হঠাৎ দেখা
আজকাল বেশ ভালোই আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে , বলা যায় শীতের আগমনী বার্তা সপ্তাহখানেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে । প্রকৃতি যেন প্রতিনিয়ত নিজের মতো করে সেজে উঠছে । সময় সময়ের গতিতে চলবে সঙ্গে প্রকৃতির পরিবর্তন হবে, এটাই হয়তো নিয়ম ।
বিকেল করে ঘুরে বেড়ানোটা আমার অনেকটাই অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সারাদিন কাজ করার পরে যখন হাতে সময় পাই , তখন পরিবার নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরতে ভালোই লাগে । আজ একটু মূলত সংসারের কিছু টুকটাক কেনাকাটা ছিল, যার কারণেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম বিকেলের দিকে ।
আমার ভ্রমণসঙ্গী আসলে আমার বাবু ও আমার সহধর্মিনী । আমরা দুটো মানুষ যে প্রতিনিয়ত এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়, এটা আর নতুন কিছু নয় । তবে হুটহাট করে যখন , নতুন করে পুরনো মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়, তখন ব্যাপারটা আমাদের কাছে বেশ ভালই চমকপ্রদ লাগে ।
বাজার করা শেষে যখন ফিরে আসছিলাম , গিন্নি বায়না ধরে বসল , সে বাহিরের খাবার খাবে । তাই ঘুরেফিরে সজীবের রেস্টুরেন্টে উঁকি দিয়ে দিলাম । কিছুদিন এই রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল , মূলত ভিতরের ডেকোরেশনের কাজ তারা আবারও নতুন করে করছিল। এবারের ডেকোরেশনটি তারা ভালোই করেছে আর সঙ্গে খাবারের মেনুতে কিছুটা পরিবর্তন নিয়ে এসেছে ।
ঠিক সন্ধ্যে নাগাদ রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে গেলাম । তবে ভিতরের পরিবেশ দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে, বাহিরের অবস্থা কি । সজীব কে ডেকে কুশল বিনিময় করে তারপরে তাদের নতুন যুক্ত হওয়া খাবার সম্পর্কে শুনলাম । সে বলল, তুই চিকেন ক্রিম পাস্তাটা খেতে পারিস। এটা ভালোই খেতে । অতঃপর তার কথা অনুযায়ী, অর্ডার দিয়ে দিলাম ।
মোটামুটি খাবার আসতে যে সময়টা লাগে, সেই সময়টা আমি রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করলাম এবং এদিক সেদিক দেখছি বেশ ভালোই লাগছিল কারণ উষ্ণ একটা পরিবেশ । দেখতে দেখতে বাবু আমার বড় হয়ে যাচ্ছে, তবে শুধুমাত্র বন্ধুবান্ধবের মধ্যে আমি যে একাই বাবা হয়েছি, তা কিন্তু একদম বলা সঠিক হবে না । কারণ আমার বন্ধু মহলের ভিতরে অনেকেই বাবা হয়ে গিয়েছে ।
কলেজ জীবন শেষ করার পর থেকে সুমনের সঙ্গে আর খুব একটা দেখা হয়নি । ওরা আসলে আমাদের এলাকায় ভাড়া থাকতো ওর বাবার চাকরির সুবাদে । তবে সেই কলেজ জীবনেই, সুমন আমাদের এলাকার এক মেয়ের ভালোবাসায় জড়িয়ে গিয়েছিল । যা পরবর্তীতে বিবাহ পর্যন্ত গড়েছে ।
আজ যখন বহুদিন পরে সুমনের সঙ্গে দেখা, তখন ওর কোলেও ছোট্ট একটা বাবু । ও আমাকে দেখেই চিনতে পেরেছে, আমিও ওকে দেখেই চিনেছি । বেশ ভালোই লাগলো , পুরনো মানুষকে আবারও নতুন করে দেখার পরে । তবে এবারের দেখাটা সম্পূর্ণ আলাদা, আমি যখন রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে রিক্সায় উঠবো ঠিক সেই সময় ওর সঙ্গে দেখা, ও তখন রেস্টুরেন্টে ঢুকবে।
ফুটফুটে একটা বাবু, তবে বয়সে আমার বাবুর থেকেও কিছুটা বড় হবে ওর বাবুর বয়স । আর সঙ্গে সেই পরিচিত মুখ, যে মেয়েকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনতাম । যার বাড়ি আমাদের এলাকাতেই । যাইহোক সুমনের এখন সরকারি চাকুরী হয়ে গিয়েছে, সে বেড়াতে এসেছে শ্বশুরবাড়িতে । ওদেরকে দেখে বেশ ভালোই লাগলো , আমি সুমন কে বললাম তোর বাবুটা অনেক সুন্দর হয়েছে , সেও আমার বাবুকে আদর করে দিল ।
ও যদিও বললো যে, আরো কিছুটা সময় আমাদের সঙ্গে এখানে বসতে পারিস , তবে সত্যিই আমার হাতে আজ বড্ড সময় কম । আমি ওকে বললাম যে, বন্ধু আজকে আমাকে একটু দ্রুত যেতে হবে , অন্যদিন না হয় গল্প করব । ওকে বললাম যে , তুই আছিস কয়দিন । ও বললো, আরো দুই সপ্তাহ । ওকে এবার আমার নতুন বাসার ঠিকানা দিয়ে বললাম , সময় করে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসিস , ভালোই গল্প হবে তখন । ও যদিও আমাকে কথা দিয়েছে, দেখি ও কবে আসে । আপাতত ওর অপেক্ষায় রইলাম ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পুরাতুন বন্ধুর সাথে নতুনরুপে দেখা হওয়া,বিষয়টা একটু বেশিই ক্রিস্পি টাইপের😁।মানুষের জীবনে চেইঞ্জ আসবে সেটাই স্বাভিবিক।
জেনে ভালো লাগলো ঘটনাটা।সময় পেলে তার সাথে কিছু আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করবেন নিশ্চয়।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া সময় সময়ের মতো চলে যাবে এটাই স্বাভাবিক। সারাদিন পরে বিকেলের ঘুরাঘুরি করার অভ্যাস অনেক ভালো। অনেক দিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হলে অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করে। যাইহোক ভাবির বাইরে খাবে, তাই হয়তো চিকেন ক্রিম পাস্তাটা খেতে পেরেছেন-হা হা হা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।
হঠাৎ করে পুরনো বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে ভালই হয়েছে ভাইয়া। আসলে পুরনো বন্ধুদের সাথে হয়তো খুব একটা দেখা হয় না। তাই হঠাৎ করে দেখা হয়ে হয়তো তার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন এবং তার পরিবারকে দেখতে পেরেছেন। শায়ান ধীরে ধীরে অনেক বড় হয়ে উঠছে। তাইতো এখন বাহিরে ঘুরতে যেতে চায়। আর আপনি তো মাঝে মাঝেই বাবু এবং আপুকে নিয়ে বাইরে বের হন দেখে ভালো লাগে। আপনার বন্ধু সজীবের রেস্টুরেন্টের লোভনীয় খাবার দেখে ভালই লাগলো।
মাঝে পরিচিত মানুষগুলার সাথে এভাবে দেখা হয়ে গেলে ভালই লাগে।তবে এই সৌভাগ্য হয়েছে ভাবির জন্য,রেস্টুরেন্ট এ খেতে না গেলে হয়তো দেখায় হতো না।আর শায়ান দেখি দেখতে দেখতে হাটাও শিখে গেল🥰।
হয়তো তোমার ভাবির কল্যাণেই সেদিন বাল্যবন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
জি ভাই প্রকৃতি তার সব রুপ সৌন্দর্য বিলিয়ে দিচ্ছে ৷ ঠিক এই সময়ে টাতে আর গ্রামে তো এখন পুরো শীত ৷
ভাই আপনি আপনার পরিবার মিলে বাইরে ঘুড়তে যান ৷এটা প্রায় পোষ্টটে দেখি ৷ আর এভাবেই পুরনো মানুষ গুলোর সাথে দেখা হয়ে যায় ৷ ওই যে কথা বলে না পৃথিবীটা গোল দেখা হলেও হতে পারে ৷ আপনার বন্ধুকে আপনার বাসার ঠিকানা দিয়েছেন ৷ খুব ভালো করেছেন ৷
গোল পৃথিবীটাতে কখন কার সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে, এটা বলা মুশকিল। হয়তো একদিন তোমার সঙ্গেও দেখা হয়ে যেতে পারে ।
পুরনো বন্ধুদের সাথে হঠাৎ করে দেখা হলে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে নিজের মধ্যে। মানুষের মধ্যে পরিবর্তনের ব্যাপারটা স্বাভাবিক, এটা সময়ের সাথে ঘটে থাকে। সবার সাথে কাটানো সময়ের যে মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তা পড়ে বেশ ভালো লাগলো, দাদা।
একদম ঠিক বলেছো ভাই, ভিন্ন রকম একটা অনুভূতি হয়েছিল সেদিন সন্ধ্যায়।
কয়েকটা বছরের মধ্যে জীবন কতটা পাল্টে যায় তাই না দাদা! এটাই হয়তো সময়ের চাকা। যা অবিরাম চলতে থাকে।পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা হলে বোঝা যায় সময় কত দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে।আগে এক ছিলো আর বর্তমানে আরেক। তবুও অনেক স্মৃতি রোমন্থন করে বেশ ভালো লাগে।যদি এই দাদা আপনার বাড়িতে আসেন তবে আবার আপনাদের আড্ডার একটা আসর দেখতে পাব আশা করি। 🙂
হুম তেমনটাই অপেক্ষা করছি, আশাকরি সেদিন বেশ ভালো একটা সময় কাটাবো।
পুরনো বন্ধুর সাথে অনেকদিন পর দেখা একটা অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়ে যাওয়াটা সহজাত। আপনারা সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগলো। সায়ান বাবুকে অনেক আদর।💞💞