প্রশান্তি || @shy-fox 10% beneficiary
গত কয়েকদিন থেকে যে পরিমাণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা অনেকটা সহ্যের বাহিরে চলে গিয়েছে এবং আজকে আরো গরম ছিল ভীষণ । যা অনেকটা নাজেহাল করে ছেড়েছিল আমাকে।
সকাল থেকে যে,কত বার পানি খেয়েছে তার কোনো হিসাব নেই । মনে হচ্ছিল যতবার পানি খাই, ততোবারই একটু পরে একটু একটু করে শরীর থেকে আরও বেশি পরিমাণে ঘাম ঝরে পড়ে যাচ্ছিল। মাথার উপরে যে ফ্যান ঘুরছিল ।সেটা থেকে মনে হচ্ছিল যেন, আগুনের ফুলকি বের হচ্ছিল । সবকিছু একদম অসহ্য কর অবস্থা ছিল ।
ইচ্ছা করেই আর বিকালে, গ্রামের চেম্বারে যাই নি। বাড়িতে এসে একদম কাপড় চোপড় খুলে, চলে গিয়েছি একদম বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে। বিশাল পুকুর তখনও এলাকার কিছু ছোট বাচ্চারা সেখানে গোসল করছিল এবং তাদের সেই গোসল করা দেখে নিজেকে কিছুটা আমি সামলিয়ে ফেলেছিলাম। কাআ মনে হচ্ছিল যেন তাদের মত পানিতে নেমে নিজের শরীরটাকে ভিজিয়ে ফেলি।
ইচ্ছা করেই পানিতে নামিনি। মন চাচ্ছিল গোসল করার জন্য কিন্তু আলাদা একটা চিন্তা কাজ করছিলো। যদি হুট করে ঠান্ডা লেগে যায়, এই ভয়ে আর গোসল করতে নামিনি। পুকুরপাড়ে গাছের নিচে অনেকটা সময় বসে ছিলাম এবং হালকা ঠান্ডা হওয়া যখন শরীরে লাগছিল ভিতরে যেন প্রশান্তি কাজ করছিল।
আমি দূর থেকে, ওদের গোসল করা দেখছি এবং নিজেকে ওদের মাঝে হারিয়ে ফেলেছি। কারণ আমার শৈশবটা ঠিক এমন ছিল । তবে আজ বাস্তবতার খাতিরে অনেকটা কিছুই চাইলেও করতে পারিনা। যাইহোক ওদের গোসল করা দেখে, নিজের ভিতর একটা আলাদা আগ্রহ কাজ করছিলো। কারণ আমার শৈশব যেন চোখের সামনে ভাসছিল।
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা ও ক্লান্ত শরীর নিয়ে যখন আমি গাছের নিচে বসে ছিলাম। তখন আলাদা একটা প্রশান্তি কাজ করছিলো। কারণ প্রকৃতির নির্মল বাতাস আমাকে অনেকটা মুগ্ধ করে ফেলেছে এবং একটা আলাদা শীতলতা আমার মনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে। যাইহোক একদম ঠিক সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিলাম সেই পুকুরপাড়ে। কারণ সময়টা কাটিয়ে দিলাম একটু প্রকৃতির মাঝে প্রশান্তি খুঁজে।
Vote me pls
এরকম শব্দ উচ্চারণ করা যাবে না।সাবধান হোন।সুন্দর সুন্দর পোস্ট করুন ভোট চাইতে হবে না এমনিতেই পাবেন।
বাচ্চাদের ছবি দেখে ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে গেল।আমাদের এদিকে গরম পড়তে পড়তে এখন বৃষ্টি নেমেছে কয়েকদিন ধরে থেকে থেকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর লিখেছেন। এক লেখার মধ্যে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। গরমের জন্য বিকালে চেম্বার বন্ধ রেখেছেন। নিজেকে জিড়িয়ে নেয়ার জন্য পুকুর পাড়ে যাওয়া,শৈশব স্মৃতিচারণ।সব মিলে আপনার লেখা দারুণ লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো প্রানবন্ত ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সত্যি ভাই আজ কয়দিন গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে থেকেই কুষ্টিয়ায় ঠাণ্ডা। সারাদিন ছিল মেঘাচ্ছন্ন। আজকের দিনটা খুব ভালো ছিল।
পুকুর টা দেখে আমার নিজেরই গোসল করতে ইচ্ছে করছে। আমি হলে নেমে পড়তাম জ্বর ঠান্ডার ভয় করতাম না।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর পোস্ট ভাই উপস্থাপনা তো ১০/১০. কিন্তু ভাই আজকে আপনার অবস্থা আর @hafizullah ভাই এর অবস্থা একই।হাফিজ ভাই ও গরমে আজকে কাহিল হয়ে গেছে।
পানি খাওয়া তো ভালো, গরম না থাকলে এরকম পানি পান করতে চাইতেন না।সুতরাং গরম কে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ভাই😛।
অসুখ বিসুখের চিন্তা না করে বাচ্চাদের সাথে কিছুক্ষণ গোসল করলে শান্তি হতো ভাই।
শুভ কামনা রইলো ভাই, গরমের সাথে যুদ্ধ করতে থাকুন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
💞💞
হ্যাঁ ভাই কিছুদিন ধরে খুবই গরম।মনে হয় সারাদেশে একই অবস্থা, আমাদের এখানেও প্রচুর গরম।এই গরমে একটু পরপরই পানি খেতে হয় আমি তো একটু পরপরই কোলড্রিংস খাচ্ছি।যাইহোক এই গরমের মধ্যে একমাত্র প্রকৃতির মাঝেই প্রশান্তি পাওয়া যায়।এই গরমে নদীর ধারে কিংবা পুকুরের ধারে গাছের নিচে বসে থাকা সত্যিই আরামদায়ক।অনেক অনেক ধন্যবাদ গরমের এই দিনে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দোয়া করি প্রকৃতির রুপ যেন তাড়াতাড়ি বদলায়।আপনার অনেক কষ্ট হয়েছে ভাই প্রচন্ড গরম পড়ার কারণে।আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। আপনার প্রায় পোস্ট আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাই এই গরমের ভেতর আপনি এত সুন্দর পুকুর দেখেও কিভাবে নিজেকে সামলালেন ।আমি হলে ঝাঁপ দিয়ে পড়তাম ।গরম আমার একদমই সহ্য হয় ন।এজন্য আমার কাছে শীতকাল সবচাইতে ভালো লাগে ।আসলেই সারাদেশব্যাপী প্রচন্ড গরম পরছ।আশা করি কিছুদিনের ভেতর এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে। ধন্যবাদ আপনা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি অনেক মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, এটি পড়তে পড়তে শৈশবের কিছু মুহূর্তে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ছেলেগুলোকে দেখে আমার পুকুরে গোসল করতে মন চাইছিল আসলেই অনেক গরম পড়েছিল আজ। যদি সম্ভব তাহলে কালকে বন্ধুদের নিয়ে পুকুরে গোসল করব ইনশাআল্লাহ। আপনিও চাইলে করতে পারেন দোয়া করি আপনি যেন সবসময়ই সুস্থ থাকুন। অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পিচ্চিগুলোকে দেখে খুব ভালো লাগলো।কি নিষ্পাপ চেহারা সব গুলোর আর কি অদ্ভুত সুন্দর এই ছোটবেলা।
ওদের গোসল করা দেখে আমার ও গোসল করতে ইচ্ছা করছে। ভাইয়া আপনি লিখার মাধ্যমেই অনেক কিছু ফুটিয়ে তুলেন যা কল্পনা করতে খুব ভালো লাগে। ফটোগ্রাফী গুলো খুব সুন্দর হয়েছে, মনে হচ্ছে নতুন জন্মানো কচি পাতার মতো সতেজ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।