রুচির পরিবর্তন
জ্বর হলে একটা জিনিস খুবই ভালোভাবে বোঝা যায়, সেটা হচ্ছে মুখের রুচির পরিবর্তন। বিশেষ করে এইসময় কিছু খেতে ভালো লাগে না। টানা কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পরে শরীরটা এখন অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে ।
তাছাড়াও মুখে কোন কিছু খাওয়ার স্বাদ একদম পাওয়া যাচ্ছে না, বললেই চলে। তাই মুখের স্বাদ ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছুটা ভিন্ন রকম চেষ্টা করছিলাম। শুনেছিলাম চার রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যাবেলার দিকে শরবত বিক্রি করে ।
যদিও এই শরবত গুলো গুণগত মানের দিক থেকে কতখানি ঠিক আছে, তা আমার জানা নেই। তবে আমি গিয়েছিলাম মূলত বেল আর লেবুর শরবত খাওয়ার জন্য। তবে সেখানে নাকি অনেক গাছপালার শিকড় ও লতাপাতা দিয়েও শরবত বিক্রি করে, যা শুনে কিছুটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছিল।
এটা একদম সত্য কথা, জায়গাভেদে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও রুচির ভেদাভেদ আছে, এটা নতুন কিছু না। তবে মূলত লেবুর শরবতটা বিট লবণ দিয়ে খেতে কিছুটা ভালোই লাগে আর তাছাড়া বেলের শরবত খেতে কমবেশি সকলেই অভ্যস্ত। এই দুই প্রকার শরবতের গুনগত মান সম্পর্কে আমার ধারণা আছে। তবে বাকিগুলোর কথা ঠিক তেমনভাবে জানি না।
সন্ধ্যাবেলার দিকে বাবুকে কোলে করে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে গিয়েছিলাম চার রাস্তার মোড়ে। তখনও শরীরটা বেশ দুর্বল লাগছিল। যাইহোক যেহেতু আমাদের বাসার খুব কাছেই এই জায়গাটা, তাই গিয়েই শরবত বিক্রেতা ভদ্রলোকের সঙ্গে কথোপকথন করার চেষ্টা করলাম। যদিও সেসময় ভদ্রলোক আমাকে তার অন্যান্য শরবতের গুণগতমান সম্পর্কে বুঝানোর চেষ্টা করছিল, তবে আমি সেদিকে খুব একটা কর্ণপাত করিনি।
আমি আসলে মূলত যে কাজের জন্য গিয়েছি সেটা ঠিকঠাক মতো করতে পারলেই হলো। যাইহোক তাকে বললাম আমাকে বেলের শরবত বানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন, একটু ভিন্নভাবে। তবে তাতে অন্যকোন কিছুই মেশানোর দরকার নেই, শুধুমাত্র হালকা চিনি মেশাতে পারেন।
যেভাবে বলেছিলাম অতঃপর সেভাবেই ভদ্রলোক শরবত বানিয়ে প্রস্তুত করে দিল এবং আমিও চেষ্টা করছিলাম খাওয়ার জন্য, যদিও পুরোটা খেতে পারিনি। কারণ মুখের ভিতরে বেলের বিচিগুলো বারবার আটকিয়ে যাচ্ছিল।
অর্ধেক পরিমাণ খাওয়ার পরে, তারপরে আমি বললাম আমি আর খেতে পারছি না। তবে আপনি বেশ ভালোই বানিয়েছেন। মানুষকে কখনোই মুখের উপর তিক্ত সমালোচনা করা যায় না। কারণ সে খুব কষ্ট করে বানিয়েছে, এটাই তো অনেক কিছু। এবার পুনরায় তাকে আমি লেবুর শরবত বানানোর জন্য অনুরোধ করলাম।
এই লেবুর শরবতটা গরমের দিনে কমবেশি আমরা সকলেই খেয়ে থাকি। বিশেষ করে একটা লেবুর অর্ধেকটা কেটে নিয়ে সেটার সম্পূর্ণ রস গুলো চিপে বের করে সেগুলোর ভিতরে বিট লবণ আর ঠান্ডা পানি মিশিয়ে বিক্রি করে। যদিও আমি এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি নেই নি। সাধারণ পানিই নিয়েছিলাম। অবশেষে লেবুর শরবত খেয়ে যেন আলাদা প্রশান্তি পাচ্ছিলাম।
মুখের রুচি ফেরানোর জন্য আমার এই চেষ্টাটুকু ছিল। হয়তো এই সমস্যা কয়েকদিন পরেই কেটে যাবে হয়তো আবারো পুনরায় আগের মত রুচি ফেরত আসবে। তবে জ্বর যে আমাকে বেশ ভালই ভুগিয়েছে, তা সহজে ভুলছি না।
কমবেশি এই সময়ে সকলেরই জ্বর সর্দি হচ্ছে হয়তো সেটা ঋতু পরিবর্তনের কারণে। তারপরেও বলব যে, সকলের সুস্থতা কামনা করছি এবং সবাই যেন নিরাপদে থাকতে পারে এমনটাই প্রত্যাশা করছি। ভালবাসা রইল সকলের জন্য।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
হুম ভাই জ্বর হলে মুখে কোনো কিছুর স্বাদ লাগে না ৷ সবকিছু তেতো তেতো লাগে ৷ আর আপনি একটু একটু রুচি বাড়ানোর জন্য চৌরাস্থার মোড়ে শরবত খেতে গিয়েছেন বাবু কে নিয়ে ৷ কে কোন শরবত খায় সেটা জানি না ৷ তবে গ্রামের মানুষ প্রায় সকাল বেলা বেলের শরবত খেয়ে থাকে ৷
ভাই আমার কাছে ওখানকার লেবুর শরবতটা বেশ ভালো লেগেছিল, এটা একদম সত্যি কথা।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন কম বেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।এই সময়ে অসুস্থ হওয়া মানেই শারীরিক ভাবে খুবই দুর্বল হওয়া, আর খাবারের প্রতি অরুচি আসা।ভাইয়া আপনি বেশকিছুদিন ধরেই অসুস্থ আর আপনাকে দেখলেও মনে হয় ভিতর থেকে খুবই দুর্বল হয়ে গেছেন, তাই আমার মনে হয় আপনার একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।বাজারের খোলা জায়গায় শরবত খাওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যসন্মত নয় তাই বাসায় লেবু,চিনি,লবণ দিয়ে শরবত বানিয়ে বেশি বেশি করে খান তাতে করে শারীরিক দুর্বলতা অনেকটাই কেটে যাবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনারা আমার এতোগুলো বোন থাকা সত্ত্বেও, কষ্টকরে আমাকে খোলা জায়গার শরবত খাওয়া লেগেছে, এই কষ্ট আমি কই রাখি বলেন।
এটা খারাপ বলেন নি ভাইয়া,আমার ভুল হয়েছে আমাকে ক্ষমা করে দেন।😁😁😁😁
ভাইয়া আপনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাই শরীরের দুর্বলতা এখনো ঠিকভাবে কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আসলে রুচির পরিবর্তন হওয়া সত্যি অনেক দরকারী ছিল। জ্বর থেকে উঠলে শরীর যেমন দুর্বল হয়ে পড়ে তেমনি খাবারের রুচি একেবারেই কমে যায়। যাইহোক বেলের শরবত খেয়ে তৃপ্তি না পেলেও লেবুর শরবত খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। শরীরের সব ক্লান্তি এবং দুর্বলতা কেটে যাক এই দোয়া করি। সব সময় ভালো থাকুন এই প্রত্যাশাই করি ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু লেবুর শরবতটা তারা ভালোই বানিয়ে ছিল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া জ্বর হলে আসলেই কিছু খেতে ভালো লাগে না। আর বেশ কয়েকদিন জ্বর থাকলে অনেক দুর্বলতা অনুভব হয়। লেবুর শরবত আমার নিজেরও পছন্দের। কিন্তু বাহিরে থেকে খেতে আমি পছন্দ করি না। যদিও আপনি নিজেই জানতেন না আসলে এটা কি রকম। সাধারণত বেলের শরবত এবং লেবুর শরবত সবাই পছন্দ করে। মুখের স্বাদ ফেরানোর জন্য লেবুর শরবত খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো।
আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য আপু।
আসলে ভাইয়া জ্বর হলে মুখে রুচির পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। এখন সিজন পরিবর্তন তাই হয়তো অনেকেরই জ্বর এসেছে। তবে কয়েক দিন গেলে আবার আগের মতো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে যাইহোক বেলের শরবত খেয়ে স্বাদ না পেলেও লেবুর শরবত ভালো হয়েছে যেনে অনেক ভালো লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জ্বর হওয়ার পর সময়টা কেমন যায় সেটা যার জ্বর হবে সেই ভালোভাবে বুঝবে ভাই। কারণ আমার খুব একটা জ্বরের মধ্যে পড়তে হয়নি। তবে কিছুদিন আগেই একবার জ্বর হয়েছিল, মাত্র ২ দিন জ্বর থাকা সত্ত্বেও আমার রুচি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। তখন আমি ভিন্ন রকম কিছু খাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যে ঝাল এবং টক এই দুইটা জিনিস ছিল। তবে লেবুর শরবত খাওয়া হয়েছে। আর আপনি যেহেতু রাস্তার মোড়ে গিয়ে লেবুর শরবত খেয়ে এসেছেন তা শারীরিক প্রশান্তির পাশাপাশি রুচির সহায়ক হবে আশা করি। যাই হোক আপনার সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করছি ভাই।