রবিবারের আড্ডা-২৩ || ABB Stage Show: Episode-23
ব্যানার ক্রেডিট @hafizullah
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের নতুন আয়োজন রবিবারের আড্ডা-২৩ তম পর্বে। আমরা শুরু হতেই বার বার বলে আসছি আমার বাংলা ব্লগ ব্যতিক্রম কমিউনিটি এবং আমাদের চিন্তাধারাও ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন নিয়ে আমার বাংলা ব্লগকে সাজানোর চেষ্টা করি। নতুন এই আয়োজনটি নিয়ে আমরা এখনো চিন্তা করছি, কাংখিত ক্ষেত্রে আরো কি কি পরিবর্তন আনা যায়, আশা করছি সময়ের সাথে সাথে কাংখিত পরিবর্তনগুলো ঠিক দেখতে পাবেন।
আমাদের এই আয়োজনটি চারটি সেগমেন্টে ভাগ করা হয়েছে, প্রথম সেগমেন্টে আমরা আমাদের অতিথির সাথে পরিচিত হবো এবং তার নিকট হতে আমাদের পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করবো। এ সম্পর্কে আপনাদের কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার আগ্রহ থাকলে সেটা আমরা দ্বিতীয় সেগমেন্টে জানার চেষ্টা করবো। অর্থাৎ আমাদের দ্বিতীয় সেগমেন্টেটি আপনারা যারা দর্শক সারিতে রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে। আপনারা নিজেদের কৌতুহল কিংবা আগ্রহ থেকে প্রশ্ন করতে পারবেন এবং সেখান হতে অতিথি নিজে তিনজন সেরা প্রশ্নকারী নির্বাচন করবেন। যাদের জন্য থাকছে বিশেষ পুরস্কার।
এরপর আমার নিজের পছন্দের একটা গান শুনবো, তারপর শুরু হবে তৃতীয় সেগমেন্ট ঝটপট রাউন্ড, এখানে কমপক্ষে পাঁচটি প্রশ্ন করা হবে, অতিথি এক কথায় ঝটপট উত্তরগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। সবশেষে আমরা যাবো চতুর্থ সেগমেন্টে অর্থাৎ শেষ পর্বে, যেখানে আমরা অতিথির নিকট হতে আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ বা দিক নির্দেশনা শুনতে চাইবো। এই হলো আমাদের রবিবারের আড্ডার টোটাল প্যাকেজ।
স্ক্রিনশট ক্রেডিট @alsarzilsiam
আসুন আমরা আমাদের অতিথির নিকট যাই এবং তার সাথে পরিচিত হই, তার সম্পর্কে কিছুটা জানি। স্বাগতম @pujaghosh আপু , আমার বাংলা ব্লগের সম্মানিত ভেরিফাইড সদস্য । সংক্ষেপে যদি নিজের সম্পর্কে কিছু বলতেন? তারপর পূজা আপু তার সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু পরিচিতিমূলক কথা বলেন এবং এরপর আমরা শুরু করি প্রথম পর্বের পাঁচটি প্রশ্ন যা নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রশ্নঃ আপনার স্টিমিটে আসার পিছনের ঘটনাটা যদি বলতেন ?
উত্তরঃ অনেকেই জানেন আমি টিনটিন কে পড়াতে যাই। সেইরকমই নভেম্বর মাসে যখন দাদা-বৌদিরা সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিল, ঠিক তার আগেরদিন সন্ধ্যাবেলায় তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন তনুজা বৌদি এই প্লাটফর্ম সম্পর্কে কিছু কথা আমাকে বলেছিল। আর বলেছিল পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি এই কাজটা করতে পারো। যেহেতু ঘরে বসে করতে পারবে, তাই এটা তোমার জন্য ভালো হবে। তখন আমিও দেখলাম সত্যিই তো তাই, অবসর সময়ে তো ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এসব না দেখে, এই কাজ করলে তো অনেক কিছু শিখতে পারবো, জানতে পারবো। আর সত্যি বলতে গেলে কি, এখানে আসার পর থেকে অনেক কিছুই প্রতিনিয়ত শিখতে পারছি। যাইহোক অবশেষে বৌদিকে বললাম, এখানে আমি কাজ করতে চাই। তখন আমাদের সকলের প্রিয় দাদা আমাকে স্টিমিটে একটা আইডি খুলে দেয় এবং অনেক কিছু তার একাউন্ট থেকেই আমাকে শিখিয়েছিল এবং ডিসকর্ড সার্ভারে একটা আইডি খুলে দিয়েছিল এবং আমাদের প্রিয় আইরিন আপুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিল। অতঃপর আমার এভাবেই এখানে আসা।
প্রশ্নঃ এই যে নতুন একটা ভার্চুয়াল পরিবার পেয়েছেন আমার বাংলা ব্লগ, এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে কেমন অনুভূতি আপনার, সেই বিষয়ে যদি কিছু মতামত শেয়ার করতেন ?
উত্তরঃ আমি তো আমার বাংলা ব্লগের মতো ভার্চুয়াল একটা পরিবার পেয়ে সত্যিই অনেক খুশি। প্রথমে যখন ঢুকেছিলাম, প্রথমে কোন যখন নতুন জায়গায় যাওয়া যায় তখন সকলের একটা ভয় কাজ করে বিষয়টা না জানা থাকলে। সেইরকমই আমার একটু ভিতরে ভয় কাজ করতো কাজ গুলে ঠিকঠাক করতে পারবো কিনা, সবকিছু সকলের মতো করে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে পারবো কিনা, এইসব বিষয় নিয়ে সবসময় একটা ভয় কাজ করতো। যেহেতু আমাদের দাদা আমাকে যুক্ত করেছিলেন তাই তার সম্মানটা ধরে রাখার ব্যাপারটা মাথার কাজ করতো। তাই ভাবতাম এমন কোন কাজ করবো না, যাতে তার সম্মানহানি হয়। এরপর সেইদিক থেকেই লেভেলের ক্লাস গুলো যখন করতে থাকলাম এবং এডমিন মডারেটরদের কাছ থেকে সহযোগিতা পেয়ে, যেখানে যে জিনিস বুঝতে পারতাম না তাদের সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ করতাম এবং তারা আমাকে সর্বদাই সহযোগিতা করেছিল। এইভাবেই কাজ গুলো শিখতে পেরেছি এবং নিয়মকানুন গুলো জেনেছি। এবং এখন কাজ গুলো নিজের থেকেই করতে পারছি। তাছাড়া আমার বাংলা ব্লগের যারা ভেরিফাইড মেম্বার আছে বা যারা লেভেলের আছে তাদের পেয়ে নতুন নতুন আমি কিছু ভাই বোন, দিদি দাদা বা বন্ধু পেয়েছি। আমি সত্যিই অনেক খুশি এনাদের পেয়ে।
প্রশ্নঃ পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ব্লগিং করার অনুভূতিটা যদি নিজের ভাষায় কিছুটা প্রকাশ করতেন?
উত্তরঃ সত্যি বলতে গেলে কি, প্রথমে যখন ঢুকেছিলাম সেই সময় তো লেভেলের ক্লাস গুলো করতে হতো, তাছাড়া তো নিজের কলেজের পড়াশোনাও সারাবছর করতে হতো তাছাড়াও লেভেলের ক্লাসের পড়া গুলো তো করতে হতো, এইজন্য প্রথমের দিকে কিছুটা কষ্ট হয়ে যেত কিন্তু ধীরে ধীরে যখন সবকিছু শিখে ফেললাম তখন কিছুটা কষ্ট যেন কমতে থাকলো এবং নতুন কিছু শিখতে পারছি এবং জানতে পারছি ব্যাপার গুলো ভেবে ভালোই লাগতো। বিশেষ সবার কার্যকলাপ দেখে শিখতে যেমন পারছিলাম তেমন অভিজ্ঞতাও হচ্ছিল। যেমন ধরুন এই যে আমি ছবি আঁকছি যে, সেটা যদি আমি ঘরে বসে থাকতাম তাহলে আলাদা সময় আমি ফেসবুক দেখতাম বা ভিডিও দেখে সময় কাটাতাম। তবে এই যে ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, গল্প লেখা বা রেসিপি বানানোর যে চর্চা হচ্ছে যে, তা হয়তো আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত না হলে সেভাবে হতো না। এখানে আমার ভালোলাগার একটা জায়গা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখানে একদিন যুক্ত না হলে বা পোস্ট না করলে মনেহয়, কিছু একটা করা হয়ে ওঠে নি বা ভালো লাগে না।
প্রশ্নঃ আপনার জীবন থেকে প্রাপ্ত যদি কোন শিক্ষামূলক ঘটনা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতেন।
উত্তরঃ আসলে জীবনে চলার পথে প্রতিনিয়ত আমরা শিক্ষা অর্জন করে থাকি। সেটা হোক ভালো শিক্ষা বা খারাপ শিক্ষা। এখন শিক্ষনীয় ঘটনা বলতে আমার যেটা মনে পড়ছে, আমি যখন ক্লাস টুয়েলভে পড়তাম তখন ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার তিন মাস আগে একটা টেস্ট পরীক্ষা হয়। আমাদের বনগাঁর মধ্যে সবথেকে ভাল স্কুল কুমুদিনি স্কুল। ঐ স্কুলের মেয়েরা পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে এটাই আশা করা যায়। সেবার অন্যান্য স্কুল মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করেছিল তবে আমাদের স্কুলের রেজাল্ট বেশি ভালো ছিল না। মানে খুবই বাজে রেজাল্ট হয়েছিল যেটা চতুর্দিকে রটে গিয়েছিল। মানে ১০ থেকে ১৫ জন পাশ করেছিল আর বাকি ৪০ থেকে ৫০ জন ফেল করেছিল। এবার বাবা-মায়েদের তো সন্তানদের প্রতি আশা থাকেই, তার সন্তানেরা ভালো রেজাল্ট করবে। এবার আমি যখন বাড়িতে যাচ্ছিলাম, তখন বাবা-মা আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছিল, তখন আমি কিছু বলতে পারিনি। শুধু চোখ থেকে জল পড়ছিল, তখনই ওরা বুঝতে পেরেছিল যে আমার ভালো কিছু হয়নি। তখন ওরা আমাকে স্বান্তনা দিয়েছিল এবং বলেছিল আরো তিন মাস সময় আছে তাই সামনে ভালো হবে। এবার আশেপাশে অনেকেই আমাকে ভালবাসতো তারা আমাকে বেশ ভালো স্বান্তনা দিয়েছিল তবে অনেকেই আবার ভিন্ন রকম সমালোচনা করেছিল। তবে সেই সমালোচনা গুলো শুনে অনেকটাই কষ্ট পেয়েছিলাম এবং পরবর্তীতে ভীষণ জেদ চেপে গিয়েছিল এবং আমি মনেকরি পরবর্তীতে আমার যে ভালো রেজাল্ট হয়েছিল তাতে সেই সমালোচনাগুলো অনেকটাই কাজে দিয়েছিল।
প্রশ্নঃ পছন্দের একটি গানের নাম বলুন, যেটা সব সময় শুনতে ইচ্ছে করে।
উত্তরঃ গান শুনতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। সত্যি কথা বলতে, আমার পছন্দের সাবজেক্ট হচ্ছে অংক। অংক করতে করতে গান শুনতে বেশ ভালো লাগে। যেহেতু অংক করার সময় মুখে কথা বলতে হয় না, তাই গান শুনে অংক করি। এক্ষেত্রে অংক আমার বেশ পছন্দের সাবজেক্ট। অবসর সময় পেলে এখানে আমি ডিজে পার্টিতে ঢুকে একা একাই গান শুনি। এজন্য আমার নাম দেওয়া হয়েছে ডিজে পূজা ঘোষ। সিয়াম ভাই যখন আমাকে পছন্দের গানের কথা বলেছিল, তখন আসলে কোনটা রেখে কোনটা দেবো, সেটা ভেবেই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে সিয়াম ভাইকে একটা গান পাঠিয়েছি, আমার ভবিষ্যৎ বয়ফ্রেন্ডকে কল্পনা করে।
জানিস এই মনটা আর আমার নেই
শুধু তোর কথা বলে
কোনও অচেনা দেশের অচেনা পথ
তোর সাথে গেছে চলে
সেইভাবে আমিও যাই হারিয়ে
বারেবারে ফিরে তাকালে
আর পাচ্ছি ভয় তোকে হারানোর
তুই চোখের আড়াল হলে
ক্ষণিকের আলাপের মন ভরে না
তোর দিকে তাকালে চোখ সরে না
ক্ষণিকের আলাপের মন ভরে না
তোর দিকে তাকালে চোখ সরে না
এরপর শুরু করা হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব, অর্থাৎ দর্শকসাড়িতে যারা রয়েছেন তাদের নিয়ে এই সেগমেন্ট। অতিথিকে সরাসরি প্রশ্ন করার এবং উত্তর শোনার দারুণ একটা সুযোগ। আমরা ইউজারদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এবং তার উত্তরগুলো অতিথির নিকট হতে শুনি। মোট ২০ টি প্রশ্ন করা হয়েছিলো আজ এবং সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দেন @pujaghosh আপু । তারপর বিজয়ী নির্বাচনের জন্য কিছুটা সময় দেয়া হয় অতিথিকে এবং সেই ফাঁকে আমার পছন্দের একটা গান সবাই মিলে উপভোগ করি।
এরপর আমরা পূজা আপুর কাছে জানতে চাই আজকের প্রশ্নো-উত্তর পর্বে সেই ভাগ্যবান বিজয়ী কারা? তার বিবেচনায় বিজয়ীরা হলেন-
@moh.arif @alsarzilsiam @ronggin
অভিনন্দন আপনাদের যারা প্রশ্ন করে বিজয়ী হয়েছেন, যথা নিয়মে আপনাদের ওয়ালেটে পুরস্কার পাঠিয়ে দেয়া হবে।
অতিথি এবং প্রশ্ন পর্বে বিজয়ীদের যথা নিয়মে রিওয়ার্ডস প্রেরণ করা হয়েছে-
রবিবারের আড্ডার প্রাইজ পুলের পৃষ্ঠপোষক @rme দাদা, ফাউন্ডার-আমার বাংলা ব্লগ।
সবশেষে আমরা আমাদের অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে চলে যাই অর্থাৎ চতুর্থ সেগমেন্টে। ঝটপট রাউন্ডে এখানে আমরা অতিথির সঙ্গে বেশ ভালোই মজা করি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের মাধ্যমে। তারপর আমরা @pujaghosh আপুর কাছে জানতে চাই আমার বাংলা ব্লগের ব্যাপারে কিংবা এই শো'র উদ্দেশ্যে উনার পরামর্শ বা সাজেশন। পূজা আপু বলেন, এই কমিউনিটির সবকিছুই হচ্ছে সাজানো গোছানো । তিনি বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা বোধ প্রকাশ করেছেন, প্রতিষ্ঠাতা, সহকারী প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটর প্যানেল এর প্রতি। এমন একটা পরিবার তৈরি করার জন্য।
সবশেষে আজকের এই বিশেষ আয়োজন রবিবারের আড্ডায় যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ, তবে যাওয়ার আগে আরো একটা বিষয়ে সবাইকে অনুরোধ করবো, এই শো’টি সম্পর্কে আপনাদের কোন আইডিয়া কিংবা পরামর্শ থাকলে অবশ্যই আমাকে অথবা মডারেটরদের ডিএম করবেন, আমরা চেষ্টা করবো শো'টিকে আরো সুন্দর এবং প্রাণবন্ত করে তোলার, আপনাদের কাংখিত পরামর্শগুলো নিয়ে। তারপর সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শো সমাপ্ত ঘোষণা করি। পরবর্তী পর্বে আমাদের অতিথির নাম ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
গতকালের রবিবারের আড্ডাটা সত্যিই অনেক মজা হয়েছিল শুভ দা। বিশেষ করে আমাদের পূজা ম্যাডামের দেওয়া প্রত্যেকটা উত্তর এত সুন্দর এবং সাজানো গোছানো ছিল যে বলে বোঝানো যাবে না। বিশেষ করে পূজা ম্যাডামের মুখে আবৃত্তি করা সুন্দর কবিতাটা, যেটা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।
আমার কাছেও তার কবিতা আবৃত্তিটা শুনতে বেশ ভালো লেগেছিল ভাই।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1665659053664608256?t=jtrPZvUOy2EAtoVYPRemXg&s=19
গতকাল রবিবারে আড্ডার প্রধান অতিথি ছিল পুজা দিদি ৷ যার জীবন কাহিনী সেই সাথে অনেক কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা শুনেছি ৷ আসলে গতকাল আড্ডা টা দারুন ছিল ৷
এটা সত্য আপু বেশ গোছানো উত্তর দিয়ে ছিল।
রবিবারের আড্ডাটা আমার বাংলা ব্লগের সুন্দর একটি আয়োজন। এ আড্ডার মাধ্যমে অতিথি সম্পর্কে বেশ কিছু জানা সম্ভব হয়। এতে করে তার সাথে একটা সুন্দর বন্ডিং তৈরি হয়। আর আপনার উপস্থাপনাও বেশ প্রানবন্ত ছিল । অনেক ধন্যবাদ আমার বাংলা বাংলা ব্লগকে সুন্দর একটা আড্ডার আয়োজন করার জন্য।
এটা সত্য যে এই শো-র মাধ্যমে আমরা অতিথির কাছ থেকে সরাসরি অনেক কিছুই জানতে পারি এবং আমাদের সময়টাও বেশ ভালই কাটে।
প্রত্যেক সপ্তাহের ন্যায় এই সপ্তাহে রবিবারের আড্ডা এর পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। পরিবারের অত্যন্ত একটি দুর্ঘটনার কারণে জয়েন হতে পেরেছিলাম না। আপনি শেয়ার করা পোস্ট দেখে তাও অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। সকল প্রশ্নকারীকে জানাই আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ অভিনন্দন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
যাইহোক আপনি চেষ্টা করবেন আগামী সপ্তাহে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ।
রবিবারের আড্ডায় পূজা দিদি কে পেয়ে আমরা সবাই বেশ আনন্দিত। এবারের আড্ডা দিদি বেশ সুন্দর এবং বিচক্ষনতার সাথে সবগুলো ধাপ পার করেছেন। আবার দর্শক সাড়িতে বসে থাকা সবার প্রশ্নের উত্তর গুলোও বিচক্ষনতার সাথে উত্তর দিয়েছে।
এটা এক প্রকার প্রশংসা করতেই হয় পূজা দিদি বেশ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে।
লোডশেডিং এর কারণে এবারের রবিবারের আড্ডা তে আমি অংশগ্রহণ করতে পারিনি। আর এই আড্ডাতে অংশগ্রহণ না করতে পেরে আমার প্রচুর পরিমাণে খারাপ লাগছিল।
খারাপ লাগার কিছুই নেই ভাই, অবশ্যই পরেরবার চেষ্টা করবেন আমাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য।
সত্যি বলতে ভাই ,প্রথমে ভয়ে থাকলেও কালকে রবিবারের আড্ডাটা এত জমজমাট হয়ে উঠবে আর এতটা আনন্দ উপভোগ করব, সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। সত্যি আপনাদের সকলের প্রশ্ন উত্তর দিতে পেরে আর এত মজার মজার প্রশ্ন উপভোগ করতে পেরে, আমি দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছি কাল ।সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এত সুন্দর একটা আয়োজনে আমাকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য।
আমরাও বেশ খুশি হয়েছিলাম আপনাকে অতিথি হিসেবে পেয়ে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
প্রতি সপ্তাহে আমরা একজন একজন করে নতুন অতিথির সাথে পরিচিত হতে পারছি নতুন করে। আর সেটি এই শো এর মাধ্যমে। অনেক ভালোলাগে রবিবারের আড্ডা এই শো।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
রবিবারের আড্ডাটি দিন দিন দারুন ভাবে জমজমাট হয়ে উঠছে। রবিবারে আড্ডা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির জন্য নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে। আমি আশা করি রবিবারের আড্ডার মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আরো উচ্চতর শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হবে।