শাহারুল ভাই || @shy-fox 10% beneficiary
শাহারুল ভাইকে নিয়ে এর আগেও আমি ঘুরে ছিলাম আর সম্ভবত সেবার একটা পোস্টও লিখেছিলাম । ভাইজান আমার বেশ উপকার করেছিল সেই সময় । আসলে পরিবার নিয়ে সপ্তাহে একটা দিন ঘুরে বেড়ানো আমার অনেকটাই নেশা হয়ে গিয়েছে । বিশেষ করে শুক্রবারের দিনটাতে ।
কারণ মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বেশ পরিশ্রম যায় । অনেক কাজ থাকে কমিউনিটির আর তাছাড়াও প্রতিটা রাত তো জেগে জেগেই কাজ করতে হয় । তারপরেও যেহেতু দিনশেষে নিজের পরিবার বলে একটা বিষয় থাকে , তাই সেই জায়গা থেকে পরিবারকে সময় দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা । এই জন্যই শুক্রবার আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন । এটি সম্ভবত বিগত সপ্তাহের একটা মুহূর্ত।
যেহেতু প্রত্যেক শুক্রবারের দিনই বিকেলবেলা করে ঘুরতে বের হই, তাই আগে থেকেই শাহারুল ভাইকে ফোন দিয়েছিলাম। ভাইজানকে বলেছিলাম, ভাই আজ আমরা শহর থেকে কিছুটা অদূরে ঘুরতে যাব । যদি আপনি আমাদের সঙ্গে যেতে চান , তাহলে আপনার রিক্সা নিয়ে বিকেলবেলার দিকে আমার বাসার এই দিকটাতে আসিয়েন । ভদ্রলোক বেশ ভালোভাবেই আমার প্রস্তাবটা গ্রহণ করেছিল।
মোটামুটি এই শহরে যতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে, সেগুলোতে বহুবার করে যাওয়া হয়েছে । এগুলো সম্পর্কে কমবেশি বিগত সময়ে রিভিউ দেওয়া হয়েছে । তবে আজকে যেখানে যাচ্ছি,সেটা সম্পূর্ণ শহর থেকে কমপক্ষে পনের কিলোমিটার দূরে ।যেহেতু দীর্ঘ পথ যেতে হবে তাই আমি মূলত ব্যাটারি চালিত রিক্সা গুলোতে যেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি । কারণ খুব ধীরে ধীরে যাওয়া যায় আর মোটামুটি প্রকৃতির মাঝ দিয়ে ঘুরে ঘুরে যাওয়া যায়, এটাই বাড়তি সুবিধা রিক্সায় ঘোরাঘুরির ।
সন্ধ্যের ঠিক আগ মুহূর্তেই পৌঁছে গিয়েছি আমাদের গন্তব্যে । মোটামুটি এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কিত কথা আমি আগামী ভিডিও পর্বে বলার চেষ্টা করব আর এই পর্বে যেটা বলবো, সেটা আমার নিতান্তই ব্যক্তিগত চিন্তাধারা ।
শাহারুল ভাইকে যখন আমি বললাম যে, ঠিক আছে আপনি আমাদের সঙ্গে রেস্টুরেন্টের ভিতরে আসতে পারেন । এইটা শোনার পরে সে অনেকটাই হতভম্ব হয়ে গিয়েছে । কারণ এত সাজসজ্জা পূর্ণ জায়গায় আসতে সে ভীষণ অস্বস্তি বোধ করছিল প্রথমে । পরে আমি তাকে খুবই ঠান্ডা মাথায় বললাম যে, আপনি আমার অতিথি , আপনি আমার সঙ্গে বসে এই রেস্টুরেন্টে খাবেন ।
এরপর আমরা সহজেই ঢুকে গেলাম এবং শাহারুল ভাইকে বসতে দিলাম এবং রেস্টুরেন্টে ঢুকেই আমরা প্রথমত খাবারের মেনু কার্ড দেখে খাবারগুলো অর্ডার করে ফেললাম এবং শাহারুল ভাইকে বললাম যে, আপনি এখানে বসে বিশ্রাম নিন । আমরা উপরতলা থেকে একটু ঘুরে আসি এবং উপরতলাতেও এই রেস্টুরেন্টের বর্ধিত অংশ আছে ।
এই রেস্টুরেন্টের ভিতরের এবং ছাদের ডেকোরেশন দেখে আমরা মোটামুটি কিছুটা মুগ্ধ হয়েছি । তারপরে নিচে এসে বসে আবার শাহারুল ভাইকে উপরে ঘুরতে পাঠিয়ে দিলাম । কারণ আমাদের সঙ্গে অনেকগুলো ব্যাগ ছিল এজন্য নিরাপত্তার কথা ভেবে , আমরা প্রথমে দুজন গিয়েছি তারপরে শাহরুল ভাইকে আবার উপরে পাঠিয়েছিলাম ঘুরে দেখার জন্য।
যাইহোক অতঃপর আধা ঘন্টা সময় পরেই আমাদের খাবার চলে এসেছিল বেশ তৃপ্তি সহকারেই খেয়েছি এবং এখানকার খাবারটা বেশ ভালোই। আজ আমি রেস্টুরেন্ট সম্পর্কিত কোনো কথাই বলবো না তা আমি ইতিমধ্যেই উপরে বলেছি , যা কথা বলার পরবর্তীতে ভিডিও এর সঙ্গে বলে দেব ।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে , যখন আমি শাহারুল ভাইকে নিয়ে ভিতরে বসে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছিলাম তখন অনেক লোকজন এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল যেন ভিন্ন রকম কিছু দেখছিল । কে কি চিন্তা করছিল তা জানা আমার নেই বা জানার আগ্রহ নেই । সে রিক্সাওয়ালাই হোক বা যাইহোক, এতে আমার কোন যায় আসে না । সে আমার অতিথি এটাই বড় কথা । আর তাছাড়া বড় কথা, আমি মানুষের ভেতরে কোন ভেদাভেদ রাখতে খুব একটা বেশি পছন্দ করি না ।
শহর থেকে এতদূরেও গ্রামীণ এলাকাতে যে এত সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট আছে , তা হয়তো এই ছুটির দিনে না আসলে জানতেই পারতাম না । সর্বোপরি এখানকার খাবারগুলো আমার বেশ ভালো লেগেছে । যদিও আমরা অনেকগুলো খাবার অর্ডার করেছিলাম , মোটামুটি সেখানে কিছু চাইনিজ খাবার আর সঙ্গে কিছু সেট মেনু খাবার ছিল । যাইহোক আমার বেশি ভালো লেগেছে, নিজের থেকে একসঙ্গে শাহারুল ভাই কে নিয়ে খেতে পেরেছি এটা ভেবে ।
মোটামুটি শাহারুল ভাইও বেশ খুশি । কারণ সেও আমাদের সঙ্গে খুব ভালো সময় কাটিয়েছে এবং তার মুখে যখন হাসি দেখেছি, সেই হাসিটা অনেকটাই মনে রাখার মত । সত্যি বলতে কি , এই সহজ-সরল মানুষগুলো কত ভাবেই তো আমাদের উপকারে এসে থাকে। আমরা যদি মাঝে মাঝে একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই, হয়তো সেটা মোটেও অন্যায় হবে না ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
স্যার, সত্যি কথা বলতে কি লিখতে কি লিখব ভেবে পাচ্ছি না!যাই হোক পরিশেষে এটুকুই বলব,আপনার মত করে সমাজের সবাই যদি এনাদের মত পরিশ্রমীদের একটু নিজেদের পাশে বসার সুযোগ করে দেয় তাহলে এ সমাজে ধনী -গরীব কোন ভেদাভেদ থাকবে না!
ভাইয়া আপনার সম্পর্কে যতই জানছি ততই আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যাচ্ছে। সত্যি ভাইয়া আপনার মত করে হয়তো কখনো ভাবিনি। তবে আপনার মত করে যদি চিন্তা করতাম তাহলে হয়তো আমাদের চারপাশের মানুষগুলো আরো ভালো থাকতো। আসলে মানুষের ভিতরে কোন ভেদাভেদ থাকতে নেই। একজন মানুষের মুখে দিন শেষে যদি হাসি ফুটানো যায় এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। একজন মানুষের প্রাণ খোলা হাসির মাঝে যে সুখ লুকিয়ে আছে তা কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পাওয়া যায় না। সত্যি ভাইয়া শাহারুল ভাই আপনার অতিথি ছিল জেনে ভালো লাগলো। শাহারুল ভাইয়ার মত মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনেক ভালো লাগে। আশা করছি পরবর্তী পর্বে রেস্টুরেন্টের ভিডিওগ্রাফি দেখতে পাবো।😍😍
ধন্যবাদ আপু আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই পরবর্তী পর্বে ভিডিও আসবে সঙ্গেই থাকুন।
আপনি যে সবার থেকে ভিন্ন রকমের মানুষ তা আমি আপনার খুব কাছে থেকে দেখেছি বহুবার। আপনার মতো করে যদি আমরা সবাই ভাবতে পারতাম তাহলে হয়তো পৃথিবীতে এতো ভেদাভেদ থাকতো না তাহলে পৃথিবীটা অনেক সুন্দর হতো। শাহারুল ভাই এর চোখ মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে উনি বিষয় টা খুব ভালো উপভোগ করছেন আর হয়তো মনে মনে ভাবছেন এরকম মানুষ যদি রোজ একজন করে আমার রিক্সার যাত্রী হতো তাহলে কতই না ভালো হতো, অনন্ত দিন শেষে পেটপুরে একবেলা শান্তিতে খেতে পারতাম। ভাইয়া আপনাকে যত দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। মন থেকে শ্রদ্ধা জানাই আপনাকে। 🙏
মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি বৌদি , যদিও মানুষ হওয়া সহজ নয় , তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।
মনেই হচ্ছে উনি বেশ খুশি হয়েছেন।আসলে খুশি হওয়ার অধিকার উনাদের ও আছে তা আমরা ভুলে যাই।শায়ানের হাসিটা মাশাল্লাহ।
এইটা সত্য ভদ্রলোক বেশ খুশি হয়েছিল সেইসময় ।
আমরা অনেকেই বলি মানুষের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই । কিন্তু মানিও না এবং নিজের জীবনে প্রয়োগও করি না। কিন্তু আপনি যা বিশ্বাস করেন তাই করেন। আপনার লেখা পড়ে তাই মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে । সত্যি বলতে কি, জীবনটা আমার, আমি আমার মতো করে বাঁচতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আপু ।
জানেন তো ভাই এই লেখা গুলো পড়লে ভেতর থেকে একটা ভালো লাগা কাজ করে। বলতে পারেন ভালো কিছুর জন্য উদ্বুদ্ধ হই। এর আগেও দেখেছি আজকেও দেখলাম। যে কোন মানুষের মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে তুলতে সবাই পারে না ভাই, এটা অনেক মহৎ একটা কাজ । আমি আসলে কি লিখব সেটাই গুলিয়ে ফেলছি।
আপনার অনেক ভালো হোক, অনেক ভালো থাকবেন কাছের মানুষ গুলোকে নিয়ে এই দোয়াই করি। কাল আপনাদের ঐদিকে যাওযার প্ল্যান ছিল ভাই ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে, ভেবেছিলাম গিয়ে সারপ্রাইজ দেব। কিন্তু ধুম করে ঢাকা যেতে হচ্ছে । আমার আর এবছর ভাইফোঁটা দেওয়া হলো না। ঢাকা থেকে কাজ সেরে ফিরে নভেম্বর মাসের দিকে হয়তো আর মিস হবে না। দোয়া করবেন ভাই। ভালোবাসা রইলো।
তোর হাতে ভাই ফোঁটা নেওয়ার অপেক্ষায় থাকলাম। সময় করে আসবি অবশ্যই। যদিও নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহ এলাকাতে থাকবো না , তবে আসলে অবশ্যই ফোন করে আসবি এবং নভেম্বরের শেষের দিকে আসলে আমার জন্য ভালো হয় ।
প্রথমে বলবো মানুষ মানুষের জন্য ৷ যদি মানুষ মানুষ কে দেখতে না পারে ৷ তাহলে মানুষ হয়ে যে কেউ সে একজন বৃথা বলে মনে করি ৷ ভাই সবাই রক্তে মাংসে গড়া মানুষ ৷ তাই ভেদাভেদ নয় ৷
আপনি খুব ভালো করছেন শুভ দা ৷ কারন অতিথি চেয়ে বড় মনে হয় না আর কেউ আছে ৷
আর শায়ন বাবুর হাসি টা সত্যি অনেক কিউট ৷
সত্যিই অসাধারণ আপনার মানসিকতা। মোটকথা আমরা সকলেই মানুষ হোক সেটা কুলি, মজুর । এরই নাম তো মানবিকতা। যাইহোক দূরে রেস্টুরেন্টে বাবুটাকে কিন্তু খুবই প্রফুল্ল দেখাচ্ছে। আপনার পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা রইল।
সত্যি ভাইয়া আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।আসলে এই মানুষ গুলো খুব অল্পতেই ভীষণ খুশি হয়ে যায়।আর তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারলে নিজের কাছেও চমৎকার লাগে।বেশ ভালো লাগলো আপনি এই মানুষটাকে আপনার অতিথি করে তার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, কে কি ভাবলো তা উপেক্ষা করেছেন। সত্যিই বেশ ভালো ছিল।ধন্যবাদ ।
ভদ্রলোক আপনার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কোন কারণ আছে। এর আগে যে ভালোবাসা আপনি তাকে দিয়েছেন কজন দেয় এমন। তাছাড়া শুক্রবার আসলেই সবারই একটু ঘোরাঘুরি করতে মন চায়। ছুটির দিন বলে কথা। কে কি চিন্তা করল এই বিষয়টি যদি সকলের মাথা থেকে বের হয়ে যেত তাহলে সমাজে আর কোন ভেদাভেদ থাকতো না। খুব ভালো লাগলো দেখে যে আপনারা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেছেন। খুব সুন্দর একটি সন্ধ্যা উপভোগ করেছেন সব মিলিয়ে।