রেজাউল কাকুর দোকানে একদিন || @shy-fox 10% beneficiary
ঠিক কত আগে থেকে রেজাউল কাকুকে চিনি, এটার সঠিক ধারণা আপাতত আমার মনে নেই। তবে রেজাউল কাকুকে হয়তোবা আমি চিনি সেই ছোটবেলা থেকেই ,যখন আমার বোঝার মত বয়স হয়েছে। মানুষটা আজকের এই পজিশনে এসেছে ভীষণ কষ্ট করে, সে ব্যক্তি জীবনে একজন বাবুর্চি ছিল একটা বিরিয়ানি হাউজের কিন্তু তার সততা পরিশ্রম ও মানসিকতার কারণে সে আজকে সবার মন জয় করে,সে নিজেই একটা বিরিয়ানি হাউজ প্রতিষ্ঠান করেছে আমাদের এলাকায় ।
ভাবতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে আমি যখন তার বিরিয়ানি খেতে যেতাম, সে যখন অন্য জায়গায় কাজ করতো । তখন মাঝে মাঝেই তার রান্নার প্রশংসা করতাম, কারণ সত্যিই তার হাতে মনে হয় জাদু ছিল । সেকি টেস্ট মনে হয় আমার মুখে এখনো লেগে আছে।
যেহেতু একই এলাকাতে বাড়ি, তাই কাকুর ছেলের সঙ্গে আমার উঠা বসা ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। মূলত তার ছেলে আমার থেকে বয়সে আট-দশ বছরের ছোট হলেও,আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একদম ভাইয়ের মতো । আজকে দুপুর বেলা যখন আমি চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম, হুট করে রিপন আমাকে মেসেজ দিছে। রিপন বলতে রেজাউল কাকুর ছেলে। মেসেজটা এমন, ভাই আব্বা নতুন করে নিজেই বিরিয়ানি হাউজ দিছে । আজকে উদ্বোধন হবে । আপনি চলে আসেন, আপনার দাওয়াত রইলো দুপুরবেলা ।
মুহূর্তে চোখের কোনে পানি চলে আসলো এবং ভাবলাম সেই দীর্ঘ 25 বছর আগের কথা। কারণ 25 বছর লেগেছে তার এই সফলতার দ্বারপ্রান্তে আসতে। কারণ এলাকার মানুষের মন জয় করা থেকে শুরু করে তার অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করে, আজকে 25 বছর পরে সে নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান দিয়ে দিয়েছে । একটা বার চিন্তা করে দেখুন ,কতটা পরিমাণ শ্রম দিয়েছে এই কাজের জন্য। যাইহোক দুপুর বেলা যখন কাকুর দোকানে গেলাম, তখন কাকুর ছেলে আমাকে দেখে অনেকটা আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছে । আমি বুঝতে পেরেছি ওদের অনুভূতির ব্যাপারটা ।
রিপনকে বললাম, হাতে আমার সময় খুবই কম রে ভাই । তাড়াতাড়ি আমাকে খাসির কলিজা ভুনা আর মুরগির ঝাল রোস্ট দিয়ে, এক প্লেট বিরিয়ানি দে । তারপরে আমাকে আবার কর্মস্থলে যেতে হবে। দোকানে গিয়ে দেখলাম ভালই ব্যস্ততা , আসলে আমি মনে করি, যারা পরিশ্রম করে এবং সঠিক কর্মের মধ্যে থাকে তাদেরকে আসলে কখনো পিছপা হতে হয় না। যেমনটির বাস্তব উদাহরণ রেজাউল কাকু। সব জায়গা থেকে অর্ডার আসছে, কাকু একদম কাজ করে যেন হুস পাচ্ছে না ।
যাইহোক অবশেষে খাবার সামনে আসলো এবং তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়ে নিলাম কারণ আমি খুব ক্ষুধার্ত ছিলাম এবং অবশেষে যখন বিল দিতে গেলাম, রিপন আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ভাই আপনাকে বিল দিতে হবে না। আপনি এসেছেন, আমি এতেই খুশি হয়েছি। যাইহোক আমি তা ওর হাতে 200 টাকা ধরিয়ে দিয়ে বললাম, নতুন ব্যবসা করছিস টাকাটা রেখে দে কাজে লাগবে । অবশেষে রিক্সা নিয়ে কোকোকলা খেতে খেতে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ফেরত চলে আসলাম ।
ও মাই গড, 😯😯 ভাই কি দেখাইলেন, খাবারটি দেখেই তো আমার জিভে জল চলে আসলো। যাই হোক সমস্যা নাই আজকে আমাদের বাসায় মাংস রান্না হচ্ছে, তবে আপনার মাংসটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে মনে হয়। সাধারণভাবেই বাড়ির খাবারের চেয়ে দোকানের খাবার গুলো বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে। পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার এবং ভাইয়ের সম্পর্ক দেখে আরো ভালো লাগলো ।দোয়া করি আপনাদের সম্পর্কে সারা জীবন এমনই থাক। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি খাবার আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
নতুন বিরিয়ানি হাউজ এর জন্য শুভকামনা রইল। এবং খাবার গুলো দেখতে অনেক ভালো দেখাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দারুণ একটা স্মৃতিচারণের বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। আসলেই শৈশব জীবনের এক স্মরণীয় সময়।যার প্রতিটি সময় জীবনের মূল্যবান ঘড়িতে আবদ্ধ থাকে। আর নতুন বিরিয়ানি হাউজের জন্য শুভকামনা ও অভিনন্দন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনার রেজাউল কাকুর সফলতার গল্প অসাধারণ ছিল। প্রবাদ আছে চেষ্টা কখনো বিফলে যায় না। তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিরিয়ানি হাউজ দিতে সক্ষম হয়েছে। অনেক সুন্দর ছিল আপনার বিরিয়ানি হাউজ এর গল্প। তার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি বিশ্বাস করি মানুষ যদি কঠোর পরিশ্রম করে তাহলে সে একদিন জয়ী হবেই হবে। এটা আমার একান্ত মন থেকে করা একটি বিশ্বাস।
আপনার আজকের গল্পের নায়কটির ও ঠিক তাই হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই আস্তে পেট খারাপ হবে কিন্তু, পরে আমার মতো দৌড়ানো লাগবে, হি হি হি
বাহ, পছন্দ মন্দ না, একেবারে সব টেষ্ট করে নিলেন দেখছি।
হাহাহা , ভাই অবশ্যই সেফটি ফাস্ট। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনাদের দোকানে সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিরিয়ানিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে, হইতো খেতেও অনেক মজা লেগেছে।আমার বিরিয়ানি খেতে খুব পছন্দ। আমি বিরানি মাঝেমধ্যেই খেয়ে থাকি। আজকে আপনার বিরানি খাওয়া দেখে আমারও খেতে খুব ইচ্ছা করলো। শুভেচ্ছা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাটি পড়ে। আসলে ভাইয়া,
পরিশ্রম,সততা এবং দক্ষতা যদি থাকে তাহলে অবশ্যই এক সময় না এক সময় সফলতা আসবেই এটাই বাস্তব। রেজাউল কাকুর সাথে আপনার 25 বছরের সম্পর্ক। তাই উনার সম্বন্ধে আপনি অনেক ভাল জানেন।লেখাটির পরে বুঝতে পারলাম উনি খুব কর্মদক্ষ একজন মানুষ।তাই তার জীবনে সফলতা এসেছে।ভাইয়া, খাসির কলিজা এবং মুরগির রোস্ট দেখে আমার খিদে লেগে গেছে। অনেক সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এমন কোনো মানুষ নেই। আজ পর্যন্ত বলতে পারেনি
পরিশ্রম করার পর তার সফলতা মিলেনি।
ভাইয়া আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমরা অনেক কিচ্ছু শিখতে পারছি, আর নিজের জীবনের কঠিন পর্যায়ে কিভাবে নিজেকে শক্ত রাখব সেই শক্তি আপনার কাছ থেকে পাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।