বেড়ে উঠুক বাপজান || @shy-fox 10% beneficiary
আজ একটু ফিরে দেখা অতীত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি । ঘটনাটা ২০২১ সালের আগস্টের ২৮ তারিখ । ঐদিন আমি প্রথম বাবা হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করেছিলাম । সত্যি বলতে কি , প্রতিটি পুরুষ মানুষের জীবনে হয়তো এরকম মাহেন্দ্রক্ষণ আসে । সেই অনুভূতি আসলে হাজার লিখে ও বলেও প্রকাশ করা বেশ কঠিন হয়ে যায় । কারণ যেটা ঘটে যায় সেটা আসলে লিখে বা বলে প্রকাশ করা বেশ কষ্টকর । আসলে যার সঙ্গে ঘটনা ঘটে, সেই শুধুমাত্র উপলব্ধি করতে পারে ।
আমাদের বিবাহের তৃতীয় বছরে আমার প্রিয়তমা স্ত্রী প্রথম সন্তান জন্ম দেয় । তবে তার আগে যে আমরা চেষ্টা করি নি ব্যাপারটা কিন্তু তা নয় । হয়তো নিয়তি সেইভাবে সহায় হয় নি । বিষয়টা এমন যে, আমার স্ত্রীর বিগত সময়ে দুবার গর্ভে সন্তান এসেছিল । তবে দুইবারই স্বভাবজাত কারণে এবরশন হয়ে যায় । ঐ দুইবার যে আমি কি পরিমাণ মানসিক চিন্তায় ছিলাম ও আমার সময় গুলো যে কি পরিমাণ কষ্টে কেটেছে, তা বলা খুব কঠিন এবং তাছাড়াও আমার প্রিয়তমা স্ত্রীর সেই সময় কিছু শারিরীক সমস্যাও দেখা দিয়েছিল । তারপরেও আমরা দুজনে মানসিকভাবে বেশ পরিপক্ক ছিলাম ।
অতঃপর শায়ান যখন গর্ভে আসে, তারপর থেকে টানা এক বছর আমি শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম । কারণ আমি চাচ্ছিলাম না যে এবার কোন কিছু হোক এবং প্রতিনিয়ত নজরদারিতে রাখতাম এবং আমি নিজেই অনেকটা নার্সের ভূমিকা পালন করেছি । তাকে সেবা করা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে ।
যদিও বেশ কয়েকবার কঠোর ফলোআপে রেখে ছিলাম এবং তারপরেও সব রিপোর্ট গুলো ঠিকঠাক ছিল কিন্তু ক্রমাগত একটা অজানা ভয় তাও লেগেই ছিল । কারণ বিগত সময়ের অনাকাঙ্খিত ঘটনার যেন নতুন করে পুনরাবৃত্তি না হয় , সেই বিষয়ে বেশ সজাগ ছিলাম । প্রতিনিয়ত আমার কলিগদের সঙ্গে কাউন্সিলিং করতাম এবং তাদের পরামর্শে চলতাম কিন্তু মেইন জটলাটা পেঁকে গিয়েছিল একদম শেষের সময়ে এসে ।কারণ আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট প্রতিনিয়ত একটু এলোমেলো হয় এটাই স্বাভাবিক এবং সবকিছু রিপোর্ট মতো হবে না, এটাও কিন্তু নিতান্তই স্বাভাবিক ।
তবে বেশি সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে গিয়েছিলাম আমার পারিবারিক চাপের কারণে । তারা বলেছিল যে সবকিছু টাইম মোতাবেক হবে এবং স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু আমি আসলে যেহেতু নিজের চিন্তাধারাকে বেশি প্রাধান্য দেই এবং নিজেই যেহেতু মেডিকেল প্রফেশনের মানুষ , তাই কম বেশি ধারণা কিছুটা হলেও নিজের ভিতরে রাখি । আমার সিনিয়র কলিগদের সঙ্গে যখন ফোনে কাউন্সিলিং করেছিলাম, তারা আমাকে বলেছিল যেহেতু বিগত সময়ের কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আছে তাই এবার যেন সেই গুলোর পুনরাবৃত্তি না হয় , এজন্যই মূলত সিজার করার পরামর্শ দিয়েছিল । তাছাড়াও আমিও চাচ্ছিলাম যে , সবকিছু যেন ভালোভাবে হলেই হয়ে যায় ।
নানান লোকের নানান মত । বিশেষ করে পরিবারের লোকজনের মধ্যেই এলোমেলো চিন্তাভাবনা কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত একটাই, আমি এবার কোন ঝুঁকি নিতেই চাই না । আমি আমার কলিগের সঙ্গে কথা বললাম, তারা আমাকে বলল রিপোর্ট অনুযায়ী এখন দুই তিন দিন বাকি আছে । তবে যে কোন সময় ব্যথা উঠতে পারে আর তুমি যেহেতু তোমার ওয়াইফকে নিয়ে গ্রামে থাকো, হুট করে যদি মাঝরাতে ব্যথা ওঠে তাহলে তোমার ক্লিনিকে আসতে বেশ বেগ পেতে হবে এবং মোটামুটি তারা বলল যে, তুমি চাইলে এই সময় সিজারটা করে নিতে পারো, তাহলে ঝুঁকির পরিমান আরো কিছুটা কমে যাবে ।
আমার নিজের বাবা-মার সঙ্গে কথা বললাম, তবে তারা চাচ্ছিল যে সরকারি হসপিটালে ভর্তি করে সময় নিয়ে দেখার জন্য । তারা বারবার বলছিল যেহেতু ব্যথা ওঠেনি, তাহলে অপেক্ষা করো । তবে অন্যদিকে যখন আমার সিনিয়র কলিগরা ভিন্ন মন্তব্য পোষণ করেছে, তখন আমি আসলে আমার বাবা-মার কথায় খুব একটা কর্ণপাত করি নি ।
২৮ আগস্ট ২০২১, সকাল বেলা অফিসে এসেই মূলত বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে দিলাম এবং তারপরে কলিগের চেম্বারে এসে আবারো আল্ট্রাসনোগ্রাম করলাম এবং দেখলাম যে সব কিছু ঠিকঠাক আগের মতই আছে । বাবুর পজিশন এবং অন্যান্য যে স্বাস্থ্যগত ব্যাপার থাকে এবং বাবুর মায়ের যে স্বাস্থ্যগত ব্যাপার থাকে, সেগুলো সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে । আমি আমার কলিগকে বললাম, আমি মানসিকভাবে পরিপক্ক হয়েছি যে, আমি সিজারের দিকে অগ্রসর হতে চাই ।
তারপরেও একটা ব্যাপার, বিশেষ করে যখন হাতে একটা পেপার চলে এসেছিল । মূলত যেটা আপনারা সকলেই জানেন, যদি অপারেশনের সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটে যায়, সেটার জন্য কর্তৃপক্ষের কোন দায়িত্ব থাকবে না । সেই পেপারটাতে যখন আমি সিগনেচার করতে যাব, তখন মানসিকভাবে বেশ চিন্তা পড়েছিলাম । তারপরেও আমি আমার কলিগদের উপর বেশ ভরসা পাচ্ছিলাম । কারণ আমি নিজে এই ক্লিনিকে কমপক্ষে ৫০০ এর উপরে ডেলিভারি অ্যাসিস্ট করেছি । যাইহোক অবশেষে স্বাক্ষর করে দিলাম । তারপরে আমি নিজে অপারেশনের সময় ওটি রুমে দাঁড়িয়ে থেকে, বাবুর জন্মগ্রহণের ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছি ।
সন্ধ্যার একটু আগেই ঐদিনও বাহিরে বেশ ভালোই বৃষ্টি পড়ছিল। আজকেও কেন জানি বেশ ভালই বৃষ্টি পড়ছে বাহিরে । এ কেমন নিয়তির খেলা । ওটি রুমের ভিতরে মুহূর্তেই কান্নার আওয়াজ। শায়ান পৃথিবীতে চলে এসেছে । আমি প্রথম বাবা হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করলাম । চোখের কোণ দিয়ে বারবার জল গড়িয়ে পড়ছে । এটা আনন্দের, এটা আমি বুঝতে পারছি । হীরার হাতটি আমি তখনো শক্ত করে ধরে ছিলাম । অপারেশন রুমের ভিতরে আমার কলিগরা বলল , শুভ তাড়াতাড়ি মিষ্টির ব্যবস্থা করো । তুমি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছো ।
দেখতে দেখতে একটি বছর যে কিভাবে কেটে গেল তা বলা খুব মুশকিল । যদিও আমি বিগত কিছুদিন আগে, নিজের মতো করে সময় কাটিয়েছিলাম বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আর গতকাল কে পরিবার পরিজন বন্ধুবান্ধব সবাইকে নিয়ে সময়টা কাটালাম । সর্বোপরি হয়তো ফেলে আসা দিনগুলো খুব একটা সহজ ছিল না । বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে নিজের সঙ্গে এবং কিছু মানুষের মানসিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার কথা, আমি কখনোই ভুলতে পারবো না ।
তারা বেশ ভালোভাবে আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করে গিয়েছে এবং তাদের কাছে আমি সত্যিই বেশ কৃতজ্ঞ । এক বছরের ঘটনা কি আর কয়েকশো শব্দের মধ্যে লিখে প্রকাশ করা সম্ভব
। ঐ যে বললাম , যার সঙ্গে ঘটনা গুলো ঘটে সেই বোঝে সময় গুলো কেমন ছিল । তারপরেও আমি নিজের কাছে নিজে বেশ কৃতজ্ঞ যে , আমি একজন বাবা আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি আমার সন্তান ও পরিবারের জন্য সর্বোচ্চটুকু চেষ্টা করার ।
আজ বাবুর প্রথম জন্ম বার্ষিক হয়ে গেল । ওর জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন । ও যেন মানবিক গুণে মানুষ হয়ে উঠতে পারে । বেড়ে উঠুক বাপজান আমার সুস্থ ও সুন্দরভাবে । একজন পিতা হিসাবে, আমি এমনটাই প্রত্যাশা করছি ।
পরবর্তী পর্বে ভিডিও শেয়ার করব । সেখানে আমার কিছু পারিবারিক মুহূর্ত দেখানোর চেষ্টা করব এবং আজকের দিনটা কেমন ছিল, সেটার কিছু মুহূর্ত তুলে ধরব । হয়তো ভালো লাগবে আপনাদের। অপেক্ষায় থাকুন ততক্ষণ পর্যন্ত ।
ধন্যবাদ সবাইকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ছোটো বাবুকে অনেক অনেক আদর আর জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। তিন জন কে লাল রঙে গোলাপ ফুলের মত লাগছে । আপনাদের তিনজনের ছোট্ট সংসারের ভালোবাসা আরও গভীর হোক।সকলে সুস্থ থাকুন। অনেক অনেক শুভ কামনা।
তোর মন্তব্য ভাল লেগেছে রে , তুই দেখতে চেয়েছিলি সবাইকে লাল রঙের কাপড়ে । যাইহোক শুভেচ্ছা রইল।
শায়ন বাবুর জন্মদিনে শায়ন বাবুর মা-বাবার অনেক ইতিহাসই জেনে ফেললাম। আপনার কথা গুলোর মাধ্যমে অনেক মানুষ উৎসাহ পাবে। যেমন আমি প্রতিনিয়ত আপনার পোষ্ট পড়ি। কারন আপনারর পোষ্ট পড়লে নিজের মাঝে একটি শক্তি আসে। যায়হোক শায়ন বাবুর জন্য আশির্বাদ রইল। ধন্যবাদ।
প্রথমেই শায়ান বাবুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। বাবু যেন সব সময় সুস্থ থাকে এবং মানুষের মতো মানুষ হয় এই দোয়া করি। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে ভাবির গর্ভে এর আগে দুইবার বাচ্চা এসে ছিল, কিন্তু দুঃখের বিষয় এভারশন হয়ে যায়। তখন আপনার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। সেটা পুরোপুরি বুঝতে পারলাম। যাইহোক যখন আবার বাচ্চা আসলো তখন একটা বছর পুরা আপনি শ্বশুরবাড়ি ছিলেন এবং নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আসলে আপনি সবসময় দায়িত্ববান আর এই দায়িত্ববান কাজে-কর্মে এবং ফ্যামিলির উপরে সব সময় সমান ভাবে আপনি করে থাকেন। আজকে বাবুর জন্মদিন এই বিষয়গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি অজানা তথ্য জানতে পারলাম এবং একজন বাবা হওয়ার যে আনন্দ সেটা আপনার পোস্ট পড়ে অনুভব করতে পারলাম। আপনাদের সবার জন্য সুস্থতা কামনা করছি ভাই।
দেখতে দেখতে সায়ান বাবুর বয়স এক বছর পার হয়ে গেল।। সায়ন বাবুর জন্য বুক ভরা ভালবাসা রইল।। সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক অনেক প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে সর্ব অবস্থায় পৃথিবীতে ভালো রাখে।। খুব ভালোভাবে হাসি আনন্দের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছেন সত্যিই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।।
ভালোবাসা অবিরাম ভাই । বেড়ে উঠুক আপনাদের আশীর্বাদে বাপজান আমার ।
পুরো কাহীনিটা পড়লাম। বুঝলাম আবার যেন কোন অঘটন না ঘটে তাই সিজারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাইহোক শায়ান যেন সুস্থ ও দীর্ঘদিন বেছে থাকে সেই প্রার্থনাই করি। পরিবারের সকলের জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে সবকিছুই মহান সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আসে ভালো-মন্দ দুটোই।তারপরও সাবধানতা থাকা ভালো। তাই কোন সমস্যা যেন না হয় তাই আপুকে সিজার করিয়েছেন। শায়ানের জন্য অনেক অনেক দোয়া কামনা করি। আল্লাহ তা'আলা যেন শায়ানকে সুস্থতা দান করেন এবং মানুষের মত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারে এই দোয়া কামনা করি। এবং সকলের জন্য দোয়া কামনা করি ধন্যবাদ।
যখন প্রিয় আপন মানুষ অপারেশন থিয়েটারের ভেতরে থাকে তখন তার জন্য অপেক্ষা করা এর চেয়ে কঠিন সময় পৃথিবীতে আর কোন সময় হতে পারে না। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। যাই হোক আমাদের সকলের প্রিয় শায়ার সুস্থভাবে এই পৃথিবীতে এসেছে এবং বেড়ে উঠছে এটাই অনেক। আপনার বাবা হওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং সেইসাথে জন্মদিনে কাটানো মুহূর্ত তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ভিডিওগ্রাফির অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ঐ মুহূর্তটা বেশ কঠিন ছিল হাতে সময় অল্প ছিল কিন্ত কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল আপু ।
সত্যি ভাইয়া বাবা হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে আপনার লেখাগুলো পড়ে বুঝতে পারছি বাবা হওয়ার অনুভূতি সত্যি অনেক আনন্দের। শায়ান বাবুর জন্মদিনে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছেন ভাইয়া। সেই সাথে অতীতের অনেক কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং আমাদেরকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️
এইটা এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা ভাই । যা মুখে বলে ও লিখে প্রকাশ করা যায় না ।
অসম্ভব শক্ত মনোবলের মানুষ আপনি। সাথে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ছোট এই সুখী পরিবারের জন্য শুভেচ্ছা রইল। সেই সাথে ছোট আব্বুর প্রথম জন্মদিনের অফুরন্ত শুভেচ্ছা। ।। শুভ জন্মদিন।।
কিছুই করার ছিল না ভাই , হয়তো নিয়তি বাধ্য করেছে ।
ভাই আপনার বাবা হওয়ার পুরো স্টোরি পড়ে আবেগী হয়ে গেলাম। প্রথম বাবা হওয়ার অনুভূতি কেমন জানি না তবে আপনার স্টোরি পড়ে কিছুটা ফিল করলাম। যাইহোক, আমাদের শায়ান বাবু দেখতে দেখতে বড় হয়ে যাচ্ছে। এটা তার প্রথম জন্মদিন। শায়ান বাবুকে তো কিছু উপহার দিতে পারলাম না। তবে মন থেকে অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো শায়ানের জন্য। ❣️❣️
তোমার ডিজিটাল আর্ট আমার বেশ পছন্দ হয়েছে । তোমার জন্য ভালোবাসা রইল।