পড়ন্ত বেলায়

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago (edited)

মানুষের মন-মানসিকতা যে মুহূর্তেই পরিবর্তন হয়, তার চাক্ষুষ প্রমাণ যেন আমি নিজেই পেলাম। এইতো বাসায় থাকা অবস্থায় একঘেয়েমি জীবনযাপন করছিলাম, অনেকটা বন্দিদশার ভিতরে সময় কাটছিল, তবে হুট করেই যখন শহর থেকে বেরিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি, তখন যেন নিজের ভিতরে বেশ ভালোই ফুরফুরে লাগছিল।

দেখে একদম বোঝার উপায় নেই, পুরো পরিবার অসুস্থতায় ভুগছিলাম। সবাই যেন একদম সতেজভাবে অনেকটা আপন মনে বাড়িতে ফিরছিলাম। শহরের মতো এদিকটাতে ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া নেই। সকাল থেকে বেশ ভালই আবহাওয়া ছিল, হালকা বাতাস বইছিল ক্রমাগত।

20230914_172745-01.jpeg

20230914_112523-01.jpeg

20230914_112552-01.jpeg

20230914_112555-01.jpeg

20230914_112609-01.jpeg

20230914_172815-01.jpeg

20230914_172111-01.jpeg

20230914_172100-01.jpeg

যেহেতু গতরাতেও অনেকটা অস্থিরতা পূর্ণ সময় কেটেছিল, তাই গ্রামে এসেই বলা যায় পুরো দিনটাই ঘুমিয়ে কাটিয়েছিলাম। বিকেলের দিকে ঘুম ভাঙতেই অনেকটা প্রশান্তিবোধ কাজ করছিল নিজের মাঝে। তাছাড়া আমার গিন্নি ও বাবু এখন বেশ ভালো আছে, ওরাও বেশ ভালই সময় কাটাচ্ছে গ্রামে এসে। মূলত এদিকটায় প্রচুর খোলামেলা পরিবেশ আর সব নিজেদের আত্মীয়-স্বজন, তাই বাবুর দেখাশোনার লোকের অভাব নেই বললেই চলে।

বিকেলের দিকে একা একাই হেঁটে গ্রামের স্কুলের মাঠে গিয়েছিলাম, দেখছিলাম মাঝবয়সী ছেলেরা নিজেদের মতো করে ফুটবল খেলছিল। এই তরুণ ছেলেগুলোর জীবন দেখলে বড্ড হিংসে হয়, সারাদিন বাড়িতে টুকটাক সংসারের কাজ করে আর বিকেল বেলা স্কুলের মাঠে এসে সবাই মিলে দলবেঁধে ফুটবল খেলে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্ধ্যা নেমেছে, ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত।

ওদের মতো করে যদি বেঁচে থাকা যেত, তাহলে হয়তো নেহাত মন্দ হতো না। দীর্ঘ অনেকটা সময় স্কুলের মাঠে বসে থেকে ওদের ফুটবল খেলা দেখছিলাম। বড্ড পরিশ্রমী ছেলেগুলো, এত বড় মাঠে ভীষণ ছোটাছুটি করছিল তারা। আর আমার মত কিছু দর্শক সেই খেলা উপভোগ করছিল মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে।

সন্ধ্যে হওয়ার একটু আগেই আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মিনিট দশেকের পথ, সবুজ ফসলের ক্ষেতের পাশ দিয়ে নবনির্মিত পাকা রাস্তা ধরে খুব দ্রুতই বাড়িতে ফিরে এলাম। এখানে মানুষের ভিতরে এত ব্যস্ততা নেই, তাড়াহুড়ো নেই, নেই কোন যান্ত্রিকতার ছোঁয়া, সন্ধ্যে নামার একটু পরেই সব যেন নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছে।

এখানে আসলে সন্ধ্যে নামার পর থেকেই রাত শুরু হয়ে যায় আর সকাল শুরু হয় সেই মোরগ ডাকা ভোরে। শুনতে বড্ড অদ্ভুত লাগছে তাই না, আসলে এখানকার জীবনটাই এমন। বেশ মানিয়ে নিয়েছি এখানে এসে, অনেকটাই এখন সুস্থ আছি। আপাতত আরো কয়েকটা দিন অনায়াসেই এখানে সময় কাটিয়ে দিতে চাই।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 10 months ago 

ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল।আপনার পুরো পরিবার এখন সুস্থ আছেন জেনে।আমাদের পরিবারে একই অবস্থা একজনের পর একজন অসুস্থ রয়েছে। জি ভাইয়া মানুষের মন-মানসিকতা মুহূর্তেই পরিবর্তন হয়।আসলে শহরে চার দেওয়ালে বন্ধী থাকার চেয়ে গ্রামের আবহাওয়া অনেক ভালো,তবে কর্মের তাগিদে শহরে থাকতে হয় ।এটা ঠিক বলেছেন গ্রামে রাত নেমে আসে সন্ধ্যার পরে আর মোরগ ডাকা থেকেই শুরু হয় ভোর। আর ফুটবল খেলার সময় হয়তো আর ফিরে আসবে না।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

আপু ধন্যবাদ আপনাকে, আমার অনুভূতি বুঝতে পেরে মন্তব্য করার জন্য।

 10 months ago 

বোঝাই যাচ্ছে গ্রামের বাসায় গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন তবে পরিবারের মানুষ এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। বিকেলবেলা গ্রামটা সেজে ওঠে তার নতুন সাজে গ্রামের প্রতিটি ছেলে স্কুল মাঠে খেলাধুলা করে বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ফুটবল খেলা অনেকেই অনেক বেশি পছন্দ করে। স্কুলের মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলা দেখেছেন এবং প্রকৃতির সঙ্গে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন পড়ন্ত বিকেল বেলা। আপনার এই কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

হ্যাঁ ভাই, এখন মোটামুটি পরিবারের সকলেই বেশ ভালো আছে।

 10 months ago 

আসলেই গ্রামের মানুষের মধ্যে তেমন ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায় না। নেই তেমন ছোটাছুটি, যেটা শহরে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায়। গ্রামে গিয়ে আপনারা অনেকটা সুস্থ বোধ করছেন, জেনে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। একসময় বিকেল বেলা আমরাও ফুটবল, ক্রিকেট আরো কতো ধরনের খেলা খেলতাম। পোস্টটি দেখে সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আশা করি গ্রামে বেশ ভালো সময় কাটাবেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

আমাদের বিগত সময় গুলোই যেন বেশ ভালো ছিল, সময় যত গড়িয়ে যাচ্ছে, আগত দিনগুলো যেন ততটাই জটিলতা সম্পন্ন হয়ে আসছে।

 10 months ago 

দোয়া রইল আপনাদের প্রতি। আল্লাহ যেন আপনাদের কে সুস্থ জীবন দান করেন। তবে গ্রামের দৃশ্য গুলো কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল। আমারও মাঝে মাঝে মনে চায় গ্রামে সবুজের মাঝে ছুটে যেতে। কিন্তু সে তো হয় না। ভাগ্য বলে কথা। তবে আপনার দৃশ্যগুলো দেখেই আজ প্রাণ জুড়ালাম।

 10 months ago 

চেষ্টা করুন যান্ত্রিক জীবন থেকে বেরিয়ে, প্রকৃতির মাঝে ঘুরে আসার জন্য।

 10 months ago 

গ্রামের পরিবেশটাই এমন, সন্ধ্যা হলেই যেন সব নিশ্চুপ, জনমানবশূন্য পরিবেশ। হয়তো গ্রামের মুরব্বিরা চায়ের দোকানে বসে আড্ডায় ব্যস্ত আবার কৈশোর পেরিয়ে সদ্য পা দেয়া ছেলেরা পড়াশোনা বা পরিবারের সাথে সময় কাটানোই! শহরের শব্দ যেখানে কানে আসে না, হয় না যেখানে অক্সিজেনের অভাব! এটাই তো গ্রাম। আপনি ও আপনার পরিবার এখন সুস্থ্য আছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আরও কয়েকটা দিন থাকলে আরও বেটার ফিল হবে।

 10 months ago 

অবশ্যই ভাই, চেষ্টায় আছি আরো কয়েকটা দিন থাকার। আসলেই এদিক থেকে তোমার কথাটার বেশ যুক্তি আছে কিন্তুু ভাই।

 10 months ago 

ভাই আপনার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্থতা কামনা করছি প্রথমেই। স্কুলের মাঠে গিয়ে বাজ বয়সী ছেলেদের খেলাধুলা দেখে হিংসে হওয়ার কারণ হলো আপনিও এরকম বয়সে একসময় প্রচুর খেলাধুলা করতেন। কিন্তু বয়সের ভারে এখন আর এরকম খেলাধুলা করাটা অসম্ভব একটি ব্যাপার। তবে বিকেলের দিকে বেশ সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন বিকাল টি অনেক সুন্দর ছিলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 10 months ago 

গ্রামের পরিবেশ সত্যিই অনেক ভালো লাগে। গ্রামে গেলে মনে হয় আলাদা রকমের প্রশান্তির জায়গায় চলে এসেছি। পরিবারের সবাই অসুস্থ ছিল আমরা সবাই জানি। এরপর গ্রামে গিয়ে ভালোই করেছেন ভাইয়া। আশা করছি এখন সবাই দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68147.96
ETH 3273.79
USDT 1.00
SBD 2.66