অনাবিল শান্তি
আমার গ্রামের বাড়ির কয়েক ঘর পরেই সাইফুল কাকুর বাড়ি। অনেকদিন থেকেই শুনছিলাম সে নাকি কবুতর লালন পালন করে, তবে সেভাবে কখনো দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। আসলে আমারও কাজের ব্যস্ততা, ওইদিকে কাকু নিজেও তার সাংসারিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বেশ ভালোই ব্যস্ত সময় পার করছিল।
ভিডিও লিংক
সব মিলিয়ে নিজেদেরই সময় হয়ে উঠছিল না, তবে এত কিছুর মাঝেও সেদিন যখন গ্রামের বাজারে চা খেতে গিয়েছলাম, তখন হঠাৎই সাইফুল কাকুর সঙ্গে দেখা হয়ে গিয়েছিল এবং গল্প করার সময়ে কবুতরের কথা উঠেছিল। সেসময়ই ঠিক করেছিলাম, এবার যত ব্যস্তই থাকি না কেন, কাকুর বাড়িতে সশরীরে যাবো।
এই যে মাঝে কিছুদিন ইন্টারনেট ছিল না, তখনই মূলত মোক্ষম সময়টা পেয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময়েই গিয়েছিলাম কাকুর বাড়িতে। নিজের হাতে কবুতরগুলো ছুঁয়ে দেখেছিলাম, আধ্যাত্মিক রকমের প্রশান্তি কাজ করছিল নিজের মাঝে।
কাকু নিজের থেকে যখন কবুতরগুলোকে কাছে ডাকছিল এবং খেতে দিচ্ছিল, তখন সবগুলো কবুতর যেন কাকুর কাছাকাছি এসেছিল এবং অনেক কবুতর তো তার শরীরে উঠেছিল। আমি নিজের থেকেই কিছু তথ্য জানার চেষ্টা করেছিলাম, কবুতর লালন পালনের বিষয়ে।
কাকু চেষ্টা করেছিল, তার মত করে গুছিয়ে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। তাছাড়া তার এই শখ বহু আগের । মূলত শখ কে প্রাধান্য দিয়েই তার এই কার্যক্রম। সত্যি বলতে গেলে কি, সবাইকে দিয়ে কিন্তু এই কাজ হয় না। এসবের জন্য প্রচুর ধৈর্য ও স্থির-মানসিকতার দরকার।
আমি নিজে যখন ভিডিও করছিলাম আর এমন মুহূর্ত স্বচক্ষে দেখছিলাম, তখন যেন নিজের মাঝে প্রচুর অনাবিল শান্তি কাজ করছিল।
যাইহোক আমি ভিডিওর মাধ্যমে চেষ্টা করেছি, সেদিনকার মুহূর্তটা পুরোটা তুলে ধরার জন্য। আশাকরি ভিডিওটা আপনারা যদি পুরোপুরি দেখেন, তাহলে যেমনটা ভালো লাগা কাজ করবে তেমনটা আবার কবুতর লালন পালনের কিছু তথ্য পেতে পারেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
সাইফুল কাকুর বাসায় একটি মূল্যবান সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।। আর ইন্টারনেট না থাকার মুহূর্তটুকু যেভাবে উপভোগ করেছেন তা বড় আনন্দের। আমাদের জীবনে এই ব্যতিক্রমী সময়টুকুই আজ বড় দামী। আসলে আমরা বড় স্মার্টফোনের দুনিয়ায় ঢুকে গেছি। তাই এই ধরনের ব্যতিক্রমী ও লুপ্তপ্রায় কার্যকলাপ অনেক প্রশংসার দাবি রাখে।
দাদা, এটা সত্য সেদিন কাকুর বাড়িতে গিয়ে আমি দারুণ সময় কাটিয়েছিলাম।
ভাগ্যিস ইন্টারনেট ছিল না! সঠিক ব্যবহার হল সময়ের৷
এই যান্ত্রিক জীবনে একটু ছুটি পেয়ে যাওয়াও আশির্বাদের৷
পায়রার আওয়াজটা আমার কাছে খুব নস্টালজিক৷ আপনার ভিডিও দেখে মনে পড়ছিল, আমি তখন স্কুলে পড়ি, শীতের দুপুরগুলোতে ছাদে মাদুর পেতে ভাই বোনেদের খুনসুটি চলত আর নানান রকম দুষ্টুমির প্ল্যান, কোথায় মাকড়সা মারা অভিজান হবে৷ কাদের আচার চুরি হবে, তো ছাদে অনেক পায়রা আসত৷ বক বকম করত। আমার কেবল মনে হত ওরা সব শুনছে। এই বোধয় সবাইকে বলে দেবে! হা হা হা
তাহলে তো আমি নিজেকে সার্থক ভাবছি, কেননা আপনার অতীতটাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পেরেছি।
এখনকার লোকজন তো বাণিজ্যিকভাবেই আসলে কবুতর পালন করে। তবে উনি যে সখের বসে কবুতর পালন করছেন, এটা দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। তাছাড়া পাখি পালন কিন্তু সবাই আসলে করতে পারে না, এটা যদি মন থেকে না আসে। আমার আসলে কবুতরগুলোকে দেখে মন ভরে গেল। তাছাড়া তুমি যে ভিডিওগ্রাফি টা শেয়ার করেছো, সেটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো দাদা। তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।