ঘটনাটা শুক্রবারের ||@shy-fox 10% beneficiary
এটা এক কথায় ফুড রিভিউ বলতে পারেন। তবে এই ফুড রিভিউ কোন রেস্টুরেন্টের না । এই ফুড রিভিউ হচ্ছে নিজের গিন্নির হাতে বানানো খাবারের ফুড রিভিউ । যাইহোক ব্যাপারটা আমার কাছে ভালই লাগছে। কারণ অনেক সময় আমি বাহিরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবারের ফুড রিভিউ দিয়েছি । যেটা বিগত সময় আপনারা দেখেছেন। তবে আজকে নতুন করে, যখন আমি আমার বৌয়ের হাতের রান্নার খাবারের ফুড রিভিউ দেবো, সেটা আসলে একটু ভিন্ন রকম হবে। তবে আমি মনে করি এটা কিছুটা হলেও,আমার বৌয়ের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে ।
ঘটনাটা শুক্রবারের, বিষয়টা হচ্ছে এমন যে শুক্রবার আমাদের এখানে ছুটির দিন । আর আমিও মোটামুটি এদিন আমার সব রকম কর্ম থেকে দূরে থাকি, সবরকম কর্ম বলতে আমার বাস্তব জীবনের কর্মের কথা বলছি আরকি । যাইহোক গত রাতেই, আমাকে আমার গিন্নী বলে দিয়েছিল ,শুক্রবারের দিন সকাল বেলা যেন ঘুম থেকে উঠেই খাবারের জন্য তাড়াহুড়ো না করি ।
যেহেতু বৃহস্পতিবার রাত ছিল আর মোটামুটি নিজের ভার্চুয়াল লাইফের কাজ সেরে এবং অন্যান্য কাজ করে, ঘুমোতে ঘুমোতে ভোর পাঁচটা। তাই সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে কমপক্ষে দুপুর 2 টার মত বেজে গিয়েছিল। যাইহোক আমি আর গিন্নিকে খুব একটা বিরক্ত করিনি। সে মোটামুটি নিজের মত করে রান্না করতে পেরেছিল সকালের সময়টাতে ।
ঘুম থেকে উঠে যখন, ব্রাশ করে খাবার টেবিলের কাছে আসলাম তখন মোটামুটি আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছে। কারণ টেবিলে অনেকগুলো খাবার ছিল । বিশেষ করে আমার প্লেটটা যে ভাবে সাজিয়ে দিয়েছিল, সেটা দেখে আমার অনেকটা জিহ্বায় পানি চলে এসেছে। আহা আমি তো এই খাবারগুলো, কিছুদিন আগেও রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম । ব্যাপারটা যেহেতু এখন নিজের বাড়ির ভিতরে হয়েছে,তাই একটু আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে।
আমি গিন্নিকে ডেকে বললাম, কি গো এজন্যই বুঝি সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে নিষেধ করেছিলে। যাইহোক নিজেদের ভিতর একটু খুনসুটি তো হয়েই গেল । তার একদম সাফ সাফ কথা, বেলা অনেক হয়েছে। এখন খেয়ে আমাকে উদ্ধার করো । এমনিতেই অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি, মোটামুটি ভালই ক্ষুধা লেগেছে। যাইহোক পেটের ভিতর একটা মোচড় দিয়ে উঠলো, চোখের সামনে এতগুলো খাবার কিভাবে যে লোভ সামলাই এইটা ভেবে কিছুটা স্থির করে ফেললাম নিজেকে ,যে আমি কোনটা দিয়ে আগে শুরু করব।
অবশেষে ফ্রাইড চিকেন, সবজি আর একটু ফ্রাইড রাইস মিক্সড করে মুখে দিলাম। যাইহোক মনে হচ্ছিল যেন, রেস্টুরেন্টের খাবার খাচ্ছি। গিন্নি আমার ইদানিং ভালই রান্না করা শিখে গিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করছে। তার একমাত্র কারণ হয়তো, আমার বাংলা ব্লগে যারা নিয়মিত রেসিপি শেয়ার করে তাদের রেসিপি গুলো দেখে, সেই গুলো বাসায় চেষ্টা করার কারণে।
যাইহোক আমার গিন্নির শেখার কার্যক্রম ও আগ্রহ আমার ভালো লেগেছে এবং সেটা সে প্র্যাকটিক্যালি বাসায় করেছে এ জন্য আরো ধন্যবাদ । মোটামুটি তার খাবার গুলো ভালোই হয়েছে । সবমিলিয়ে ভালোই ছিল শুক্রবারের সময়টা আমার কাছে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
ভাইয়া ভাবি তো একেবারে রেস্টুরেন্টের মতো খাবার সাজিয়ে দিয়েছে।ভাবি তো খুব সুন্দর রান্না করে ভাবছি একবার আপনার বাসায় যাবো। হা হা হা। ভাইয়া আপনি খুব মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া। ভাইয়া আমরা তাহলে আসছি আপনার বাসায়।
বৌদি আমি কৃতজ্ঞ। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ভাবি তো একেবারে রেস্টুরেন্টের মত করে প্লেট সাজিয়েছেন এবং চিকেন ফ্রাইড রাইস দেখে মনে হচ্ছে এটা রেস্টুরেন্ট থেকে আনানো। ভাবি অনেক সুন্দর রান্না করতে পারেন তাহলে।শুক্রবার দিন দুপুরে ভালোই ভুরিভোজ দিয়েছেন ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খাবারটা দেখতে আসলেই অনেক লোভনীয় ছিল ।দেখে আমারও জিভে জল চলে এসেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া শুক্রবার দিন গুলো সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলো থেকে একটু আলাদাই থাকে। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী তাদের জন্য স্পেশাল হয়। বাসায় একটু স্পেশাল রান্নাবান্না হয়ে থাকে। যাই হোক আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো একেবারেই মনের মাধুরী মিশিয়ে আপনি লেখাটা লিখেছেন খুব ভালো লেগেছে পড়ে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একটি খাবার রেস্টুরেন্টে খেতে খেতে যখন সেটা বাড়িতে পাওয়া যায় তখন অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। অনেক ব্যস্ততার পর সুন্দর একটি খাবার উপহার দিয়েছে বৌদি।আপনাকে মনে হয় সারপ্রাইজ করেছে বৌদি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাইরে রেস্টুরেন্টে যতই খাবার খান দাদা বাড়ির খাবার টেস্টই আলাদা। তার মধ্যে রান্নাটা যদি বৌদির হাতের হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। সত্যি বলতে রান্নাটা দেখেই এত সুন্দর লাগছে টেস্ট কিরাম হয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা বৌদির হাতের এত সুন্দর কিছু খাবার আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাবি তো খুবই সুন্দর খাবারটি সাজিয়েছেন ।একদম রেস্টুরেন্টে র মত লাগছে দেখতে। আপনার খাবারের রিভিউ দেখে আমারই খেতে মন চাচ্ছে। আসলে খাবারটা লোভনীয় এবং মজাদার হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভকামনা রইল আপনার এবং ভাবীর জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাইরে রান্না থেকে বাসার রান্নার মজাই আলাদা দাদা, খাবারটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে এবং শুক্রবারে আপনার খাওয়ার আয়োজন টা বেশ ভালোই হয়েছিল যতই হোক বৌদির নিজের হাতে বানানো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেস্টুরেন্টের খাবার বাড়ীতে পেলে এতটাকা খরচ করে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
তাছাড়া রেস্টুরেন্টে খাবার অস্বাস্থ্যকর।
বাড়ীতে এতো সুন্দর রান্নার করার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এতে বুঝা যায় আপু আপনাকে অনেক ভালোবাসে, কারণ আমরা সকাল সকাল উঠে নাস্তা বানাতেই বিরক্ত লাগে, আর তার মধ্যে এত আয়োজন অসম্ভব। আপনি আসলে লাকি ভাইয়া, তবে খাবারগুলো কিন্তু সত্যি রেস্টুরেন্টের মতো দেখতে হয়েছে। তবে খেতে কেমন হয়েছে সেটা আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।
এটা কিন্তু অনেক ভালো কথা বলেছেন ভাইয়া, আমার বাংলা ব্লগে যারা রেসিপি শেয়ার করে, তারা এতো নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করছে যে, রেসিপি গুলো দেখে খুব সহজে বাসায় তৈরি করা যাবে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া প্রথম ছবিটা দেখে ভেবেছিলাম আপনি কোন রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন এবং সেই সম্পর্কে কিছু লিখবেন। তারপর সম্পুর্ন পোস্ট পড়ে বুঝলাম খাবারটি ভাবি রান্না করেছে। একদম রেস্টুরেন্টের মত করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছে। আসলে আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে আমি নিজেও অনেক রেসিপি শিখেছি এবং বাসায় তৈরি করেছি। তাহলে তো মনে হচ্ছে শুক্রবার দিনটি খুব ভালোভাবেই কাটিয়েছেন। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।