ঝটিকা সফর ( ভিডিও মুহূর্ত) || @shy-fox 10% beneficiary
আসলে ভিডিও মুহূর্তগুলো নিয়ে তেমন কিছু আসলে বলার থাকেনা। কারণ যে গুলো বলতে চাই, সেগুলো পুরোটাই দেওয়া থাকে ভিডিওর ভিতরে। তাও কিছু কিছু বিষয় বলতে হয়। কারণ কিছু বিষয়ের কিছু অজানা কারণ থাকে। আসলে যেগুলো ক্যামেরার সামনে অনেক সময় দেখানো যায় না বা বলা যায় না। যাইহোক ব্যাপারটা এমনই । এই ভ্রমণটা আমার কিছুটা হুট করেই হয়ে গিয়েছিল । যেহেতু পার্সেল সংক্রান্ত বিষয় ছিল, তারপরে আবার আমার পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার ব্যাপারটাও ইনক্লুড ছিল । সর্বোপরি একটা ঝটিকা সফর হয়ে গিয়েছিল গাইবান্ধায় ।
আমি চেষ্টা করেছি ভিডিওর মাধ্যমে দেখানোর জন্য যে , আমার আসলে সফরটা মূলত কেমন ছিল । কিভাবে আমি সেই খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে একদম গাইবান্ধা গিয়ে, পাসপোর্ট অফিসের মুহূর্তটা এবং কিভাবে পার্সেল সংগ্রহ করেছি ,সেই ব্যাপার গুলো আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি। সর্বোপরি একটা ভালো একটা মুহূর্ত কেটেছিল আমার। তবে বেশ কিছু ভোগান্তিকর অবস্থার শিকার হতেও হয়ে ছিল,বিশেষ করে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে। যেটা আমি প্রথম ব্লগে লেখার চেষ্টা করেছিলাম ।
তাও যেহেতু ঝটিকা সফর ছিল, মোটামুটি আমাদের সফরটা ভালোই ছিল । বিশেষ করে আমি ও আমার ছোট ভাই ইমু ,দুজনেই বেশ ভালো ফুরফুরে মেজাজে সময়টাকে কাটিয়েছিলাম । আমি চেষ্টা করেছিলাম প্রশাসনিক ভবন গুলো ভালোভাবে দেখানোর জন্য । তবে আমার ভোগান্তির অবস্থা থেকে আমি একটা মাত্র উপদেশ আপনাদেরকে দিতে পারি, বিশেষ করে আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে। আমি যখন পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট সংক্রান্ত ব্যাপার গুলোর জন্য যখন নিজের থেকে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছিলাম, তখন ওখানকার লোকজন আমাকে বেশ কিছু অহেতুক প্রশ্ন করে বিভ্রান্তকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল, যা আমি সবটাই নিজের নিজের থেকেই হ্যান্ডেল করেছিলাম ।
আপনি যদি যে কেন কাজে, যে কোন সরকারি অফিসে যান না কেন , আপনাকে শুধুমাত্র একটা জিনিস মনে রাখতে হবে । সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তা মানে, এককথায় বলতে গেলে তারা প্রজাতন্ত্রের চাকর। বলতে গেলে তারা আপনাদের সেবায় মানে, আমাদের মতো সাধারণ লোকজনের সেবায় নিয়োজিত। তাদের প্রথম ও শেষ কাজ হচ্ছে, মানুষকে সেবা দেওয়া । আমার আপনার মত সাধারণ মানুষের ইনকামের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন হয় সুতরাং তাদের যত বড়ই ডিগ্রী থাকুক না কেন, যত বড় কর্মকর্তাই হোক না কেন। তাদের প্রথম ও শেষ পরিচয় হচ্ছে , তারা হচ্ছে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ।
আমি যখন পাসপোর্ট অফিসের সব থেকে বড় কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলাম, সে আমাকে অনেকগুলো কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার চেষ্টা করছিল । আমি বারবার নিজের থেকে সে গুলোকে হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছিলাম এবং আমি বলছিলাম যে, আমি এখানে ইনফরমেশন নেওয়ার জন্য এসেছি এবং এটাই আমার প্রথম ও শেষ কথা ।
তবে আপনাকে একটা জিনিস বারবার মনে রাখতে হবে, আপনি যে কাজের জন্য যে সরকারি অফিসে যাচ্ছেন। সেই কাজের লক্ষ্য ও সেই কাজের প্রতি যদি আপনার কনফিডেন্স ভালোমতো থাকে, তাহলে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। হয়তো তারা একটু আপাকে ঘোরাঘুরি করাতে পারে কিন্তু তারা আপনাকে সেবা দিতে বাধ্য। তবে আপনাকে কোন অবস্থাতেই নরম কাটা চলবে না। কারণ নরম কাটলেই তারা কিন্তু গরম হয়ে যাবে। আর চতুর্দিক থেকে দালাল আপনাকে তখন ছিঁড়ে ছিঁড়ে মানসিক ভাবে রক্তাক্ত করে ফেলবে ।
তবে অন্যদিকে যখন আমি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পার্সেল নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। তখন সেখানে গিয়ে আমাকে বিন্দুমাত্র অসুবিধার শিকার হতে হয়নি এবং কোন ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি । যাওয়া মাত্রই সেখানে কাজ হয়ে গিয়েছিল। এই হচ্ছে মূলত সরকারি আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তফাৎ । যেটা আরকি একটু চোখ মেললেই দেখা যায় ।
যেহেতু আমার মূলত উদ্দেশ্য ছিল এই দুটো কাজ। তাই এবারের সফরটা মোটামুটি ভালোই হয়েছিল । তবে আমি যেহেতু মূলত প্রতিনিয়ত সবকিছু থেকে শেখার চেষ্টা করি এবং নিজের মত করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করি। তবে আমার কাছে এবারের শিক্ষা এই টুকুই যে, আপনি যদি সঠিকভাবে, সঠিক মনোবল নিয়ে থাকেন , তাহলে হয়তো আপনাকে একটু সাময়িক অসুবিধায় পড়তে হতে পারে, তবে সেটার ফল কিন্তু মিষ্টি হয়। তবে যাইহোক যদি কখনো আপনারা কোন সরকারি অফিসে যান, কখনোই মনোবল হারাবেন না। আর সর্বোপরি এই ছিল এবারের উপদেশ । পরবর্তীতে আবারও দেখা হবে, অন্য কোন বিষয়ে অন্য কোন স্থানে । আজকের মতো এই পর্যন্তই, ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
ধন্যবাদ সকলকে
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া সরকারি অফিস এবং বেসরকারি অফিসের মধ্যে এটাই পার্থক্য সরকারি অফিসে গেলে আপনাকে কিছু ভোগান্তির শিকার হতে হবে অপেক্ষা করতে হবে তবুও দেখবেন দিনশেষে দেখা যাবে আমরা আমাদের মতো করে কিছু করতে পারেনি ঠিক উল্টো চিত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে । গত পোস্টে আপনি গাইবান্ধা গিয়েছিলেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছিলেন কেন দিয়েছিলে সেটা। আজ আপনি আপনার ভিডিওর মাধ্যমে গাইবান্ধা যাওয়ার উদ্দেশ্য খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন সেই ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে পারছেন না হওয়া পর্যন্ত সব কিছু বিষয় ভিডিও মাধ্যমে বলেছেন। আসলে যেখানে ভিডিও দেওয়া থাকে সেখানে কথা বলার তেমন কিছু থাকে না। তবুও আপনি সুন্দর একটি সময় ফুরফুরে মেজাজে দিনটা যে কাটিয়েছেন এর জন্য ভালো লাগছে। পার্সেল নেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ প্রজাতন্ত্রের চাকর। তারা জনগণের সেবা করার জন্য চাকরি করছে কিন্তু তাদের কাজের ধরন ভিন্ন কথা বলছে। শুধুমাত্র তারা নিজেদের কাজগুলো করছে জনগণের সেবা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে। মাঝে মাঝে তাদের ব্যবহারে এমন মনে হয় যেন সরকার তাদেরকে টাকা দেননা। এটা তারা ভুলে যায় জনগণের সেবা করার জন্যই তাদেরকে নিয়োজিত করা হয়েছে। এছাড়াও চারপাশে দালালচক্রের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভাইয়া আপনার ভিডিওটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর করে আপনার সফরের ভিডিও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আপনি আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেন এটা আমার খুবই ভালো লাগে। এভাবেই আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো প্রতিনিয়ত দেখতে চাই ভাইয়া। আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আসলে দাদা সরকারি অফিস গুলোর বেহাল দশা সব খানেই। দালাল আর টাকা ছাড়া কিছু বুঝতেই চায় না। গত সপ্তাহে সজীব পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বেশ ভুগেছে দুই দিন। সজীব বাইরে গেলে ওর সাথে তো আমি সব সময় কথা বলতে থাকি, তাই কখন কি প্রবলেম হচ্ছে সব আমার জানা হয় মোটামুটি। আমি আসলে অবাক হয়ে যাচ্ছিলাম কি সব ফালতু কারণ দেখিয়ে বার বার ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছিল। কবে যে মানুষের সুদিন আসবে ঈশ্বর জানেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের নিজেদের কাজগুলো নিজের চেষ্টায় করে নেওয়া উচিত। যেসব সরকারি দপ্তর গুলো জনগণের কাজকে গুরুত্ব না দেয় সেসব দপ্তরগুলোতে গেলে অবশ্যই নিজের কনফিডেন্স দেখাতে হবে। কারণ তারা তাদের কাজগুলো খুবই অবহেলা করে। নিজের কাজগুলো নিজেকে হাসিল করে নিতে হবে। সব সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন সরকারি অফিসগুলোতে গেলে ঝামেলার শেষ থাকে না। যে কাজটি সামান্য কয়েক মিনিটেই করা সম্ভব সেই কাজটি করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। তবুও মাঝে মাঝে সঠিক সমাধান পাওয়া যায় না। এই ধরনের দপ্তরগুলোতে গেলে নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যাওয়া উচিত। আমরা যদি কনফিডেন্সের সাথে আমাদের কাজ গুলো করার জন্য জোর দেই তাহলে অবশ্যই সফলভাবে করতে পারব। আর আমরা যদি তাদের সাথে কথা না বলতে পারি তাহলে সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ঝুলে থাকবে। নিজ দায়িত্বে তারা কখনই এই কাজগুলো করবে না। কারণ এর ভিতরে অনেক দুর্নীতি রয়েছে। সরকারি অফিসের কর্মচারীরা দালাল চক্রের সাথে জড়িয়ে পরেছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ গুলো ভোগান্তিতে পরেছে। অন্যদিকে বেসরকারি অফিস গুলো তাদের কাজগুলো খুব ভালোভাবে করার চেষ্টা করছে। তারা সবসময়ই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে দিচ্ছে। এ থেকে বোঝা যায় আমাদের দেশের সরকারি ও বেসরকারি অফিস গুলোর মধ্যে পার্থক্য। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনার এই ভিডিও দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার মুহূর্তগুলো আপনার ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন। যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ্য থাকুন এই কামনাই করি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
মাঝে মধ্যে এমনটা হয় ভিডিও করার সময় অনেক কিছু কথা সবার সামনে বলা যায় না৷ আমিও একসময় ইউটিউবং করতাম। তো ভিডিও করা নিয়ে বেশ ভালো ধারণা আছে৷ যাইহোক এসব সরকারি কাজে ঝামেলা বেশি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আমিও আপনার এই তফাৎ করার বিষয়টির সাথে একমত।সরকারি কাজে জীবন চলে যায়।
ভাইয়া, আপনাদের সফরটি খুবই ভালো ছিল।কারণ ঝামেলাবিহীন ছিল।তাছাড়া আপনি ঠিক বলেছেন অনেক সময় অনেক কিছু লিখে বা মুখে বলে বোঝানো যায় না কিন্তু খুব সহজেই সেগুলো দেখার মাধ্যমে বোঝানো যায়।ভিডিওটি ভালো ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
বেশি কিছু হয়তো বলতে পারব না। তবে এটাই বলব ভাইয়া, বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আমাদের জন্য সত্যিই একটি শিক্ষণীয় বিষয় এটা। পূর্ব থেকে জানা থাকলে ভবিষ্যতে কাজে লাগে। আর আপনার পোস্টের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষণীয় বিষয় আমার জন্য এটাই ছিল।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল ।
আপনি আজকে অনেক সকাল সকাল উঠে পড়েছেন। আসলে বাস্তবতা এমনই। বাস্তবতার কারণেই অনেক সময় অনেক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।যাক আপনি নিজেই নিজের সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন।খুবই ভালো লাগলো। আপনার ছোট ভাই ইমুর সাথে দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন।এটাই বাস্তব যে যত নরম মানুষ তার ওপরে গরম দেখায়। তাই আমাদের মনোবল শক্ত রাখতে হবে এটা মেইন কথা।পোষ্টের মাধ্যমে থেকে দারুন একটা শিক্ষা পেলাম আমাদের সবসময় মনোবল শক্ত রাখতে হবে। এটাই ভাইয়া অনেক ভালো লাগলো আবার অপেক্ষায় রইলাম