সাক্ষাৎ
আমি মানুষের প্রশংসা করি খুব ভেবে চিন্তে । কেন করি , তাও জানিনা । তবে মানুষ বুঝে প্রশংসা করতে আমার ভালোই লাগে । আর যদি প্রশংসা করা একদম কার্যকর জায়গায় হয়ে যায়, তাহলে তো প্রশ্নই আসে না ।
এই যে জাহাঙ্গীর ভাই, এই সহজ সরল মানুষটা বেশ অতিথিপরায়ণ । যাকে নিয়ে যদি দুটো কথা বললে হয়তো সেটা একটু কমতি হয়ে যাবে । তাকে আমি কোনোভাবেই আগে থেকে চিনতাম না । হয়তো যদি আজ বাল্যবন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে না যেতাম, তাহলে মনেহয় তারসঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠতে আরও অনেকটা সময় লেগে যেত।
সূত্রপাতটা আসলে ছোট্ট একটা কথোপকথন থেকে । সময় আসলে সব কিছুই বলে দেয় , হয়তো এই কথাটা যদি ভদ্রলোক না বলতো । তাহলে হয়তো আজ আর তার সঙ্গে কথা দীর্ঘায়িত হতো না । এমন উন্মুক্ত ভাবে যে তাকে নিয়ে লিখতাম ,সেটাও হয়তো আমার চিন্তাতেই আসতো না ।
আমি ইচ্ছা করেই কথা শুনি কান পেতে, আক্ষরিকভাবে বুঝে তারপরে তো মন্তব্য করি । হয়তো সেই জায়গা থেকে তাকে আমার বেশ ভালো লেগেছে । এজন্য দুটো কথা বলে যদি, আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় , তাহলে তো সমস্যা দেখছি না ।
গ্রামীন অঞ্চলে দুটো দিনের জন্য ঘুরতে এসেছি, অনেকটা মানসিক প্রশান্তির জন্য । সেই কংক্রিটের চার দেয়ালের মাঝে থেকে থেকে আজকাল বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি । ইচ্ছে করেই বিকেল বেলা মন চেয়েছিল , বাল্যবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে । তাদের বাড়ির উঠোনে গিয়ে যখন আমি উপস্থিত হয়েছি , তখন আমার বাল্যবন্ধু অনুপস্থিত । হয়তো তার অনুপস্থিতি আমাকে এই বাস্তবিক মানুষটার সঙ্গে পরিচয় হতে বেশ সহযোগিতা করেছে ।
লিমনের যে বড় ভাই ছিল , তা আমার জানা ছিল না । তবে সে যখন সবিনয়েই বলল , আমি ওর খালাতো ভাই । আপনি বাড়ির ভিতরে আসতে পারেন । বেশ গোছানো কথা, মানুষের প্রথম দর্শনটা হয়তো তার ব্যবহারেই হয়ে থাকে । ইচ্ছে করেই বাবুকে নিয়ে ঢুকে পড়লাম সেই বাড়িতে । যদিও আমার বাল্যবন্ধু ছিলনা , তারপরেও কোনোভাবেই তার অনুপস্থিতি , সে আমাকে বুঝতে দেয়নি । অনেকটা বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম ।
আমি মানুষ খুঁজি আর মানুষ দেখি । বেশ আগ্রহ বেড়ে গেল , আরো কিছুটা সময় ইচ্ছে করেই থেকে গেলাম । তার সেই গোছানো কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগছিল । আমার আসলে অফুরন্ত সময় , কোন তাড়াহুড়ো নেই । হয়তো সঙ্গে বাবু না থাকলে , এই অবেলায় আরো অনেকটা সময় তার সঙ্গে গল্প-গুজব করে কাটিয়ে দিতাম ।
ইচ্ছে করেই যখন ছবি তোলার আগ্রহটা প্রকাশ করলাম , সে সবিনয়েই প্রস্তাবটা গ্রহণ করেছিল । অতঃপর গ্রামীন পরিবেশে কিছুটা সময় একত্রে পায়চারি । মুঠোফোনে বন্দি করে ফেললাম মুহূর্তটা ।
ব্যবধান হয়তো শুধুমাত্র বয়সেই । তবে যখন কথোপকথন একত্রিত হচ্ছিল , সেগুলোর যেন অন্তমিল প্রতিনিয়ত আমি খুঁজে পাচ্ছিলাম । এই গতানুগতিক জীবনধারাতেও যে নিজের মতের সঙ্গে অন্য মানুষের মতের কিছুটা মিল থাকতে পারে, সেটা যেন আবারও স্বচক্ষে পরখ করে নিলাম । ক্রমাগত কথা দীর্ঘায়িত হচ্ছিল আর বারবার যেন অন্তমিল খুঁজে পাচ্ছিলাম ।
আজকাল তো নিজের অবস্থান থেকে কেউ অন্য মানুষের জন্য স্বাচ্ছন্দেই ভাবছে , হোক সেটা নিজের বা বাহিরের লোকজন কে নিয়ে । এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বড্ড কঠিন। পারিপার্শ্বিক অবস্থায় যখন এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় , তাদের কে আমার প্রকৃত মানুষ বলতে , কোন দ্বিধাগ্রস্থ হয় না ।
খুবই অল্প সময়েও যে মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠা যায় , তা মনেহয় আবারও বাস্তব প্রমাণ পেলাম জাহাঙ্গীর ভাইয়ের কাছ থেকে । আজকের এই সন্ধ্যায় দুজনে বেশ প্রাণবন্ত একটা সময় কাটালাম । যেখানে শুধুই ছিল যুক্তি , চিন্তাভাবনা আর সহজ-সরল ভাবে সবকিছু উপস্থাপনা করা । এখন যখন সেই মুহূর্তের কথা ভাবছি আর লিখছি, তখন যেন আলাদা একটা সম্মানবোধ জাগ্রত হচ্ছে তার জন্য ।
সকলের দেখার ভঙ্গি যেমন এক না তেমন সকলের ভাবনার ধরনটাও জায়গাভেদে ভিন্ন , এটা নিতান্তই স্বাভাবিক । সে আসলে সকলের কাছে কেমন, এটা আমার কাছে বড় কোন ব্যাপার না । তাকে আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে, এটাই আমার কাছে মুখ্য বিষয় । অনেকটা আত্মিক মিল খুঁজে পেয়েছি । যে আমার সময়টাকে আরও প্রাণবন্ত করে দিয়েছিল ।
প্রতিনিয়তই তো কত মানুষকে নিয়েই লিখি, আজ না হয় দুটো কথা , জাহাঙ্গীর ভাইয়ের জন্য লিখে ফেললাম । বেশ আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি এটা ভেবে, হয়তো নিয়তি আমাদের এমনভাবে সাক্ষাতের ব্যাপারটা , পূর্বেই লিখে রেখেছিল ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
শুভদা আপনি নিজেই হয়তো অন্যের সাথে সহজে মিশে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, এজন্য অপরপ্রান্ত থেকেও এরকম সাড়া পাওয়া যায়। তবে আপনার বন্ধুকে বাড়ি খুঁজে না পেয়ে একটু কষ্ট পেলেও, সে কষ্ট কিন্তু পুষিয়ে দিয়েছে অন্য একজন। তবে বয়সের ব্যবধানটা আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না, বরঞ্চ মনের মিল টাই আসল। সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।
তোমার কথাটাও ঠিক হতে পারে । হয়তো সেই দিক থেকে আমি বেশ ভালোই সৌভাগ্যবান ছিলাম কারণ তার সঙ্গে দেখা হওয়াতে আমার বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
ভাইয়া আপনি খুব সহজে সবার সাথে মিশে যান ,তাই খুব সহজেই অপরিচিত মানুষের সাথে আড্ডা জুড়ে দিতে পারেন।এই ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগে ,আমি ও খুব তাড়াতাড়ি মানুষের সাথে মিশতে পারি। যাই হোক বয়সের ব্যবধান হলেও অনেক সময় মতের মিল হয়ে যায়। তবে মাঝে মাঝে আপনাকে খুব গম্ভীর মনে হয় ,একে বাড়ে বুঝাই যাই না আপনি এতটা মিশুক। ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে ,ধন্যবাদ
আসলে জীবন যেখানে যেমন, আপু । কখন কোন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যায় , বলা বড্ড মুশকিল।
আসলে মাঝে মাঝে কিছু ভালো মানুষের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়ে যায় এবং নিজের মতের সঙ্গেও অনেকটা মিলে যায় বেশ ভালো লাগে তখন । সময়টা রয়ে যায় স্মৃতির পাতায় । এমনই একজন মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা হয়েছে এবং বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন জানতে পেরে ভালো লাগলো । আসলে এখনো নিজের মনের মত অনেক মানুষ আমাদের সমাজে রয়েছে যার সাথে আমাদের হয়তো দেখাই হয় না । অপরিচিত কাউকে ক্ষনিকের পরিচয়ে আপন করে নেওয়া সত্যিই অনেক বড় গুণের অধিকারী আপনি । ভালো ছিল । ধন্যবাদ ।
মানুষের আন্তরইকতাই মানুষকে আপন করে তোলে। এই আন্তরিকতা উভয়দিকেই থাকতে হয়। আপনিও যথেষ্ট আন্তরিক দাদা। আর আপনার কাছে এই দাদার আন্তরিকতার বর্ণনা শুনে বেশ ভালো লাগলো।আজকাল তো সবটাই এত কৃত্রিম হয়ে গেছে যে খাঁটা মানুষ মেলে না আর। আপনার কাটানো সময় কে আপনি যে ক্যামেরাবন্দী করতে সক্ষম হয়েছেন সেটা আরো ভালো লাগলো।
যখন একজনের চিন্তাভাবনার সাথে নিজের ভাবনা চিন্তার মেলবন্ধন ঘটে তখন সেই মানুষটাকে ভালো লাগাটাই বোধয় স্বাভাবিক।আর এইজন্য বোধয় আপনাকেও আমার বেশি ভালো লাগে☺️।যাইহোক আপনার মানুষ দেখার ব্যাপারটা আমার বড্ডো আগ্রহের।বরাবর আপনার দৃষ্টিভঙ্গি সুন্দর,মানুষটাও আপনি সুন্দর আর আপনার চিন্তা চেতনা এবং আপনার লেখাগুলো ও সুন্দর।🖤
তুমিও অনেক সুন্দর, ভাই । তোমার জন্য ভালোবাসা নিরন্তর।
ভাইয়া আপনি নিজে অনেক সহজ সরল তাই হয়তো সবাইকে সহজে আপন করে নিতে পারেন।আপনি ঠিক বলেছেন আগে সব কিছু ভালো ভাবে শুনে তারপর মন্তব্য করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষের আন্তরিকতাই মানুষেকে আপন মনে হয়। সত্যি ভাইয়া গ্রামে এভাবে ঘুরলে মনে প্রশান্তি নেমে আসে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনি আপনার কাটানো সময় ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাইয়া সকলের দেখার ভঙ্গি আলাদা আলাদা। বিশেষ করে আপনার মত একজন মানুষের দেখার ভঙ্গি অবশ্যই আলাদা। আপনি মানুষকে গভীরভাবে বুঝতে পারেন। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে হঠাৎ করে দেখা হয়ে যায়। কিন্তু তাদেরকে এতটাই আপন মনে হয় মনে হয় যেন অনেক দিনের চেনা। তেমনি জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে আপনার পরিচয় হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। অনেকটা কাছের মানুষ মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে।
ভাইয়া আপনি খুব আন্তরিক আর সামাজিক, তাই আল্লাহ ভাল মানুষ আপনার পাশে পাঠিয়ে দেয়।বাল্য বন্ধু কে পাননি কিন্তু জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে আলাপ হল বয়সের ব্যবধান আসলে কোন ব্যাপার নয়।মনের মিল থাকলে বয়স কোন বিষয় না। আপনার দিনগুলি সুন্দর কাটুক এই কামনা করি। আর একটা কথা না বললেই নয়, সায়ান বাবুকে উঠৌনে দেখে মন চাইছিল দৌড়ে গিয়ে কোলে তুলে নেই। 🥰 ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কাছেও ঠিক তেমনটাই মনেহয় আপু , বয়স তো শুধুমাত্র একটা সংখ্যা । আসলে তার সঙ্গে সময়টা বেশ ভালোই কাটিয়েছিলাম।
লিমন বলতে ভাই আপনি আমাদের শিল্পী বিবাগী লিমন ভাইয়ের কথা বললেন সম্ভবত। আসলেই ভাই সব মানুষের চিন্তাধারা এক না। একটা জিনিস কখনোই মানুষ একদিক থেকে দেখতে পারে না। সেটা নির্ভর করে তাদের মনমানসিকতার উপর। বেশ ভালো লাগল ভাই।।
হুম এইটা আসলে ঐ বিবাগী লিমনের বড় ভাই । আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন ।
আসলেই ভাইয়া মাঝে মাঝে এমন সব মানুষের সাথে দেখা হয় বা কথা হয় , যে মানুষ গুলো পরিচিত না হয়েও কাছের মানুষের মতো কথা বলে ৷ অনেক মানুষ আছে যারা সহজেই মানুষের সাথে মিশতে পারে ৷ ঠিক আপনিও তেমন খুব সহজেই মানুষের সাথে ভাব জমাতে পারেন ৷ আপনার বাল্যবন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে জাহাঙ্গীর ভাইয়ের সাথে সুন্দর পরিচয় হওয়ার গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
সত্যি বলতে গেলে কি , আসলেই সময়টা বেশ মনে রাখার মতো ছিল । কারণ আমি বাধ্য হয়েছিলাম সেই মানুষটার আচার-আচরণ দেখে কথা দীর্ঘায়িত করার জন্য।