ব্যস্ততম সপ্তাহের অবসান
আবারো ঘুরেফিরে ব্যস্ততম একটা সপ্তাহের সমাপ্তি ঘটলো। আসলে হয়তো আমার বাস্তবিক জীবনে শারীরিকভাবে পরিশ্রম করে তেমন কোন কর্ম নেই । তবে মানসিকভাবে যে পরিমাণ প্রতিনিয়ত খাটা-খাটনি করতে হয় , তা আসলে মুখে বলাটা বেশ দুরুহ ব্যাপার ।
আমি মনেকরি, যারা আমার মত লেখালেখি পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন, তারা সকলেই ব্যাপারটা খুব ভালো মতোই অনুভব করতে পারেন । আসলে সময় গুলো আমাদের কতটা জটিলতপূর্ণ কাটে ।
সত্য কথা বলতে কি, ব্লগিং যেহেতু আমার নেশা এবং পেশা । তাই মূলত আমি চেষ্টা করি, নিজের মতো করে প্রতিনিয়ত ব্লগিং করার জন্য । আর আমার সবথেকে ভালো লাগে, জীবন নিয়ে লেখালেখি করতে । হোক সেটা নিজের ঘটে যাওয়া জীবনের ঘটনা অথবা পারিপার্শ্বিক অবস্থায় কি হচ্ছে সেই ব্যাপারগুলো তুলে ধরতে , আমি ভীষণ স্বাচ্ছন্দবোধ করি ।
সময়গুলো প্রতিদিন আসলে কিভাবে কেটে যায় , তা আমি বুঝতে পারি না । তবে বৃহস্পতিবারের দিনটার জন্য প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করি । যেহেতু হ্যাংআউট করি সকলে মিলে, তাই বেশ প্রাণবন্ত একটা সময় কাটে সেই দিনটাতে । চেষ্টা করি, যারা লেখালেখি করছে তাদের সকলের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য এবং সকলের সময়টাও কেমন যাচ্ছে ,সেটাও জানার জন্য ।
এত কিছুর পরেও শুক্রবারের সময়টা যেন একটু হলেও বিশ্রাম পাই । হয়তো সেটা সপ্তাহ শেষ বলে । কারণ পরের দিন থেকে তো আবারো নতুন সপ্তাহ শুরু, আবারও নতুন ভাবে লেখালেখি শুরু এবং নতুন ভাবে কর্মে মনোনিবেশ করতে হয় । আসলে এই ব্যাপারগুলো শুধু যে আমার এই পেশাতেই আছে তা কিন্তু না । প্রত্যেকটা জায়গাতেই আমি মনে করি, সাপ্তাহিক ছুটির একটা দরকার আছে । এতে এটলিস্ট পরবর্তী সপ্তাহে পুনরায় নতুন করে কাজ করার মানসিক প্রস্তুতি তৈরি হয় ।
দুপুরের পরে বেরিয়ে গিয়েছিলাম বাহিরে । যেহেতু শুক্রবার মোটামুটি হাতে কাজের চাপ অনেকটাই কম আর বাসার খাবার কয়েক দিন থেকে খেয়ে খেয়ে , আমি মুখের রুচির ভিন্নতা হারিয়ে ফেলেছি । তাই ভাবলাম একটু রুচির পরিবর্তন করাটা জরুরী । তাছাড়াও পরিবার নিয়ে যদি বাইরে কোথাও ঘুরে বেড়ানো যায়, বিশেষ করে এই দিনটাতে , তাহলে একটু ভালোই ফুরফুরে মেজাজে থাকা যায় ।
অবশেষে বাসার সবাইকে নিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম আর আজকের বিরিয়ানিটা ছিল মূলত চিকেন হান্ডি বিরিয়ানি ।
এ রেস্টুরেন্টাতে বিগত সময়েও এসেছিলাম , সেই বার তো মাটন খসবা ও মাটন জিরা পোলাও খেয়েছিলাম । তবে এবার এসেছি মূলত ইন্ডিয়ান চিকেন হান্ডি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য । এটির বিশেষত্ব আসলে এটার পরিবেশনায় । একটা হাড়ির ভিতরে করে পুরো বিরিয়ানিটা দিয়েছে আর তাছাড়া এটি খেতেও বেশ মজা ।
যেহেতু দুপুরবেলা এসেছি , তাই মোটামুটি রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা অনেকটাই ফাঁকা ফাঁকা । মূলত আমরা দুপুরের খাবার খাবো, এই পরিকল্পনা করেই বাসা থেকে বের হয়েছি এবং তাদের রিজার্ভেশনে আগে থেকেই ফোন দিয়ে আমাদের আসার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছি । অতঃপর যখন এসে পৌঁছেছি, এসেই মোটামুটি খাবার পেয়েছি ।
দুপুর বেলার দিকে এমন গরম গরম ইন্ডিয়ান বিরিয়ানির ঘ্রাণ যেন যেন আমার ক্ষুধা আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল । কোন কথাবার্তা না বলে একদম সোজা টেবিলে গিয়ে বসে, তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিলাম । এই বিরিয়ানি গুলোতে প্রচুর পরিমাণে মসলা দেওয়া থাকে আর সঙ্গে যেহেতু চিকেন ছিল তাই এটার স্বাদটা অনেক ভালো ছিল । বেশ মজাই পেয়েছি খেয়ে । কারণ এমনিতেই ক্ষুধার্ত ছিলাম আর তার ভিতরে এমন লোভনীয় খাবার দেখে আমি কোনভাবেই যেন নিজেকে স্থির রাখতে পারিনি ।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের যখন বাহিরে যাওয়া হয়, তখন প্রথমত আমরা এক এক করে খাওয়ার চেষ্টা করি । বিশেষ করে প্রথমে আমি নতুবা হীরা । কারণ বাবু ভীষণ জ্বালাতন করে সেই সময়টাতে । এজন্য চেষ্টা করি, আগে একজন খেয়ে তারপরে বাবুকে হালকা খাইয়ে ওকে শান্ত করানোর জন্য । কারণ দুজন যদি একসঙ্গে খেতে বসি তাহলে দেখা যাবে যে , বাবুর যন্ত্রণায় কারোই সেভাবে খাওয়া হচ্ছে না ।
যাইহোক অতঃপর যে কথাটা বলব সেটা হচ্ছে, পুরো সপ্তাহের টানা ব্যস্ততার পরে ,শুক্রবারের এই সময়টা আমার কাছে বেশ ভালো ছিল । কারণ বেশ ভালো একটা সময় বাহিরে কাটিয়েছিলাম । আর তারমধ্যে আমি মনে করি যে , সপ্তাহে অন্তত একটা দিন হলেও পরিবারের সকলকে নিয়ে সময় কাটানো উচিত, তাহলে নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় হয় ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
হাজার কাজ থাকলেও আমাদের উচিত নিজের এবং পরিবারের জন্য সময় বের করা।
প্রতি সপ্তাহের শেষে নিজেদের এমন সময় দিতে পারলে আসলে ভালোই লাগে।একটা প্রশান্তি কাজ করে।
রেস্টুরেন্টটা কি গোবিন্দগঞ্জেই?
শারীরিক ভাবে পরিশ্রম করলে তো পরিশ্রমটা করলাম একটু বিশ্রাম নিলাম ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু মানসিক পরিশ্রমের কথা আর কি বলব সারাদিনই মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেতেই থাকে। এটা ঠিক বলেছেন নিজের জীবনের ঘটনা হোক কিংবা পারিপার্শ্বিক ঘটনা হোক লিখতে কিন্তু ভালই লাগে। আমার কাছে পড়তেও অনেক ভালো লাগে আগে সেরকম মনোযোগ সহকারে পড়তাম না ইদানিং পড়ি খুব ভালো লাগে পড়তে। আর বৃহস্পতিবার হ্যাংআউটের জন্য সত্যি অপেক্ষার কোন অন্ত নেই। দুপুরবেলায় এরকম বিরিয়ানির গন্ধ আপনার ক্ষুধা বাড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু আমার তো ছবি দেখেই ক্ষুধা বাড়িয়ে দিয়েছে। খাবারটা দেখতে কিন্তু সেই রকম লোভনীয়। এটা ঠিক বলেছেন সারা সপ্তাহ বাসার খাবার খেলে একটা দিন ব্যতিক্রম আনলে ভালোই লাগে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া বৃহস্পতিবার মানে আমাদের জন্য একটি উৎসবের দিন মনে হয় আমার কাছে।। রবি সোমবার পার হলেই কখন বৃহস্পতিবার আসবে কখন হ্যাংআউট শুরু হবে এই আশাটাই বারবার মনে পড়ে।।
প্রতিনিয়ত বাসার খাবার খেতে খেতে মাঝে মাঝে রুচি যেন হারিয়ে ফেলি আমরা সকলেই। মাঝে মাঝে খাবারের ভিন্নতা আনা রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা পরিবারকে নিয়ে সেই সাথে মজার খাবার খাওয়া সত্যি দিনগুলো অনেক স্মরণীয় হয়ে থাকে।।
অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে মজার খাবার খেয়েছেন আমার তো দেখেই খুব লোভ হচ্ছে।।
সত্যি ভাইয়া আমাদের ব্যস্ততম দিনগুলো কিভাবে যে কেটে যায় বুঝতেই পারিনা। তবে শুক্রবারের দিনটি নিজের মতো করে পার করার চেষ্টা করি। আসলে পরিবার-পরিজন নিয়ে এভাবে সুন্দর কোন সময় কাটালে ভালোই লাগে। শুক্রবারের দিনটি আপনি আপনার পরিবার নিয়ে কাটানোর চেষ্টা করেন দেখে প্রশান্তি পাই। চিকেন হান্ডি বিরিয়ানি দারুন লোভনীয় লাগছে ভাইয়া। যদিও কখনো খাইনি তবে দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।
আসলে ব্যস্ততা না থাকলে অবসরের মূল্য বোঝা যায়না। প্রচন্ড ব্যস্ততার পর যে অবসর পাওয়া যায় তা আসলেই অনেক উপভোগ্য হয়। এই হান্ডি বিরিয়ানীর নাম অনেক শুনলেও এখন পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। ছবি দেখে তো দারুন লাগলো। আশা করি ট্রাই করব কোন একদিন। ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন,আমাদের সকলেরই উচিত অন্তত সপ্তাহে একদিন সবদিক থেকে বিশ্রাম নেওয়া সেটা হোক শারীরিক অথবা মানসিক। আরে সেটা হিসেবে আমরা সপ্তাহের শেষের দিক শুক্রবারটাকে বেছে নেই। ঠিক বলেছেন সব সময় একাধারে বাসার খাবার খেতে খেতে একসময় মুখের রুচি চলে যায়, তাই বাহিরে গিয়ে খেতেও তখন ভালো লাগে। এটা কিন্তু আপনারা খুব ভালো একটা কাজ করেছেন যে, আগে একজন খেয়ে নেন আরেকজন বাবুকে রাখেন। তা নাহলে বাবুর দুষ্টামি আর কান্নার জন্য দেখা যাবে কেউই ভালো করে খেতে পারছে না।
ভাইয়া আপনার গরম ইন্ডিয়ান বিরিয়ানির ঘ্রাণ এ ক্ষুধা বেড়ে গেছে আপনি খেয়েছেন।কিন্তু আমার আপনার খাবার দেখে ক্ষুধা বাড়লে ও খাবার পাব কোথায়- হা হা হা।এটা সত্যি বলেছেন ব্যস্ততম দিন গুলো যে কিভাবে চলে যায় বুঝা মুশকিল। এভাবে একটি দিন নিজের মতো করে কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে।মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়ে বাইরে খাওয়ার মজা অন্য রকম।
সত্যি বলতে আমরাও বৃহস্পতিবারের দিনটির অপেক্ষায় থাকি ভাইয়া, পুরো সমাপ্ত মিলে বৃহস্পতিবার যেনো ঈদের দিন, আর এটা বাস্তব যারা ব্লগিং করে তাদের কাছে প্রতিটা সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ, যাইহোক বিরানি দেখে আমারও খিদা দিগুণ হয়ে গেলো ভাইয়া, তবে আশেপাশে বিরানি হাউজ নাই,😥
তবে আপনার পুরো ব্লগটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে, আপনার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল ভাইয়া।
পুরো সপ্তাহ কাজ করে, একদিন ছুটি না পেলে কাজের গতি থাকে না। একদিন ছুটি পেয়ে রেস্ট নিতে পারলে পরের সপ্তাহের জন্য পুরো উদ্যমে কাজে মনোনিবেশ করা যায়। আমাদের সকলের উচিত এই ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দেয়া। আর আপনাদের হান্ডি বিরিয়ানি খাওয়ার চিত্র দেখে, আমারও ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে এই হান্ডি বিরিয়ানির স্বাদ গ্রহণ করার। তাই কোন একদিন হুট করে চলে যাব, আপনাদের সাথে চিকেন হান্ডি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য। ভাইয়া, লাল রঙের পোশাকে আপনাদের তিনজনকেই বেশ দারুন লাগছে। আপনার ও আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলেই ভাইয়া, বৃহস্পতিবার দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকি। বিশেষ করে পুরো সপ্তাহ ধরে কাজ করে বৃহস্পতিবারে সেই কাজের ভালো খারাপ প্রত্যেকটা দিক শুনতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া আনন্দ এবং অনুভূতি সবকিছুই পাওয়া যায়। তবে হ্যাঁ আপনার জন্য বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারের দিনটা যেহেতু একটু ছুটির দিন। সে ক্ষেত্রে বেশি ভালোই করেছেন হীরা আপুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তবে হান্ডি বিরিয়ানি টা দেখে একদম লোভ লেগে গেল। দুপুরের সময় যখন গিয়েছেন খাবারটা বেশ ভালোই হলো। আসলে আমরা খেতে গেলেও চেষ্টা করি একজন একটু আগে খাওয়ার জন্য। কারণ যদি মেয়েকে নিয়ে যাই, তাহলে ওকে রাখতে হয় একজন। আপনাদেরও দেখছি সায়নকে নিয়ে একই অবস্থা। তবে বেশ ভালই লাগলো আপনাদের সময়টা দেখে।