আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে
এই নশ্বর পৃথিবীতে হয়তো আমি একদিন থাকবো না । এটা যেমন সত্য কথা, তবে আমার রেখে যাওয়া অনেক কিছুই হয়তো অনেকের মনে আঁকড়ে ধরে থাকবে । ব্যাপারটা ভীষণ স্বাভাবিক , অর্থ্যাৎ আপনি এই গোলাকার পৃথিবীতে যেমন কর্ম করবেন, ঠিক তেমনটাই কর্মফল ফেরত পাবেন ।
দেখুন একটা জিনিস, সহজ ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন । আপনি যদি ক্রমাগত ভাল কাজ করে যান তাহলে মানুষ আপনাকে ভালো বলবে । এটার জন্য কোন কিছুই করতে হবে না । আসলে একমাত্র ভালো কাজই পারে মানুষের কাছে সহজে নিয়ে যেতে ।
ভালো কাজের জন্য তো আসলে কোন নমুনা লাগে না । আপনি যদি নিজে নিজের অবস্থান থেকে প্রতিনিয়ত ভালো কাজ করে যান , তাহলে মানুষ আপনাকে এমনিতেই সম্মান করবে । মানুষ আপনাকে নিয়ে তখন প্রতিনিয়ত এমনিতেই কথা বলবে । এটাই স্বাভাবিক।
যদিও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় আমি দীর্ঘ আট বছর আগে থেকেই ভুগছি, বলতে গেলে দীর্ঘ সময় থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ সেবন করি এবং মানসিকভাবে ফুরফুরে থাকার জন্যও কিছু ওষুধ প্রতিনিয়ত সেবন করে যাচ্ছি । যদিও গতরাতে হঠাৎ করেই কেন জানি বুকের বাম পাশটাতে একটু চিনচিন ব্যথা অনুভব করছিলাম ।
যদিও প্রথমত ভেবেছিলাম যে এটা গ্যাস্ট্রিকের কারণে । তবে সেটা যখন ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছিল, একটা সময়ে গিয়ে ভীষণ অস্থিরতা কাজ করছিল নিজের ভিতরে । কোনভাবেই যেন প্রেসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারছিলাম না । কি যে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলাম তা জানিনা ।
আসলে সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, মানুষের কখন কি হয়ে যাবে, এটা তো বলা খুবই মুশকিল । তারপরেও সুস্থ থাকার জন্য আমি মনে করি দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে দূরে থাকাই সবথেকে ভালো । যেটা আমি গতরাতে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি । তারপরেও চাইলেও আসলে অনেক কিছুই সেভাবে করা যায় না । কারণ পরিবেশ পরিস্থিতির একটা ব্যাপার থাকে । কোনভাবেই আর গত রাতে ঘুমানো গেল না । আমি দেখছিলাম ভোর হয়ে গেল এবং ক্রমাগত সময় চলেই যাচ্ছিল আর আমার প্রচুর ছটফট লাগছিল নিজের ভিতরে ।
একটা সময় গিয়ে সহধর্মিনীকে বলেই ফেললাম, আমার শারীরিক সমস্যা হচ্ছে । তারপরে যখন বাথরুমে গিয়েছি তখন যেন হঠাৎ করেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছি । যখন মোটামুটি জ্ঞান ফিরেছে, তখন দেখি আমার কলিগের ক্লিনিকে আমাকে শিফট করা হয়েছে । সে আমাকে বেশ ভালোই পর্যবেক্ষণ করেছে এবং ইসিজি করার পরামর্শ দিল ।
যাইহোক ইসিজি রিপোর্টে তাৎক্ষণিক তেমন কোন কিছু ধরা পড়েনি । তবে সে ভীষণ সন্দেহ করছিল যে , আমার কোন একটা জায়গায় ত্রুটি আছে । সে আমাকে পরামর্শ দিল, ভালো একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য এবং ইকো করে নেওয়ার জন্য । তবে আমার যে গত রাতে ঘুম হয়নি আর মানসিক দুশ্চিন্তায় ছিলাম, এটা সে বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল । অতঃপর ঘুমের ওষুধ দিয়ে চেষ্টা করেছে , আমার অস্থিরতা কমানোর জন্য ।
যাইহোক এখন যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখন রাত আটটা থেকে নয়টার মত বাজে । মোটামুটি এখন অনেকটাই হালকা লাগছে । আগের মতো অস্থিরতা আর নেই , রক্তচাপটাও অনেকটাই কমে এসেছে ।
এই নশ্বর পৃথিবীতে কখন কার কি হয়ে যাবে, এটা বলা খুব মুশকিল । তবে বেঁচে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । হয়তো নিজের জন্য না হলেও , নিজের পরিবারের জন্য । কারণ ঘরে একটা ছোট বাবু আছে । তাই নিজেকে সুস্থ রাখতেই হবে এবং প্রতিনিয়ত সাবলীলভাবে কাজ করতে হবে, এমনটাই তো প্রত্যাশা করি ।
হয়তো আপনাদের ভালোবাসা ছিল বিধায়, আবারও আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি, আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোট বাচ্চার দিকে তাকিয়ে হলেও নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিতে হবে। আপনার রাত জাগা এই অসুস্থতার একটা কারণ হতে পারে। তাছাড়া কোনো কারণে হয়তো টেনশন করেছেন তারই প্রতিফলন শরীরেও দেখা দিয়েছে। যাক অবশেষে কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া রইল ভাইয়া আপনার জন্য যাতে দুশ্চিন্তা কাটিয়ে দ্রুত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যেতে পারেন। আল্লাহ অল্পের মধ্যে দিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। বাথরুমে যেহেতু পড়ে গিয়েছিলেন বড় কোন অঘটনও ঘটতে পারতো।
সবই ঈশ্বরের কৃপা৷ যা হোক সর্বোপরি আমি তো ভয় পেয়েছিলাম আপনার এমন কিছু হলো না তো ৷ আর আপনি যেভাবে শুয়ে আসছেন ৷
আসলে ভাই এই নশ্বর দেহ ধরে কোনো গ্যারান্টি নেই ৷ আর ভালো কর্ম করলে অবশ্যই তার ফল ভালোই হবে৷
সর্বোপরি আপনি এখন কেমন আছেন তা জানি না ৷ তবে আমি মন ভরে ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে৷ আমাদের মাঝে এসে একটি সুন্দর হ্যাংআউট উপস্থাপনা করবেন ৷ ভাই আপনি তো একজন প্রকৃত বড় মনের মানুষ ৷
ভাইয়া আজকে আমি বেশ কয়েকবার আপনার প্রোফাইলে গিয়ে দেখছিলাম আপনি পোস্ট করেছেন কিনা। আসলে আপনি তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোস্ট করেন। তবে আজকে যখন আপনার পোস্ট দেখতে পাচ্ছিলাম না তখন বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ আপনি তো কখনো পোস্ট করা বাদ দেন না। যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন নিজের পোস্ট সঠিক সময়ের মধ্যেই করেন। আমি ধারণা করেছিলাম হয়তো আপনি কোন সমস্যার মধ্যে আছেন। তবে আপনি যে এতটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সেটা বুঝতে পারিনি ভাইয়া। ভাইয়া আপনি সত্যি বেশ অসুস্থ সেটা বুঝতেই পারছি। আসলে ছোট ছোট সমস্যাগুলো থেকে অনেক বড় সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই এখন থেকেই নিজের প্রতি যত্নশীল হন ভাইয়া। 😭😭😭
চেষ্টা করছি সুস্থ থাকার জন্য আপু , তাছাড়াও সুস্থ থাকতেই হবে পরিবার ও আপনাদের জন্য হলেও। শুভেচ্ছা রইল।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আসলে ভাই আজকে আপনার পোস্ট আমি বারবার চেক দিচ্ছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না, বুঝতে পারছিলাম না কি হলো। তখনই মনে হয়েছিল হয়তো কোনো ব্যস্ততার মধ্যে আছে। আসলে আমাদের শরীর কখন ভালো থাকে, কখন অসুস্থ হয় সেটা বলা যায় না। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা আমাদের সবসময় যেন সুস্থ রাখে। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
ভাইয়া প্রথমত বলতে গেলে এই পৃথিবীতে এক মিনিটের ও বিশ্বাস নেই।কার যে কখন চলে যেতে হয় একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।আপনাকে প্রথমে চিন্তা করতে হবে আপনার পরিবারের কথা।ছোট্ট একটা বাচ্চা আছে তাকে বড় করতে হবে।আপনি যখন উচ্চ রক্তচাপের রোগী তাহলে আপনাকে সর্ব প্রথম করতে হবে যেটা সঠিক সময়ে ঘুম যাওয়া।আপনাকে কি আর বলবো আপনি তো সব ভালো বুঝেন ভাইয়া।সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আপনার সুস্থতা কামনা করছি।আল্লাহ আপনার দীর্ঘ হায়াত দান করুক।
আসলেই কখন কার কি হয়ে যায় , এটা বলা বেশ মুশকিল। তবে জীবনে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
আপনাদের জন্য সব সময় ভালোবাসা আছে ভাই। দোয়া করি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আগের মত ফিরে আসুন। আল্লাহ যেনো আপনাকে দ্রুতো আগের মতন সুস্থ করে দেয়। আমরা চঞ্চল সেই শুভো ভাই কে দেখতে চাই। আপনার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো ভাই। ঠিক মতন ঔষধ খান ভাই। আর টেনশন করবেন না কখনো। আল্লাহ আছেন । তিনি সব ঠিক করে দিবেন।
ভালোবাসা নিরন্তর ভাই । হয়তো তোমাদের ভালোবাসা আমাকে প্রাণবন্ত রাখে সব সময় ।
ভাইয়া খুব খারাপ লাগলো পড়ে। 😥এখন কেমন আছেন? চিন্তা আসলে এসেই যায়,যতই ভাবি চিন্তা করব না।সত্যি খুব খারাপ লাগছে জেনে।😥 সুস্থতা খুব জরুরি সবার আগে। দোয়া করি ইনশা আল্লাহ ভাল হয়ে যাবেন।
যত টেনশনই হোক প্রেসার নিয়ে আপনার সারাটা রাত জাগাটা আসলেই আপনার উপর ভারী পড়ে গিয়েছে,যার কারণে বাথরুমে পরে গিয়েছিলেন। আপনার তো বাচ্চা ফ্যামিলির কথা চিন্তা করে যত বড় সমস্যা হোক স্থির থেকে সমাধান করা উচিত। বিভিন্ন ধরনের সমস্যাই মানুষের জীবনে আসে এই অবস্থাতে নিজেকে অবশ্যই শক্ত থাকতে হয়। যাক শেষ পর্যন্ত আপনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন ইকো রিপোর্ট ভালো এসেছে এটাই বড় কথা।
ভাইয়া আপনি এখন সুস্থ আছেন এটাই শুকরিয়া। এখন থেকে সময় মতো খাওয়া দাওয়া করবেন এবং দুশ্চিন্তা বাদ দিয়ে সময় মত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। কখন কার জীবনে কি হয় সত্যি বলা যায় না। আমিও দু'তিন ধরে কিছু সমস্যায় ভোগছি। সময় সুযোগ হয়নি বলে ডাক্তার দেখানো হয়নি তবে আমি একটু হলেও বুঝতে পারছি আমার মনে হয় বড় কোনো সমস্যা হতে চলেছে। তবে আজ সকাল ১২টায় ডাক্তারের কাছে সিরিয়াল দেওয়া আছে দেখা যাক কি হয়। ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আর আপনাকে এই অবস্থায় দেখে অনেক খারাপ লাগছে। আপনার জন্য অনেক দোয়া রইল যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।