মন্তব্য কখনো গন্তব্য হতে পারে না || @shy-fox 10% beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

woman-g6fc315170_1920.jpg
pixabay source

মন্তব্য কখনো গন্তব্য হতে পারে না ।

আমি মনেকরি , সাম্প্রতিক সময়ে আমার স্বদেশী মানুষজন এই ডায়ালগটার সঙ্গে খুবই পরিচিত আছে । যাইহোক এটার পিছনে একটা রহস্য আছে, সেটা আমি উন্মোচিত করার চেষ্টা করবো আমার দৃষ্টিকোণ থেকে । তবে তার আগে একটা কথা বলে নেই , যদিও আপনারা ব্যাপারটি একটু হলেও জানেন । তারপরেও আমি চেষ্টা করব, আমার জায়গা থেকে নিজের মতো করে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য ।

আমি প্রতিনিয়ত একটা কথা বলে থাকি, সেটা হচ্ছে আমি মানুষ এটাই আমার প্রথম ও শেষ পরিচয় । আমার কর্মই আমাকে মনে রাখবে, আমার চিন্তা-চেতনা যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে আমি সহজেই মানুষের অন্তরে গেঁথে যেতে পারবো । তবে আবার অনেকের কাছে আমি গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারি । কারণ দিনশেষে সকলের ভিন্ন মতামত থাকবে এবং সকলের কাছে সকলের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না এটাও কিন্তু ভীষণ স্বাভাবিক ।

নাটোরের এক কলেজ শিক্ষিকা সম্প্রতি সে তার কলেজের এক তরুণ ছাত্রকে বিয়ে করে ফেলেছে । এটা সত্যিই আমার চোখে ভিন্ন বা অস্বাভাবিক লাগে নি । কারণ ব্যাপারটা আমার কাছে ভীষণ স্বাভাবিক মনে হয়েছে । একটা ষাট বছরের পুরুষ মানুষ যদি বিশ বা ত্রিশ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারে তাহলে কেন একটা মহিলা মানুষ তরুণ যুবককে বিয়ে করতে পারবে না ।

দ্বিতীয় কথা আমার চোখে প্রথমত তারা দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং জেনে বুঝেই কাজটা করেছে এবং তাদের ভিতরে একটা ভালোলাগা বা ভালোবাসার জায়গা তৈরি হয়েছিল হয়তো সেই জায়গা থেকেই ব্যাপারটাকে তারা বিয়ে পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে । সমাজের আসলে কে কি ভাবলো, কে কি বলল এমনটা হয়তো তারা চিন্তা করেনি কারণ দিনশেষে সমাজের লোকজন একটু মুখ খুলে কিছু কটু কথাই বলবে । তবে দিনশেষে কিন্তু তাদের সংসার বা জীবন তাদেরকেই চালাতে হবে । সত্য কথা বলতে কি, এ সমাজ শুধু বলতে পারে তবে কোন কিছুর সমাধান দিতে পারে না ।

হ্যাঁ এখানে একটা প্রশ্ন আছে । তাদের বিয়ে করাতে যদি , তাদের নিজেদের লোকের যদি কিছুটা সমস্যা হয়েই যায় । বিশেষ করে তার অন্য পক্ষের ছেলে মেয়ে বা স্বামী সন্তানের, সেই ক্ষেত্রে আমার কিছুটা প্রশ্ন থেকে যায় । তাও সেটা একদম তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে । আমি মনেকরি যারা এমন কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, তারা সবদিক বিবেচনা করেই এই পর্যন্ত এগিয়ে যায় ।

তবে আমি মনেকরি কাউকে দুঃখ কষ্ট না দিয়ে, যদি সহজ-সরল সাবলীল ভাবে দুটো আত্মা এক হতে চায়, তাহলে সেখানে আমি খুব একটা সমস্যা দেখি না । নিয়মতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় যে নিয়ম গুলো করে দেওয়া আছে, সেই গুলো কতটাই বা মানুষের জন্য কার্যকরী হয়ে ওঠে তা আমি বুঝে উঠতে পারি না । এ সমাজ আমার কোন কিছুর গন্তব্য ঠিক করতে পারেনা, শুধু মন্তব্যই করতে পারে । আরে ভাই , মন্তব্য দিয়ে তো আমার পেট ভরে না , চাহিদা পূরণ হয় না । তাহলে তোমার মন্তব্য শুনে আমার লাভ কোথায় । জীবনটা আমার, আমাকে আমার মত করে বাঁচতে দেওয়াই শ্রেয় ।

হয়তো তারা যা করেছে , সেটা প্রকাশ্যে করেছে এবং সেই গুলো সকলের সামনে ভাসমান হয়েছে । তবে যারা দিনশেষে সকলের সামনে সাধু-সন্ন্যাসী হয়ে থাকে এবং নিচে নিচে বিভিন্ন কুকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাদেরকে আপনি কোন চোখে দেখবেন । এক্ষেত্রে কি সমাজের চোখ পড়ে না, নাকি সমাজ তখন মুখ বুঝে থাকে ।

আমার খুব সহজ হিসাব ভাই । যদি দুটো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ , জেনে বুঝে তারা ভালোলাগা বা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে যায় । সেখানে আমি আসলে ভিন্ন কোন কিছু চোখে দেখি না । আমার কাছে সেটাই সঠিক মনে হয় । কারণ তারা যা করেছে, তারা সেটা জেনে বুঝেই করেছে । বয়স আসলে শুধুমাত্র সংখ্যা, জীবন আসলে বয়সের উপর নির্ভর করে না । জীবনটা নির্ভর করে, আপনি কিভাবে জীবনটাকে দেখছেন ও উপভোগ করছেন , সেটার উপর ।

আমি জোরজবস্তি জিনিসটা মোটেও পছন্দ করি না । যে সম্পর্ক গুলো টিকছে না , যেগুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে , সেখানে আমার কোন প্রশ্ন থাকে না । কারণ সেই গুলো শেষ হওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছিল । হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য তাদের ভালোলাগা ও তাদের চিন্তা-ভাবনা গুলো একত্রে জমা হয়েছিল বিধায় তারা ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত একত্রে ছিল । কিন্তু একটা সময়ের পরে যখন, তারা বিচ্ছেদে চলে যায় , সেখানেও আমি মনে করি সেটা নিজেদের ইচ্ছাতেই হয়ে যায় ।

তবে এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যায় । যদি বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরে, কেউ কাউকে জোরজবস্তি করে সেখানে কিন্তু আমার অনেক প্রশ্নই আসে । কারণ জন্তুর সঙ্গে জোরজবস্তি চলে , মানুষের সঙ্গে নয় । তারপরেও একটা প্রশ্ন মনে কাজ করে, বিশেষ করে কেউ কারো সরলতার সুযোগ নিয়ে যদি কাউকে ঠকিয়ে দেয় বা প্রতারণা করে, সেটার বিপক্ষে অবশ্যই যৌক্তিক চিন্তাভাবনা দাঁড় করাতে হবে এবং সেই স্পর্শকাতর হৃদয় ভাঙ্গার বিচার অবশ্যই হওয়া উচিত বলে আমি মনেকরি ।

মূলকথা হচ্ছে জীবনটা নিজের । সমাজ-সামাজিকতা বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করে কখনোই নিজেকে দমিয়ে রাখলে চলবে না । নিজের মতো করে ভাবতে হবে এবং নিজের ভাবনা চিন্তা যেন সঠিকভাবে এগিয়ে চলে, সেই দিকে মনোনিবেশ করতে হবে । নিজের ভালো থাকার কেন্দ্রবিন্দুতে যদি অন্য কেউ কষ্টদায়ক কোন ঘটনার শিকার না হয় , তাহলে আমি মনে করি সেটা একদম ঠিক আছে ।

তাছাড়াও ভালোলাগা ভালোবাসার ব্যাপার গুলো নিতান্তই ব্যক্তিগত । এই রঙের দুনিয়ায় কখন কার মন পরিবর্তন হয় তা বলা খুবই মুশকিল । দিনশেষে আসলে মন্তব্য কখনো গন্তব্য হতে পারে না । এটা যেমন ঠিক তবে এটাও মুখ্য বিষয়, দিনশেষে ভালো থাকাটাই হচ্ছে মূল কথা ।

Banner-2.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই জীবনটা নিজের তাই সমাজ কী বলবে সেটা না দেখে আমি কীভাবে খুশি থাকব সেটা দেখি উচিত। নাটরের ঐ ঘটনায় আমার সব পরিচিত বন্ধু বিরুপ মন্তব্য করলেও আমি জানি ওরা কোনো অপরাধ করেনি। বিয়ের মতো একটা পবিএ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে যেখানে ওরা এটা না করেও অপকর্ম করতে পারতো। কোথায় সমাজের মানুষ ওদের বাহবা দেবে। না যে যার মতো সমালোচনায় ব‍্যস্ত।।

You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!

 2 years ago 

ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। যে নিউজটির উপরে আপনি পোষ্টটি লিখেছেন আশা করি যারা খারাপ মন্তব্য করেছেন তারা একটু হলেও নিজেদের ভুল গুলো শুধরে নিবে। এ জগতে মানুষ শুধু মুখোশধারী মানুষকে বেশি পছন্দ করে। মানুষ সরল ভাবে কোন কাজ করলে সেটাকে মানতে পারে না । স্বাভাবিক জীবনযাপনে তারা শুধু জটিলতা নিয়ে আসে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার পোস্টের মাধ্যমে সুন্দর ও সহজ ভাবে বিষয় টা কে প্রকাশ করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

জীবনটা নিজের, নিজের মতো করে বাঁচতে হবে । আমি তো এমনটাই ভাবি ।

 2 years ago 

মন্তব্য কখনো তো গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাবেই না বরং প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে। আমাদের সমাজে আজেবাজে মন্তব্য করার লোকই এখন অনেক বেশি। তাই পাছে লোকে কিছু বলে এটা না ভেবে নিজের অন্তর যেটা চায় সে কাজটি করা উচিত। আর ভালোবাসা কখনো ধনী গরিব ছোট বড় এইসব নিয়ে বিচার হয় না। আমিও নাটোরে সেই কলেজ শিক্ষিকার তরুণ ছাত্রকে বিয়ে করার ঘটনাটি একেবারেই স্বাভাবিকভাবে দেখি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে অনেকেই হায় হায় করবে। সংসার জীবনে একসাথে এগিয়ে চলতে ভালোলাগা এবং ভালোবাসা একান্ত প্রয়োজন। ভালো থাকতে চাই এটাই শেষ কথা।

 2 years ago 

আমার চোখেও ব্যাপার টি বেশ স্বাভাবিক লেগেছে ভাই । সবাই বেঁচে থাকুক স্বাধীন ভাবে ।

 2 years ago 

মূলকথা হচ্ছে জীবনটা নিজের । সমাজ-সামাজিকতা বা পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা চিন্তা করে কখনোই নিজেকে দমিয়ে রাখলে চলবে না ।

নিজের জীবনকে আমরা যেকোন ভাবে পরিচালিত করতে পারি। এতে অন্যের মাথা ঘামানো সত্যি অনেক হাস্যকর। যখন কেউ বিপদে পড়ে তখন তাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসে না। যখন কেউ একাকীত্বের মাঝে দিন কাটায় তখন তার পাশে এসে কেউ দাঁড়ায় না। আর যখন সে নিজের পছন্দের কাউকে বেছে নেয় তখন সবাই তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে অপমানজনক কথা বলে। আসলে তার জীবনের গতিপথ শুধুই তার। তাই তো সবারই অধিকার আছে নিজের মতো করে নিজের জীবন পরিচালনা করার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই কথাগুলো তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 2 years ago 

তাই আমার কাছেও তেমনটাই মনেহয় । নিজের জীবনকে নিজের জীবনকে নিয়ে নিজের মতো করেই বাঁচতে হবে ।

 2 years ago 

মন্তব্য কখনো গন্তব্য হতে পারে না

গত কয়েকদিন থেকে দেখছি এই লেখাটির উপর অনেক ট্রল হচ্ছে। যদিও বিষয়টি আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি এর মূল কারণ কি। তবে আমার যতটুকু মনে হয় একজন মানুষ তার পছন্দের জীবনসঙ্গি কে বেছে নিয়েছেন। এতে জনগণের সমস্যা কোথায়। সেই ছেলেটি তার থেকে বয়সে বড় একজনকে বিয়ে করতেই পারেন। তার সাথে যদি তার জীবনের পথ চলা অনেক আনন্দের হয় তাহলে আমরা কেন তাদেরকে লজ্জার মুখে ফেলে দিচ্ছি। তাদের এই দাম্পত্য জীবনে তারা যদি ভাল থাকে এবং সুখে থাকে এটাই অনেক বড় পাওয়া। তবে যাই হোক ভাইয়া আপনি পুরো বিষয়টি নিজের মত করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️

 2 years ago 

যদিও সমসাময়িক ব্যাপারে তেমন লিখতে ইচ্ছে করে না , তবে এবার ইচ্ছে করেই মন্তব্য লিখে ফেললাম ।

 2 years ago 

আসলে ভাইয়া মন্তব্য কখনো গন্তব্য জায়গায় নিয়ে যেতে পারে না। মানুষ মন্তব্য করবে সেটা ভালোর বা খারাপ। মানুষের কাজ মন্তব্য করা। যদি আমি ভালো কাজ করি তা মন্তব্য করবে, যদি খারাপ করিয়ে তাও মন্তব্য করবেই। তাই মন্তব্যকে কথায় কান না দিয়ে, নিজের ইচ্ছা শক্তি এবং নিজের ভালো-মন্দ নিজেকে করতে হবে। আর ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে নিজে যদি সুখে থাকি তাহলে মন্তব্যতে কি আসে যায়। আসলেই আমাদের দেশে মোটামুটি প্রেম নিয়ে অনেক মন্তব্য একটা ঘটনা ঘটে গেছে শিক্ষীকাকে বিয়ে করেছে ছাত্র। এটা নিয়ে অনেক নিউজ দেখতে পেলাম। আজকে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে গল্পটি শেয়ার করলেন। আসলে মন্তব্য কখনো গন্তব্য যাকে নিয়ে যেতে পারে না। আর ভালোবাসা কখনোই বাঁধা মানে না।

 2 years ago 

ভাইয়া, মানুষের কাজই মন্তব্য করা। সেটা ভালো কাজের হতে পারে কিংবা মন্দ কাজেরও হতে পারে। আমি মনে করি কোন ব্যক্তির মন্তব্যে কান্দ না দিয়ে নিজের প্রবল ইচ্ছা শক্তি এবং নিজের সৃজনশীলতা দিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে এগিয়ে দেওয়া উচিত। আপনার আজকে এই গল্পটি খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।যেটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার। দারুন একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

এই সমাজে মানুষের ভালো কিছু হতে দেখলেই সবাই লেগে পরে কিভাবে তাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামানো যায়। মোট কথা মানুষের ভালোটা কেউ দেখতে পারেনা। যার জীবন তার চেয়ে মাথাব্যথাটা সমাজেরই মনে হয় বেশি। দিনশেষে ভালো থাকতে হলে, এসব কথাবার্তা কানে না নিয়ে নিজের মত করে চলাই উত্তম।
অবৈধ সম্পর্কে না জড়িয়ে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে তাদের বিয়ে করাটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে। সর্বোপরি মানুষের মন্তব্য কখনোই গন্তব্য ঠেকাতে পারবেনা।

 2 years ago 

ভাইয়া আমি আপনার সাথে একমত পোষন করছি,মন্তব্য কখনো গন্তব্য হতে পারে না। আমি যে কাজই করিনা কেন মানুষ মন্তব্য করবেই। এক শ্রেনী মানুষের কাজই হলো মন্তব্য করা। আমার মতে এসব কথা কান না দিয়ে আমার কাছে যেটা ভাল মনে হয় সেটাই করা উচিত। কারন দিন শেষে তারা আমার খুজখবর নিবে না।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 69076.52
ETH 2742.00
USDT 1.00
SBD 2.72