মাহাথীর রেস্টুরেন্টে কিছু সময়
ঘটনাটা আজ সকালের। এমনিতেই গতকাল রাতে আমার সিনিয়র কলিগের রবিবারের আড্ডা শো ছিল, শো তে শেষ পর্যন্ত ছিলাম। শো শেষ করে, রাতের খাওয়া-দাওয়া করে অতঃপর নিজের লেখালেখি এবং কমিউনিটির কিছু অভ্যন্তরীণ কাজ করে, যখন ঘুমোতে যাব তখন ঘড়িতে দেখি রাত্রি সাড়ে তিনটার মতো বাজে।
যাইহোক যেহেতু সকাল বেলা বগুড়াতে একটা কাজের জন্য যেতে হবে, তাই ভাবলাম এই দুই ঘন্টা না ঘুমিয়ে, একদম বগুড়া থেকে কাজ শেষ করে ফিরে, তারপর বাসায় এসে ঘুমিয়ে যাব।
কারণ এই ভোর বেলার দিকে যদি ঘুমিয়ে যাই, দেখা যাবে যে সারাদিন আর জাগা পাব না আর কাজটাও হবে না। তাই বাধ্য হয়ে জেগে থাকলাম রাতটা । মোটামুটি ভোরবেলা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম বগুড়া যাওয়ার জন্য। যাইহোক যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম, সেই কাজটা বেশ ভালোভাবেই হয়েছে ।
বগুড়াতে যেহেতু আমার মামাতো ভাই থাকে, তাই ওকে যাওয়ার আগে ফোন দিয়েছিলাম এবং ওকে বলেছিলাম যে, আমার কাজ শেষ করে তোমাকে ফোন দিব। তারপর একসঙ্গে দেখা করব। তো যখন আমার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে তারপর ওকে আমি ফোন দিয়েছিলাম। অবশেষে দুই ভাই মিলে দেখা করলাম, বগুড়া মাটিডালী বিমান মোড়ে ।
ওর কলেজে টেস্ট পরীক্ষা চলছে আর তাছাড়া ও পরীক্ষাকে কেন্দ্র করেই, কমিউনিটি থেকে এক মাসের জন্য ছুটি নিয়েছে। যাইহোক আমিও এই যাত্রায় ওকে সমর্থন করেছি, কারণ আগে পড়াশোনা তারপর অন্য কিছু ।
দীর্ঘদিন পরে দুই ভাই মিলে একত্রে, এই সকালবেলা দেখা করলাম। আমি মূলত ভালোই ক্ষুধার্ত ছিলাম। তাই বিমান মোড়ে যে মাহাথীর রেস্টুরেন্টটা ছিল, সেখানে আমরা দুই ভাই যাওয়ার চেষ্টা করলাম। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন আমি নিজেই বগুড়া শহরে পড়াশুনার জন্য ছিলাম, তখন মাঝে মাঝেই এই রেস্টুরেন্টে সময় কাটাতে আসতাম। কারণ এখানকার খাবার গুলো বেশ ভালই সুস্বাদু।
এখন আসলে বড় রাস্তার কাজ চলছে, যার কারণে হোটেলের অনেকটা অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে আগে হোটেলটা আরো অনেক বড় ছিল আর যেহেতু এখানে চাইনিজ ও বাংলা খাবার উভয় পাওয়া যায়, তাই এখানকার আপ্যায়নটা বরাবরই একটু ভিন্ন রকম ।
আমরা যেহেতু সকালবেলা গিয়েছি মূলত সকালের খাবার খাওয়ার জন্য। তাই আমাদের আসলে টার্গেট ছিল হালকা নাস্তা করার। তবে দুঃখের বিষয় আমরা যাওয়ার আগেই তাদের সকালের সব নাস্তার আইটেমগুলো শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে ভারী খাবার খেতে হয়েছিল।
তাছাড়াও আমার মামাতো ভাই, ভারী খাবার খাওয়ার জন্য রাজি ছিল। অতঃপর দেখে শুনে আমরা খাসির মাংসের বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলাম । বিরিয়ানি খেতে মোটামুটি সকলেই পছন্দ করে। আর যেহেতু খাসির মাংসের বিরিয়ানি ছিল, তাই এটার টেস্টটা একটু আলাদা ।
অবশেষে খাবার অর্ডার করার পরে, আমরা খানিকটা সময় এদিক-সেদিক ঘুরেছিলাম। কারণ হোটেলটা অনেকটা বড় এবং নিচে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের দিকে গিয়েছিলাম এবং সে সময় সকাল বেলা মূলত তারা পরিষ্কার করছিল পুরো রেস্টুরেন্টটা। কারণ সন্ধ্যার দিকে, রেস্টুরেন্টটার নিচের অংশে বেশ ভালই ভিড় হয়।
খানিকবাদেই খাবার যখন চলে এসেছিল। অতঃপর আমরা দুভাই মিলে বসে, মোটামুটি বেশ ভালোভাবেই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম আর তাছাড়া এখানকার দইটাও বেশ নামকরা। তবে ঠান্ডা জনিত কারণে, এই সকালবেলা আমাদের দইটা খাওয়া হয়ে ওঠেনি ।
খাওয়ার পরে যখন পেটটা ভর্তি হয়ে গিয়েছিল, তখন বলা যায় অনেকটাই প্রশান্তি লাগছিল। কারণ পেট শান্তি তো, দুনিয়া শান্তি। যাইহোক মামাতো ভাইকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে, আমি নিজেও বাড়ির উদ্দেশ্যে গাড়িতে চড়ে রওনা দিলাম। কারণ বাসায় দ্রুত ফিরতে হবে। তাছাড়াও কিছুটা কাজ বাকি আছে এবং পরিমাণ মতো ঘুমাতে হবে। না হলে রাতে আবার, ঠিকঠাক মত কাজ করতে পারবো না ।
চেষ্টা করেছি মাহাথীর হোটেলে কাটানো মুহূর্তের আমাদের একটা ভিডিও রেকর্ড করার জন্য। সেটাও শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে, আশাবাদী ভিডিওটা আপনাদের ভালো লাগবে।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাহ্ বগুড়াতে কাজে গিয়ে দুই ভাই দেখা করলেন আর বেশ কিছু সুন্দর সময় কাটালেন। আবার দেখছি প্রিয় ভাই কে নিয়ে প্রিয় হোটেলে নিজের প্রিয় খাবার ও খেলেন। নিজের কাজ সেরে পেটে ভরে খেয়ে অবশেষে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। ভ্রমন টা সুন্দর ছিল।
সারারাত না ঘুমিয়ে সকালবেলা উঠে কাজের উদ্দেশ্যে কিভাবে যেতে পারলেন আল্লাই জানে, আমি হলে তো মাথা ঘুরে ওখানেই পড়ে যেতাম। যাক শেষমেশ হোটেলে গিয়ে হালকা খাবারের পরিবর্তে ভারী খাবার খেয়েছেন। আপনার মামাতো ভাই বিরিয়ানি খেতে চেয়ে ভালই করেছে কারণ এক জায়গায় যাব একটু ভালোমতো খাব না তাই কি হয় নাকি। খাবারটা দেখে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে বিরিয়ানি বলে কথা। দুই ভাই মিলে ভালই তো ঘোরাঘুরি করলেন কাজের ফাঁকে ফাঁকে। মাহাতি রেস্টুরেন্টটা মনে হয় ভালই ,ভেতরের জায়গাগুলো সুন্দর ছিল।
কিছু করার নাই আপু, জীবন এভাবেই চলছে। দাওয়াত দিলাম আপনাকে বিরিয়ানি খাওয়ার। ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
রাতে ঘুম না হলে সকালে উঠাটা খুব কষ্টের। আপনি বগুড়া গেলেন কাজে। এরপর দু ভাই খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। একসাথে বসে পছন্দের খাবার খেয়েছেন দেখে ভাল লাগলো। এটা একদম ঠিক পেট ঠান্ডা তো দুনিয়া ঠান্ডা। 😃 অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই তো পুরা রাতই জেগেছিলেন। যাক পরের দিন কাজ হয়েছে এটাই অনেক। মামাতো ভাই এর সাথে দেখা করেছেন আশা করি মন ও ভালো হয়েছে। খাসির মাংসের বিরিয়ানি ছবি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু। ভালো লাগলো খুব।
ভাইয়া আপনারা দুই ভাই মিলে অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনি ঠিক করেছেন ভোরের দিকে ঘুমিয়ে গেলে আর উঠা সম্ভব নয়।আপনারা রেস্টুরেন্টে এ হালকা খাবার খেতে গিয়ে, না পেয়ে ভারী খাবার খেলেন।যাইহোক খাসির মাংসের বিরিয়ানি এটা সবাই পছন্দ করে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হুম এইটা সত্য যে বিরিয়ানির স্বাদটা বেশ ভালো ছিল। আর আমাদের সময়টাও বেশ ভালো কেটেছে।
শুভ ভাই মামা তো ভাইয়ের সাথে মাহাথীর রেস্টুরেন্টে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ৷ তার সাথে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার মামা তো ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল তার পরীক্ষা যেন ভালো হয় ৷
পুরোটা রাত জেগে থাকা সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার। আসলে আমি কখনো এভাবে পুরোটা রাত জেগে থাকিনি। হয়তো ভোরের দিকে হলেও ঘুমিয়ে পড়েছি। এরপর আবার আপনি জার্নি করে এতটা পথ গিয়েছেন এবং নিজের প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন। সত্যি ভাইয়া আপনার ধৈর্য দেখলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই। আপনার কাছ থেকে অনেক অনেক অনুপ্রেরণা পাই। দুই ভাই মিলে ভালই খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। ভিডিওগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া।