ঘোড়াঘাট রাঙ্গা ক্যাফেতে কিছু সময়

in আমার বাংলা ব্লগlast year

IMG-20230721-WA0017.jpg

বিগত পর্বে আমি বলেছিলাম যে, এই পর্বে আমি ঘোড়াঘাট রাঙ্গা ক্যাফেতে আমাদের কাটানো মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই পর্বটি লিখছি।

মূলত কাঠের ব্রিজ পার হয়েই নদীর তীরের উপরেই সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে উঠেছে এই রেস্টুরেন্টটি। বিশেষ করে যাদের শহুরে জীবনে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে, তাদের কাছে এই রেস্টুরেন্টটি হতে পারে একদম সঠিক জায়গা সময় কাটানোর জন্য।

যেহেতু আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সেখানে গিয়েছিলাম, তাই সেখানে দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। পরিবেশটাও ছিল একদম মনোমুগ্ধকর, যার কারণে সকলেই বেশ ভালোভাবেই সেখানে সময় কাটাচ্ছিল। আমরা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার আগে মূলত নদীর চরে কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। তারপরে রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছি।

খুব যে আহামরি কিছু তা কিন্তু বলবো না, তবে বলবো নদীর তীরে একদম উন্মুক্ত পরিবেশে রেস্টুরেন্টটি গড়ে তুলেছে একদল নবীন উদ্যোক্তা। মূলত কাঠ-বাঁশ ও টিনের শেড দিয়েই পুরো রেস্টুরেন্টটি বানানো হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের কাছে মূল আকর্ষণ হচ্ছে বিকেল বেলার দিকের প্রাকৃতিক পরিবেশ, যা অনেকটাই নয়নাভিরাম।

IMG-20230721-WA0014.jpg

IMG-20230721-WA0012.jpg

IMG-20230721-WA0008.jpg

IMG-20230721-WA0006.jpg

IMG-20230721-WA0010.jpg

IMG-20230721-WA0018.jpg

IMG-20230721-WA0019.jpg

রেস্টুরেন্টে ঢোকার পরেই মূলত বেশ ব্যস্ততা লক্ষ্য করলাম সেখানে, খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলাম যেহেতু ছুটির দিন তাই এমন ব্যস্ততা এখানে। তারপরেও একপাশে একটা টেবিল ম্যানেজ করে আমরা বসে গেলাম এবং তাদের খাবারের মেনু কার্ড দেখে, ইচ্ছে হয়েছিল ভারী খাবার অর্ডার করার, তবে বুঝতে পারলাম এখন যদি ভারী খাবার অর্ডার করি সেটা আসতে বহু সময় লাগবে। তাই কোমল পানীয়, ফুচকা আর আমার জন্য হট কফি অর্ডার করেছিলাম।

যেহেতু আমরা দূর থেকে এসেছি আবার ফিরতেও অনেকটা সময় লাগবে, তাই ভারী খাবার অর্ডার করিনি। হয়তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিন আসলে এত ব্যস্ততা এখানে লক্ষ্য করা যেত না। তাহলে হয়তো খুব দ্রুতই খাবারগুলো আমাদেরকে বানিয়ে দিতে পারতো তারা। তবে ইচ্ছা আছে আবারও একবার যাওয়ার, সেটা হয়তো সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া।


মজার ব্যাপার হচ্ছে যখন আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করেছি, তারপর থেকে বেশ ভালোই বোধ করছিলাম। কেননা একদম নদীর তীরেই গড়ে উঠেছে এই রেস্টুরেন্ট আর সেই কারণে নদীর প্রচুর ঠান্ডা বাতাস আসছিল এবং বেশ উপভোগ করছিলাম মুহূর্তটা। বাবু অনেক খুশি ছিল, ও চেষ্টা করছিল রেস্টুরেন্টের ভিতরেই এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানোর জন্য আর ওকে সঙ্গ দেওয়াতে ব্যস্ত ছিল হীরা।

অতঃপর একটা সময়ের পরে আমাদের খাবার ঠিকই চলে এসেছিল এবং আমরা সেখানকার খাবার ভালোভাবেই গ্রহণ করেছিলাম। খাবারের স্বাদ মোটামুটি ছিল আর দামটাও হাতের নাগালে। এভাবেই কখন যে সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল তা যেন বুঝে উঠতেই পারিনি। যেহেতু অনেকটা পথ আবারো যেতে হবে, তাই পরবর্তীতে আর সময় নষ্ট না করে, সেখান থেকে আমরা দ্রুত বেরিয়ে পড়েছিলাম। আর এভাবেই কেটেছিল সেদিনের সময়টা। তারপরেও চেষ্টা করেছি আমাদের কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে একটা ভিডিও শেয়ার করার জন্য। আশা করি ভালো লেগেছে। ভালো থাকুন সবাই, ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 last year 

নদীর পাড়ের রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা এবং সময় কাটাতে দারুণ লাগে। আর বিকেলে তো ফুরফুরে বাতাস বয়ে যায়। যা শরীরটাকে একেবারে শীতল করে দেয়। মূলত এই ধরনের রেস্টুরেন্ট গুলোতে ছুটির দিনেই ভিড় থাকে। সপ্তাহের অন্যান্য দিন মানুষ খুব কম থাকে। ভিডিওটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আকাশে মেঘের ভেলা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। শায়ান বাবু তো এদিক সেদিক বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিল দেখছি। সবমিলিয়ে পোস্টটি এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 56006.20
ETH 2375.33
USDT 1.00
SBD 2.33