলমে খুব ভালোভাবে পরিপক্ক করার জন্যই মূলত এত লম্বা সময় ফ্রিতে দিয়েছিলাম।যেহেতু সেখানে ডাক্তার স্বল্পতা ছিল যার কারণে আমাকে মূলত দিনরাত সেখানেই থাকতে হতো এবং একটা সময়ে গিয়ে অনেকেই আমাকে সেখানকার সরকারি ডাক্তার ভাবতো কিন্তু এই চিন্তা আমি অনেকেরই দূর করে দিয়েছি। কারণ একটা সময়ে গিয়ে মোটামুটি আমি যখন নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পেরেছিলাম ।তারপরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে নিজেই কিছু করব । তবে সেই বিগতের সময়ের আমার মোটামুটি পরিশ্রম সার্থক হয়েছে আমার বর্তমান জীবনের প্রাক্টিসে।
জীবনের এক খন্ড, খুবই সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন। ভাষাও মোটামুটি সাবলীল ছিল। স্বাগতম।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই অনেক সুন্দর লাগলো। আপনার এই গল্পটি পরে,জাই হোগ ভাই আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই খুব অনুপ্রেরণা পেলাম আপনার পোস্ট থেকে। এরপর থেকে আমি কখনো হতাশ হব না। কাজে লেগে থাকতে হবে। এবং তাহলে সৃষ্টিকর্তা সফলতা অবশ্যই দেবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার এই পোস্টের টাইটেল আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। কথাটা ১০০% সত্য। সাফল্যের জন্য লেগে থাকতে হয়। ধৈর্য নিয়ে লেগে থাকতে পারলে তার জীবনে সাফল্য আসবেই। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
জীবনের কঠিন বাস্তবতা প্রকাশ পেয়েছে আপনার লেখনীর মধ্যে। একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সাফল্যর জন্য একনিষ্ঠ ভাবে সেই কাজে লেগে থাকলেই সফলতা পাওয়া যায়। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। দারুন কন্টেন্ট।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন দাদা,
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি(প্রবাদ বাক্য)
এজন্য আমাদের সকলের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করে নিতে হবে।সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে আমি বাংলা ব্লগে লেগে আছি🥰
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের বাস্তব জীবনের কথাগুলো। এটা সত্য, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে হাজারও কষ্ট পার করতে হয়। কত শত ত্যাগ শিকার করতে হয়। আপনার জন্য ভালোবাসা এবং শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ভবিষ্যত জীবনের জন্য শুভকামনা রইল শুভ ভাই। পরিশ্রম করলে ফল অবশ্যই এক সময় আসবে। ধৈর্য ধরে লেগে থাকাটাই আসল।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জীবনে যারাই সাফল্য অর্জন করেছেন ,তাদের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা দীর্ঘদিনের পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তির দ্বারাই সম্ভব হয়েছে।কখনো কোনো ভালো কিছু একদিনেই আসে না।তার জন্য ধৈর্য্য, পরিশ্রমের প্রয়োজন।আপনার পোষ্টটি খুবই ভালো লাগলো পড়ে।ধন্যবাদ ভাইয়া।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।