তেলেভাজা রান্নার রেসিপি || আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

আমি প্রথমেই বলে রাখছি যে আমি খুব একটা বেশি রন্ধন শিল্পের সঙ্গে জড়িত না এবং আমার ভিতর রন্ধন শিল্প সম্পর্কে ক্রিয়েটিভিটি নেই বললেই চলে। কারন দিনশেষে আমি রন্ধনশিল্পকে শ্রদ্ধা করি ।আমি মনে করি এটা অনেক কঠিন একটা কাজ । যেটা আমার গতকাল অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেটা আমি, চেষ্টা করব আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য ।


আমি প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি কমিউনিটির এডমিন ও অন্যান্য সকল সদস্যদের কে এবং যারা কমিউনিটি থেকে এই ধরনের একটা কনটেস্টের আয়োজন করেছে তাদের প্রতি আমার ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা থাকবে । গতরাতে যখন আমি কমিউনিটির কনটেস্টের পোস্টটা পড়েছি তখন আমি ভাবলাম দেখি চেষ্টা করে কিছু একটা করা যায় কি না । আমার গ্রামের চেম্বারের খুব কাছেই একটা দোকান আছে। সেখানে প্রতিদিন পিঁয়াজি ,বেগুনি ও অন্যান্য তেলেভাজা জিনিস বিক্রি করে প্রতিনিয়ত। এবং গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলো সেগুলো প্রতিনিয়ত কিনে খায় । যাইহোক এটা আমি কিছুদিন থেকেই দেখে আসছিলাম কিন্তু সেটা দেখে যে আমার গল্প লেখা হবে এটা আমার জানা ছিল না ।
আমি প্রথমেই বলে রাখছি এটা কিন্তু আমার ব্যক্তিগত চিন্তা ধারা থেকে লেখা সুতরাং কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। আমি যতদূর জানতে পেরেছি আমার চেম্বারের কাছের এই খাবারের দোকানদার প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ কেজি পিঁয়াজি বানায় এবং তার ক্রেতার চাহিদা অনেক ভালো থাকায় সে প্রতিনিয়ত এই কাজটা করে থাকে । গতকাল সেই দোকানদার ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার খানিকটা কথা হয়েছে এবং সেখান থেকে আমি তথ্যগুলো পেয়েছি । সে আমাকে যেভাবে জানিয়েছে আমি এখন সেইভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব ।
পিঁয়াজি বানাতে খুব একটা বেশি উপকরণ লাগে না । প্রথমে পরিমানমতো ডাল নিতে হয় এবং সেখানে যতটুকু পরিমাণ পিয়াজি বানানো হবে সেই পরিমাণে পিঁয়াজ কেটে নিতে হয়। সত্যি বলতে কি এই প্রসেটা অনেকটা কষ্টকর কারণ আমি যেটা স্বচক্ষে দেখেছি সেটা দেখার পরে আমার এই চিন্তা হয়েছে । এবার সেই ডাল এবং তার ভিতরের কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি এবং অন্যান্য মসলা যেমন লবণ কাঁচামরিচ হলুদ ও অন্যান্য মসলাগুলো পরিমাণমতো দিয়ে সেগুলো একত্রে মিশিয়ে একটা পাত্রে রেখে, সেখান থেকে বলের মতো করে ছোট ছোট গোল গোল করে বানিয়ে অবশেষে গরম তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হয় এবং মন মত করে ভেজে নিতে হয় । যদিওবা দোকানদার ভদ্রলোকের কাছে কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে। কারণ সে এটার সঙ্গে অভ্যস্ত কিন্তু আমি যখন কাজটা দেখেছি স্বচক্ষে তখন এটা আমার কাছে অনেকটা কষ্টকর মনে হয়েছে । কারণ এখানে প্রচুর ধৈর্য্য এবং চেষ্টা
লাগে । সবমিলিয়ে আমার কাছে এটা অনেকটা কঠিন মনে হয়েছে । যাইহোক আমি চেষ্টা করেছি আমার মত করে আপনাদের সামনে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আর এটাই ছিল প্রতিযোগিতার জন্য আমার ছোট কন্ট্রিবিউশন । ধন্যবাদ সবাইকে।
IMG_20210505_112902.jpg

IMG_20210505_112942.jpg

Sort:  
 3 years ago 

আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

 3 years ago 

খুব ভালো হয়েছে রেসিপিটি। আমার কাছে খুব টেস্ট লাগে ।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.033
BTC 62559.43
ETH 3092.10
USDT 1.00
SBD 3.86