দাদা ও বৌদির বিবাহ বার্ষিকী
ঘটনাটা ৩০ জানুয়ারির। শেয়ার করতে কিছুটা দেরি হয়ে গেল । জীবন আসলেই বড্ড অদ্ভুত। কিছু মানুষের সঙ্গে হঠাৎই পরিচয় হয়ে যায় । আসলে সময় গুলো যতই পেরিয়ে যাচ্ছে, ততই অজানা-অচেনা সম্পর্ক গুলো যেন ক্রমাগত আরো নিবিড় হয়ে যাচ্ছে ।
এ বাসায় আসার পর থেকেই, তাদের সঙ্গে আমার পরিচয়। এর আগে তাদের কে ঠিক সেভাবে জানতাম না বা চিনতাম না। তবে এখন বেশ চিনি। অনেকটাই অদ্ভুতভাবে তাদের সঙ্গে আমার একটা আন্তরিক মিল হয়ে গিয়েছি।
জাতি-বর্ণ-ধর্ম আসলে সম্পর্কের কাছে তেমন কোন বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। সম্পর্ক আসলে আত্মা থেকে হয়। হয়তো ঠিক তাদের সঙ্গে আমার তেমনভাবেই সম্পর্কটা গড়ে উঠেছে এবং আমি চেষ্টা করি, প্রতিটি সম্পর্ক গুলোকেই বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
যেহেতু এই বাসাতে সবাই আমরা ভাড়াটিয়া কিন্তু তারপরেও কিছু আন্তরিকতার ব্যাপার থাকে। সকলের সঙ্গে তো আর এভাবে আন্তরিকতা তৈরি হয় না, এটা আসলে নির্ভর করে মানসিকতার উপর । হয়তো সেই জায়গা থেকে আমাদের দুই পরিবারের ভিতরে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিল না বা এখনো নেই। তাই হয়তো শুরু থেকেই এখন অব্দি সম্পর্কটা বেশ প্রাণবন্ত হয়ে আছে ।
আগে যখন পাঁচতলায় বৌদি ছিল তখনও যেরকম সম্পর্ক ছিল, এখন হয়তো দোতলায় চলে গিয়েছে কিন্তু তারপরেও সম্পর্কের কোন ব্যতিক্রম হয়নি । যেহেতু তাদের বিবাহ বার্ষিকী ছিল, তাই কম বেশি সবাইকেই তারা দাওয়াত দিয়ে ছিল।
আমি কিন্তু আগেই বলে রাখছি, এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমি একটা ভিডিও পর্ব আপনাদের সঙ্গে আগামীতে শেয়ার করব। সেখানে দেখানোর চেষ্টা করব যে, আসলে সেই সন্ধ্যায় আমাদের কাটানো সময়টা কেমন ছিল। আশাকরি সেই ভিডিওটা ভালো লাগবে।
দাদা তো চাকরির সুবাদে সেই রাজধানীর বুকে থাকে। যেহেতু সে সরকারি চাকুরিজীবী মানুষ, তাই আসলে চাইলেও সে ঠিকঠাক ভাবে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে না। হয়তো সে বিবাহ বার্ষিকীর এই সময়টার জন্য, অনেকটা অপেক্ষা করেই ছুটিটা পেয়েছে। আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে খুব খুশি ছিলাম আর তাছাড়াও এমন আনন্দঘন মুহূর্তে উপস্থিত থাকতে পেরে, অনেকটাই কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি, নিজের কাছে।
১৮ টা বসন্ত একই সঙ্গে, একই ছাদের নিচে তাদের কেটে গিয়েছে। কতো দীর্ঘ সময়, কতই না চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের এই সংসার জীবনে। তারপরেও তারা এখনো বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও আন্তরিক। স্বামী-স্ত্রীর ভিতরে সম্পর্ক মনে হয় এমনই হতে হয়।
এখনো দুজনের ভিতরে প্রতিনিয়ত ভালোলাগা বোধ কাজ করে, দুজন দুজনকে বেশ সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। সংসার জীবনের এতোটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেও তারা এখনও দাম্পত্য জীবনে বেশ সহজ-সাবলীল। যেটা আমাকে প্রতিনিয়তই অবাক করে।
তাদের সঙ্গে আমার পরিচয় যে সূত্রেই হোক না কেন, আমি মনেকরি একদিক থেকে এটা আমার কাছে অনেকটাই পরম পাওয়া। দিনশেষে তাও তো মন খুলে দুটো কথা বলা যায় তাদের সঙ্গে, এই যান্ত্রিক শহরের বুকে, এটাই তো অনেক বেশি ।
আসলে বৌদিকে নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই বা বললেও কম হয়ে যাবে। সে আমার কাছে যতটুকু প্রিয়, তার থেকেও বেশি প্রিয় মনে হয় আমার গিন্নি ও বাবুর কাছে। আর তার মেয়েরা আমার কাছে অনেকটাই মায়ের মতো।
ঐ যে বললাম, আন্তরিকতা নির্ভর করে দুই পক্ষের উপরেই। যদি উভয়পক্ষের ভিতরে মেলবন্ধনটা ভালো থাকে, তাহলেই তো সম্পর্কগুলো বেশ মজবুত হয়।
বিবাহ বার্ষিকীতে তাদের জন্য অনাবিল শুভেচ্ছা রইল। তাদের জীবনে এমন সময় গুলো বারবার ফিরে আসুক, তারা যুগ যুগ একে অপরের হয়ে থাকুক।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
প্রথমে তাদের বিবাহ বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। দোয়া ও ভালোবাসা রইলো তাদের জন্য যেন গত ১৮ বছরের মত অন্য বছর গুলোও ঠিকভাবে ভালোবাসার সহিত কাটাতে পারে। ঠিক বলেছেন ভাইয়া স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হল আসলে অন্যরকম। বেশ ভালো লাগছে তাদের দুজনকে। সবশেষে আপনাকে এবং হীরা আপুকেও বেশ কিউট লাগছে।
প্রথমেই জানাই দাদা ও বৌদিকে শুভ বিবাহ বার্ষিকী। আসলে হীরামনি আপুর পোস্টেও দেখেছি আর এখন আপনার পোস্টটে ও দেখতে পাচ্ছি তাদের বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠানটি। যাক তাদের জন্য অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো
বেশ ভারী ভারী কথা লিখেছো দেখছি দাদা বৌদিকে নিয়ে। তাদের এই বন্ধন চির অটুট থাকুক এমনটা প্রার্থনা আমিও করি ।
একই ছাদের নিচে দীর্ঘ ১৮ টা বছর একসঙ্গে অতিবাহিত করেছে। সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থেকেছে! আশা করি তাদের বন্ধন যেন আজীবন ঠিকে তাকে 🌼🦋। আসলে রক্তের সম্পর্কের বাইরেও আমাদের একটা সম্পর্ক থাকে। সেটা হয় আত্নার! এমন সম্পর্কগুলো ও সুন্দর 🌼। বৃষ্টিচাকি আপুর বিবাহ বার্ষিকীতে ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। ভিডিও দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া
প্রথমেই দাদা বৌদিকে বিবাহ বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাই।তারা দীর্ঘ সময় একসাথে পথ পাড়ি দিয়েছেন আশা করছি একইভাবে সারাজীবন একে অপরের পাশে থেকে বাকি পাড়ি দিবেন।খুব বেশি দেরি হয় নি ভাইয়া শেয়ার করতে,অল্প একটু দেরি করেছেন।ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনারা সবাই।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য।
প্রথমে বৃষ্টি চাকি আপুর বিবাহবার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া, কিছু কিছু মানুষ হয়তো বা কখনো তাদের সাথে পরিচয় ছিল না, হঠাৎ করেই পরিচয়। তারা কিন্তু বেশ আপন হয়ে ওঠে। আসলেই বিষয়টা কিন্তু মানসিকতার ওপরে নির্ভর করে। কারন আমরা যদি জাতি, ধর্ম, বর্ণ এই সব কিছু চিন্তার না করে তাহলেই সবকিছু কিন্তু খুব সুন্দর। আপনারা খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন। পরবর্তীতে আপনার ভিডিও রেকর্ড দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের সাথে আন্তরিকতা অনেকটা বেশি হয়ে যায়। বৃষ্টি আপু আমাদের সকলের প্রিয় ও পরিচিত মুখ। আপনাদের পরিবারের সাথে তাদের পরিবারের আন্তরিকতার কথা আমরা সবাই জানি। তাদের এই শুভদিনে আপনারা সকলে মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা রক্তের সম্পর্কের থেকেও আপন হয়ে যায়। আশা করছি পরবর্তী কোন পর্বে ভিডিওগ্রাফি দেখতে পাবো। ভিডিওগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আন্তরিকতা নির্ভর করে দুই পক্ষের উপরে। মনের মিল হলে পাশাপাশি থেকে অনেক ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় । এমন বেশ কিছু সম্পর্ক আমারও তৈরি হয়েছে যা ওই জায়গা থেকে চলে আসার পরেও অটুট রয়েছে। বিয়ের পর কিভাবে যে এক একটা বছর খুব দ্রুত কেটে যায় বোঝা যায় না। মনে পড়লে মনে হয় যে সেদিনইতো। ভালো সম্পর্ক গুলো এভাবেই অটুট থাকুক সেই দোয়া করি। ভিডিওর অপেক্ষায় রইলাম।
আত্মীয়তার সম্পর্ক থেকেও বড় হলো আন্তরিকতার সম্পর্ক। যাদেরকে কিছুদিন আগেও চিনতেন না তাদের সাথে এই আন্তরিকতার মেরুবন্ধন গড়ে উঠেছে দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। দোয়া করি, আপনার দাদা ও বৌদির সম্পর্ক যেন সারা জীবন এমনই অটুট থাকুক। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।