ভাবের আদান প্রদান || @shy-fox 10% beneficiary
আচ্ছা একটু গভীরভাবে ভাবুনতো । যদি আমাদের ভাবের আদান-প্রদান করার জন্য যে ভাষায় কথা বলছি মানে আমাদের মাতৃভাষা, এটা যদি না থাকতো তাহলে কেমন হতো । নিশ্চয়ই আমি যেটা এই মুহূর্তে ভাবতে চাচ্ছি , আপনি ঠিক এই প্রশ্নের উত্তরটা সেইভাবেই ভাবছেন । আসলেই ব্যাপারটা অনেকটাই তখন জটিলতা সম্পন্ন হয়ে যেত ।
আসলে দুবেলা ভাত না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু দিনশেষে যদি মন খুলে কথা না বলা যায়, তাহলে অনেকটাই কিন্তু অশান্তিতে ভুগতে হয় মানে মনে প্রশান্তি কাজ করে না ।
মাতৃভাষা বাংলা কে নিয়ে আমি তেমন কোন কথা বলতে চাইনা । একটা কথাই বলতে চাই, আমি সেই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি এবং সেই সময়ে যারা আমাদের মাতৃভাষার জন্য আন্দোলন করেছিল এবং যারা বাংলা ভাষাকে আমাদের মুখের স্থায়ী ভাষা করে দিয়েছে , তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমি সেই ব্যাপার নিয়ে আসলো খুব বিশেষ কিছু নতুন করে বলতে চাই না। কারণ এটা আমার মতো ছোট মানুষের বলা কোন ভাবেই শোভা পাবে না । কারণ এটার ইতিহাস ও তাৎপর্য সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আপনারা অবগত ।
ভাষার জন্য যে মানুষ প্রাণ দিতে পারে , তা হয়ত আমাদের মাতৃভাষার ইতিহাস না ঘাটলে কেউ সহজে বুঝে উঠতে পারবে না ।
আসলে নিজের শিকড় ভুলে গিয়ে , কখনোই বর্তমানকে নিয়ে চিন্তা করা যায় না । আপনি বর্তমানে যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন , যেখানেই চলাফেরা করুন না কেন। হয়তো সময়ের পরিবর্তনে আপনার জীবনযাত্রার মান ও ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু তার মানে এই না যে, আপনি আপনার অতীতকে ভুলে যাবেন । যাইহোক ভাবের আদান-প্রদান যদি করতেই হয় আমি মনে করি, আমাদের সবার আগে উচিত নিজেদের মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সেই ভাষাতেই নিজেদের ভিতর আগে ভাবের আদান-প্রদান ঠিকমত করা দরকার । আগে নিজের ঘর ঠিক রাখতে হবে , তারপর না হয় অন্যের ঘরে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে একটু ভাবনা চিন্তা করা যাবে ।
তবে হ্যাঁ এটা একদম সত্য কথা যে , বর্তমান সময় টেকনোলজির যুগ এবং যার কারণে পুরো পৃথিবীটা আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে এবং আমরা পুরো পৃথিবীর এখন সকল মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারি। তবে অবশ্যই আগে নিজের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করতে হবে । তারপর পাশাপাশি অন্য কিছু শিখতে হবে । আমি অন্য কিছুকে শিখতে বারন করছিনা। তবে আগে নিজের মাতৃভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে , তারপরে অন্যান্য ভাষা শিখলে কোন সমস্যা নেই ।
ভাবের আদান-প্রদান আসলে চাইলে শুধুমাত্র যে ভাষাকেন্দ্রিক যে হতে হবে তা কিন্তু না । চাইলে আকার-ইঙ্গিতেও ভাবের আদান-প্রদান করা যায়। তবে যেমন দেশ তেমন বেশ হওয়াই, আমি মনে করি উত্তম । সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমি-আপনি বাংলা বলে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অন্য ভাষাতেও কথা বলে এত স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারব কিনা, এটা নিয়ে আমি আপাতত সময়ে বলতে পারছি না । হয়তো অন্য ভাষায় আমি আপনার সঙ্গে কথা বলে কিছুটা আমার ভাবের আদান-প্রদান করতে পারি , তবে আমি মাতৃভাষায় কথা বলে যে প্রশান্তি পাই, সেটা হয়তো পাবো কিনা এটা নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ আছে ।
যাইহোক আজকে মাতৃভাষা দিবসের দিন , আমি শুধুমাত্র একটা কথাই মন খুলে বলতে চাই ।নিজের ভাষায় কথা বলতে পারছি, এটা ভেতর আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করে । কিন্তু যখন দেখি শহীদ বেদীতে কিছু মানুষ এখনো জুতো পায়ে ওঠে , কিছু মানুষ এখনো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভুলে যায় এবং তাদের আত্মত্যাগের কথা ভুলে যায় । তখন তাদেরকে নিয়ে আমার বড্ড চিন্তা হয় । হয়তো ওদের সুশিক্ষার এখনো অভাব আছে ।।
যাইহোক সকল ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, সকলকে আবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা । সকলের সময় ভালো কাটুক, এই কামনাই করি ।।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই আপনি একদম ঠিক বলেছেন। টেকনোলজির অবদানে আমরা এখন খুব সহজেই পৃথিবীর নানা জায়গার মানুষের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারছি। এমন কি ভাষা না বুঝলেও কোনো সমস্যা নাই গুগলে কনর্ভাট করে সব কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে। পৃথিবী অনে এগিয়ে গেছে আমাদেরও পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
এই কথার সাথে আমি ১০০% সহমত পোষন করছি। আসলে অন্য ভাষাতে আমরা যতই পারদর্শী হইনা কেন মায়ের মুখের ভাষা ছাড়া কোনো ভাষাতেই সেই আনন্দটা পাওয়া যায় না। যাইহোক, ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার অসাধারণ পোস্টের জন্য। ভালোবাসা অবিরাম ❤️🤟
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন মাতৃভাষা আমাদের প্রাণের ভাষা। এই ভাষাতেই কথা বলে যতটা শান্তি পায়, অন্য ভাষাতে তার বিন্দুমাত্র শান্তি আসে না। আসলে দুবেলা দুমুঠো ভাত না খেয়ে থাকা যায়। কিন্তু মন খুলে কথা না বলে থাকা যায় না। আর এই মন খুলে কথা বলতে হলে মাতৃভাষায় কথা বলার মধ্যে যে কতটা শান্তি, প্রশান্তি কাজ করে। সেটা বলে বুঝানো সম্ভব না। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই কারণ বীর সন্তানের রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষায় আমরা কথা বলতে পারছি। তাদের এই রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা মায়ের মুখের ভাষায় প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি। আসলে মায়ের মুখের ভাষায় কথা বলার অনুপ্রেরণা দিয়েছে। সেই সব বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাই। যাদের কারণে আমরা প্রাণখুলে মাতৃভাষায় কথা বলতে পারছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আমাদের আজকের পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ভাইয়া আপনার লেখা কথাগুলো পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। সত্যি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন দু বেলা না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু দিনশেষে যদি মন খুলে আমরা কথা না বলতে পারি বা মনের ভেতরে লুকানো কথা গুলোর মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান করতে না পারি তাহলে অশান্তির শেষ থাকে না। মাতৃভাষায় কথা বলার মাঝে যে প্রশান্তি কাজ করে তা অন্য কোন ভাষার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেকের হয়তো ভিন্ন ভাষার প্রতি দক্ষতা থাকতে পারে। কিন্তু নিজের ভাষায় কথা না বললে কখনোই পরিতৃপ্তি আসেনা। নিজের অন্তরের শান্তির জন্য মনকে প্রশান্তি দেওয়ার জন্য মাতৃভাষায় কথা বলার মাঝে আলাদা এক শান্তি রয়েছে। মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আপনি অনেক সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন ভাইয়া। আসলে যারা আমাদেরকে আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন সেই ভাষা শহীদদের প্রতি জানাই শ্রদ্ধা। তাদের ত্যাগের বিনিময়েই আমরা আজ মন খুলে মাতৃভাষায় নিজের মনের ভাবের আদান-প্রদান করতে পারছি। আমরা যেখানেই যাই না কেন নিজের মাতৃভাষা বা নিজের শেখর কখনো ভুলব না। অনেক সুন্দর কিছু কথা সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💝💝💝💝
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কয়েকদিন আগে হাফিজ ভাই বলেছিলেন যদি ধরে নেয়া হয় কোন অপশক্তি বর্তমানে আমাদেরকে মাতৃভাষায় কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তাহলে বেশিরভাগ মানুষই হয়তো আন্দোলন বা রক্তদানের চেষ্টা থেকে বিরত থাকবেন। বলবেন এক ভাষায় কথা বললেই হয়, রক্তারক্তির কি দরকার। আসলে আমরা হারানোর পরেই কেবলমাত্র প্রতিটি জিনিসের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পারি, থাকতে আমরা কখনো মর্যাদা দেই না। এই মনোভাবের পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য আমাদের কাছে অর্থহীন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই অনেক যুক্তিযুক্ত মতামত দিয়েছেন।
একদম দিনশেষে নিজের মনের অব্যাক্ত কথা গুলোর বহিঃপ্রকাশ ঘটাই কিযে ভালো লাগে বলে বোঝানোর মত না।আগে যখন মানুষ কথা বলতো না তখনকার ইতিহাস ঘাটলে বুঝা যায় ভাষার মর্ম কতটুকু।আর খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই বরাবরের মত।আপনার লেখা দেখলে এখন আর এড়িয়ে যেতে পারি এত ভালো লাগে আপনার লেখা গুলো শুধু মুগ্ধ হয়ে পড়ি।ভালোবাসা নিবেন ভাই🖤🙏
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । ভালোবাসা রইল।
দিন শেষে মায়ের ভাষায় কথা বলায় এক অন্যরকম অনুভূতি পাওয়া যায়। যদি সারাদিন কাউকে বলা হয় যে নিজের ভাষায় কথা না বলে অন্য ভাষায় কথা বলতে। তাহলে খাঁচায় বন্দি পাখি যেমন ভিতরে ডানা ঝাপটায় কিন্তু উড়তে পারবে না। তেমনি মানুষও সঠিকভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে না পারায় নিজেকে বাকপ্রতিবন্ধী মনে হবে। যারা এই ভাষার জন্য নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিতে এক পা পিছু হটেনি তাদেরকে হাজারো স্যালুট।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে মানুষের সবকিছুই থাকলেও মানুষ মন খুলে কারো সাথে নিজের কথাটা প্রকাশ করতে না পারে তাহলে কিন্তু মনের ভেতর প্রশান্তি মেলে না।। আসলেই আমি আপনার কথার সাথে একমত।আসলে অর্থ-সম্পদ মানুষের প্রশান্তির মূল কারণ নয়।আসলে একটা জিনিস নিজের ভাষায় কথা বলতে পারা টা খুব আনন্দের। আমরা যদি অন্য ভাষায় কথা বলতে চাই কেমন একটা মনের ভিতর অশান্তি কাজ করে। যখনই একটু বাংলা ভাষায় কথা বলি মনের ভিতরটা প্রশান্তি কাজ করে ভাই।সুন্দর লিখেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ঠিক তাই,আমাদের এই ভাষাটা হচ্ছে অমূল্য রত্ন। কারণ এমন ঘটনা দেখাই যায়না!রক্তের বন্যা বয়েছে শুধুমাত্র ভাষার জন্যে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আপু ।
প্রথমেই ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।মূলত আমরা খুবি আবেগী জাতী। কোন কিছুর জন্য ঝাপিয়ে পরি কিন্তু কেন ঝাপিয়ে পরলাম তা জানি না। বিশেষ করে এই মাতৃভাষা দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারী এই দিন টিতে দেখি শহীদ মিনারের চারিদিকে পরিস্কার পরিছন্ন করা হয় । ফুল দিয়ে সাজানো হয়। অথচ বছরের বাকী দিন গুলোতে এই শহীদ মিনার কে আমরা নোংরা করে রাখি এবং কতৃপক্ষের দৃষ্টিও যেন কাপড় বাধা অবস্থায় থাকে। এই দিন টি আসলেই আমরা ঝাপিয়ে পরি । আমাদের ভালবাসা যেন উতলে ওঠে । আমি বুঝি না কেন এমন হয়। যে কারনেই আমি আবেগী শব্দটা ব্যবহার করেছি। সত্যি ঠিক বলেছেন ভাই যখন আমরা সেন্ডেল পায়ে শহীদ মিনারে উঠি তখন আমাদের মনে একবারও প্রশ্ন জাগে না আমরা কি ঠিক করছি না ভুল করছি। আসলে আমাদের সুশিক্ষার অভাব এবং কেন জানি মনে হয় যত দিন যাবে তত আমরা খারাপের দিকে ধাবিত হবো। যাই হোক অনেক কথা লিখে ফেলালাম। মনের কথা গুলো লিখেছেন।ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো ভাষা। আজ আমরা নিজের মনের অগোচরে লুকানো কথা গুলো আমাদের মায়ের ভাষায় প্রকাশ প্রকাশ করতে পারছি এজন্য আমরা ধন্য। আসলে নিজের মায়ের ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করার মাঝে যে শান্তি রয়েছে তা অন্য কোথাও নেই। আমরা যদি আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলতে না পারি তাহলে হয়তো মনের ভাব সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারবো না। বাংলা ভাষা আমাদের মায়ের ভাষা। বাংলা ভাষাকে আমরা ভালোবাসি এবং অন্তর দিয়ে ভালোবাসি। এই ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তারা এই দেশের বীর সন্তান। সেই শহীদদের প্রতি আমরা সব সময় শ্রদ্ধা জানাই। মনের ভাব প্রকাশ করতে গেলে আমরা যদি মায়ের ভাষায় কথা বলি তাহলে মনের মাঝে এক আলাদা প্রশান্তি কাজ করে। যারা বিভিন্ন কারণে বা বিভিন্ন দেশে গিয়ে নিজের মাতৃভাষাকে ভুলে অন্য ভাষা কে বেছে নিয়েছে শুধুমাত্র তারাই উপলব্ধি করতে পারে নিজের ভাষায় কথা না বলতে পারার কষ্ট। প্রাণ খুলে মায়ের ভাষায় কথা বলার মাঝে অনেক শান্তি রয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অভিব্যক্তি আপনার লেখনীর মাঝে প্রকাশ করেছেন ভাইয়া। দারুন কিছু কথা সকলের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
কৃতজ্ঞা বোধ প্রকাশ করছি আপু ।