জীবন থেকে নেওয়া তিক্ত অভিজ্ঞতা ||@shy-fox 10% beneficiary
ঘটনাটা এখন থেকে মাস ছয়েক আগের । যাইহোক চেষ্টা করছি নিজের মতো করে একটু বলার জন্য । আমি মনে করি, আমার এই গল্প থেকে একটু হলেও আপনাদের মাঝে শিক্ষার সঞ্চারণ হতে পারে । কারণ সেই শিক্ষা আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে, কিছুটা হলে কাজে লাগতে পারে। সত্যি বলতে কি, এই ঘটনাটা আমার সঙ্গে ঘটেছিল এখন থেকে চার-পাঁচ মাস আগে এবং এটার ফলাফল আমি এখন একটু হলেও বুঝতে পারছি এবং উপলব্ধি করছি । যাইহোক সেই ধারাবাহিকতা থেকে আমি আমার অভিজ্ঞতা লেখার চেষ্টা করব ।
যেহেতু এক বছরের জন্য গ্রামে ছিলাম , মোটামুটি সেখানে এক ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়ে যায়। যেহেতু আমি লেখালেখি করি, তাই আমি তাকে একটা সুযোগ করে দিয়েছিলাম আমাদের প্লাটফর্মে লেখালেখি করার জন্য। যাইহোক বিষয়টা এমন, আসলে সেই ছোট ভাই বয়সে আমার অনেক ছোট এবং তার নিজের বিবেক বুদ্ধি এখনও পরিপক্ক হয়নি। তার প্রতি আমার সহানুভূতি জাগার একটাই কারণ ছিল। সে আসলে সেই সময় একটা অনাকাঙ্ক্ষিত রিলেশনশিপে জড়িয়ে যায় এবং সেই রিলেশনশিপ যখন হঠাৎ করে ব্রেকআপ হয়ে যায়, যার কারণে সে অনেকটাই মানসিক ভাবে হতাশায় ভুগছিল এবং অনেকটাই কনফিউজ ছিল নিজের লাইফ নিয়ে।
যেহেতু বিষয়গুলো আমার চোখের সামনেই ঘটেছিল তাই তাকে আমি নিজের থেকেই ব্লকচেইনে আইডি খুলে দেই এবং বলি যে, এখানে লেখালেখি করো। তাহলে মোটামুটি একটু হলেও ইন্টারটেইনমেন্ট পাবা এবং একটা মানসিকভাবে রিফ্রেশমেন্ট কাজ করবে । যা তোমার অহেতুক দুশ্চিন্তা গুলোকে মাথা থেকে সরিয়ে ফেলত অনেকটাই সহযোগিতা করবে । যাইহোক সেই ছোটভাই আমার কথা মত ,সেই ধারাবাহিকতা গুলো বজায় রাখার চেষ্টা করল এবং মাস তিনেক আমার সঙ্গে ভালোভাবে কাজ করলো এবং তাকে সর্ব প্রকার সহযোগিতা, মানে তাকে গল্প লেখা থেকে শুরু করে ইনকাম পর্যন্ত পুরোটাই আমি খুব সহজেই করে দিয়েছিলাম কিন্তু তার অতিরিক্ত এক্সপেক্টেশন ছিল ।
যার কারনে সে, একটা সময়ে গিয়ে বলল ভাই আমার এত অল্প ইনকামে পোষায় না । আমি এতো দায়িত্ব নিতে পারবোনা, আমি অন্যত্র চলে যেতে চাই। মানে সে বাস্তব জীবনে নিজেকে একটু প্রকাশ করার চেষ্টা করল এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা ভালো সেলারির টিউশনি পেয়ে গেল এবং আমি তাকে কোনভাবেই আর আটকানোর চেষ্টা করলাম না। আমি তাকে নিজের মতো করেই যেতে দিলাম এবং বললাম তোমার জন্য শুভকামনা রইল।
কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস , যাইহোক সে যখন চলে গিয়েছিল একটু হলেও খুব খারাপ লেগেছিল কিন্তু তার কাছে সেটা আমি কোনভাবেই প্রকাশ করিনি । যাইহোক অবশেষে মাস দুয়েক পরে যখন তার অর্থনৈতিক অবস্থার আরো অবনতি হলো ,সে আবার পুনরায় লেখালেখিতে ফিরতে চাই ছিলো এবং আমার যুক্ত হতে চাইলো । ঠিক আমি সেই সময় তাকে বললাম যে দেখো ছোট ভাই, তুমি আমার বাস্তব জীবনে ছোট ভাই কিন্তু লেখালেখি আমার কর্ম । যেহেতু তুমি স্বেচ্ছায় এখান থেকে চলে গিয়েছো এবং এটার প্রতি তোমার অনীহা জাগ্রত হয়েছিল তাই এখানে বিশেষ করে, আমার সঙ্গে পুনরায় তোমার জার্নি কন্টিনিউ করার আগে ভেবে চিন্তে করাই উত্তম, তবে তোমার যেহেতু আত্মবিশ্বাস বেশি পারলে নিজে কিছু করে দেখাও । আমি বিশ্বাস করি আমার বাংলা ব্লগ স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল লোককে পছন্দ করে। কোন স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী লোককে কখনোই পছন্দ করে না এবং তাদের আশেপাশে আমার বাংলা ব্লগ কখনোই যায়না ।
তবে সেই ছোটভাই কে আমি বলতে চাই, তোমার যেহেতু লেখালেখি নিয়ে অনেক ইচ্ছা আছে ও নিজের প্রতি হাইলি কনফিডেন্স তাহলে ব্লকচেইনে আরো অনেক লেখার জায়গা আছে, তুমি সেই দিকে পারলে নিজেকে প্রকাশ করে দেখাও , তাহলে বুঝবো তোমার যোগ্যতা আছে। তোমার জন্য শুভেচ্ছা রইল ।
বিঃদ্রঃ কর্মের জায়গায় নিজেকে স্বচ্ছ ও নির্ভেজাল রাখাই উত্তম । আসলে এখানে কোনো আত্মীয়-স্বজন বা ভাই-ব্রাদার কে কেন্দ্র করে কখনই কোন কিছু করা উচিত নয় । যা করা উচিত তা নিজের অভিজ্ঞতায় এবং নিজের যোগ্যতায় ।আমার লেখা কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে ,আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত ।
"তবে আর যাই করুন মানুষের উপকার কখনো করবেন না ।কারন স্বার্থ ফুরালেই সবার রূপ চেঞ্জ হয়ে যায়।"
"ধন্যবাদ "
ডিসকর্ড লিংক
দাদা আপনার সাথে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তা আপনার ও বৌদির পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। আসলে এই ধরনের হীনমন্যতার লোক সমাজের মধ্যে অনেক আছে। আমি পড়ে বুঝতে পারলাম খুবই কষ্ট দায়ক বিষয়। সেইজন্য অল্পতেই কাউকে বিশ্বাস করা যাবে নাহ।
দাদা এই ধরনের সিদ্ধান্ত কখনো নিয়েন নাহ কারণ মনুষ্যত্ব বোধ লোপ পাবে।এই ধরনের লোকজন থাকবেই পৃথিবী যতদিন আছে। দোয়া করি যেন এই বিষয় থেকে পরিত্রাণ পান।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম, দাঁত থাকতে হয়তো দাঁতের মর্মটা না বুঝলে পড়ে এমনটাই হতে পারে। সে তার ভুল বুঝতে পেরে ফিরে এসেছে এটা হচ্ছে বড় কথা। তবে ভাইয়া আপনি যে কথাটি বলেছেন যে নিজে কিছু করে দেখাও, এ কথাটির সাথে আমি একমত । যেহেতু তার প্রতি তার বিশ্বাস আছে তাহলে সে সকলের কাছে তাকে প্রকাশ করে দেখাক।
তবে আমি বলবো ভাইয়া আপনি তার পিছু ছাড়বেন না। তার আড়ালেই থাকে সাহায্য করে যান। কারন উপকারের বিপরীত শাস্তি, এই কথাটা অনেক আগে থেকেই ফলে আসছে, তাই বলে মানুষ উপকারের পথ হতে ফিরে যাইনা। কারন শেষ পর্যায় উন্নতি সবসময় সৎ মানুষের হয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
লোভ মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। যে ব্যক্তি লোভকে সংযত করতে পারবেনা সে কখনোই জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারবে না। আমাদেরকে জীবনের সফলতা অর্জন করতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে সৎ হতে হবে এবং লোভকে সংযত করতে হবে। আপনার ছোট ভাই হয়তো মন থেকে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে ভালবাসতে পারেনি। তিনি হয়তো শুধুমাত্র টাকা উপার্জনের মাধ্যম মনে করে এখানে কাজ করেছেন। মন থেকে যদি কোন বিষয়ের উপর ভালোবাসা না জন্মায় তাহলে কখনো জোর করে ভালোবাসা তৈরি করা যায় না। আর স্টিমিট প্লাটফর্ম এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আমরা আমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে নিজের দক্ষতাকে সবার সামনে উপস্থাপন করি। এখানে আমরা কখনই অর্থের চিন্তা করিনা। আমি সবসময় মনে করি আমার কাজ যদি সকলের ভালো লাগে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়ে যায়। যাইহোক ভাইয়া আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেকেই শিক্ষা লাভ করতে পারবে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
শুভ ভাই আপনার পোস্টটি পড়লাম। আসলে অল্প বয়সে মানুষের আকাঙ্ক্ষা থাকে অনেক বেশি তাই ভুল সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়না। তবে আমার মনে হয় প্রত্যেকেরই একটা দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়া উচিত। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যে কখনও কখনও ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তার উদাহরণ মাঝেমাঝেই পাওয়া যায়। আমার মনে হয় বড় ভাই হিসেবে আপনার যা করার ছিল তা করেছেন। আর লেখালেখির ব্যাপারটা সম্পূর্ণই মনের আনন্দের ব্যাপার। অর্থ উপার্জনই যদি লেখালেখির মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে সে লেখকের খুব বেশি অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আমার মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া,আপনার লেখাটি পড়ে অনেক কিছু শিখেছি।আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া,স্বার্থ ফুরালে মানুষটাকে যে উপকার করেছে তাকে আর চিনে না।যার জন্য আপনি এত কষ্ট করেছেন আপনার পরিশ্রমের মূল্য দিলো না। যে মানুষকে উপকার করলে উপকারের কথা স্বীকার করেনা সে মানুষ থেকে দূরে থাকাটাই ভালো। ভাইয়া, আপনার লেখা পড়ে আমি বুঝতে পারলাম আপনি খুব সহজ সরল। তবে ভাইয়া,সবক্ষেত্রে সহজ সরলতা দেখালে নিজে কষ্ট পেতে হয় এবং ঠকতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কোনো কাজের শুরুতেই যদি কাজের চেয়ে দ্বিগুণ আশাই থাকে তাহলে সেই কাজে সফলতা আসা অনেক কঠিন ব্যাপার।এটা ঠিক বলেছেন তার যোগ্যতা থাকলে সে করে দেখাবে। আপনার প্রত্যেক কথা একদম পরিষ্কার, কারো বুঝতেই অসুবিধা হবেনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার গল্পটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আমার সাথে কমন পড়ে গেল এরকম হাজারো মানুষের উপকার করেছি যারা কোনো এক সময়ে এসে হাতে-পায়ে ধরে ছিল কিন্তু যখনই তার স্বার্থ হাসিল হয়ে যায় তখনি রূপটা পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই আমার মা মা বলেছিল কারো জন্য উপকার করলে সে তোমাকে গর্তে ফেলবে এটা ভেবেই মানুষের উপকার করো।
তবে আমি কারো উপকার করা বাদ দেই নি এটা ভেবেই যে আমি নিশ্চিত জানি সে আমাকে বিপদে ফেলবে।উপকার করি সতর্কতার সাথে সাবধানে ♦♦
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার ছোট ভাই প্রথমে যা করেছিল,তা প্রথম প্রথম সবাই করতো বা করে থাকেন।কারণ প্রাথমিক অবস্থায় অতটা রিওয়ার্ড পাওয়া যায় না।তাই অনেকে হতাশ হয়ে বাদ দেন স্টিমিট প্লাটফর্ম। এটাই স্বাভাবিক।
আপনার ছোট ভাইকে নিয়ে অনেক লিখেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
এক লাফে তো কেউ আকাশে উঠে না রে ভাই ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া এখানে কেও কাওকে সহজে আনে না।অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে এরপর আসতে হয়। অনেকেই সহজে কিছু শেখাতেও চায়না। কিন্তু আপনি সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে এতোটা সাহায্য, সহোযোগিতা করলেন কিন্তু তাও ফলাফল!!!!
অল্পতে সন্তুষ্টি হতে পারলে হয়তো এসব হতো না অথবা সম্মান রক্ষা করাটা শিখলেও এসব হতো না। সেসব থাক,
শুধু বলবো ভুল থেকেই তো শিক্ষা। তা ই ধরে নেন না হয় এটাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
লোভ মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। লোভি মানুষ কখোনো উন্নতি করতে পারে না। ভালো লেগেছে আপনার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য।