অবশেষে ভোগান্তি থেকে রক্ষা || @shy-fox 10% beneficiary
কিছুদিন আগে আমি আমার প্রিয়তমার জন্য নির্বাচন অফিসে গিয়েছিলাম এবং সেখানকার ভোগান্তির কিছু কথা লিখেছিলাম। যাইহোক এবার কিছুটা হলেও ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেলাম । দীর্ঘ তিন মাস ঘোরাঘুরি করে পরে অতঃপর আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের জন্য মোটামুটি সকল নথিপত্র তারা গ্রহণ করেছে এবং তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট , চোখের আইরিশের প্রিন্ট এবং তার ছবি তুলেছে ।
অতঃপর একটা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেলাম । প্রথমত যে সমস্যাটায় ভুগছিলাম তার কারণ হচ্ছে হীরার এখনো করোনার টিকা দেওয়া হয়নি । তাই ভোটার আইডি কার্ড এখন যেহেতু অনলাইন কপি পাওয়া যাবে , তাই মোটামুটি ওটা দিয়েই আগে করোনার টিকার জন্য এপ্লাই করব । যাইহোক যদিও তারা চব্বিশ ঘন্টার কথা বলেছে, তবে এখন পর্যন্ত অনলাইন কপির মেসেজ আমি পাইনি । তবে আশা করা যায় , আমি খুব শীঘ্রই পেয়ে যাব ।
শেষবার যখন নির্বাচন অফিস থেকে ফিরে এসেছিলাম, তখন তারা আমাকে যে ডেট দিয়েছিল সেই ডেটের সঙ্গে আমাকে একটা ফোন নাম্বার দিয়েছিল এবং বলেছিল সেই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য । যাইহোক আমি সেই নাম্বারে যোগাযোগ করেছিলাম গত দুইদিন আগে এবং তারা বলল যে, আজকে যাওয়ার জন্য ।
যেহেতু আগে থেকেই ফোনে কথা বলেছিলাম এবং গিয়ে দেখি পরিস্থিতি পুরোটাই উল্টো । কারণ অনেক বয়সী লোকজন সেখানে এসেছে এবং অনেক লোকের সমাগম । তারাও এসেছে মূলত তাদের সমস্যা সমাধান করার জন্য । যাইহোক যেহেতু নির্বাচন অফিস আর ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সর্ব কাজগুলো এখানেই হয় , তাই মূলত এখানে প্রতিনিয়ত একটু ভিড়ভাট্টা লেগেই থাকে ।
আমি আজ বুদ্ধি করেই বাবু কে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছি । আমি চাচ্ছিলাম একটু মাইন্ড গেম খেলার জন্য । কারণ সঙ্গে ছোট বাচ্চা দেখলে অনেকের মানসিকতায় পরিবর্তন আসে । সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় কোন রকম ভিড়ভাট্টা সরিয়ে একদম আমরা নির্বাচন অফিসারের রুমে ঢুকে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে বললাম আমি ফোন করেছিলাম এবং আমি বিগত তিনমাস থেকে ঘুরছি এবং আমার সম্পূর্ণ সমস্যাগুলো তাদের জানালাম , তারপরে ভদ্রলোক মোটামুটি আমাদের দিকে বেশ কয়েকবার দেখল এবং কিছু কথা বলার চেষ্টা করল । তবে আমি আজকে নাছোড়বান্দা, আমি কোনভাবেই কাজ না করে যাব না । সেটা সে আমার আচার আচরণ দেখেই বুঝতে পেরেছে ।
যাইহোক আমি তাকে আমার ওয়াইফের সব কাগজের নথিপত্রগুলো দিয়ে দিলাম এবং সে আমাদেরকে বসতে বলল। যাইহোক মাঝে বাবু দুইবার কেঁদে উঠেছিল এবং আমি বাবুকে একটু ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলাম । আমাদের অবস্থা দেখে দ্রুত,পাশের রুম আরেক ভদ্রলোক কে ডাকল নির্বাচন অফিসার এবং বলল যে তাদের ছবিটা তাড়াতাড়ি উঠিয়ে দিন ।
আসলে পয়সা দেইনি তো, যার কারণে এত ঘোরাঘুরি । তবে যাইহোক পয়সা ছাড়া তিন মাস পরে যে, কাজটা সঠিক ভাবে হয়ে গেল এটাই বা কম কিসের । দ্রুত পাশের রুমে চলে গেলাম এবং সব রকম তথ্য গুলো তারা আবারও দেখভাল করল এবং হীরার ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের আইরিশ প্রিন্ট এবং ছবি তুলে নিল এবং বলল যে আপনাদের ফোনে মেসেজ চলে যাবে, তখন সেই মেসেজ অনুযায়ী আপনারা বাহিরের যে কোন কম্পিউটারের দোকান থেকে ভোটার আইডি অনলাইন কপি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন ।
কাজ শেষ করার পরে অবশেষে সৌজন্যমূলক ভদ্রতা অনুযায়ী ধন্যবাদ জানিয়ে আসলাম নির্বাচন অফিসার কে । যাইহোক যখন সিঁড়ি দিয়ে নামলাম তখন দেখি, সিঁড়ি ভর্তি লোকজন তারা আমাদের দিকে একদম অবাক হয়ে দেখছে ,যে এত দ্রুত তারা কাজ কিভাবে করে নিয়ে গেল । যাইহোক কার মাথায় কি ঘটছে, সেটা আমার আপাতত জানার দরকার নাই । আমার কাজ হয়ে গিয়েছে এটাই বা কম কিসের। তবে এই দীর্ঘ তিন মাসে মোটামুটি বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছে এই নির্বাচন অফিস সম্পর্কে ।
যাইহোক এই তিক্ত অভিজ্ঞতা গুলো এখন আমি আর মনে করতে চাচ্ছি না । তবে এমন ভোগান্তি প্রতিনিয়ত ঘটছে প্রতিটা মানুষের সঙ্গে । তবে আমি মনে করি, এই সকল ভোগান্তি থেকে আমরা কিন্তু চাইলেই মুক্তি পেতে পারি। তবে আমাদের দরকার সঠিক প্রতিবাদ ও সঠিকভাবে সোচ্চার হওয়া । ভালো লাগছে এটা ভেবে যে, ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া গেল। তবে বাকি মানুষগুলোর জন্য খারাপ লাগছে, জানিনা তাদের ভোগান্তি কবে শেষ হবে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
অবশেষে যেভাবেই হোক ঝামেলার অবসান ঘটলো তাহলে। তবে আপনার মাইন্ড গেইমের ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগলো। যে বড় লাইন ছিলো, সবাইতো ফোন টিপে সময় পার করছে, এই কাজগুলো খুবই ভুগান্তির কাজ। টিকা দিতে গেলেও এই রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ঘুষ দেওয়া নেওয়া দুটাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আপনি দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে কোনো 'স্পিড মানি' না দিয়ে ভালো কাজ করছেন। তবে আমাদের দেশে টাকা ছাড়া কাজ একটু ধীরগতিতেই হয় এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যাক, এখন অনলাইনে আইডি কার্ডের কপি আসলেই টিকার আবেদন করে ফেলেন। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
নানা রকম প্রতিকূলতার ঝামেলার পর অবশেষে তার পরিত্রান পেলেন এটা ভেবেই বেশ ভালো লাগছে।আসলে প্রতিটা সেক্টরেই আমরা এরকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছি।।কিছুই করার নাই যেন মনে হয় আমরা অসহায় হয়ে গেছি।সত্যি কথা বলতে এর তীব্র প্রতিবাদ দরকার প্রতিকার দরকার।আপনার লেখা বাস্তববাদী পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লাগে।আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আপনি খুবই চমৎকার করে আপনার লেখার মাঝে তুলে ধরেন।যা আমার অনেক প্রিয় এবং ভালো লাগার একটি বিষয়।ভাবি ও বাবুসহ সপরিবারে সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন এটাই প্রত্যাশা।আর ভাবিকে সময়মতো করোনার টিকা টা দিয়ে দিবেন।আজ এ পর্যন্ত♥♥
আপনার এই সংবাদটি শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। দীর্ঘ তিন মাস ভোগান্তির পর আজকে আপনি সঠিক ভাবে সফল হতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জায়গার সরকারি অফিস গুলোর একই অবস্থা। সেখানে সেবার পরিমাণের থেকে ভোগান্তির পরিমাণটা অনেক বেশি থাকে।
আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি ভাই ।
আসলে এনআইডি সাথে জন্ম নিবন্ধনী এগুলো নিয়ে বর্তমান যে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে বলে শেষ করা যাবে না।আমি গত ৩ সপ্তাহ ঘুরছি আমাদের বোর্ড অফিসে তারা শুধু ডেইট দিয়েই চলেছে।
আপনি অনেক বুদ্ধি মানের মতো কাজ করেছেন ভাইয়া।আমরা অফিসে গেলে অনেক পিছে পরতে হয় কি আর করার আমাদের তো বাচ্চা নেই😁
ঝামেলা মুক্ত হতে পেরেছেন শুনে ভালো লাগলো।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই ।
জীবনে দু একটা গেম খেলা খুবই দরকার কেননা এই সকল পরিস্থিতিতে ভোগান্তির কোন শেষ থাকে না। ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে বসিয়ে থাকতে হয় তারপর ও কাজ শেষ হয় না। আপনি বুদ্ধিমানি কাজটা করছেন তা না হলে আপনার ও অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হত।
সর্বশেষ কথা এটাই যে ধৈর্যের ফল মিষ্টি হয়,
কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি ভাই ।
আমার মনে হয় এ ধরনের অফিসগুলোতে বাড়তি টাকা পয়সা কামানোর জন্যই এই ঝামেলার সৃষ্টি করে। ভালো লাগলো যে শেষপর্যন্ত আপনি টাকা ছাড়াই কাজটি করতে পেরেছেন। সবাই যদি আপনার মত এমন একগুয়ে স্বভাবের হত সততার ব্যাপারে তাহলে কতই না ভালো হতো। শুভেচ্ছা রইল আপনাদের জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অনেক ভোগান্তির পর অবশেষে আপনি সঠিকভাবে নির্বাচন অফিসের কাজগুলো শেষ করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। আসলে ভোটার আইডি কার্ড আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই কার্ড খুবই জরুরী। অনেক ভোগান্তির পর অবশেষে সব কিছু সমাধান হয়েছে এটা জেনে অনেক খুশী হলাম ভাইয়া। এত সুন্দর একটি খবর সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাই আজকে আপনার পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল। এর আগে আপনি পোস্টটি দিয়েছিলে নির্বাচন অফিসে ভাবির ভোটার আইডি কার্ড তৈরি করার জন্য অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যাই হোক অবশেষে আপনি এই ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেলেন। আসলে এটা খুবই একটি খারাপ। ভোগান্তির শেষ নেই। আমিও নির্বাচন অফিসে অনেক দিন হলো ঘোরাঘুরি করছি। তার পরেও এখন আমার কাজ সম্পন্ন হয়নি। যাইহোক আপনি শেষ পর্যন্ত ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেলেন এবং খুব সুন্দর ভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করেছেন। তিন মাস পরেও কাজটি বিনামূল্যে হয়েছে সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। যাইহোক আপনি এবং ভাবীর জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আইডি কার্ড তৈরি করতে গেলে অনেক ভোগান্তি সম্মুখীন হতে হয়। অফিসে অনেক ঘোরাঘুরি করতে হয়। অবশেষে তিন মাস ঘুরাঘুরির করার পর আজকে তার সফল হয়েছেন কথাটি শুনে খুব ভালো লাগলো। আমাদের জন্য আইডি কার্ডটি খুবেই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে আমাদের আইডি কার্ডের প্রয়োজন পড়ে। ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনার পোস্টের টাইটেল পরেই মনের মাঝে এক শান্তি পেলাম। আমরা সকলেই জানি কয়েকদিন থেকেই আপনি নির্বাচন অফিসে যাচ্ছিলেন হিরা মনি আপুর ন্যাশনাল আইডি কার্ড ঠিক করার জন্য। যাক আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে সব কিছু সমাধান হয়েছে। শায়ান বাবু এই ভিড়ের মাঝে গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক কান্নাকাটি করেছে। শায়ান বাবুকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে। অবশেষে সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হয়েছে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আমি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি ।