মৌসুমের প্রথম লিচু কেনার অভিজ্ঞতা || @shy-fox 10% beneficiary
অভিজ্ঞতার আলোকপাত করতে ভালোই লাগে । প্রতিনিয়ত কত কিছুই তো আশেপাশে হচ্ছে, কত কিছুই তো দেখছি । অনেকটা শুধু শিখছি আর অভিজ্ঞতা অর্জন করছি আর লিখে ফেলছি । সত্যি বলতে কি আমি যেমন জীবন নিয়ে লিখতে পছন্দ করি , তেমন নতুন নতুন অভিজ্ঞতা হলে বেশ ভালই লাগে । এইতো যেমন আজকে সন্ধ্যেবেলায় ভিন্ন রকম একটা অভিজ্ঞতা হয়ে গেল ।
আসেন ভাই আসেন , বাইছালন শুধুমাত্র দুইশো
সেকি চিৎকার, মনেহয় পুরো এলাকা একদম গরম করে তুলেছে। কত লোকজনের কত রকম কারবার। শুধুমাত্র হাঁক-ডাক চলছে । কে কিভাবে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করবে তার যেন একটা প্রতিযোগিতা চলছে । যে যেভাবে পাড়ছে , সেইভাবেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । আসলে এদের কোন দোষ নেই, এরা যা করছে জীবিকার জন্য করছে ।
জায়গা ভেদে জীবন যেমন আলাদা , তেমনই জীবিকার চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন । এটা আমি যেহেতু দেখি , তাই হয়তো এমন ভাবেই বললাম ।
এবছর এখনো লিচু কেনা হয়নি । যেহেতু মৌসুমী ফল, তাই ভাবলাম বাসার জন্য কিছুটা কিনে নিয়ে আসি । যদিও আমার ফলের প্রতি খুব একটা আগ্রহ নেই , তবে যেহেতু বাসায় ছোট বাচ্চা এবং বাচ্চার মা আছে, তাই ওদের কথা চিন্তা করেই বাসায় থেকে বের হয়েছি । সন্ধ্যের পরে চারমাথা এলাকাতে বেশ ভিড়ভাট্টা থাকে । কারণ ওখানে বেশ ফলের দোকান হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে । তাছাড়াও বিভিন্ন দিক থেকে বড় বড় গাড়ি চলে আসে এবং যাত্রীরা সেখানে নামে, যার কারণে ফলের দোকানদাররা সেখানে সাময়িক একটা ফলের বাজার বানিয়ে ফেলেছে ।
মূলত ফল ব্যবসায়ীদের টার্গেট থাকে বাস থেকে যে সকল যাত্রী নামছে, তাদেরকে কেন্দ্র করেই । কারণ যেহেতু এখানেই সকল যাত্রীরা নেমে যায়, তাই এখান থেকেই যাত্রীরা পরবর্তীতে যে যার গন্তব্যে চলে যায় । তাই মূলত ফল বিক্রেতারা চেষ্টা করেছে এখানেই বাজারটা বসানোর জন্য ।
দিনশেষে সবাই চায় একটু প্রিয়জনের জন্য বাড়িতে ফল কিনে নিয়ে যেতে । যাইহোক এতে বিক্রেতাদের আমি দোষের কিছু দেখছি না । তারা কেজিতে যদি সঠিক পরিমাণ দেয় এবং ফরমালিন মুক্ত ফল দেয় এবং সঠিক দামে ফল বিক্রি করে, তাহলে তাদের ব্যাবসাতে ব্যাঘাত ঘটুক এমনটা আমি কখনোই চাইনা ।
তবে আমি অনেক সময় দেখেছি, এইসব ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপর বহু ক্ষমতাসম্পন্ন স্যুটেড-বুটেড লোকজনের আলগা ফায়দা নিতে । তাদের কথা আর বলতে চাই না । কারণ এমন ফায়দাবাজ লোকজন চতুর্দিকে নর্দমার কীটের মতো কিলবিল করছে ।
স্বাধীন আমাকে দেখে কাছে ডাকলো । ও আমার পূর্ব পরিচিত , একই এলাকাতে থাকি । ছেলেটা পড়াশোনার পাশাপাশি, ফল বিক্রি করে । আমাকে বলল ভাই, ভাতিজার জন্য লিচু কিনবেন না । আমি হেসে বললাম, তোর ভাতিজার জন্য লিচু কিনতেই তো এসেছি ।
এমনিতেই বিকেল থেকে বৃষ্টি হয়েছে । যার কারণে সন্ধ্যার দিকে এই এলাকাতে এসেছি । আজ এই এলাকায় লোকজনের সমাগম অনেকটাই কম । বুঝতে পারছি যে, ফল ব্যবসায়ীদের ব্যবসার অবস্থা অনেকটা নাজুক যাচ্ছে । চতুর্দিক থেকে আমাকে ডাকছে , ভাই লিচু নিয়ে যান ভাই লিচু নিয়ে যান ।
এক একটা ডাক যেন আমার হৃদয়ে বিঁধছিল । কি একটা অবস্থা, সবার কাছ থেকে তো লিচু কেনার পয়সা এই মুহূর্তে তো আমার কাছে নেই । সেকি করুন ডাক, এখনো যেন আমার কানে লেগেই আছে । মাঝে মাঝে প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করতে হয় হয়তো অবস্থার উপর নির্ভর করে । যাইহোক অবশেষে স্বাধীনের সঙ্গে কথা বললাম এবং একগোছা লিচু কেনার চেষ্টা করলাম ।
হয়তো হুট করে আরেক সন্ধ্যায় এসে,অন্য জনের কাছ থেকে আরেকটু লিচু কিনে নিয়ে যাব । হয়তো এভাবেই মোটামুটি আট-দশটা দোকানের লিচু কিনে তাদের করুন ডাকের সমাপ্তি ঘোষণা করব । আপাতত আমাকে মাফ করো ভাই, তোমাদের করুন ডাকে আমি সাড়া দিতে পারছিনা ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাই সেদিন গুলিস্তান গিয়েছিলাম একটু কাজে। রাস্তার পাশে ভিড় জমে গেছে দেখি লিচুতে। আর সেইম ভাবে সেখানেও লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ডাকা ডাকি করছিলো। আপনার পোস্ট পড়ে মনে পড়ে গেলো।
তবে ভাই, এখানে অনেক দোকানে দেখবেন।, ১০০ লিচু বলা হলেও সেখানে ৫-৭ কম পাওয়া যায়। ইউটিউবে এ নিয়ে কিছু ভিড়িও দেখেছি। তবে সবাই এই কাজ করে না। কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই কাজ করে থাকে। তবে যাইহোক, আপনার হাতের লিচু গুলো টাটকা আছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার লিচু কেনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম।
অভিজ্ঞতাও কিন্তু জায়গা ভেদে আলাদা ভাই । তবে আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগল।
ভাইয়া মৌসুমী ফল লিচু এবার রাঙামাটিতে খেলাম কি অসাধারণ স্বাদ।ফরমালিনমুক্ত লিচু গুলির সাথে যেন এখনো লেগে আছে যিহোবার মধ্যে।তবে রাঙামাটি লিচুগুলো আকারে খুব বেশি বড় হয় না।তবে রসে টইটম্বুর।খুব মজা করে গিয়েছিলাম আমরা বরকল উপজেলায়।
তবে আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে আমার কাছে যতটা ভালো লেগেছে ততটাই সেই লিচু বিক্রেতাদের জন্য খারাপ লেগেছে।তবে আপনার ভিতরে যে মনুষত্ববোধ যে মানবতা জাগ্রত হয়েছে। তা আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে।জয় হোক মানবতার জেগে উঠুক মনুষত্ববোধ।♥♥
গ্রীষ্মকালীন মৌসুমী ফলের ভিতর সব ফলের মধ্যে আমার সবচেয়ে প্রিয় ফল আজ আপনি শেয়ার করেছেন।সেই সাথে অনেক অনুভূতি ও শেয়ার করেছেন। আসলে ফল বিক্রেতারা বাসের সামনেই বেশিরভাগ অপেক্ষা করে কারণ এতে যাত্রীদের কাছে একসাথে অনেক ফল বিক্রি করা যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে মৌসুমী ফল লিচু সম্পর্কে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
এইটা ঠিক বলেছেন আপু । এমনটাই তো দেখছি প্রতিনিয়ত। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আমার খুব পছন্দের ভাই আর আমার বাসায় এসব ফল খেতে সবাই পছন্দ করে। তো মাঝে মাঝেই নেওয়া হয় তবে আপনি একটি কথা ঠিক বলেছেন। আসলে কোন কিছু নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আমারও ভালো লাগে আর আপনি মাঝে মাঝে এসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন এজন্য আপনার পোস্ট করতে বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লিচু কেনার অভিজ্ঞতা আমাদেরর মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই আপনারা আছেন বলেই আমি বারবার লেখার জন্য অনুপ্রেরণা পাই ।
ভাসমান ব্যবসায়ীরা এমনই ভাই।এতো সুন্দর সুরে তারা ডাকে যেন,কর্নপাত না করে থাকা যায়না।কিন্তু,সবাইকে তো সাড়া দেওয়া সম্ভব না।
এক এক সন্ধ্যা নাহয় একেজনেরই হোক।ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য 🖤
হুম তেমনই করা লাগবে হয়তো । তা তাছাড়া তো উপায় নেই।
এই সিজনে এখনো একদিনো লিচু কিনে এনে খাওয়া হলো না। তবে খুব শীঘ্রই বাজারে দিনাজপুরের লিচু উঠলে কিনে এনে খাব।
আর এখন বাজারে গেলে সত্যিই ব্যবসায়ীদের ডাকহাঁকের কারণে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। সবার কাছ থেকে কি আর লিচু কেনা সম্ভব৷ যাইহোক ঠিকই বলেছেন ভাই একেক দিন একেক জনের কাছ থেকে কিনবেন এতে সবার ডাকহাঁক পূরণ করে দেয়া হবে।
হয়তো আট থেকে দশটা দোকান এই জন্য হয়তো এমনটা ভাবছি ,বেশি হলে তো মুশকিলে পড়ে যেতাম। তবে আপনার লিচু খাওয়ার শখ পূরণ হোক এই কামনাই করছি ।
ভাই গাইবান্ধা, রংপুর, রাজশাহী মোটকথা উত্তরাঞ্চলে লিচুর দাম অনেক সস্তা। 200 টাকা দরে যে লিচু গুলো বিক্রি হচ্ছে আমাদের এখানে নিঃসন্দেহে তা 300 থেকে 400 টাকা দাম। গতকাল 2০০ লিচু কিনলাম ৭00 টাকা দিয়ে। বোঝেন তাহলে অবস্থা। যাই হোক ফলের এই মৌসুমে কিছু লোক ব্যবসা করে খাচ্ছে এটাই বড় কথা। আর যারা এ সমস্ত লোকদের উপর আলগা বাটপারি আর মাতব্বরি করে বেড়ায় তারা মানুষ নামের কলঙ্ক।
এইটা সত্য কথা যে আমাদের এই দিকে তুলনামূলক কম টাকায় বেশ ভালোই লিচু পাওয়া যায় ভাই । তবে ফায়দাবাজ লোক তো প্রচুর। কি একটা অবস্থা ।
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে খেটে খাওয়া মানুষের করুণ দুর্দশার চিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। একদম ঠিক বলেছেন বৃষ্টির দিনে ফলের দোকান গুলোতে ক্রেতা কম থাকার কারণে অনেকসময়ে লোকসান করে বিক্রি করতে হয়। আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি আপনি ভালোভাবে জানেন রংপুর অঞ্চলে হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। আমি একদিন বিকালে আমের পাইকারি মার্কেটে গিয়েছিলাম হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় যে আম ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে সেটা নিমিষেই ২৯-২৫ টাকায় নেমে আসলো । কম দামে পেয়ে আমিতো মহা খুশি কিন্তু পরক্ষণেই বুঝতে পারলাম তোদের লোকসানের কথা পরে খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক ভাইয়া আপনার হাতের লিচুগুলো দেখে মনে হচ্ছে এখন ভালই পেকে গিয়েছে। আমাকেও আজকে কিনতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হাঁড়িভাঙ্গা আম খাওয়ার কয়েকবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল ভাই । এইটা সত্য কথা বৃষ্টির দিনে ফল ব্যবসায়ীদের অবস্থা নাজুক হয়ে যায় ।
আসলেই আমরা যখন বাজারে কোন কিছু কিনাকাটা করতে চাই তখন আশেপাশের দোকানদার এমনভাবে আমাদের আপা আপা বলে ডাকে বিশেষ করে যখন নিউমার্কেট, গাউছিয়া তে যাই।যেন আমি সবার কাছ থেকে কিনতে হবে। নিজের পছন্দ মত সবকিছু দেখতে হবে তাই না। আপনি আপনার লিচু কেনার অভিজ্ঞতা খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আমাদের অবশ্যই সিজনাল ফল খাওয়া উচিত আর লিচু হচ্ছে আমাদের আমের পরেই জনপ্রিয় বলা যায়। এখন এমন একটা মৌসুম যখন হরেক রকমের ফল পাওয়া যাবে। তবে পরে কোন সন্ধ্যায় এসে আবার অন্য কারো কাছ থেকে লিচু কিনবেন বিষয়টি ভালো লাগলো। কারণ আপনি ভাবছেন সবার কিছু হক থাকে যা আপনার পালন করা উচিত।
এইটা সত্য যে লিচুর জনপ্রিয়তা আমাদের এলাকায় বেশ । তবে আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে ভালই লাগলো আপু ।
ভাই আজকে আপনার পোস্টটি সত্যি একদম বাস্তব মুখী ছিল। গতকাল আমিও লিচু কিনতে বাজারে গিয়েছিলাম। বাজারে অনেকেই এখন লীচু বিক্রি করছে। মৌসুমী ফল লিচু আমার খুবই প্রিয়।অনেকেই বিক্রি করছে, আমি বাজারে গিয়েছিলাম আমার পরিচিত কয়েকজন আমাকে ডাকলো এবং পাশের সবাই বললো যে আসে, আমার থেকে নিন।আসলে তাদের এই ডাক গুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়। যাই হোক আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করলেন এবং আপনার পরিচিত একজনের কাছ থেকে কিনলেন এবং পরবর্তীতে আপনি এসে আবার প্রত্যেকের থেকে কিনবেন, এখন আপনি তাদের ডাকে সাড়া দেননি কিন্তু পড়ে দিয়ে যাবে, সত্যি আপনার এই চিন্তা ভাবনা গুলো আমার খুবই ভালো লাগে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই , পরিচিত লোক যদি বেশি হয় সেই ক্ষেত্রে আরো ঝামেলা বেশি হয়ে যায় ।