দীর্ঘদিন পর মহিমাগঞ্জে
প্রথমেই বলে নিচ্ছি যে সমসাময়িক ব্যস্ততার কারণে এই ভ্রমণ বিষয়ক লেখাটি প্রকাশ করতে অনেকটাই দেরি হয়ে গেল। তবে তারপরেও বলতে চাই, যেহেতু আমি প্রতিনিয়ত আমার জীবনে ঘটে যাওয়া মুহূর্ত গুলোকে এখানে সংরক্ষণ করে রাখি, তারই ধারাবাহিকতায় আজ হয়তো এই মুহূর্ত নিয়ে কিছু কথা লিখতে যাচ্ছি।
১৮ জুলাই সম্ভবত আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম একদম ঠিক সন্ধ্যেবেলার কিছুটা আগে মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে। মূলত বিকেল বেলার দিকেই গিয়েছিলাম। তবে সেদিন মহিমাগঞ্জের আরও কিছুটা জায়গায় আমরা ঘোরাঘুরি করেছিলাম বিশেষ করে চিনির কল ও তার আশেপাশের এলাকায়, যার কারনে স্টেশন এলাকাতে পৌঁছেতে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছিল।
এমনিতেই ভ্যাপসা গরম ছিল, তবে যখন স্টেশনে গিয়ে পৌঁছেছি তখন কিছুটা যেন ঠান্ডা বাতাস গায়ে এসে লাগছিল আর চতুর্দিকটা ছিল অনেকটাই খোলামেলা পরিবেশ। আমরা তো চেষ্টা করেছিলাম নিজেদের মত করে সেখানে সময় কাটানোর জন্য। যেহেতু এই সময় ট্রেন আসার কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, তাই রেললাইন ধরে অনেকটা দূর হেঁটে গিয়েছিলাম।
মনে হচ্ছিল না যে, দীর্ঘ সময় অন্যান্য জায়গায় ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়েছি। কারণ এমনিতেই আর কিছু সময় পরেই সন্ধ্যে নেমে যাবে ঠিক তার আগ মুহূর্তেই যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছিল সেই সময়কার আকাশের চিত্র ছিল অনেকটাই দেখার মত। আমাদের থেকেও বেশি খুশি হয়েছিল বাবু। কারণ ও নিজের মতো করেই খেলা করছিল রেললাইনের মাঝে। ওকে যেন কোনোভাবেই থামিয়ে রাখা যাচ্ছিল না।
আমরাও ওর পিছনে ছোটাছুটি করতে বেশ স্বাচ্ছন্দবোধ করেছিলাম। যেহেতু দীর্ঘদিন পরে এই স্টেশনে এসেছি তাই ভালো লাগার মাত্রাটা ছিল একটু অতিরিক্ত। নিরিবিলি পরিবেশ লোকজনের তেমন কোন ভিড়ভাট্টা নেই আর কোলাহলমুক্ত। তবে যখন স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি এসে গিয়েছিলাম তখন কিছুটা লোকজনের ভিড় দেখতে পেরেছিলাম।
মূলত এই সময় স্টেশনের পাশে কিছু ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান বসে। সেটা মূলত ফুচকা আর চটপটির। অনেকটা দর্শনার্থী ও স্টেশনে আগত যাত্রীদের কে আকৃষ্ট করেই তারা এই জায়গাটাতে মুখরোচক খাবারের দোকান দিয়েছে। অবশেষে গিন্নির অনুরোধে সেই খাবারের দোকানগুলোতে আমাকে কিছুটা সময়ের জন্য বসতে হয়েছিল।
চটপটি আর ফুচকা বেশ ঝাল দিয়ে বানাতে বললাম দোকানদার ভাইকে। যদিও আমার প্রথমে খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না, তবে একটা সময়ে গিয়ে অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও খেতে রাজি হয়েছিলাম। খুব যে খারাপ বানিয়েছিল তা বলবো না, মোটামুটি ভালই লেগেছিল খেতে। তবে আমি বাহিরের খাবারে খুব একটা অভ্যস্ত নই।
স্টেশনে গেলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখলে একটু ভিন্ন রকমের কথা মাথায় চলে আসে, বিশেষ করে মানুষের ছোটাছুটি দেখলে। কত মানুষের কত দিকে যে গন্তব্য থাকে, যখন ট্রেন স্টেশনে চলে আসে তখন সবারই যেন বেশ ব্যস্ততা বেড়ে যায, তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার জন্য।
আমার বাসা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এত সুন্দর একটা জায়গা ছিল, তা হয়তো এইভাবে না আসলে জানাই হতো না। বেশ ভালো লেগেছে এখানে এসে। বিশেষ করে সন্ধ্যেবেলার আগ মুহূর্তের সময়টা। এমন সময় যদি আবারো ফিরে পাওয়া যেত, তাহলে মন্দ হতো না।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1686301759793405952?t=QtFK42XD6bsrSSkIF6sH4A&s=19
ভাইয়া বেশ কিছুদিন আগে ভাবির একটি পোস্টে মহিমাগঞ্জের রেল স্টেশনে কাটানো সুন্দর সময়টুকু সম্পর্কে জানতে পেরেছিলাম। আর আজ আবারও সেই সুন্দর মুহূর্তটুকু দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। বিশেষ করে আপনার ভাবির ও শায়ান বাবুর সন্ধ্যাকালীন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ বোঝা যাচ্ছে আপনাদের সময় কতটা ভালো কেটেছিল। ভাইয়া গরমের মাঝে খোলামেলা আবহাওয়ায় ঘুরে বেড়ালে তেমন একটা ক্লান্তি বোধ হয় না। এজন্যই হয়তো সেদিনের সময়টুকু আপনারা খুবই উপভোগ করেছেন। ভাইয়া, মাঝে মাঝে আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনাদের সুন্দর সময় টুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।
এটা সত্য যে, আপনার ভাবি ওর নিজের ব্লগে কিছু কথা লিখেছিল মহিমাগঞ্জ ভ্রমণ সম্পর্কে। ঐদিন আমাদের কাছে সময়টা আসলেই বেশ ভালো কেটেছে। ধন্যবাদ ভাই, আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
মহিমাগঞ্জে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। বিকেল বেলা এমন সুন্দর পরিবেশে হাঁটতে খুবই ভালো লাগে। শায়ান বাবুকে বেশ লাগছে মাশ আল্লাহ। মাঝে মাঝে এমন ঘুরতে বেড় হলে মন ভালো হয়ে যায়। আমার বাসার কাছা কাছি এমন যায়গা আছে তবে সময় এর জন্য যাওয়া হয়না।
সময় সুযোগ করে বেরিয়ে পড়ুন, দেখে আসুন আপনার বাড়ির পাশের সৌন্দর্যের জায়গাটি।
আসলে আমাদের সবার উচিত পরিবারকে নিয়ে মাঝেমধ্যে ঘুরতে যাওয়া। আপনি পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান, এই ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ভাই। পড়ন্ত বিকেলে রেল লাইনে হাঁটতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। পরিবারের সাথে চটপটি বা ফুচকা আমিও খেয়ে থাকি মাঝেমাঝে। আপনাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন। পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
স্টেশনে খোলামেলা পরিবেশে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন ভাইয়া।আপনাদের দেশে খুবই কম ট্রেন চলাচল করে।এইজন্য এত সময় ধরে এত সুন্দরভাবে রেলপাটির উপর হেঁটে দারুণ মুহূর্ত উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।কিন্তু আমাদের দেশে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেটা হয় না।কারন তেমনটা করলেই নির্ঘাত মৃত্যু, কারন চোখের নিমিষেই ট্রেন চলে আসে ঝড়ের বেগে।যাইহোক সায়ান বাবুর জন্য ভালোবাসা রইলো,ধন্যবাদ ভাইয়া।