কিছু সময় বইমেলাতে
কয়েকদিন থেকে এলাকার পরিচিত যে সকল লোকজন ও ছোট ভাইয়েরা আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে আছে, তাদের প্রোফাইলে মোটামুটি আমাদের এলাকায় সাম্প্রতিক সময়ে যে বইমেলার আয়োজন হয়েছে, তারই কিছু অনবরত ছবি নিউজফিডে ভাসছিল।
যেহেতু নিজে আমি লেখালেখির সঙ্গে জড়িত, তাই মোটামুটি অন্যসব লেখকদের লেখা পড়তেও বেশ ভালোই লাগে। আর তাছাড়াও বইয়ের প্রতি আমার আলাদা একটা দুর্বলতা আছেই। যদিও এখন আর সেভাবে প্রতিনিয়ত বই কেনা হয় না। কারণ সবকিছুই অনলাইনে পাওয়া যায়। তারপরেও বইয়ের পৃষ্ঠা নেড়েচেড়ে পড়ার মাঝে, আলাদা একটা আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়।
আজ যেহেতু শেষ দিন ছিল এখানকার বইমেলার, তাই অনেক কষ্ট করেই সময় বের করছিলাম। বিকালের দিকে বাবুকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মেলার দিকে বেড়াতে গিয়েছিলাম।
এই বিদ্যালয়েই আমার শৈশবের অনেকটা সময় কেটেছে আর সেই বিদ্যালয়ের মাঠেই যখন এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ এ ধরনের আয়োজনকে আমি অবশ্যই সাধুবাদ জানাই । মেলায় দর্শনার্থী মূলত এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাই । ওদের দেখে মুহুর্তেই আমার সেই ফেলে আসা জীবনের কথা মনে পড়ছিল। হয়তো আমাদের সময় এতো সুযোগ ছিল না। তবে ওরা যে সুযোগটা পেয়েছে, আমি মনেকরি এটাকে কাজে লাগানো উচিত ।
এই মফস্বল শহরেও যখন এরকম আয়োজন হয়, তাও চিরেচেনা বিদ্যাপীঠের মাঠে, তখন যেন বুকের ভিতরে একটা গর্ববোধ জাগ্রত হয়। আমাদের নতুন প্রজন্ম নতুন ভাবে বেড়ে উঠছে, তাদের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের এই ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজন একদিক থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মেধা বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
হরেক রকম বইয়ের সমাহার। সব নতুন বই যখন ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছিলাম, তখন যেন আলাদা একটা পরিতৃপ্তির স্বাদ পাচ্ছিলাম। কারণ আমি জানি, আমার মতো কেউ না কেউ এই বই গুলো লিখেছে । তাদের লেখাগুলো যখন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়ে ভালো কিছু জানতে পারবে, সেটা অবশ্যই একজন লেখকের গর্বের ব্যাপার।
এলাকা উন্নত হচ্ছে, সঙ্গে উন্নত হচ্ছে এলাকার মানুষের চিন্তা চেতনা এবং এই যুগোপযোগীর যুগে এসেও এই ব্যতিক্রম আয়োজনে সকলেই যে অংশগ্রহণ করেছে, এটা ভাবতেই তো মনে আনন্দের জোয়ার এসেছে।
যদিও মোটামুটি অনেকগুলো বই নেড়েচেড়ে দেখার সুযোগ হয়েছিল এবং চেষ্টা করেছি মোটামুটি ভালোই তথ্য সংগ্রহ করার জন্য এবং কিছু ফটো তুলে নিয়েছি মুঠোফোনে এবং সর্বোপরি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু বই ক্রয় করার চেষ্টা করেছি।
বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়েছে, এ কথা আমার জানা নেই। তবে আমি যতটুকু জানি, বই কিনে কমবেশি সকলেই উপকৃত হয়েছে হয়তো সেটা মেধা বিকাশ ও জ্ঞান-অর্জনের ক্ষেত্রে । আমার কাছে ভালোই ছিল আজকের দিনের সময়টা।
পরবর্তী বছর গুলোতেও এমন আয়োজন হোক এই মফস্বল শহরে, এমনটাই তো প্রত্যাশা করি। আমি বিশ্বাস করি, যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঠিক মেধা বিকাশের কথা প্রতিনিয়ত চিন্তা করে, তারাও হয়তো এমন আয়োজন কে বছর বছর দেখতে চায় এই মফস্বল শহরে ।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ্ এখন দেখছি মফস্বল শহরগুলোতেও বই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। বেশ ভাল একটা উদ্যোগ তো। আমিও এক সময়ে বেশ বই পড়তাম। তবে সময় আর ব্যস্ততার কারনে এখন আর পড়া হয়ে উঠে না। বর্তমানে ডিজিটাল সময় হওয়ায় মানষ বইও কিনে কম। যাক ভাইয়া বই মেলাটি অবশেষে আপনার নিজ বিদ্যাপিঠেই অনুষ্ঠিত হলো। আর আপনি বাবু কে নিয়ে বেশ ভালই সময় উপভোগ করেছেন।
আমিও বই পড়তে ভালবাসি। তবে সময় সল্পতার কারণে এখন আর বই পড়া হয়না। লেখক তার চিন্তা চেতনা বা মনের আবেগ তুলে ধরে তার লেখার মাধ্যমে। আর এই বইগুলো পড়ে যদি কেউ জ্ঞান অর্জন করে তাহলে অজান্তে সেই লেখকের অনেক প্রশংসা হয়ে যায়। আর লেখক যদি জানতে পারে তার লেখা কেউ পড়ছে তাহলে সে অবশ্যই গর্ববোধ করবে। যদিও আমাদের এদিকে বইমেলা খুব বেশি একটা হয় না। তবে আপনার এই অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই।
এক সময় বই পড়া আমার নেশা ছিল, কিন্তু ইদানিংকালে কি হয়েছে জানি না, বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বেশ খানিকটা কমে গেছে। তবে শুভদা অনলাইনে বই পড়ার ভিতর খুব বেশি একটা মজা নেই, যেটা কিনা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টেপাল্টে পড়ার ভেতর রয়েছে। খুব ভালো লাগলো তোমার আজকের পোস্টটা পড়ে।
একদম ঠিক বলেছো ভাই, অনলাইনে যতোই বই পড়ি না কেন, তবে বাস্তব বই পড়ার মাঝে আলাদা একটা ভিন্ন অনুভূতি কাজ করে।
হ্যাঁ ভাই আপনি লেখালেখি করতে পছন্দ করেন যারা লেখালেখি বই পড়তে পছন্দ করে তারাই বই বেলায় যেতে বেশি আগ্রহ পোষণ করে। বছরের শুরুতে এই ধরনের বইমেলা প্রতিটি জেলায় হয়ে থাকে আপনি বইমেলাতে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন ভালো লাগলো।
ভাইয়া আপনার সঙ্গে আমিও একমত অনলাইনে যতই বই পাওয়া যাক না কেন হাতে নিয়ে বই নেড়েচেড়ে পড়ার মধ্যে এক অন্যরকম আনন্দ পাওয়া যায় । আপনার স্কুলের মাঠে বইমেলার আয়োজন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো । আসলে স্কুলে বা কলেজে গেলে পুরনো স্মৃতিগুলো সত্যি মনে পড়ে যায় । বইমেলায় বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে । বেশ ভালো লাগলো পড়ে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
এইটা সত্য আপু বাস্তবে বই নেড়ে চেড়ে পড়ার মাঝে আলাদা একটা পরিতৃপ্তি কাজ করে। হুম সময়টা ভালোই কেটেছে আমাদের। ধন্যবাদ আপু।
মফস্বল শহরেও বইমেলার আয়োজন ব্যাপারটা বেশ প্রশংসনীয়।আসলে প্রযুক্তি এর উন্নয়নে সাথে সাথে আমাদের মেধাবিকাশের ও উন্নয়ন ঘটেছে। বই মেলাতে আপনার আর বাবুর মুহূর্ত গুলো বেশ ভালো কেটেছে। আর নিজের বিদ্যালয়ের মাঠ যদি হয় তাহলে তো বেশ অন্যরকম আনন্দ কাজ করেছে।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
বেশ গর্ববোধ হচ্ছিল আপু, কারণ আমাদের বেলায় এইসব আয়োজন ছিলই না বিদ্যালয়ে।
যে কোন বই পড়া আমার খুব প্রিয় ছিল কিন্তু এখন আর সময় হয় না। তবে বই কিনি। আপনাদের ওখানে বই মেলা হতে দেখে খুব ভাল লাগলো। বই কিনে কেউ কখনো দেউলিয়া হয়না। বই কেনা আর পড়ার অভ্যাস আমাদের সকলের করা উচিত।আর প্রতি বছর এমন মেলা হোক এমনটাই আশাকরি। ধন্যবাদ ভাইয়া।