গন্তব্য যখন ||@shy-fox 10% beneficiary
এমনিতেই গতরাত্রে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জেগে ছিলাম এবং সকলের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং ভাল একটা সময় কেটেছে। সত্যি বলতে গেলে কি, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিন আর এই দিনে মূলত পরিবারের সবার সঙ্গে দেখা হয় ,পরিবার বলতে আমার বাংলা ব্লগ বাসীর সবার সঙ্গে দেখা হয় এবং আমরা সকলে খুব ভালো একটা সময় কাটাই। যাইহোক আজকে মূলত শুক্রবার, আমি এই দিনটাতে এমনিতেই একটু বাসাতেই থাকি এবং বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টায় থাকি । কিন্তু গত রাতে হিরা আমাকে মেসেজ করে দিয়েছে যে, বাসার জন্য বাজার লাগবে । আসলে সে আমাকে সরাসরি বলতে পারেনি কারণ তখন আমি হ্যাংআউটে ব্যস্ত ছিলাম।
এমনিতেই আমার কাছে বাজার করা অনেকটা যুদ্ধের মতো মনে হয়। কারণ বাজারের যে অবস্থা, প্রচুর লোকজন তার ভিতরে সব কিছুর যে দাম, সর্বোপরি একটা মানসিক চিন্তাতো থাকেই । যাইহোক এমনিতেই গতরাতে খুব একটা বেশি ঘুম হয়নি । সকাল বেলা বাসা থেকে নিচে নেমে রিক্সা নিয়ে যখন বাজারের উদ্দেশ্যে গেলাম, তখন প্রথমেই রাস্তার ভিতর একটা আলাদা রকমের বাঁধার সম্মুখীন হলাম । মানে পুরো রাস্তা ব্লক, কিছু লোকজন আসলে নির্বাচনী কাজের জন্য মিছিল করছে এবং রাস্তা ব্লক করে রেখেছে। ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ অস্বস্তিকর লাগছিল ।
যাইহোক অবশেষে রিক্সাওয়ালা ভাইকে বলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে আমরা বাজারে গেলাম এবং যখন বাজারে গিয়ে পৌঁছালাম তখন মোটামুটি কিছুটা স্বস্তি লাগছিল । আমি আগে থেকে টার্গেট করে রেখেছিলাম যে, আমি মূলত চারটা দোকানে যাব এবং চারটা দোকানে গিয়েই মোটামুটি বাজার শেষ করে ফেলব । যাইহোক অবশেষে হিরার দেওয়া লিস্ট গুলো আমি দেখে ফেললাম এবং সেই লিস্ট অনুযায়ী আমি চেষ্টা করলাম বাজার করার জন্য।
করোনাকালীন সময় থেকে এখনো পর্যন্ত আমি চেষ্টা করছি, নিরাপত্তার চাদরে নিজেকে প্রতিনিয়ত ঢেকে রাখার জন্য। কারণ সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে, আমার বাসায় ছোট বাচ্চা আছে। তাই আমি সর্বদা স্বাস্থ্য বিষয়ক নিরাপত্তা গুলো প্রতিনিয়ত মেনে চলার চেষ্টা করি । যাইহোক মোটামুটি আমি খুব তাড়াতাড়ি বাজার গুলো করে ফেলার চেষ্টা করলাম এবং চেষ্টা করলাম তাড়াতাড়ি রিক্সায় উঠার জন্য ।
যাইহোক মোটামুটি বাড়ি থেকে যে চিন্তাভাবনা নিয়ে এসেছিলাম, সেটা অনেকটাই আমার কাছে বৃথা হয়ে গিয়েছিল । কারণ বাজারে সব কিছুর প্রচুর দাম এবং মনে হয় আগুন লেগেছে সবকিছুতে । সর্বোপরি অনেকগুলো পয়সা খরচ হয়ে গিয়েছে বাজারগুলো করতে। তবে যাইহোক তাও বাজারগুলো নিশ্চিন্তে করতে পেরেছি এটাই বা কম কিসের ।
তবে আমার মাঝে মাঝে নিম্নবিত্ত মানুষগুলোর জন্য চিন্তা হয় । এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে তারা কিভাবে টিকে আছে, এই কথা চিন্তা করলে কোন কিছুই আসলে মাথায় ঠিকমত কাজ করেনা। যাইহোক, পৃথিবীটা সকলের হোক এবং সবাই পৃথিবীতে সঠিক ভাবে বেঁচে থাকুক এই কামনাই করি।
ডিসকর্ড লিংক:
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি ভাইয়া আসলে পরিবারের মতোই আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনি বৃহস্পতিবার দিনটা খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত ইনজয় করেন এবং আমরা উপভোগ করি ।যখনই আপনি নয়টার সময় হাজির হন মনের ভিতর উত্তেজনা কাজ করে ।এত সুন্দর প্রেজেনটেশন ।হ্যাঁ বাজার করতে আসলে মানুষের যুদ্ধ লেগে যায় কারণ বাজারে এত লোক থাকে এর মধ্যে কেনাকাটা করা যেমন একটি অন্যরকম অবস্থা হয়ে যায়।আসলে আপনি অনেক ব্যস্ততার মাঝে সময় পার করেন এবং সবদিক একা ঠিক রাখতে হয়। হ্যাঁ এটা আমাদের উচিত এ নিজ নিজ দায়িত্বে নিজের নিরাপত্তা ঠিক রাখা। বাজার করতে তো খরচ হবেই ভাইয়া☺️ আপনি করেছেন অনেক।হ্যাঁ এটাই কামনা করি পৃথিবীতে সকলে ভালো হবে বেঁচে থাকুক ☺️
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
করোনাভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে নিরাপত্তা মেনে খুব সুন্দর ভাবে বাজারে গিয়েছেন। করোনাভাইরাস এর মহামারী পর থেকে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম গুলো বেড়েই চলেছে। নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য যা সত্যি অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সুন্দরভাবে বাজারের কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনি একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি। আপনার পরিবারের কথা মাথায় রেখে আপনি সবসময় নিরাপদ এর সাথে জীবন পরিচালনা করছেন। আসলে আমাদের প্রত্যেকেরই এভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতার সাথে জীবন পরিচালনা করতে হবে। আসলে বাজার করা খুবই কষ্টকর। আপনি বাজার করাকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন। এটা শুনে আমার হাসি পাচ্ছে। আসলে হাসি হাসলেও এটাই বাস্তব। আমারও বাজার করতে একদমই ভালো লাগে না। বাজার করা খুবই ঝামেলা মনে হয়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং আপনার পরিবারের সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
এই দেশে মহামারী আসতে আর দেরী নেই ভাই।
সব দ্রব্যের দাম যেরকম বাড়ছে এক শ্রেণির মানুষ না খেয়েই মরবে😐।
এবং রাস্তা আটকে নির্বাচনী প্রচারণা সত্যি বিরক্তিকর একটা বিষয়। অকারণে জনগণের দূর্ভোগ সৃষ্টি করা। এবং আমরা সচেতনতার বিষয়টি আমার বেশ ভালো লেগেছে। সবাই যদি আপনার মতো সচেতন হতো তাহলে করোনা আমাদের এতো বড় ক্ষতি করতে পারত না।
সবমিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি এবং গুছালো একটি পোস্ট ছিল ভাই।।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
💖💖
যদিও এখন করোনা চলে গেছে তবে যে আবার যে ফিরে আসবেনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই , তাই প্রত্যেকেরই উচিত সচেতন ভাবে চলা ,তবে ভাইয়া আপনার এই সুন্দর ও সচেতন দিক গুলো অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে ,আপনি আপনার সাথে সাথে আপনার পরিবারকে ও সচেতন রেখেছেন , সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
একটা বিষয় খুব ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে করোনা শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আপনি নিজেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রেখেছেন ।একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে এটা আপনার থেকে অবশ্যই কাম্য ছিল যা আপনি যথাসাধ্য ভাবে পালন করে আসছেন ।আসলে বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে তাদের স্বাস্থ্যোর বিষয়টা সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ আমাদের কিছু হলে আমরা হয়তোবা তার মোকাবেলা করার সক্ষমতা আমাদের থাকতে পারে কিন্তু একজন শিশুর শেষ ক্ষমতা খুবই কম সে ক্ষেত্রে একজন বাবা হিসেবে আপনি যথাসাধ্য দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ।এটা খুবই সম্মানীয় আমার কাছে। আপনার পরিবারের জন্য সবসময় শুভকামনা থাকবে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আসলেই ভাইয়া বাজারের সব দাম যেভাবে বাড়ছে কে জানে কি হবে!
আমার ও খুব কষ্ট লাগে উনাদের কথা ভাবলে।
এইযে আমাদের বাসার বুয়া আন্টি কাজ করে, উনার মুখ থেকে উনার বাজার করার বৃত্তান্ত শুনলেই খারাপ লাগে আমার।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
নিম্নবিত্ত মানুষগুলোর জন্য আসলে ভাবার কেউ নেই।যাদের ভাববার কথা ছিল তারা কেউ ভাবেনা। তাই আমাদের দেশের দ্রব্যমূল্যের অগ্রগতি লাগামছাড়া। দরিদ্র মানুষেরা খেতে পাক বা না পাক তা নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নেই
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বাজারে সব জিনিসের গায়ে যেন আগুন । মাছ-মাংস থেকে শুরু করে সবজির দামও এখন অনেক বেশি। সাধারণ মানুষ যে কিভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচবে তা স্বয়ং আল্লাহতায়ালা জানেন। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে সাধারণ মানুষের টিকে থাকা খুবই মুশকিল।
ভাইয়া আপনি সবসময় বাস্তব চিন্তা ভাবনা থেকে কথাগুলো লেখেন সেজন্য অনেক ভালো লাগে। সত্যি কথা বলতে বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমাদের মত যারা মধ্যবিত্ত মানুষ রয়েছে তাদের কাছেও মাঝে মাঝে দৈনন্দিন জিনিসপত্র কেনা সাধ্যের বাইরে চলে যায়। এক্ষেত্রে আমরা যদি খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করি তাহলে তাদের আরো কতটা কষ্ট হয় সেটা বুঝতেই পারছেন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। দ্রব্যমূল্যের দামের সাথে সাথে তাদের আয় বাড়েনি। আর এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির মাঝেও তাদেরকে তাদের সংসার চালাতে হচ্ছে। যেখানে আমরা আমাদের সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি সেখানে কি করে একজন দিনমজুর এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সংসার চালাচ্ছে সেটাই ভাবতে পারছিনা। যাইহোক আপনি ভালভাবে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।