চিত্র ভিন্ন থাকে সকালবেলা
সরকার ঘোষিত স্বঘোষিত লকডাউন চলছে। কিন্তু সবথেকে বড় বিষয় এই সময়ে লোকজনের যেখানে বাড়ি থাকার কথা, কিন্তু সকালবেলার চিত্র থাকে সম্পূর্ণ আলাদা। বিশেষ করে মহাসড়কে যখন যাওয়া যায় , তখন গেলেই বোঝা যায় যে আসলে সাধারণ মানুষ ও যারা বিভিন্ন যানবাহনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে তারা আসলে লকডাউনকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না। কে শুনে কার কথা। কারণ সকাল দশটার দিকে প্রশাসন ও পুলিশ ও আর্মির গাড়ি চলে আসবে, তার আগেই যে যার মতো করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আমার মনে হয় এরা করোনার থেকে প্রশাসন পুলিশ ও আর্মির লোককে বেশি ভয় পায়।
মানলাম এলাকার ভিতরে সাধারণ লোকজন হাটে-বাজারে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য ঘোরাঘুরি করে। কিন্তু যখন মহাসড়ক এসেছি তখন এর চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। মাঝরাত থেকে নাকি গাড়ি চলাচল করে ব্যস্তভাবে এবং মহাসড়কে। যার চিত্র আমি কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আমার ছবিগুলো দেখলে আপনারা কিছুটা বুঝতে পারবেন। মানুষজন একদম অস্থির হয়ে গিয়েছে । কেউ হয়তো আপন গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে, কেউবা জীবিকার জন্য ফিরে যাচ্ছে সেই ব্যস্ততম ঢাকা শহরে। যাইহোক যে যার মতো করে সময় পাড়ি দিচ্ছে ।আসলে দিন শেষে সবাই পেটের জন্য ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ সবারই দিনশেষে পয়সা দরকার। সবারই দিনশেষে পেট চালানোর দরকার, এই একটা অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
মূলত আমি সকালবেলা মহাসড়কের দিকে গিয়েছিলাম বাজারের উদ্দেশ্যে। কারণ পুড়ো সপ্তাহের বাজার আমি এক দিনেই করি । কারণ শুক্রবার আমার কর্মস্থল বন্ধ থাকে, তাই একটু সময় পাই। কিন্তু যখন আমি রাস্তায় গিয়ে একদম গাড়ি চলাচল দেখতে পেয়েছি, তখন আমি খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম যে আসলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেল কিনা। যাইহোক মহাসড়কের গাড়িগুলো একটা সময়ের পরে গিয়ে থেমে যাবে, আবার রাতের জন্য অপেক্ষা করবে, আবার তারা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছুটে যাবে। এভাবেই তারা সাধারণ মানুষগুলোকে নিয়ে যাতায়াত করছে এবং এই ভাবেই আজকাল সাধারণ মানুষ যে যার গন্তব্যে যাচ্ছে ।
![20210720_184736.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmaWBsQ4tdELAHvgVDqDRXmLZRuBuUe8qpwbtuSpMtmVRw/20210720_184736.jpg)
![20210720_184723.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZXDDqzmxXmJPxKHLd6K2QNP3h2nQ39qAZ2GTRvcxfJuH/20210720_184723.jpg)
![20210720_184726.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb3Ku11YMWxJcdRmd7N1uPcxdXsZqfo2fUbsyxsz7oBAa/20210720_184726.jpg)
![20210720_184751.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmesDjn2W5U8UKm6uqJZEDXnKNxYthe8q9BTWTzNXdAbf1/20210720_184751.jpg)
![20210720_184755.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmc3pBJE4mKuWVwiqw1aWiUS2hKFh1Vua9NfQuVkpC9u2D/20210720_184755.jpg)
ভাই রাতের আধারে এখনো অনেক যানবাহন চলাচল করছে এবং গ্রামের মধ্য দিয়ে ঢাকামুখী মানুষের চাপ অনেকটা বেড়ে গেছে কারণ বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার কারণে সেখানে তাদের চাকরি বাঁচানোর জন্য হলেও তাদের যেতে হচ্ছে। এবং তারা হচ্ছে পরিস্থিতির ভুক্তভোগী আমার যেটা মনে হয়। তারা সবচেয়ে বড় অসহায় একদিকে চাকরি হারানোর ভয় আরেকদিকে পরিবার পরিজনদের ভয়, তারা রয়েছে অনেকটা বিপদের মুখে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দিন শেষে সবাই পেটের জন্য ব্যস্ত এটাই বাস্তবতা। অনেক ভালো লিখেছেন ভাইয়া।
লোকডাউনের পর থেকে আমাদের বাড়িতে ও সারা সপ্তাহের বাজার একদিনে করা হয়।কিন্তু এখন মানুষেরা তাদের জীবন সম্পর্কে খুবই হেয়ালিপনা করে যখন করোনা সম্পর্কে জোরদার ঘোষণা করা হয় তখন মানুষ 2 দিনের জন্য সচেতন হয় তারপর আবার অসচেতনতা।কোনো জানি ,সবাই বুঝে ও বুঝতে চায় না।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।