আমার বাংলা ব্লগ || রচনা প্রতিযোগিতা || আমার গ্রাম|| মানে আমার শ্বশুরবাড়ির গ্রাম
ধন্যবাদ প্রথমে আমার বাংলা ব্লগ কে, যে এত সুন্দর করে একটা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে । যাইহোক আমি মনে করি এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়টি অনেকটাই সহজ, আর আশা করা যায় এবার অনেকেই যোগদান করবে আমাদের কমিউনিটির এই রচনা প্রতিযোগিতায় । যেহেতু দিনশেষে আমিও একজন লেখক, তাই আজকে আমি চেষ্টা করব আমার নিজস্ব কন্ট্রিবিউশন প্রতিযোগিতায় দেওয়ার জন্য।আশা করি যারা বিচারক থাকবে, তারা আমার বিষয়টি সুদৃষ্টিতে দেখবে ।
যেহেতু অনেকটাই সহজ একটা টপিক, তবে এখানে সহজ বিষয় মানুষ অনেক ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক । যাইহোক আমি চেষ্টা করছি আমার মতো করে বলার জন্য। ছোটবেলা থেকেই বড় হয়েছি মফস্বলের এক শহরে। আর সবথেকে বড় বিষয় গ্রাম সম্পর্কে আমার খুব একটা বেশি ধারণা নেই বললেই চলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিজের পেশাদারিত্বের কারণে ও আমার প্রিয়তমা স্ত্রী গর্ভবতী হওয়ার কারণে, আমরা আপাতত গ্রামে আছি। কারণ আমার নতুন যে কর্মস্থল সেটা একদম আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকায়। সত্যি বলতে কি, আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকা একদম ঘোড় গ্রামে অবস্থিত এবং যে জায়গাটায় অবস্থিত সেখানে মোটামুটি শহুরে সুযোগ-সুবিধা এখনো পৌঁছায়নি ঠিকমতো। যেহেতু বিকালবেলা করে আমি এই গ্রামের বাজারের আমার নতুন কর্মস্থলে প্র্যাকটিস করি এবং গ্রামীণ মানুষদের সেবা দেই ।তাই বাধ্য হয়ে আমাকে আপাতত গ্রামেই থাকতে হচ্ছে। আর আমি আজকে চেষ্টা করব এই গ্রাম সম্পর্কে কিছু আমার অভিজ্ঞতা লেখার জন্য।
গ্রামীণ মানুষগুলোর জীবন অনেক সহজ সরল এবং তাদের ভিতর খুব একটা বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই ।তবে তাদের ভিতরেও দিনশেষে কিছু হীনমন্যতা আছে, কারণ তারা এখন অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকার এই গ্রামে আগের থেকে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা অনেকটা উন্নত হয়েছে এবং মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু তাদের নৈতিক অবস্থার এখনো পরিবর্তন খুব একটা বেশি হয়নি। তারা শুধু নিজেদের ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো গুলোই সুসজ্জিত করেছে । কিন্তু দিন শেষে যে গ্রামের এই রাস্তা গুলো ঠিক করতে হবে, এই চিন্তা ধারা গুলো তাদের এখনো মাথায় আসেনি । তারা এখনো রোজ রোজ বাজারে আসে এই কাঁদা রাস্তা পাড়ি দিয়ে । তারা কখনোই তাদের সমস্যাগুলো তাদের জনপ্রতিনিধিদের বলে না। এটা আমাকে মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট দেয়। আসলে এটা তাদের কাছে কোন সমস্যায় না । কারণ এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই দিনশেষে মাটির সঙ্গে তাদের আলাদা একটা বন্ধন জড়িয়ে গিয়েছে। তাই বৃষ্টি হলে এই কাঁদা রাস্তাও,মনে হয় তাদের কাছে কিছুটা অমৃত মনে হয় ।
তবে এতকিছুর ভিড়েও , এই গ্রামের কিছু মানুষের ভালো দিক আছে। যেমন গ্রামের কিছু উদীয়মান তরুণ আছে, যারা গ্রামের কালচার নিয়ে এখন ভাবে। যারা চেষ্টা করছে, গ্রামে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটিয়ে মানুষের ভিতরে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং মানুষকে তাদের আগের কালচার থেকে বেরিয়ে নিয়ে আসার জন্য ।এরই ধারাবাহিকতায় অবশ্য শিক্ষার দিকটা এখন মানুষ বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে এবং বাল্যবিবাহ আগের থেকে অনেকটা কমে গিয়েছে । তবে যত যাই বলুন না কেন, দিন শেষে এখানে শত সমস্যার মাঝেও এখানে আমার আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করে। কারণ এখানকার নির্মল হিমেল হাওয়া এবং মানুষের আচার-আচরণ আমাকে অনেকটাই মুগ্ধ করে। তবে কিছু কিছু সময়, আমি তাদের সাময়িক যে আচার-আচরণ সেগুলোকে সহ্য করে নেই । কারণ এদের এই আচরণ গুলো আরো কিছুদিন সময় লাগবে পরিবর্তন হতে । যাইহোক মাঝে মাঝে অনেক ভালো বোধ করি কারণ আপাতত আমি এই গ্রামে অতিথি হয়ে আছি এবং ভালো সম্মান পাচ্ছি এবং আমি চেষ্টা করছি এই গ্রামীণ মানুষ গুলোকে ভাল করে আমার গ্রামের কর্মস্থলে সেবা দেওয়ার জন্য। যাইহোক আমি আছি ভালোই ।আর আমার অভিজ্ঞতা আমার শ্বশুর বাড়ি গ্রাম সম্পর্কে এতোটুকুই।
সুন্দর লিখেছেন ভাই এবং ফটোগ্রাফিগুলো বেশ ছিলো কিন্তু এতো সুন্দর সড়ক দেখেই ভয় পেয়েছি বৃষ্টির দিনে বেশ আনন্দ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে নিশ্চয়।
হা হা হা হা হা ভীষণ কষ্টকর হয়ে যায় ভাই ।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া আর রাস্তার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার ফটো দেখে আমার ছোটবেলার কাহিনী গুলো মনে পড়ে গেল। কত এ রাস্তায় কাদায় খেলা করতাম। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে। তা দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল আমার।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রচনা লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে এবং সেই সাথে ছবিগুলোও বেশ ভালো তোলা হয়েছে। গ্রামের এইরকম কাঁচা রাস্তার দৃশ্য অনেকদিন বাদে দেখছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ভাই 🙏😊❤
সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
যেমন লেখা তেমন ছবি , জাস্ট অসাম :)
আমি কৃতজ্ঞ। 🙏😊❤
লেখনী ও ছবি তোলার দক্ষতার মধ্য দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে আপনার গ্রামটিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগলো
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মন প্রাণ জুড়িয়ে গেলো আপনারা শ্বশুরবাড়ির গ্রামখানি দেখে। খুবই সুন্দর