আবারো গন্তব্যে ফেরা
ঐ যান্ত্রিক শহর থেকে কয়েকটা দিনের জন্য সবাই নাড়ির টানে যে যার আপন নীড়ে ফিরে এসেছিল। রাস্তায় এতোটা দিন যে পরিমান যানজট ছিল যেটা বলা বাহুল্য। বিশেষ করে উৎসবের আগে রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। সব যেন একদম ভর্তি, লোকজনের চোখে মুখে ছিল সেকি আনন্দের উচ্ছ্বাস।
দীর্ঘদিন সবাই ঐ যান্ত্রিক জীবনে কর্মব্যস্ত থেকে নিজেকে যন্ত্রের মতো করে তৈরি করেছে শুধুমাত্র পরিবার-পরিজনের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য । আসলে ঐ যান্ত্রিক শহরটা এমনই, সবাই শুধু স্বপ্ন দেখার জন্যই যায়। অতঃপর হুটহাট করে যখন এইরকম উৎসবের ছুটি আসে তখন যেন সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে আপন ঠিকানায় ফেরার জন্য।
লম্বা সময় যাত্রা করে, কষ্ট নিয়ে হলেও সবাই বাড়ি ফিরেছিল অনেকটা উৎসবের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করার জন্য, হয়েছেও তা। এই আনন্দগুলো ভাগাভাগি করার মুহূর্ত আমরা অনেকেই স্বচক্ষে দেখেছি। তবে এখন সময় ঘনিয়ে এসেছে আবারো সবাইকে ফিরে যেতে হচ্ছে ঐ যান্ত্রিক শহরের বুকে, এটাই হয়তো নিয়ম।
উৎসবের আগ মুহূর্তে বাড়ি ফেরার জন্য মানুষের যতটা তড়িঘড়ি ছিল ঠিক উৎসব পরবর্তী সময়ে আবারো যার যার কর্মস্থলে ফেরার জন্য তেমনটাই চিত্র যেন দেখা যাচ্ছে। লেখাটা হয়তো আরো দুটো দিন আগেই লিখতাম তবে সেভাবে সময় করে উঠতে পারিনি।
আমরা যে নতুন বাসাটায় উঠেছি, সেটা একদম বড় রাস্তার পাশের ছোট্ট গলিতেই অবস্থিত। সারা দিনরাত শুধু গাড়ির আওয়াজ যেন বেশ ভালোভাবেই শোনা যায়। তবে এই কয়দিনে যে পরিমাণ গাড়ির আওয়াজ ও মানুষের পদচারণার ব্যাপারটা বোঝা গিয়েছে তা একদম বলার বাহিরে। যে যেভাবে পেরেছে এসেছে আর ফিরে যাওয়ার সময় ঠিক একই অবস্থা। যে যেভাবে পারছে ফিরে যাচ্ছে।
আবারও সবার কর্মব্যস্ত জীবন শুরু হবে আবারও সময় কাটবে যান্ত্রিক নিয়মে। হয়তো টুকটাক এরকম ছুটির দেখা মিলবে মাঝে মধ্যেই তখন হয়তো আবারো সেই নীড়ে ফেরার তড়িঘড়ি। নাড়ির টান বড়ই অদ্ভুত, যদি শুধু একটুখানি ছুটি মেলে তাহলে তো কথাই নেই, শুধু ফিরে আসার চিন্তা থাকে, সবুজ প্রকৃতির মাঝে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের খোঁজে।
অনেক তো হলো আর কত,এই প্রশ্নের উত্তর বেশ কষ্টসাধ্য। তবে এই জীবন গুলো এমনই, এভাবেই চলতে থাকে। ঐ যান্ত্রিক শহরে তো কেউ আর এমনিতেই যায় না বা শখ করেও কেউ থাকেনা। প্রত্যেকের যেন আলাদা আলাদা কারণ আছে। আজ দীর্ঘদিন পরে, এই চার রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যেবেলা যখন বসে কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটাচ্ছিলাম তখন দেখছিলাম মানুষের আবারও যান্ত্রিক শহরে ফিরে যাওয়ার ব্যস্ততা ।
আহারে জীবন
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1678736924528312320?t=FWAel8bn-AfqDEQ8udEdrg&s=19
ভাইয়া আজকের আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে আমার না একটি গানের কথা বার বার মনে হচেছ। আমার মন বসে না শহরে ইট পাথরের নগরে তাইতো আইলাম সাগরে তাইতো আইলাম সাগরে। নাড়ির টানে ছুটে যাওয়া মানুষ গুলো আজ আবার পেটের টানে শহরে ফিরছে। আর এটাই হলো বাস্তবতা।
নাড়ির টান আর পেটের টান দুটোই অদ্ভুত। ভারসাম্য বজায় রাখা বড্ড দরকার।
আসলে ভাইয়া রাস্তার পাশে বাসা থাকলে নিজে চোখে দেখা যায় যে, মানুষ কত ব্যস্ত, মনে হয় যেন যন্ত্র ছাড়া মানুষ বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছে।সত্যি ভাইয়া, এই যান্ত্রিক শহরে কোন মানুষের শখ করে বসবাস করে না। সকল মানুষের ভিন্ন ভিন্ন কাজের সাথে জড়িত হয়ে এই যান্ত্রিক শহরে ব্যস্ত সময় পার করে। আর ঈদ শেষে সকলেই এখন তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে দ্রুত আসতে ব্যস্ত সময় পার করছে। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই তো আবারো ফিরছে সবাই কর্মের টানে ঐ জাদুর শহরে।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। নাড়ির টান বিষয়টাই খুব অদ্ভুত। আমরা যারা পরিবার আত্নীয় স্বজনদের থেকে অনেক দূরে এসে পরে থাকি জীবন ও জীবীকার প্রয়োজনে, আমরা সারাটা বছর হা করে তাকিয়ে থাকি দুই ঈদের ছুটির আশায়। কবে ঈদের ছুটি পাবো আর বাড়িতে যাবো! তাই ই তো ভোগান্তি হনে জেনেও অয়া বাড়াই বাড়ির দিকে, বাড়িতেই যেন দু-দন্ডের শান্তির খোড়াক মিলবে সেই আশায়।
এভাবেই তো চলছে ছুটে চলা জীবন গুলো। যেখানেই থাকুন নিরাপদে থাকুন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
জী ভাইয়া বাড়িতে যাওয়ার সময় যেমন কষ্ট হয়েছে তেমন আসার সময়ও কষ্ট হয়েছে। তারপরও থেমে থাকে না মানুষের জীবন যাত্রা। হয়তো এভাবেই চলবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।