মানুষ হও বাবা || @shy-fox 10% beneficiary
আমি ভাই খুব গুছিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি । আর সেটা যে কাজই হোক না কেন। হোকনা সেটা আমার নিজের প্রফেশনাল কাজ বা হোকনা সেটা আমার ভার্চুয়াল প্রফেশনাল কাজ। আমি যেখানেই যাই, সেখানেই নিজেকে একটু টিপটপ করে গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করি । কারণ আমি যেমন গোছানো জিনিস পছন্দ করি, আমি মনে করি গোছানো জিনিস থেকে ভালো কিছু ফলাফল আশা করা সম্ভব। আর এলোমেলো জিনিস আমার খুব একটা পছন্দ না।
কাল মাঝ রাতে স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের ফোন এসেছিল আমার মোবাইল ফোনে। যাইহোক হুট করে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরার পরে, যেটা শুনলাম সেটা শুনে কিছুটা আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। যাইহোক এখনকার যেগুলো জনপ্রতিনিধি আছে, তারা মানুষকে সহজে মানুষ মনে করতে চায় না ।ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে আমার পরিস্থিতি না বুঝেই, সে আমাকে সোজা হুকুম করে চলছে। আমি উমুক , চেম্বারে কখন বসেন আপনি। আমার স্ত্রীর দাঁত ব্যথা করছে । দেখাতে হবে আপনাকে । আমার সিরিয়ালটা সবার আগে রাখবেন , আমার হাতে খুব একটা সময় নেই । বলেই চেয়ারম্যান সাহেব ফোনটা ধপাস করে রেখে দিল ।
একটিবারও ভদ্রতার খাতিরে জানার চেষ্টা করল না যে আমি মাঝরাতে কি অবস্থার ভিতর আছি বা সে ন্যূনতম একটা ভদ্রতা দেখিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলবে সেটাও বললো না। যাইহোক আমি ব্যাপার গুলো কিছুটা মুখ বুজে সহ্য করে গেলাম।অতঃপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট কে আমি ফোন দিয়ে বললাম যে, এলাকার এক জনপ্রতিনিধি আসবে। তুমি চেষ্টা করো তাকে একটু সহযোগিতা করার জন্য এবং তাকে একটু মানসিকভাবে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করো।
অন্যান্য দিনের থেকে আজকে একটু তাড়াতাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করলাম চেম্বারে । কারণ এসকল জনপ্রতিনিধিকে আমার খুব একটা বেশি মন থেকে ভালো লাগে না। কারন এদের মনে থাকে জিলাপির প্যাঁচ। কারণ কখন কোন প্যাঁচে সাধারণ মানুষকে ফেলে হয়রানি করবে,এজন্য আমি আগেভাগেই কিছুটা কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
চেম্বারে ঢোকার পরেই খুব সুন্দর একটা বাবুকে দেখতে পেলাম । বাবুটাকে দেখে খুব মায়া লেগে গেল । কারন সে অন্যান্য বাবুর থেকে কিছুটা আলাদা। কারণ সে কিছুটা নিরিবিলি সময় কাটাচ্ছে আমার রিসিপশন রুমে। যাইহোক বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগলো।আমি আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট কে ডেকে বললাম যে,রিসিপশন রুমে যে বাবুটাকে দেখলাম সে কে। আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট বলল যে, এখানকার এক চেয়ারম্যানের ছেলে । তখন আমি বিষয়টা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারলাম এবং তাকে বললাম যে, চেয়ারম্যান সাহেবের রোগী কোথায়। আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট আমাকে বলল,চেয়ারম্যান সাহেব ও তাঁর স্ত্রী একটু সামনে গিয়েছে তার সন্তানকে এখানে রেখে । তবে তারা কিছুক্ষণ পরেই আসবে।
যাইহোক খানিক বাদে চেয়ারম্যান সাহেব ও তার স্ত্রী আমার রুমে প্রবেশ করল। এবং তাদের বিষয়গুলো আমি খুব যত্ন সহকারে দেখলাম এবং তার ওয়াইফের সমস্যা দেখে, সেই সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা দিয়ে দিলাম। তবে অদ্ভুত একটা ব্যাপার হচ্ছে, তারা আসার পরেও তাদের বাবু তাদের কাছে আসেনি। সে ঠিক একইভাবে আগের মতো করেই পুতুল নিয়ে ব্যস্ত ছিল ।
যাইহোক সকালবেলায় এই রকম একটা মোটামুটি হাইভোল্টেজ প্রেসেন্ট দেখে, আমি কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। এবং মনে মনে চিন্তা করলাম যে, যাইহোক এখন কিছুটা ঠান্ডা মাথায় কাজ করা যাবে।তবে ওই শান্ত মায়াবী বাবুটার জন্য বারবার একটু চিন্তা হচ্ছে, কারণ সে যে পরিবারে বেড়ে উঠছে। সে বড় হলে নির্ঘাত তার বাবার মতো হবে ।তবে যাইহোক আমি মনে মনে প্রার্থনা করলাম, দিন শেষে সে যেন ভালো মানুষ হতে পারে।
আপনার পোষ্টটি শিক্ষামূলক পোস্ট ছিল ভাইয়া, মানুষ অভ্যাসের দাস, আপনি সবসময় টিপটাপ থাকতে পছন্দ করেন , এটা একটা মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গুছিয়ে কাজ করাটা আমিও পছন্দ করি। এবং কথা বলার ধরন যদি সুন্দর হয়, তাহলে দেখা যাবে সবাই আমাদের পছন্দ করবে। পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও শিক্ষনীয়!
আপনার পোস্ট পরে আনেক কিছু শিখলাম।আর নিজের জন্য কিছু আইডিয়া ও পেলাম।
পিচ্ছির ছবিগুলো কিন্তু অনেক সুইট।
ধন্যবাদ ভাই।
বাচ্চাটি খুব কিউট।তবে পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষের স্বভাবকে অনেক পরিবর্তন করে।বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাচ্চাটা কতটা শান্ত এবং কতটা ভদ্র তা আপনার কথা শুনে বুঝেছি। এবং আমাদের দেশের নেতারা নিজেদের কে দেশের প্রধানমন্ত্রী মনে করে। সব জায়গাই নিজের ক্ষমতা দেখাতে চেষ্টা করে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
ভীষন একটা শিক্ষনীয় পোস্ট। আমি নিজেও অনেক কিছু শিখলাম। দাদাকে অনেক শুভেচ্ছা রইলো। আমাদের জন্য ও আশীর্বাদ করবেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ক্ষমতার দাপট এমনই।
পিচ্চিটা কিউট।
আসলেই এখনকার জনপ্রতিনিধি গন নিজের ক্ষমতার দাপটে সব কাজ হাসিল করে নিতে চায়।ভালো বেসে কারো সাথে কথা না বলে করা ভাষায় জবাব দেয়।এদের জন্য সাধারন মানুষ ভাল কিছু করতেও ভয় পায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর শিক্ষণীয় বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
শুভ ভাই এই বাচচাটার চেহারার সাথে টিনটিন এর চেহারার মিল পাচ্ছি আমি। আপনার কি এমন মনে হয়েছে? যাই হোক বাচচাটা যেন ভালো মানুষ হয়। আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অনেকে আছেন যাদের ব্যবহার ভালো না। তাদেরকে লোকজন খুব একটা পছন্দও করেনা।
বাবুটা খুব কিউট। দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চাটা খুব শান্ত। আপনার পোস্টটি শিক্ষণীয় ছিল ভাইয়া। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষের স্বভাব পরিবর্তন করে দিচ্ছে বিশেষ করে বাচ্চাদের। ধন্যবাদ ভাইয়া।