হায়রে ঈদ শুভেচ্ছা || @shy-fox 10% beneficiary
কয়েকদিন থেকেই ভাবছি বিষয়টা লিখব । তবে আমার কাছে এতগুলো মুহূর্ত ও বিষয় জমা হয়ে আছে যে , আসলে আজকের এই ব্যাপারটা লিখবো লিখবো করে আর লেখা হয়েই উঠছিল না । তবে তারপরেও যেহেতু আমি মানুষ আর মানবিক ও সচেতনতার দিকগুলোই আমি সবসময় একটু বেশি প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি, তাই সেই জায়গা থেকে আজকের ব্যাপারটা আমি লিখতে যাচ্ছি । হয়তো জায়গা ভেদে এক একজনের মতামত ভিন্ন থাকতে পারে , তবে আমার জায়গা থেকে ব্যাপারটা নিতান্তই আমাকে কষ্ট দিয়েছে । তাই আমি বাধ্য হয়ে লিখছি ব্যাপারটা , কারণ স্বচক্ষেই দেখেছি বিষয়টা ।
এমনিতেই কয়েকদিন থেকে কাঠফাটা রোদ যাচ্ছে । তার ভিতরে নিজেদেরই টিকে থাকা খুবই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে । সেখানে সাধারণ মানুষজন ও নিম্নবিত্ত মানুষজনের অবস্থার কথা চিন্তা করলে , একদম মনে হয় যেন চোখের কোণে পানি চলে আসে। এই ক্ষেত্রে আমার সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া আর কোন কিছুই করার নেই । আর তাছাড়া সবার অবস্থাই এই তীব্র গরমে অনেকটাই নাজুক হয়ে গিয়েছে । যাইহোক বিষয়টা তাহলে আলোকপাত করা যাক ।
আমি কয়েকদিন আগে বলেছিলাম যে, আমি উৎসবের কারণে গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম আর ঘটনাটা সেখানেই স্বচক্ষে দেখা হয়েছিল । সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে, আমি যেখানে ছিলাম তার খুব কাছেই ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ছিল । আর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঈদ উপলক্ষে কিছু ঈদ শুভেচ্ছা , যেমন সেমাই তেল ডাল ও চিনি মূলত এগুলো গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য বরাদ্দ ছিল সরকার কর্তৃক আর সেগুলোই দিচ্ছিল এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার লোকজন । তবে যে লোকগুলো দিচ্ছিল তাদের আচার-আচরণ এমন ছিল যে, মনেহয় সেগুলো তাদের নিজেদের পকেট থেকে দিচ্ছে ।
যেহেতু ব্যাপারটা আমি খুবই কাছ থেকে দেখছিলাম , তাই আমার কাছে ভিন্ন রকম একটা অভিজ্ঞতা লাগছিল আর সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে যারা দিচ্ছিল তারা সংখ্যায় বেশ অনেকজন । আমার মনে হচ্ছিল, যারা নিতে এসেছিল তাদের পরিমাণ সেখানে খুবই সামান্য এবং যারা দিচ্ছে তাদের লোকজন দিয়েই এখানে ভর্তি । মানে ব্যাপারটা অনেকটাই কৈ এর তেল দিয়ে কৈ ভাজার মতো ।
তারপরও যেহেতু ঈদ শুভেচ্ছা দেওয়া হবে, তাই মূলত এই অঞ্চলের লোকজন একদম দলবেঁধে এসেছে । ইউনিয়ন পরিষদের সামনে লম্বা লাইন । যদিও গত কয়েকদিন থেকেই স্লিপ বিতরণ করা হয়েছে , তারপরেও সবাই ঈদ শুভেচ্ছা পাওয়ার আশায় তীর্থের কাকের মত দাঁড়িয়ে আছে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে । যেহেতু আমি জীবন নিয়ে লেখার চেষ্টা করি, তাই ঘটনার দিন আমি সশরীরেই সেখানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেছি । গিয়ে দেখি সেই লম্বা লাইন এবং লোকে-লোকারণ । পুরো ইউনিয়ন পরিষদের চত্বর যেন কানায় কানায় ভর্তি মানুষ ।
হঠাৎ যখন ইউনিয়ন পরিষদের লোকজন গুলো চলে আসলো এবং তারা এসেই মোটামুটি অনেকটা দাতার মতো ভূমিকা পালন করছে । এক এক করে লোক আসছে আর এক এক করে প্যাকেট দিয়ে দিচ্ছে । যে প্যাকেট পাচ্ছে, তার চোখে মুখে যেন একদম আনন্দের ঝিলিক । ভিন্ন রকম প্রশান্তির ঝিলিক, আহা সেই সেমাই চিনি তেল ডালের প্যাকেট পেয়ে মনে হচ্ছে, তখনই যেন তার ঈদ পূরণ হয়ে যাচ্ছে, ব্যাপারটা এমন ।
এমনিতেই প্রচন্ড গরম , তার ভিতরে অতিরিক্ত লোকজনের কারণে ক্রমাগত যেন এখানকার পরিবেশের অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে গিয়েছে । হুট করে দেখলাম পিছনের দিক থেকে এক লোক মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেল । বয়স কতই হবে সত্তর ছুঁই ছুঁই । তারপরও এসেছে ঈদ শুভেচ্ছা নেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান সাহেবের কাছ থেকে । হঠাৎ করে এমন তাপমাত্রা তার মনেহয় সহ্য হয়নি । তার মধ্যে লোকজনের প্রচুর ভিড় , তাই হয়তো মাটিতে পড়ে গিয়েছে । অনেকেই তো ছোটাছুটি করছে , দেখার চেষ্টা করছে কি হলো । গিয়ে দেখে সে গরমে হিট স্ট্রোক করেছে এবং তার গায়ে মাথায় পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হলো কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না ।
এমতাবস্থায় আমার বেশ কিছু প্রশ্ন নিজের মধ্যে খেলছে । আচ্ছা এই যে লোকটা পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেল এই দায়টা কার । উনার বার্ধক্যের , নাকি এই ঈদ শুভেচ্ছা গ্রহন করতে আসার কারণে । নাকি বলবো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবের নিজের । এমনিতেই আমি চিন্তাশীল মানুষ, বহু এলোমেলো চিন্তা সবসময় মাথায় ঘুরপাক করে । তার মধ্যে এই চিন্তাটা আমি কোন ভাবেই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারছি না । তাহলে এই মৃত্যুর পিছনে কি কারোই দায় নেই । হয়তো অনেকেই অনেক রকম ব্যাখ্যা দেবে , তবে আমার মাথায় শুধু একটা কথাই খেলছে ।
এই মৃত্যুর যদি দায় দিতেই হয় তাহলে চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের লোকজনকেই দিতে হবে । এক কথায় চেয়ারম্যানের চেলা-প্যালা থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানকে নিজেই এ দায় নিতে হবে । সহজ কথায় এ মৃত্যু হয়েছে চেয়ারম্যানের কারণেই ।
ভোটের সময় তুমি চেয়ারম্যান , পায়ে হেঁটে হেঁটে চলাফেরা করে প্রত্যেকটা ভোটারের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে অনুময় বিনিময় করতে পেরেছ ভোটের জন্য । কিন্তু যখন তুমি চেয়ারম্যান হয়ে গিয়েছো, তখন তোমার রুপ রেখা সম্পূর্ণটাই বদলে গিয়েছে । মানুষ যে কেন এমন হয়, আমি বুঝেও বুঝে উঠতে পারিনা ।
আচ্ছা এই যে ইউনিয়ন পরিষদে এত লোকজন ডেকে, এত আয়োজন করে ঈদ শুভেচ্ছা দেওয়ার এত যৌক্তিকতা ব্যাপার আমি দেখছি না । বিশেষ করে যদি প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঈদ শুভেচ্ছাটা দেওয়া যেত, তাহলে মনে হয় এমন ঘটনাটা আজকে নাও ঘটতো পারতো । আর তাছাড়া সবচেয়ে বড় ব্যাপার তুমি চেয়ারম্যান জনগণের সেবক । জনগণ তোমার কাছ থেকে সহজ সরল ভাবে সেবা পাওয়ার জন্যই, জনগণ তোমাকে ঐ আসনে বসিয়েছে । আর তুমি বাস্তবে কি কর্মকান্ডটা করছো ।
বাহ চেয়ারম্যান বাহ । তোমার ঈদ শুভেচ্ছা দেওয়া দেখে আমি বড়ই নির্বাক হয়ে গিয়েছি ।তোমাদের মত মানুষ জনকে যতই দেখি, ততই যেন নিজের ভিতরে কেমন যেন একটা ঘৃণাবোধ জাগ্রত হয় । কবে তোমরা মানুষ হবে । আসলে তোমাদেরই বা দোষ দিয়ে কি লাভ । সেই উপর থেকে শুরু করে নিচ পর্যন্ত , সমস্যা তো তোমাদের রন্ধে রন্ধে । তারপরেও বলবো পরিবর্তন হও , মানুষ হওয়ার চেষ্টা করো ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এ মৃত্যুর দায় আমাদের সবার। শুধু এককভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা কাউকে দোষারোপ দিয়ে কোন লাভ নেই। এগুলো তো আমাদের নষ্ট সমাজের জারজ ফসল। অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে সবাই সমান অপরাধী।
হ্যাঁ এ কথা সত্য আজ আমরা নির্যাতিত হতে হতে এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি যে আমাদের প্রতিবাদ করার শক্তিটুকু হারিয়ে ফেলেছি ।আসলে মাঝে মাঝে এ সমাজকে নিয়ে আমি অনেক শংকিত হই। আমাদের জন্য একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
আমিও মানছি এই দায় সবার ,কারণ আজকের এই অবস্থার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী । আপনার মন্তব্য আমার ভাল লেগেছে ।
Your post was upvoted by @hustleaccepted
Hustle Accepted
We're inviting you to join our communities at:
Hustle Accepted III Quit Porn III Quit Drugs III Q&As III Life-Changing Quotes
সত্যি বলতে এরা মানুষ হওয়া অনেকটা অসম্ভব পর্যায়ের।কারণ এই মানুষ গুলোর রক্তে রক্তে মিশে গিয়েছি লোভ আর পাওয়ার ইচ্ছা।
ঐ যে মাঝেমাঝেই বলি মানুষ হওয়া এত্ত সোজা না ।
সাধারণ জনগণের মৃত্যু হলেও এদের কিছু যায় আসে না। যে কাজ তারা খুব সহজেই করতে পারত সেই কাজ সাধারণ জনগণকে কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচনের সময় যেমন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতে পারে ঈদের সময় কেন তাদের বাড়ি গিয়ে ঈদ উপহার পৌঁছাতে পারে না? এই বিষয়টি ভাবতেই খারাপ লাগে। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে বলে তাদের রূপের পরিবর্তন হয়েছে। আশা করছি সময়ের সাথে সাথে সবাই নিজেকে শুধরে নেবে। ভাইয়া আপনার এই লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
সবকিছুই যেন একটা নিয়ম আর দাসত্বের মধ্যে পরিণত হয়ে গিয়েছে । তবে আশা করি অদূর ভবিষ্যতে এই নিয়ম আর দাসত্ব প্রথাটা ভেঙে যাবে ।
জনপ্রতিনিধিদের যে গুণগুলো থাকা দরকার সেগুলো না থাকলে সে চেয়ারম্যান হয় কেন? ভোটের বেলায় ঠিকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিতে বলে। আর সরকার কর্তৃক ত্রাণ দেয়ার বেলায় লাইনে দাড়িঁয়ে নিতে হয়! যার জন্য বৃদ্ধ লোকটি মারা গেলো। ঘটনাটা পুরা উল্টে যেত যদি চেয়ারম্যান বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আসতো। আমিও আপনার মতোই বলতে চায়, আগে মানবিক হও,মানুষের জন্য কাজ করো। তবেই তুমি চেয়ারম্যান। ভালো একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া
আমরাই আসলে তাদেরকে এই রকম ভাবে মাথায় তুলেছি ।আমাদেরই উচিত নিজেদেরকে একটু সচেতনতার মাধ্যমে ,পরিস্থিতি এগুলোকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।
জি ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন ❤️
এই অবস্থাটাই বলে দেয় এখনো আমাদের দেশের কত শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। আসলেই ভাই ভাবলেই কেমন লাগছে এরা কতটা অসহায়। এখানে উচিত ছিল ঐ চেয়ারম্যান ঈদ শুভেচ্ছা গুলো তাদের বাড়ি পৌছে দেবে। কিন্তু আমরা ঐ সমাজ ব্যবস্থা এখনো গড়ে তুলতে পারি নাই। আপনার বাস্তব ধর্মী লেখা সবসময়ই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। যে সবার আগে মানুষ হও।।।
কে শোনে কার কথা ভাই । পৃথিবী চলছে ভিন্ন নিয়মে, এখানে জোর যার মুল্লুক তার ।
আসলে ভাই আমাদের সমাজের মানুষ খুবই স্বার্থপর। নিজের ভালোর জন্য সবকিছুই করতে পারে। নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কত খোঁজখবর নিতো। ঈদের একটা দিন আর কোনো খোঁজ নেই। আসলে এরকম চিন্তা ভাবনার মানুষগুলো আমাদের সমাজে আছে বলেই আজ গরিবদের এত কষ্ট। যদি আপনার মত চিন্তা ধারা মানুষকে হতো তাহলে তাদের কষ্ট থাকতো না। আসলে সমাজব্যবস্থা আজ এত অধঃপতন যা বলার বাইরে।
যখনই নিজেদের স্বার্থ হাসিল হয়ে যায় , তখনই সবাই নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে এবং আসল রূপটা দেখিয়ে দেয় ।
আসলে ভাই আমার আর কিছু বলার নেই।সবাই ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলছে,কে বাবার বয়সী বৃদ্ধ সেদিকে দেখার সময় নেই।যার যার প্রাপ্য মালামাল যদি তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো এমন ভোগান্তি পোহাতে হবে না আর বৃদ্ধ মানুষগুলো কেউ এই কষ্টের ভাগ নিতে হবে না। যাই হোক বৃদ্ধ লোকটির আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
শুধুই কি ক্ষমতার অপব্যবহার নাকি ব্যাপারগুলোকে আমরা মানিয়ে নিতে শিখেছি । আসলে দিনশেষে দোষ আমাদের , এই দায় আমাদের সবার ।
আসলে ভাই বর্তমানে মানুষের মানবতা বলে কিছু নেই। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সময় ধারে ধারে গিয়ে মানুষের কাছে ভোট চায়, ভোট ভিক্ষা চায় আর যখন জিতে যায় তখন আর মানুষের মানুষ বলে গণ্য করে না, এ বিষয়টা আমার কাছে এত খারাপ লাগে যা কল্পনার বাইরে। আসলে কি বলব আপনার কাহিনীটি পড়ে এত খারাপ লাগলো আমার কাছে আর সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগলো বৃদ্ধ লোকটির জন্য কি অপরাধ ছিল। আপনার সাথে আমিও একমত বৃদ্ধ লোকটির মৃত্যুর এই দায় অবশ্যই চেয়ারম্যান এবং তার সঙ্গীদেরকে দিতে হবে।
এইজন্যই তো আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে । সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া , আসলে এই প্রথা পরিবর্তন করা কোনভাবেই সম্ভব না ।
এদের ভেতর মানবিক বোধ কখনো জাগ্রত হবে না ভাই। এরা একেক জন টাকার কুমির, আর সাধারণ মানুষ এদের শিকার। কয়টা মানুষ লাশ হলো এটা ব্যাপার না কত কোটি টাকা ইনকাম হলো এটা বড় ব্যাপার। এরা ঈদ উপহার দেয়ার আড়ালে বিশাল উপার্জনের ফাঁদ পেতে রাখে, যেখানে দুএকটা মানুষের লাশ তাদের কোন বিষয়ের মধ্যে আসেনা। কিন্তু আপনার আমার মতো মানুষের কষ্ট লাগে এগুলো দেখে।😕
এমনটাই তো হচ্ছে ভাই , তবে বলির পাঠা হয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমরা । যাইহোক দিনশেষে আমাদের ঐ সচেতন হতে হবে , এরকম জানোয়ারদের হাত থেকে বাঁচতে হলে ।