তাঁরা || @shy-fox 10% beneficiary
তাঁরার সঙ্গে পরিচয় ভিন্নভাবে । ঐযে প্রিন্সের বাসায় যাতায়াত করতাম, তখন থেকেই ওকে একটু একটু চিনতাম । তবে সে যে আমার গল্পের চরিত্র আসবে , তা কখনও ভাবিনি । ঘটনাটি বছর দশেক আগের বা তারও আগের হতে পারে । বন্ধু প্রিন্সের বাবা ছিল প্রজাতন্ত্রের চাকর । সেই সুবাদেই সরকারি কোয়ার্টারে থাকতো প্রিন্স ।
আর যদি প্রিন্সের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা বলতেই হয় তাহলে আরও একটু অতীতে যেতে হবে । মূলত প্রিন্সের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়েছিল আমার একটু ভিন্নভাবে । একই সঙ্গে মুক্তার মাস্টারের কাছে ইংরেজি পড়তাম আর তাতেই পরিচয় ওর সঙ্গে। বেশ ফটর ফটর করে ইংরেজিতে কথা বলতো প্রিন্স আর আমার দুর্বলতা ছিল ওখানেই । তাই বন্ধুত্বের হাতটা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম । বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছিল অপরপ্রান্ত থেকে প্রিন্স । বন্ধু বলে কথা, তাই বেশ কয়েকবার ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
সরকারি কোয়ার্টার বেশ কড়া নিরাপত্তা । প্রথমবার যখন ঢুকতে গিয়েছিলাম সেকি কাহিনী । বেশ ভালোভাবেই পরিচয় দেওয়া লেগেছিল দারোয়ান বাবাজির কাছে । কাচুমাচু করে বলেছিলাম, এখানে আমার বন্ধু থাকে । তারপর ঐযে দারোয়ান বাবাজি জিজ্ঞাসা শুরু করলো, কোথা থেকে এসেছো, কেন এসেছো, কি দরকার হাবিজাবি । আসলে এমনিতেই ছোট মানুষ তখন, এত কথা কেমনে ম্যানেজ করব, এটা ভাবতে ভাবতেই বেশ কিছুটা সময় লেগে গিয়েছিল । তবে যাইহোক পরিশেষে অবশ্য প্রিন্সের বাড়িতে ঢোকার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল ।
ঐযে প্রথম দিন প্রিন্স দারোয়ান বাবাজির সঙ্গে পরিচয় করে দিল, তারপর থেকে আর সমস্যা হয়নি ওদের বাড়িতে ঢুকতে । যাইহোক, মাঝেমাঝেই যেতাম । তবে বেশিরভাগ যেতাম তেঁতুল খাওয়ার লোভে । বাড়ির সামনে বেশ বড় তেঁতুল গাছ ছিল । সরকারী লোকজন ব্যতীত কারো হাতে এসব তেঁতুল যায়না । তবে প্রিন্স আমাকে দিত , অনেকটা ডেকে ডেকেই দিত ।
তাঁরার মা ছিলো দারোয়ান বাবাজির সহধর্মিনী । যেহেতু সরকারি কোয়ার্টারের পাশেই দারোয়ান বাবাজির থাকার ব্যবস্থা ছিল । তাই মোটামুটি দারোয়ান বাবাজির সহধর্মিনী কোয়ার্টারের সরকারি বাবুদের বাড়িতে গৃহস্থলীর কাজ করতো । বাপ-মায়ের একমাত্র ছেলে ছিল তাঁরা । হয়তো বাপ-মা ভালবেসে নাম দিয়েছিল তাঁরা । হয়তো আকাশের তাঁরার মত ভালবাসতো ওর বাপ-মা ওকে। তাই হয়তো ভালোবেসে তাঁরা নামটি দিয়েছিল ওর।
শেষ যেবার প্রিন্সের বাড়িতে গিয়েছিলাম, সেবার প্রিন্সের জন্মদিন ছিল । যদিও প্রিন্স আমাকে সকালে যেতে বলেছিল, সেই কথা মোতাবেক সকালবেলাই আমি গিয়ে হাজির । মূলত কিছু খাতা দিয়েছিল মাস্টার মশাইকে জমা দেওয়ার জন্য, শুধুমাত্র এতোটুকুই । সকালবেলা যখন ওর দরজার ফাঁক দিয়ে ওর ঘরের ভেতরে দেখছিলাম, তখন থেকেই দেখছিলাম বেশ সাজ-সজ্জা চলছে । আমাকে বলল , আমার ঘরে গিয়ে বস । আমি আসছি মার কাছ থেকে ।
আমি পাশের ঘর থেকে কথাগুলো তখনও শুনতে পাচ্ছিলাম । এখনও মাঝে মাঝেই কথাগুলো আমার কানে বেজে ওঠে । প্রিন্স ওর মাকে বারবার বলছিল, শুভ আমার ভালো বন্ধু । ওকে কি, আজকে সন্ধ্যা বেলায় বাসায় আসতে বলবো । ওর মা বারবার ওকে বুঝানোর চেষ্টা করছে, অনেক মেহমান থাকবে , পরিবেশ নষ্ট হতে পারে ।
আমার চোখ কিছুটা ছানাবড়া ছিল মূলত ওর ঘরের সাজ-সজ্জা দেখে । কোথায় কে কি বলছে, এগুলো ভেবে মন খারাপ করার কোন কারণ নেই । এত বড় বাবুদের বাসায় আসলে সকলের দাওয়াত হয় না ।
হুট করে তাঁরার আগমন । বয়স কত হবে, পাঁচ থেকে ছয় । তাঁরা এসেই বলল, শুভ ভাই প্রিন্স ভাই কই। প্রিন্সের তখনও চোখ মুখ লাল হয়ে আছে কেন, কি, কিজন্য এসবের উত্তর নেই কারো কাছেই । খালি তাঁরা কে বললো , তুই এই সময়ে । আরে প্রিন্স ভাই , আজকে মা মুরগির গোশত দিয়ে ভাত রান্না করেছে ।
তাঁরা মুরগির গোশত দিয়ে ভাত খাবে, সেই আনন্দে খিলখিল করে হাসছে আর ব্যাপারটা আমাকে ও প্রিন্সকে জানাচ্ছে । প্রিন্সের চোখমুখ এমনিতেই লাল, তার উপর তাঁরার কথা শুনে আরো অনেকটাই যন্ত্রণার ছাপ । এসব আমি তখনও স্বচক্ষেই দেখতে পাচ্ছি ।
প্রিন্স আসলে অনেকটা বন্দি দশায় থাকতো । আমাকে খাতাগুলো দিয়ে বলল, বন্ধু কাল দেখা হবে । আসলে আমি যখন সকালবেলা প্রিন্সের বাসায় ঢুকছিলাম, তখন দেখলাম তাঁরার মা ছোট পলিথিন ব্যাগে করে কিছু মুরগির পাখা, চামড়া আর পা নিয়ে চলে যাচ্ছে প্রিন্সদের বাড়ি থেকে । হয়তো প্রচুর মেহমান আসবে, অনেক লোকের আয়োজন হয়েছে ,তাই অনেক মুরগির গোশতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হয়তো সেই মুরগির গোশতের অবশিষ্ট অংশ গুলোই তাঁরার মা বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। হয়তো সেগুলোই রান্না করেছে ।
এদিকে প্রিন্সদের বাড়িতে আজ রাজকীয় খানা হবে , সেখানে মুরগির গোশতের অভাব হবে না আর অন্যদিকে তাঁরা মুরগির পাখা চামড়া খেয়েই, মুরগির গোশত খাওয়ার সাধ মিটে নিয়েছে ।
বাহ জীবন বাহ,তুমি জায়গা ভেদে বড়ই চমৎকার।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
সত্যি ভাইয়া আপনার লেখা গুলো যখন পড়ি তখন মনের মাঝে আলাদা রকমের অনুভূতি তৈরি হয়। তাঁরার মত অনেক মানুষ আছে যারা একটুকরো মুরগির গোস্ত দিয়ে ভাত খেতে পেয়ে অনেক আনন্দ পায়। করে প্রিন্সের পরিবারের মতো এমন অনেক পরিবার আছে যারা অনেক খাবার নষ্ট করে ও ডাস্টবিনে ফেলে দেয়। কিন্তু তাঁরার মত মানুষকে খাওয়ানোর সামর্থ্য তাদের থাকে না। আসলে তাদের কাছে লোকদেখানো পরিবেশন ও সাজসজ্জা হচ্ছে মুখ্য বিষয়। অন্যকে খুশি করার মাঝে তাদের কোনো আনন্দ নেই। তাই তারা মানুষের মাঝে ভেদাভেদ খুঁজে। হয়তো প্রিন্স তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আপনাকে পেলে আরো বেশি খুশি হতো। কিন্তু তার পরিবারের কারণে সেই খুশি বিসর্জন দিয়েছে। যাইহোক সুন্দরভাবে আপনি এই পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️♥️
জীবন এমনি রে ভাই । এই জীবনে প্রতিদিন কতো কিছুই তো দেখছি আর অনেক কিছুই শিখছি ।
পুরো লেখার সারমর্ম হয়তো এখানেই অন্তর্নিহিত।
আসলে মানুষ যে কেন এমন সেটাই বুঝি না।নিজের অবস্থানে থেকে,তার নিচের দিকের লোক গুলোকে মানুষই মনে করে না😢।আবার তার উপরের অবস্থানের লোকেদের পা চাটতে ব্যস্ত।আর তারার মত এখনো অনেক তারা আছে যারা মুরগির চামড়া আর পাখনা দিয়ে গোশতের স্বাদ মিটায়।
তবে আপনার প্রতি আপনার বন্ধুর যে ভালোবাসা ছিল সেটা আমি বুঝতে পেরেছি,বেচারার একটু মণ খারাপ হয়েছে আপনাকে দাওয়াত দিতে না পারায়।😃
কি আর করার ভাই , আপনার মন্তব্যে বেশ যুক্তি ছিল ভাই। তেলের রাজ্যে ক্রেতার বড়ই অভাব।
তাঁরা নামটা শুনে ভেবেছিলাম কোন মেয়ের গল্প হবে হয়তো। পরে দেখি এটাতো একটা ছেলের নাম।
যাইহোক, প্রিন্স দাওয়াত দিতে চাইলো কিন্তু তার মায়ের ওইভাবে কথাটি বলা উচিত হয় নি। খুবই খারাপ লাগলো কথাটি শুনে।
আর জায়গা ভেদে জীবন সত্যিই ভিন্ন রকম, কোথাও মুরগির মাংসের রাজকীয় রান্না তো কোথাও মুরগির চামরা, পাখনা, পা রান্না।
খুবই কষ্টদায়ক বেপার।
আসলেই কিন্তু জীবন ভিন্ন রকম ভাই । এইটা আজকাল বেশ উপলব্ধি করতে পারছি ।
জীবন জায়গাভেদে আর পরিস্থিতি ভেবে একেবারেই ভিন্ন। মাঝেমধ্যে এতোটাই ভিন্ন হয় যা আমরা আশাই করতে পারিনা।
একদম সঠিক কথা বলেছেন আপু । যতো সময় যাচ্ছে , ততো সবকিছু এলোমেল হচ্ছে ।
ভাই প্রথমে আপনার বলা প্রজাতন্ত্রের চাকর শব্দটি শুনে বেশ খারাপ লেগেছিল। ইচ্ছে হয়েছিল বলি, চাকর না বলে কর্মচারী শব্দটা শুনতে ভালো লাগে কিন্তু পরে সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ার পর আমারও আপনার মত চাকর শব্দটি বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ লাগছে। আসলেই একই মানুষ কিন্তু কত বিভাজন।
মনুষ্যত্ব যদি বিরাজমান হতো তাহলে তো এতো বিভাজন থাকতো না ভাই । বেশ ভালোই বলেছেন। ভালোবাসা রইল।
আপনি যখন তাঁরার কথা বলছিলেন আমি ভেবেছিলাম অন্য কিছু। গল্পটি পড়ার পরে বুঝলাম তারা ছেলে গল্পের একটা আকর্ষণ। প্রিন্স আপনার খুব ভালো বন্ধু এবং তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে প্রাইভেট মাস্টার কাছে প্রাইভেট পড়ার সময় থেকে। তবে এই জন্মদিনে প্রিন্স এবং প্রিন্সের মায়ের সাথে যে কথাগুলো হয়েছিল সেগুলো ছিল বুকে তীর বিদার মত কথা। তবে বয়স সাপেক্ষে এবং সাজসজ্জা দেখে হয়তো ব্যাপার গুলো আপনার তখন কানে নেওয়ার মত বিষয় মনে করেনি। আর এখন লিখতে গিয়ে হয়তো বুকের ভিতর একটু কষ্ট হলেও অনুমান করতে পারছেন।
পৃন্স তারার কথাগুলো শুনে এই সেট মেজাজ আরও কড়া হয়ছিলো। তবে তারার কাছে মুরগির গোস্ত খাওয়া ছিল অনেক আনন্দের একটা বিষয়, আর এগুলো যে প্রিন্সের বাসা থেকে মুরগির অবশিষ্ট অংশগুলো নিয়েছে তার মা সে হয়তো তাও জানেন। আমাদেরকে এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য এবং আপনার স্মৃতির সে তারার গল্পের মাঝে আসা অসাধারণ ছিল। আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
ঘটনাটি কিন্তু একদম বাস্তব ভাই , তবে এমনটাই ঘটছে প্রতিনিয়ত আশেপাশেই।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
এই সমাজের এই রকম চিন্তাভাবনার মানুষ গুলোর জন্য আমার খুবই দুঃখ হয়। সৃষ্টিকর্তা তোমাকে দিয়েছিল তুমি সেটা পেয়ে মানুষকে তোয়াক্কা কর না। নিজের প্রতিবেশির খবর নাও না। যেমন টা ঘটেছে আপনার তাঁরা এর পরিবারের ক্ষেএে। এককথায় আমি বাকরুদ্ধ। অসাধারণ লিখেছেন ভাই। আপনার এই ধরনের লেখাগুলো থেকে প্রতিনিয়ত শিখছি এবং চেষ্টা করছি আমার দ্বারা যেন এমনটা কখনো না হয়।
কিচ্ছু করার নেই ভাই , মানুষ এমনি । আমি বাকরুদ্ধ হই না ভাই , আমি শুধুই দেখি আর শিখি ।
"তারা" আপনার গল্পের নাম গুলো খুবই অদ্ভুত হয় তবে আমার কাছে খুব ভালোই লাগ। আর একটি কথা ভাই আমাদের সমাজের মানুষের চিন্তা-ভাবনা অন্যরকম হয়, কিন্তু আমাদের কাছের বন্ধুর আসলে আপনার বন্ধুর মতোই হয়। আমার আসলে আপনার গল্পটা পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। তবে একটি কথা হলো এই পৃথিবীটা এরকমই হয় কেউ মুরগির হাত-পা খেয়ে খুশি আর কেউ মুরগির মাংস খেয়ে ও খুশি না।
জীবন যেখানে যেমন। জায়গা ভেদে শুধুমাত্র রুপভেদ বদলে ফেলে ভাই । কিচ্ছু করা নেই ।
এই কথাগুলো শোনার পর আমার এতটাই খারাপ লেগেছে ভাইয়া যা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। মানুষ কেন এমন হয়? কিভাবে মানুষ হয়ে মানুষকে অবহেলা করতে পারে? এই মানুষগুলো কখনোই ব্যক্তিজীবনে প্রশান্তি লাভ করতে পারে না যারা অন্য মানুষকে মানুষ মনে করে না'। যাই হোক তারা সেই ছোট্ট মেয়ে সম্পর্কে আপনি দারুন তথ্য দিয়েছেন যে কিনা আপনাদের কাছে বলতে এসেছিল মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খাবে যদিও এটা ছিল প্রিন্সের বাসার মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ। তবুও তাদের কাছে এই মুরগির মাংসের স্বাদ পাওয়া যায় অনেক কিছু। আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। আপনার এই ধরনের গল্পগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। জীবন বড়ই চমৎকার ভাইয়া ।
মানুষ হওয়া তো সহজ না আপু । তবে এতো মানুষের ভিড়ে চেষ্টা করছি একটু প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য।
আপনার দুর্বলতা ছিল ইংলিশে বুঝতে পারছি এখন আপনার ইংলিশ গুলো শুনতেও ভালো লাগে বেশ। আসলে এটা ঠিক যে বন্ধুত্ব করতে হয় ভালো গুণ দেখে। ভালোর সাথে থাকলে ভালো কিছু শেখা যায়। আমি তো প্রথমে ভাবলাম আকাশের তারা তারপর দেখছি এটা মানুষ। আসলে একটা কথা হচ্ছে বড়লোক যদু গরীবের ঘরে যায় গরিব খুব সুন্দরভাবে তাদের আপ্যায়ন করে কিন্তু একজন গরিব বড়লোকের ঘরে গেলে বড়লোক তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারে না। এগুলো ভাবলে চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ে যায়। জীবন জায়গাভেদে সত্যিই চমৎকার। বড়লোকরা অনেক খাবার নষ্ট করে কিন্তু মানুষের হাতে তুলে দেয় না। আসলে মনুষত্ববোধ আর নেই।🥀🤕
ঐ যে ফেরদৌস ভাই বললেন, একই মানুষ কিন্তু তার হাজার রকম বিভাজন।