অতীতকে ছুঁয়ে দেখলাম ||@shy-fox 10%beneficiary

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

PhotoCollage_1632765416405.jpg
বেলা যত গড়িয়ে যাচ্ছে, ততোই মনে হচ্ছে ফ্যান দিয়ে ঠান্ডা বাতাসের পরিবর্তে, গরম আগুনের ফুলকি ঝরছে। এমনটা বেশ কয়েকদিন থেকে হচ্ছে , তবে আজ অবশ্য একটু বেশি । এ জন্য একটা অসহ্য কর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ,যেটাতে অনেকটা নাজেহাল হয়ে গিয়েছে আশেপাশের মানুষজন ও আমার মত খেঁটে খাওয়া মানুষজন গুলো ।


দুপুরের দিকে এমন লাগছিল যেন, বারবার ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলাম । তবে যতবার কল থেকে পানি বের করার চেষ্টা করছিলাম, তত বারই গরম পানি বের হচ্ছিল। কারণ ছাদের উপরে রাখা ট্যাঙ্কির পানি একদম পুরো গরম পানির ফ্লেভার ।আমি মনে করি, যাদের বাড়িতে ট্যাঙ্কির পানি সাপ্লাই আছে, তারা এই বিষয়টা গরমের দিনে খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে।
20210925_173341.jpg শহরের চেম্বারের পর্ব চুকিয়ে যখন গ্রামের চেম্বারে উদ্দেশ্যে সিএনজিতে করে রওনা হয়েছি তখন যে বাতাসগুলো শরীরের লাগছিল সেটাতেও যেন তৃপ্তির অভাব ছিল । ভ্যাপসা একটা গরম ছুটেছে, টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। কোন জায়গাতেই যেন শান্তি পাচ্ছিনা।
আমি প্রকৃতির কাছ থেকে যে শিক্ষা পাই মাঝে মাঝে , সেটা হচ্ছে প্রকৃতি যখন প্রচুর পরিমাণে তপ্ত থাকে, তখন প্রকৃটি নিজের থেকে একটা সময়ে গিয়ে ঠান্ডা হয়ে যায়, কারণ এটা প্রকৃতির নিয়ম। আমি আজকের এই রকম আবহাওয়া দেখে নিজে নিজে মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো হুট করে বৃষ্টি হবে এবং সেই বৃষ্টিতেই ঠান্ডা হয়ে যাবে প্রকৃতি ।
20210925_173507.jpg
গ্রামের চেম্বারে এসে যখন পৌঁছেছি , তখনও কিছুটা অস্বস্তি লাগছিল । কারন তখনও একদম তপ্ত আবহাওয়া ছিল ।যাইহোক আজ একটু রুগীর চাপ কম । কারণ অতিরিক্ত গরম পরেছে হয়তো সেই জন্য । পরনের গেঞ্জিটা খুলে চেয়ারের উপর রেখেছি কারণ ঘামার্ত শরীরে একদম গেঞ্জি পড়ে থাকা খুব মুশকিল হয়ে যাচ্ছে, যাইহোক অবশেষে যখন জানালার দাঁড়িয়ে ছিলাম।
20210925_173211.jpg হুট করে দমকা হাওয়া যখন আমার ঘামার্ত শরীরটাতে লাগল , তখন শরীরে আমার কাঁপুনি বোধ হচ্ছিল। কারণ এ হাওয়া অনেকটা ঠান্ডা । আমি বুঝতে পারলাম যে , আবহাওয়া এখন প্রতিকূলে আসতে শুরু করেছে। যাইহোক বৃষ্টি যে,আসবে তা সহজে আন্দাজ করা যাচ্ছিল। এজন্য মনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা । কারণ এই বাতাস যে আহ্বান দিচ্ছে, তা অনেকটা মনকে আনন্দে মাতোয়ারা করে ফেলেছে। যাইহোক অবশেষে গেঞ্জিটা পড়ে বাহিরে বের হলাম এবং বের হওয়া মাত্রই বৃষ্টি তার হাজিরা দেওয়া শুরু করলো প্রকৃতির মাঝে ।
20210925_171906.jpg
এরকম বৃষ্টিতে, শৈশবে যে কত ভিজেছি এবং ভিজে ভিজে ফুটবল খেলেছি তার কোনো হিসেব নেই । তবে এখন আলাদা একটা দায়িত্ববোধ চলে এসেছে জীবনের মাঝে। তবে মন কিন্তু মাঝে মাঝেই শৈশবে ফিরে যায় । কারণ মনকে তো আর বেঁধে রাখা যায় না। যাইহোক ইচ্ছা করে হাতটা বাড়িয়ে দিলাম এবং হাতটাকে ভিজিয়ে ফেললাম এবং শৈশবের মুহূর্তটাকে মনে মনে স্মরণ করলাম । কিছু আনন্দ মনে মনে উপভোগ করতে কোন দোষ নেই বরং ভালই লাগে।

Sort:  
 3 years ago 

ভাইয়া ঠিক বলেছেন আসলে ট্যাঙ্কিতে যখন পানি রাখা হয় গরমের সময় সে পানি ও গরম হয়ে যায়। তবে যারা পাতাল থেকে সরাসরি পানি খাওয়ার সুবিধা পেয়েছেন তারা একটু গরমে ঠান্ডা পানি খাওয়াব সুবিধাটা পেয়ে থাকেন। আপনার দোয়া হয়তোবা আল্লাহ কবুল করেছেন যার জন্য এই বৃষ্টি আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন ভাইয়া। গরম থাকলে আর কি করার ভাইয়া কিছু তো করার নাই ।তবে বেশি বেশি পানি খাবেন নিজের যত্ন নেবেন ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই দোয়া রইলো ভাইয়া।

 3 years ago 

আপনার সাথে আমিও একটু অতীতের স্মৃতিচারণ করলাম ভাইয়া। কারণ আপনার ছবিগুলো।
আগে এমন বৃষ্টি হলে তাড়াতাড়ি হাত বাইরে বের করে দিতাম হাত ভিজানোর জন্য।
শৈশব খুব সুন্দর। ❤️

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অতীতকে যদি আপনার চিন্তার মতো ছুয়ে দেখা যেতো ভাইয়া!একে শুধু অনুভবই করা যায়।আর করা যায় স্মৃতিচারণ।
আপনার মতো আমিও ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল,দৌড়াদৌড়ি এসব খেলায় মত্ত থাকতাম আম্মুর শত বকুনি শত্তেও।তখন ছিল না বাইরের কোন চিন্তা তখনই হয়তো ছিল জীবনের প্রকৃত সুখটাকে উপভোগ করার সময়।
আজ কিন্তু এসবের সবই স্মৃতি তবুও আমাদের পাশের কিছু ঘটনা মনে একটি প্রশ্ন আসে-অতীতকে যদি ছুঁয়ে দেখা যেত।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কন্টেন্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

দারুন মজা ভাই বৃষ্টিতে ভিজতে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন সেজন্য ধন্যবাদ। সেই সাথে শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

খুব মজা লাগে পানিতে ভিজতে। আপনার ছবি গুলো দেখে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন সুন্দর ছবি পোস্ট করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

দাদা শুরুতে শুভেচ্ছা নেবেন। আপনি প্রকৃতির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা কিন্তু সবাই দিতে পারে না। আপনার যে অনুভূতি ছিল এই উত্তপ্ত উত্তপ্ত গরমেই কমবেশি সবারই এই অনুভূতি ছিল। কিন্তু অনুভূতি প্রকাশ করার সাধ্য সবার থাকে না। শৈশবের কথা বললেন শৈশব এমন একটা জীবন যেটা সহজে সবাই হারিয়ে ফেলে কিন্তু মন থেকে নয়। আমারও বেউঠা মাঠে-ঘাটে দৃষ্টি দিনে ভিজে ভিজে ফুটবল খেলা, দৌড়োদৌড়ি, মাছধরা, গাছের উপর থেকে পুকুরে লাফ দেওয়া,আহ্ কি আনন্দের ছিল দিনগুলো। দাদা আপনার অনুভূতি আমার মনে এখনো দোলা দিচ্ছে। বৃষ্টি আসলে এমনিতেই হাত বাড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করে। সে এক মহা আনন্দে আত্মহারা কে না হতে চায়। দাদা আপনার প্রতি লাল গোলাপের শুভেচ্ছা রইল

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

 3 years ago 

তবে মন কিন্তু মাঝে মাঝেই শৈশবে ফিরে যায় । কারণ মনকে তো আর বেঁধে রাখা যায় না।

কথা টি চরম সত্য ভাইয়া। আমার বৃষ্টির দিন আর বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক অনেক ভালো লাগে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে নিজেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে উজাড় করে দিতে ইচ্ছা করে। যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ভালো লাগে। এখন আর বৃষ্টিতে ভিজতে পারিনা তাই আপনার মত বৃষ্টি হলে বাইরে হাত দিয়ে বৃষ্টির জল ধরি। তবে এখন থেকে ছেলেবেলার দিন গুলো খুব সুন্দর ছিল।

 3 years ago 

আমি কৃতজ্ঞ বৌদি ☺🙏 ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

বৃষ্টির দিনে ভিজার মজাটাই আলাদা।আগে ভিজতাম কিন্তু করোনা আসার পর আর ভিজি না ,কারণ ঠান্ডা লাগলে সমস্যা এই ভয়ে।সত্যিই এই কয়েকদিন অসহ্য গরম পেরিয়ে আজ রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।পরিবেশটি শান্ত হয়েছে।উপস্থাপনাটি ভালো ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 3 years ago 

আপনার পোষ্টের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিল। আর প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী যখন আবহাওয়া গরম থাকে,তখন বৃষ্টি হওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে-এই বিষয়টা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.026
BTC 59515.78
ETH 2505.02
USDT 1.00
SBD 2.47