দীর্ঘদিন পরে একত্রে
মোটামুটি প্রায় অনেকটা দিন পরে সবাই একত্রিত হয়েছি । গত ঈদেও সবার সঙ্গে দেখা হয়নি মূলত সেবার কেউ ঢাকা থেকে আসেনি। তবে এবার আমার বড় ভাই ও তার পরিবার বেশ দ্রুতই ঈদ করার জন্য আমাদের বাসায় এসেছে।
যদিও তারা গ্রামে যাবে তবে যেহেতু দীর্ঘ পথ ঢাকা থেকে যাত্রা করে এসেছে, তাই একটা দিন মাঝে আমার বাসায় থেকে বিশ্রাম নিয়ে, তারপরে তারা তাদের সুবিধা মতো গ্রামে যাবে। মূলত ব্যাপারটা ঠিক এরকমই।
আমার এবার গ্রামে গিয়ে ঈদ উৎসব পালন করাটা মোটামুটি কিছুটা অনিশ্চিতই বলা যায়। যাইহোক সেই ব্যাপারে আর কথা না বাড়াই। যেহেতু ভাইয়া বাসায় এসেছে দীর্ঘদিন পরে,তাই নিজের তো কিছু দায়িত্ব কর্তব্য থেকেই যায়।
যদিও ভাইয়া ভাবিকে বলেছিলাম বিকেলে আমাদের সঙ্গে বাহিরে যাওয়ার জন্য, তবে তারা দীর্ঘ এতটা পথ যাত্রা করে এসে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা বিকেলে আমাদের সঙ্গে বের হয়নি। তবে আমার ভাতিজি সে কিন্তু মোটেও ক্লান্ত হয়নি হয়তো ছোট বাচ্চারা এমনি। শায়ান বেশ খুশি হয়েছে ওর আপুকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে। প্রতিনিয়ত ভিডিও কলে কথা হয় আর আজকে সামনাসামনি দেখা, তাই ওদের ভাই বোনের আনন্দের যেন কোন কমতি ছিল না।
বিশেষ করে আমার ভাতিজি শায়ান কে নিয়ে অনেক সময় খেলা করেছিল এবং ওরা ওদের মত করে সময় কাটাচ্ছিল এবং আমাকে বলছিল আমি কিন্তু এবার ঢাকা যাওয়ার সময় ওকে সঙ্গে করে আমাদের বাসায় নিয়ে যাব, চাচু তুমি কিন্তু তখন না করতে পারবে না।
বিকেল বেলা করে বাহিরে ঘুরতে যাওয়াটা আমার অভ্যেস, আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমি ভাবলাম যেহেতু আমার ভাতিজি দীর্ঘদিন পরে এসেছে, তাই ওকে নিয়ে বাহিরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। হীরা কে বললাম, তুমি ভাইয়া ভাবীর দিকে একটু খেয়াল রাখিও, আমি পিচ্চিদের নিয়ে বাহির থেকে ঘুরে আসি।
অতঃপর তাদের নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম চাটনি রেস্টুরেন্টে। সেখানে গিয়ে কিছুটা সময় নিজেদের মতো করে কাটিয়ে, খাওয়া-দাওয়া করে অবশেষে বাসায় ফিরে এসেছিলাম । সত্যি বলতে গেলে কি, বাসায় দীর্ঘদিন পরে সবাই একত্রিত হয়েছি, ঈদ উৎসবের আনন্দ যেন এখন থেকেই নিজের ভিতরে কাজ করছে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1673666066847760390?t=An1GIGN9CqgQAZ9mxuG6Tw&s=19
ভাইয়া দীর্ঘদিন পর আপনার ভাই ভাবি ও মিষ্টি ভাতিজির সঙ্গে দেখা হওয়ার কারণে বেশ আনন্দে আছেন বুঝতে পারছি।আসলে নিজের লোকজনের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হলে আনন্দের সীমা থাকে না।দুই ভাইবোন বেশ আনন্দে আছে।আপনার তো দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এটা সত্য কথা আপু, যে আমরা আসলেই বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছি। কারণ দীর্ঘদিন পরে ওদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বুঝতে পারার জন্য।
আপন রক্ত যখন কাছে এসে দাঁড়ায় তখন মনের ভিতরে যে কি কাজ করে সেটা বুঝানো বড় মুশকিল। আপনার অনুভতিটা বেশ ভালোই আমি অনুভব করতে পারছি। জানিনা কেন এবার আপনার বাড়িতে যেয়ে ঈদ করা হবে না। তবে গেলে মনে হয় ঈদের আনন্দটা বেশ বেড়েই যেত। আর শায়ান কে পেয়ে তো আপনার ভাতিজী বেশ আনন্দ অনুভব করেছে। আপনার আনন্দ দেখে আমার ও বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
হ্যাঁ এই ঈদে বাড়িতে গেলে বেশ ভালই হতো, তবে এখনো তো ঠিকঠাক বলা যাচ্ছে না দেখি কি হয়।
আপনার ভাতিজিকে পেয়ে আমাদের প্রিয় শায়ান বাবু যে আনন্দিত হয়েছিল এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে আমার। একই সঙ্গে আপনার ভাতিজিকে খুবই কিউট দেখাচ্ছে। আর ঈদ উপলক্ষে বড় ভাই ও ভাবীর মতো আপন জনেরা যদি বাড়িতে আসে তাহলে ঈদের আনন্দের মাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। যাহোক আমি আশা করি, আপনি আপনার পরিজনদের নিয়ে অত্যন্ত আনন্দের সাথে এবারে ঈদ উদযাপন করতে সক্ষম হবেন।
এটা সত্য যে শায়ান আসলেই ওর আপুকে পেয়ে বেশ খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
শায়ান এবং আপনার ভাতিজীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে তারা দুইজন কতটা খুশি ছিলো একে অপরকে পেয়ে। আসলে বাচ্চারা খেলার সাথী পেলে বেশ আনন্দ পায়। আপনি বিকেলবেলা তাদের দুজনকে নিয়ে চাটনি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন। এটা খুব ভালো হয়েছে। কারণ এতে করে তারা আরো বেশি আনন্দিত হয়েছিল মনে হচ্ছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।