মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া
গত কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টা এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছে যে, এই বৃষ্টি থামছে এই আবার শুরু হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আসলে বাইরে বের হওয়া কিছুটা মুশকিল হয়ে যায়। তারপরেও যেহেতু সারাটা দিন বাসার ভিতরেই থাকি, তো যেই একটু গতকাল বিকেলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে গিয়েছিল, ঠিক তখনই বাহিরে কিছুটা সময়ের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে গিয়েছিলাম।
তবে একদম বেশ স্বাচ্ছন্দভাবে যে হাঁটাহাঁটি করতে পেরেছি, ব্যাপারটা কিন্তু তেমনও ছিল না। তারপরেও বেশ উপভোগ করেছি গতকালকের বিকেলটা। এমনিতেই হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, তার ভিতরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর রাস্তায় ছাতা হাতে আমি একটু এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করছি।
ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস যেন ক্রমেই শরীরে এসে স্পর্শ করছিল, অনেকটা শিহরিত অবস্থায় শরীরের লোমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তবে বেশি ভালো লেগেছিল, কুঠিবাড়ি ঈদগাহ মাঠ এলাকাতে গিয়ে। দেখছিলাম ভেজা মাঠে একদল নবীন প্রাণ, ফুটবল খেলার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে আসলে এমন আবহাওয়া অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ।
আমি হয়তো নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি এমন আবহাওয়াতে, তবে তারা কিন্তু এমন আবহাওয়ার জন্যই প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করে। কারণ ভেজা মাঠে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা। হয়তো আমরা যারা শৈশবে এমন ভাবে ফুটবল খেলেছি, তারা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন, আমি ঠিক কোন কথাটা বলতে চেয়েছি। কত সুন্দর দুরন্তপনা শৈশব ছিল আমাদের, তবে আজ আমাদের কাছে সবটাই যেন অতীত।
দীর্ঘ অনেকটা সময় ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম ভেজা মাঠের পাশে, দেখছিলাম দুরন্ত কিশোরদের ছোটাছুটি আর ফুটবল খেলা। অনেকটা ক্লান্তহীন ভাবে তারা যেন খেলেই যাচ্ছিল। একটা সময় আমারও জীবনেও এরকম সময় ছিল, হয়তো বন্ধুরা মিলে কত সময় যে এভাবে ফুটবল খেলেছি তার কোন হিসেব নেই। আজ হয়তো ব্যস্ততার খাতিরে এখন এসব শুধুই স্মৃতি।
অনেকটা সময় ফুটবল খেলা দেখার পরে, আবারো পিচঢালা রাস্তা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম, আর আশেপাশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখার চেষ্টা করছিলাম। সত্যি বলতে গেলে কি, বৃষ্টি হওয়ার পরে সবকিছুই যেন নবরূপে সেজে উঠেছে। অনেকটাই প্রাণবন্ত ও সতেজ লাগছে চারিপাশটা।
তবে এমন সময়ে খুব একটা বেশিক্ষণ বাহিরে সময় অতিবাহিত করতে পারিনি, যদি হয় তো বৃষ্টি আগের মতই ঝিরিঝিরি করে পড়তো, তাহলে কোন সমস্যা ছিল না। তবে এবার বৃষ্টি পড়ার বেগ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অবস্থায় বাহিরে না থাকাই শ্রেয়, হুটহাট করে আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সবমিলে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় বেশ ভালোই কেটেছে সময়টা।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
ভাইয়া আমাদের এখানেও বৃষ্টি হচ্ছে ।আসলে এরকম আবহাওয়া বাইরে যাওয়াই যায়না ।এই বৃষ্টি হচ্ছে আবার এই থেমে যাচ্ছে ।তবে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে বাইরে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। আসলে এই বৃষ্টির দিনে ছেলে পেলেরা ফুটবল খেলে বেশ আনন্দ পায় ।আর আপনার ফটোগ্রাফির প্রকৃতিটা সত্যি চমৎকার ছিল । দারুন প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেরিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই বাচ্চাদের ফুটবল খেলা দেখে যেন আমার অনেকটা শৈশবে ফিরে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল আপু।
https://twitter.com/sharifShuvo11/status/1695018437553406461?t=KAwJwxdER0zvULHAxj9vXw&s=19
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল।সত্যি বলেছেন ভাইয়া এমন মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখতে অনেক ভালো লাগে তবে মাঝে মাঝে। আজ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি আর বৃষ্টির ভিতরে বাইরে বের হওয়া কষ্টকর। আসলে এমন আবহাওয়ায় খেলতে পেরে বাচ্চাদের অনেক ভালো লাগে।আর শুনেছি বৃষ্টির ভিতরে ফুটবল খেলা অনেক মজার। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা আসলেই বেশ মজার, বৃষ্টির ভিতরে ফুটবল খেলা। তবে এখন তা আর চাইলেও ফেরত পাওয়া সম্ভব না, কারণ সবকিছুই এখন অতীত।
ছোটবেলায় বৃষ্টির জন্য প্রায় সবসময়ই অপেক্ষা করতাম। কারণ বৃষ্টি হলেই ফুটবল খেলতে পারতাম। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেললেও জ্বর ঠান্ডা খুব কমই হতো। কিন্তু এখন বৃষ্টির পানি শরীরে লাগলেই সর্দি ঠান্ডা লেগে যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ছাতা নিয়ে হাঁটতে আসলেই খুব ভালো লাগে। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় বিকেলটা দারুণ উপভোগ করেছেন ভাই। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই আমি বিকেলের সময়টা বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম ভাই।
ভাইয়া আপনার মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কারণ ছোটবেলায় বৃষ্টি হলেই রুম থেকে বেরিয়ে ফুটবল নিয়ে কয়েকজন মিলে ফিল্ডে চলে যেতাম। ফুটবল মাঠে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলতাম এবং খুব আনন্দ বোধ করতাম। তারপরে ভেজা গায়ে বাড়িতে এসে বোকা খাওয়া সে বিষয়টা তো খুবই হাসিময়। একবার হয়েছিল কি বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে আসছিলাম। তারপর সেই তো মারের পরে মাইর। সে কথা আজও মনে পড়লে গায়ের মধ্যে শিউরে ওঠে। তবে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার শৈশব স্মৃতি জেনে বেশ ভালো লাগলো।
এই সময় আবহাওয়া বোঝা ভীষণ মুশকিল। হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাচ্ছে আর হঠাৎ করে রোদ উঠছে। তাইতো বাহিরে গেলেও অনেকটা চিন্তায় পড়ে যেতে হয়। ভাইয়া আপনি বাইরে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে আমরা হয়তো নিজেকে গুটিয়ে রাখি। কিন্তু যারা এই সময়গুলোকে উপভোগ করে তারা সত্যি অনেক আনন্দ পায়।
আমিও যে খুব আনন্দ করতে পেরেছি, তেমনটা কিন্তু না। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।
এমন মেঘাচ্ছন্ন সময়ে কি শিশুরা বাসায় বসে থাকতে পারে। তাদের যে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলতেই হবে। বেশ সুন্দর একটি প্রকৃতি অনুভব করেছেন ভাইয়া। আমার তো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই মন ভরে গেছে। এমন গুরিগুরি বৃষ্টিতে একটু বাহিরে ঘুরতেও কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। এতে করে মনও প্রফল্লতায় ভরে যায়।
এই বৃষ্টি এই রোদ এখনকার আবহাওয়া বোঝা খুব মুশকিল। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে বাইরে হাঁটতে তো খুব ভালই লাগে। আমিও শুনেছি বৃষ্টির দিনে ছেলেরা ফুটবল খেলতে নাকি খুব পছন্দ করে। বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলা আসলেও খুব মজার বিষয়। মেঘলা দিনে আপনার সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলা অনেক সুন্দর লেগেছে আমার কাছে।