গিন্নির টিকা সম্পন্ন || @shy-fox 10% beneficiary
সবথেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে গিন্নির টিকা সম্পন্ন করতে আমাকে মূলত অনেকটাই ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কারণ একদম দীর্ঘ দুই বছরের মতো আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে । তার ভিতর ওর ভোটার আইডি কার্ড ছিল না এবং বাবু পেটে ছিল, তারপর মহামারীর সময় বাবু হলো এবং সর্বোপরি দীর্ঘ একটা সময় আমাকে অজানা আতঙ্কের ভিতরে প্রতিনিয়ত সময় কাটাতে হয়েছে । আমি মনেকরি বিষয়টা আপনাদেরকে বুঝাতে ভালোভাবেই পেরেছি যে, আমি কি পরিমান মানসিক ঝামেলার ভিতরে ছিলাম ।
সত্যি বলতে কি আমার এখনও মনে আছে কারণ এই দীর্ঘ দুইটা বছর আমাকে প্রতিনিয়ত অজানা আতঙ্কে ভিতর থাকতে হয়েছে এবং সর্বোপরি এই দীর্ঘ দুই বছর মহামারী এবং আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনেকটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল । তারপরেও যেহেতু আমি একজন ডাক্তার এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সম্মুখ সারি থেকে এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হয়েছে, তাই আমি অনেকটাই চেষ্টা করেছিলাম প্রতিনিয়ত নিজেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখার জন্য । কিন্তু দিনশেষে আমার আসলে পরিবারের কথা মনে হইলেই, মনটা এলোমেলো হয়ে যেত ।
আমি মনেকরি মহামারীর সময়ের অবস্থার কথা নতুন করে কাউকে মনে করিয়ে দিতে হবে না । কারণ এই অবস্থা সম্পর্কে সবাই অবগত । সারাদিন রোগী দেখার পরে যখন আমি বাড়িতে ফিরতাম, তবুও আমি পরিবারের লোকজনের কাছে যেতে পারতাম না । প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছ থেকে বহুদিন পর্যন্ত আমি দূরে ছিলাম । তাকে দূর দেখে দেখতাম প্বার্শবর্তী ঘরে দুজন আলাদা থাকতাম । প্রতিনিয়ত একটা অজানা ভয় হত । যদি আমার মাধ্যমে সে সংক্রমিত হয়ে যেত । এরকম একটা ব্যাপার কাজ করত । যাইহোক অতীত কথা আর না বলি । তারপর বাবু হওয়ার সময়টাতে তো পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল । কারণ একদম তখন পুরোদমে মহামারী চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়েছিল ।
আজ সকাল বেলা যখন হিরাকে নিয়ে টিকা দিতে যাচ্ছি, তখন সেই অতীতের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছিল । এই দুই বছর সময় অন্য ভাবে কেটেছে । এখন বাবু মোটামুটি অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে । তাই আজকে হীরাকে নিয়ে টিকাকেন্দ্রে যাচ্ছি । যদিও হীরার ভোটার আইডি সংক্রান্ত ব্যাপার গুলো এখনো সম্পূর্ণ ক্লিয়ার হয়নি । তবে আমি ব্যপারগুলো টিকা কেন্দ্রের মানুষদেরকে জানিয়েছিলাম এবং তারাই আমাকে বলেছিল যেদিন গণ টিকা দেবে , সেদিন আমাকে যাওয়ার জন্য ।
যেহেতু বাবা হসপিটালে চাকরি করে। মূলত আমি সকালবেলা হসপিটালে গিয়েছিলাম বাবার অফিসে । সেখানে যাওয়ার পরে, বাবাই মূলত সর্বোপরি সবরকম ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কারণ টিকাকেন্দ্রের যে অবস্থা ছিল, সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভিড় ছিল আর ওই ভিড়ের মধ্যে ছোট বাবুকে নিয়ে আসলে টিকাকেন্দ্রে ঢোকা আমার জন্য মোটেও সহজ কর ব্যাপার ছিল না । তাই বাধ্য হয়ে বাবার রুমে বসে ছিলাম । আর বাবাই সব ম্যানেজ করে দিয়েছে ।
তবে যেহেতু আমরা একদম নিরিবিলি ও ব্যক্তিগতভাবে বাবার রুমে বসে টিকা দিয়েছি । তাই আমাদেরকে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে । বিশেষ করে সেই সময়টা আমরা দীর্ঘদিন পরে বাবার সঙ্গে পারিবারিক ভাবে একটা সুন্দর সময় কাটিয়েছি । যাইহোক বাবা দীর্ঘদিন পরে তার নাতিকে কাছে পেয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে । এই ভাবেই মূলত ঘন্টা দুয়েক সময় চলে গিয়েছিল বাবার রুমেই ।
অতঃপর সেই কাঙ্খিত সময় । কারণ হসপিটালের নতুন করে বিল্ডিং বানানোর কাজ চলতিছে। তাই হসপিটালটা আগের থেকে অনেকটাই খোলামেলা অবস্থায় আছে । যাইহোক বাবার রুম থেকে মূলত টিকা কেন্দ্র আধা কিলোমিটার দূরে হওয়ায়, তাই এই সময়টা লেগেছে । যাইহোক অবশেষে নার্স চলে আসলো বাবার রুমে টিকার ইঞ্জেকশন নিয়ে।
যদিও প্রথমদিকে হীরা কিছুটা নার্ভাস ছিল । তবে তাকে আমি মানসিকভাবে অনেকটাই আশ্বাস দিয়েছে যে, তেমন কোনো কিছুই হবে না । হালকা একটু ব্যথা পাবে , তবে তোমাকে এটা মেনে নিতে হবে । যাইহোক নার্স খুবই এক্সপার্ট ছিল । সে খুব দ্রুত হিরাকে ইঞ্জেকশন দিয়েছে । হীরা বুঝে ওঠার আগেই মূলত তাকে টিকা দেওয়া হয়েছে ।
সর্বোপরি ইঞ্জেকশনটা দেওয়ার পরে মানসিকভাবে আমি কিছুটা স্বস্তি পেলাম । কারণ মোটামুটি প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলো এবং ৩২ দিন পরে আবার আসব দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য । যাইহোক দীর্ঘ দুই বছরের সেই অজানা আতঙ্ক এবং মানসিকভাবে প্রতিনিয়ত অস্থিরতা থাকার অবস্থার কিছুটা অবসান হলো ।
সত্যি বলতে কি, মানসিক ভাবে কিছুটা হলেও আমি চাপমুক্ত হতে পেরেছি। বিশেষ করে আমার গল্প যারা প্রতিদিন পড়ে, তারা শেষ কয়েক দিন থেকে নিশ্চয়ই খেয়াল করেছে,আমি এই বিষয়টা নিয়ে কি পরিমান মানসিকভাবে চিন্তিত ছিলাম । তারা সেটা খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছে । যাইহোক ভালোই ভালোই প্রথম ডোজ সম্পন্ন হলো এখন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকলাম, দেখা যাক কি হয় ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি এবং মহান বিধাতার কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি অবশেষে ভাবি টিকা হল।আমিও টিকা নিয়েছি অনেক আগেই।আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনার দুশ্চিন্তা এখন অনেক কমে গেছে আশা করি।ভালো থাকবেন খুব বেশি ভালো থাকবেন এটাই প্রত্যাশা সপরিবারে♥♥
যাইহোক ভাই এখন অন্তত হাফ ছেড়ে একটু বাঁচলেন।আসলে পৃথিবীর সব মানুষের কাছে সবার আগে তার পরিবার,আর সে পরিবারের কোনো মানুষের কোনো কিছু হলে চিন্তা করার এই কথা,কিন্তু এখন ভালো লাগলো জে আপনি এখন অনেকটাই ঝামেলা মুক্ত।যাইহোক ভাই সবসময় দোয়া রইলো আপনার জন্য।
কিছুটা ভাই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যাক ভাই এবার একটু হলেও চিন্তা মুক্ত হলেন। হয়তো যখন দ্বিতীয় ডোজ সম্পূর্ণ হবে তখন একেবারেই চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন। আরেকটি কথা হল যে টিকা দেওয়ার আগে আসলেই অনেক ভয় লাগে কিন্তু যখন এটা দেওয়া হয় তখন আসলে কোন টের পাওয়া যায়না। এজন্যই হীরা আপু ভয় পেয়েছিলো। কিন্তু ভয় পাওয়ার আসলে কিছুই নেই। আর আপনার ছোট বাবুকে খুবই ভালো লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ছোট বাবুর জন্য। আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
.
হম ভাই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সফলভাবে ভাবির প্রথম রোজের করোনা টিকা দিতে সক্ষম হয়েছেন এটা জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার বাবা যেহেতু হাসপাতালে চাকরি করেন তাই খুব সহজেই টিকা দিতে পেরেছেন। আসলে টিকা কেন্দ্র গুলোতে প্রচুর ভিড় বর্তমানে। আপনি অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলেন এটা আমরা সকলেই জানি ভাইয়া। অবশেষে আপনার সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে এটা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আজ শায়ান বাবুকে একদম দারুন লাগছে। অনেক বড় হয়ে গেছে। তবে যাইহোক ভাইয়া আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের সকলের জন্যই শুভকামনা রইলো। সকলে যেন ভালো থাকে এবং সুস্থ থাকে এই কামনাই করছি।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই ।
আসলেই করোনার ভিতর প্রতিটা মানুষ আতঙ্ক ভেতরে কাটিয়েছে। যাইহোক আপনি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে অনেক কষ্ট করেছেন। যাইহোক সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আমাদের সায়ান বাবু দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গেছে। আসলে টিকাকেন্দ্রে প্রচুর ভিড় থাকে। হ্যাঁ ভাইয়া আপনার গল্প পড়ি। অনেক কষ্টের মাঝে শিক্ষণীয় কিছু শিখতে পারি। বাস্তব জীবনের কার্যকলাপ সবকিছু। ভালই ভালই সম্পূর্ণ হয়ে গেলো প্রথম ডোজ ভালো লাগলো। কিন্তু আজকে জ্বর আসতে পারে 🥀
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই ।
জেনে ভাল লাগল অবশেষে ভাবি টিকা নিতে পেরেছেন। টিকার জন্য কম ঝামেলা পোহালেন না। এই মহামারি যে কতটা ভয়ঙ্কর ছিল আমার থেকে ভালো তা আর কেউ জানেনা। বলতে গেলে করোনা আক্রান্ত হয়ে আমি আধমরা হয়ে গিয়েছিলাম। যাই হোক পরবর্তী ডোজ যেন ঠিকমতো দিতে পারেন সেই কামনা রইল।
হুম ভাই । কিছুটা হলেও চিন্তা থেকে মুক্তি পাইছি ।
আসলে ভাইয়া আমি আপনার প্রত্যেকটা পোস্ট পড়ি এবং আমি জানি আপনি কতটা চাপের মধ্যে দিয়ে প্রতিটা সময় পার করেন। আপনি খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় পার করছেন। বিশেষ করে লাস্ট দুইটা বছর আপনাকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে অনেক যুদ্ধ সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জীবন পার করতে হচ্ছে। এটা আপনার থেকে আমি অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আপনাকে না দেখলে এত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে জীবন চালানোর অভিজ্ঞতা হয়তো শিখতাম না।যাইহোক এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে ভাবীর প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। অনেক ঝামেলার মধ্যে দিয়েও যেহেতু প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দিতে আর বেশি ঝামেলা হবে না। নার্স খুবই এক্সপার্ট ছিল এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। কারণ নার্স যদি এক্সপার্ট না হয়। তাহলে টিকা দিতে অনেক সমস্যা হয়। সে এক্সপার্ট থাকার কারণে টিকা দিয়েছে ভাবি সেটা বুঝতেই পারিনি। এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমাদের প্রত্যেকটা মানুষেরই টিকা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আপনার পরিবারের সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যা আসলেই আপনি এই বিষয়টি বেশ কয়েকবার বলেছিলেন মানে ভাবির টিকার বিষয়টি।আপনি তো তাও এতুটুকুতেই দিয়েছেনে,আমি দিলাম তখন আমার সামনের লাইনে ১৫০/২০০ মানুষ ছিলো।যা ভোগান্তি পোহালাম।
এইটা একদম সত্য কথা । বহু ভীড় ছিল ।
বাহ,খুবই ভালো হয়েছে যে ভাবীর টিকা সম্পন্ন হয়েছে।কারণ বর্তমান সময়ে এটি ভীষণ জরুরি।আমার দুই ডোজই নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া, শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া একটু একটু করে আপনার পারিবারিক বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। তবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে দুই বছরে কি পরিমাণ চাপ সামলাতে হয়েছে সেটা হয়তো আপনাকে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না, তবে যতটুকু বুঝেছি একজন মানুষ হিসেবে সেটা অনেক কষ্টদায়ক ছিল। আর ভাবির এনআইডি কার্ড নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ ভুগতে হয়েছে। আপনি অবশেষে ভাবির টিকা দিতে পেরেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগছে এবং আনন্দ অনুভব হচ্ছে। আর আমাদের সাথে খুব সুন্দর করে বিস্তারিত গুছিয়ে লিখেছেন এবং দাদার সাথে নাতি নিয়ে দুই ঘন্টা আনন্দঘন সময় পার করেছে। এবং আপনাদেরকে অপেক্ষা করতে হয়েছে, সব কিছু অসাধারণ ছিল। আর আমাদের সাথে গুছিয়ে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভাই ।