বিদায় পর্ব || @shy-fox 10% beneficiary
ঈদের আগের দিন থেকে শুরু করে সাত দিনের জন্য চেম্বার বন্ধ দিয়েছিলাম । লম্বা ছুটি, ভেবেছিলাম শুধুমাত্র ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেবো । তবে চাইলেও আসলে অনেক কিছু হয়ে উঠে না বা হওয়ার মতো করেও হয় না । আমার যদিও কোন জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না । তবে শুধুমাত্র গিন্নির অনুরোধ ফেলতে পারিনি । ওর জন্যই মূলত শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল ।
আগের থেকে যদিও সেই এলাকায় নেটওয়ার্কের অনেকটাই উন্নতি সাধন হয়েছে। বিধায় দাঁতের উপর দাঁত চেপে ধরে হলেও, সাতটা দিন কষ্ট করে সেখানে ছিলাম । কিছুদিন আগেও একবার মনে হয় আমি বলেছিলাম, যেহেতু আমি নেটওয়ার্কের উপরে প্রতিনিয়ত নির্ভরশীল । তাই নেটওয়ার্ক ছাড়া আমার কাছে জীবন অনেকটাই কবরের মতো লাগে ।
এইদিকে কমিউনিটির তখন অনেক চাপ শুরু হয়ে গিয়েছে । ১৯ তম ব্যাচ তখনই কেবল শুরুর পথে । যাইহোক মোটামুটি মোবাইল দিয়েই কাজ চালিয়ে দিলাম । সেই টানা দুই দিন নতুন ইউজারদের ক্লাস করানো এবং পরের সপ্তাহে দুইদিন তাদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছিলাম। যদিও আমাদের সবকিছু নিয়ম মেনেই করতে হয় । তাই আমার সঙ্গে যারা সহকারী প্রফেসর ও মনিটরিং এর দায়িত্বে ছিলেন, তারাও আমাকে বেশ ভালই সহযোগিতা করেছিল । সর্বোপরি মোটামুটি নতুন ইউজারদের বেশ ভালোভাবেই তখন ক্লাস নিয়েছিলাম । যদিও আমি কাউকে ঘূণাক্ষরেও বুঝতে দেইনি, মেইন স্টেশনের বাহিরে আছি ।
আমি মনে করি যারা দায়িত্বশীল মানুষ , তাদেরকে আসলে কোনো কিছুই বলতে হয়না । তারা বোঝে কোন পরিবেশে কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে হবে । হয়তো আমি আমার জায়গা থেকে পেশাদারিত্বের আচরণটা বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছি ।
সাত দিনের ছুটি, মোটামুটি গ্রামীণ পরিবেশের আবহাওয়ায় নিজেকে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিতে পেরেছি । সেই মাটির রাস্তায় অনেকটাই নিজের মতো করে ঘুরাঘুরি করার চেষ্টা করেছি আমি এবং আমার পরিবার । যাতে মাটির অনেকটাই কাছে যাওয়া যায় ।
এই ঋতুতে আম পাকার সময় । তারমধ্যে ঝড়-বৃষ্টি লেগেই আছে । তাই মোটামুটি বাসায় ফেরত আসার সময় অনেকগুলো আম দিয়েছিল আমার শাশুড়ি । আর এই সাতটা দিন আমার মোটামুটি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কেটেছে সময়টা । তবে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছি, যখনি সময় পেয়েছি । এ বাড়ি-ও বাড়ি যারা পাড়া-প্রতিবেশী আছে, কমবেশি সবার সঙ্গেই চেষ্টা করেছি সাক্ষাৎ করার জন্য ।এটা আসলে অনেকটা আন্তরিকতার জায়গা থেকেই ।
যদিও হীরা চাচ্ছিলো ছিল আরো কয়েকটা দিন থাকবে । তবে ও আমার কাজের অবস্থা কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে । যে এখানে আমার মানিয়ে নিতে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে । তাই ও নিজের সঙ্গে স্যাক্রিফাইস করেছে । তবে কথা দিয়েছি সময় সুযোগ হলে আবার বেড়াতে নিয়ে আসবো ।
সেই গাভীর দুধ থেকে শুরু করে, পিঠা-পায়েস আম পোলাওয়ের চাল, বাবু জন্য দেশী মুরগির ডিম এক কথায় যা যা দরকার সব কিছু প্যাকেট করে গুছিয়ে দিয়েছে আমার শাশুড়ি ।
এই অটো গাড়িটা আমারদের । ভাড়ায় চলে,যাইহোক বিকেলের দিকে গাড়ি এসে হাজির । অতঃপর ব্যাগপত্র নিয়ে বাড়ির সকল লোকজনের সঙ্গে দেখা করে, গাড়িতে উঠে সোজা বাসার উদ্দেশ্যে দৌড় । আর কোন পিছুটান আপাতত রাখতে চাইনা । কাজে মনোযোগ দিতে হবে । কারণ বহুৎ কাজ পড়ে আছে সামনের দিনের জন্য ।
সর্বোপরি সাতদিনের ছুটি পেয়েছিলাম । তবে চেষ্টা করেছি ছুটির মাঝেও প্রতিনিয়ত কমিউনিটিতে একটিভ থাকার জন্য । যাইহোক কিভাবে কিভাবে যে কেটে গিয়েছিল সাতটা দিন, তা তো বুঝতেই পারিনি । অতঃপর আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।
আমি মনে করি মাঝে মাঝে কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও নিজের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় এবং একটু বাইরে ঘোরাফেরা করার দরকার হয় । তাহলে নতুন করে, পুনরায় আবার কাজ করার মানসিক এনার্জি পাওয়া যায় ।
সর্বোপরি শ্বশুরবাড়ি মধুর হাঁড়ি, যদি মাঝে মাঝে যাওয়া যায় । আর প্রতিদিন গেলে অনেকটা সময় মধুর হাঁড়ি ফাঁকাও হয়ে যেতে পারে ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ঠিকই বলেছে ভাই, মাঝে মাঝে কাজের ফাঁকে একটু ঘুরাঘুরির দরকার আছে। সব সময় কাজের মধ্যে থাকলে জীবন আস্তে আস্তে রোবটিক জীবনে পরিণত হবে। যাইহোক, অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন।
আর বিশেষ করে লাস্টের কথাটা অনেক ভালো লাগছে। আসলে শুধু শ্বশুর বাড়ি না। যেকোনো আত্মীয়ের বাড়ি ঘনঘন গেলে কদর কমে যায়।😬 অনেক দিন পর পর গেলে আপ্যায়ন ভালো হয়।
এইটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । ঐ চিন্তাধারা থেকেই একটু ঘোরাঘুরি করেছি । কারণ অনেকটা ক্লান্তি লাগছিল , ভাবলাম মানসিক প্রশান্তি দরকার ।
কাঁচা আমগুলি দেখে জিভে জল চলে আসলো।যদিও ছোটবেলা বা জন্ম থেকেই আমাদের গ্রামের বাড়িতে এত আম ও কলার রাজ্যে বসবাস করে এসেছি যে আগামী সারাজীবন আম ও কলা না খেলেও আফসোস থাকবে না।তবে টক জাতীয় কিছু দেখলে থাকা যায় না।সত্যিই বেশ সময় কাটিয়েছেন আর শ্বশুরবাড়ি মানেই ব্যাগ ভর্তি বাড়ি ফেরা😊😊.ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ্ আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগল আপু । তবে এইটা সত্য কথা কাঁচা আম লোভনীয় ফল ।
আপনি যে একজন দায়িত্বশীল মানুষ তা আমরা সকলেই জানি ভাইয়া, শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েও আপনি কমিউনিটিতে ভালোভাবেই একটিভ ছিলেন আবার নতুনদের ক্লাসও নিয়েছেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
যাই হোক সব মিলিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ভালো একটা সময় আপনি অতিবাহিত করেছেন। মাঝে মাঝে হিরা আপুকে নিয়ে এভাবে বেড়াতে যাবেন সবাই অনেক খুশি হবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালোবাসা নেবেন।
জীবন যেখানে যেমন ভাই । চেষ্টা করেছি নিজের জায়গা থেকে নিজের কাজটা সঠিক ভাবে করার জন্য । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
ভাইয়া,গিন্নির অনুরোধ রাখতে গিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছেন এটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কেননা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে একসাথে থাকতে পারলে মনমানসিকতা অনেকটাই প্রফুল্ল হয়ে যায়। আর তাই সত্যি সত্যি কাজের এনার্জি পাওয়া যায়। ভাইয়া, শ্বশুরবাড়িতে গিয়েও আপনি আপনার কর্ম ও কর্তব্য থেকে বিন্দু পরিমান বিচ্যুত হননি বা হতে দেননি এজন্যই আপনি আমাদের প্রিয় শুভ ভাই। কেননা আপনি সব পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। আপনাকে দেখে কিছু শেখার আছে ভাইয়া। আপনি যা পারেন তা অন্যরা পারেনা আর এজন্যই আপনাকে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে পেট ভোজনের সাথে সাথে মধুর হাড়ি সঙ্গে করে নিয়ে বাসায় ফিরবেন। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এভাবেই প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা করছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাদের পোষ্ট গুলো পড়তেও আমার ভীষণ ভালো লাগে ।বিশেষ করে আপনি তো বেশ ভালো গান করেন । আমি দিন দিন আপনার গানের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি । শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
কথাটা আমার ক্ষেএেও একেবারে প্রযোজ্য। একদিন নেটওয়ার্কের বাইরে থাকলে যেন দিশেহারা হয়ে যায়। এবং আপনার থেকে আজ আবারও শিখলাম কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমাদের অবস্থা এখন এরকমই হয়ে গিয়েছে ভাই । কিচ্ছু করার নেই, আমাদের আসলে সব কিছুই নির্ভর করে এখন নেটওয়ার্কের উপর ভাই ।
আমাদের ও অনেকটা এই অবস্থাই বলা যায় ভাইয়া।কবে যে দশদিন চলে গেলো সেভাবে টের ও পাইনি।আমার দিনগুলোও অনেকটা আপনার মতোই কেটেছে গ্রামে।
ছুটি দিন গুলোর সময় মনেহয় খুবই দ্রুত কেটে যায় , দেখতে দেখতেই সময় শেষ ।
প্রথমেই অটোর পিছনে ভাবির নাম দেখে আমি যেরকমটা ভেবেছিলাম পরে দেখলাম আমার ভাবনার সঙ্গে একদম মিলে গেছে। যাইহোক ভাইয়া আপনি ঈদের
পর সাত দিনের ছুটিতে যখন গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন মনে হয় প্রত্যেকেই জানি। ওই সময়ে প্রতিদিনই আপনার সঙ্গে চ্যাটিং হত কিন্তু কখনোই নেটওয়ার্ক জনিত সমস্যার কারণে আপনাকে আমরা অফ লাইনে পাইনি। আসলে দায়িত্বশীল লোকেরা কখনো অজুহাত দিয়ে কাজ থেকে দূরে থাকে না। তারা শত সমস্যার মাঝেও নিজেদের দায়িত্ব টাকে কখনো অবহেলা করে না। বিদায় মুহূর্তে গাড়িতে বস্তা দেখে মনে হচ্ছে বেশ কিছু দিন চলে যাবে হা হা হা। পুরো লেখাটা পড়ে অনেক মজা পেলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ঐটা আমাদের অটো ভাড়া দেওয়া আছে ভাই । তবে মাঝে মাঝে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার হয় ।
ভাই আপনি যে একজন কর্মতৎপর লোক এতদিনে সেটা অন্তত ভালই বুঝে ছি। ইদের লম্বা ছুটি শ্বশুরবাড়িতে কাটিয়ে সঙ্গে আবার শাশুড়ির দেয়া বিভিন্ন উপঢৌকন নিয়ে এসেছেন। আসলে গ্রামীণ পরিবেশে থাকতে মাঝে মাঝে ভালোই লাগে। তবে ওই যে বললেন নেটওয়ার্কের সমস্যা। আস্তে আস্তে হয়তো এ সমস্যাও একদিন দূর হয়ে যাবে। যাইহোক প্রতিনিয়ত ঘটে চলা ছোট ছোট এই সব ঘটনা গুলো পড়তে ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন সবসময়
যদি কখনো নেটওয়ার্ক ভালো হয়ে যায়, গ্রাম অঞ্চলে । তাহলে সেই সময় আমার হয়তো সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন হবে । কারণ আমি গ্রামে থাকতেই অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি ।
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন দায়িত্বশীল মানুষরা যেকোনো পরিবেশেই নিজের দায়িত্ব ভুলে যায় না। নিজের দায়িত্ব গুলো সঠিক ভাবে পালন করে। আপনিও আপনার নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেছেন। আপনি আপনার কাজের বিষয়ে খুবই দায়িত্বশীল। আপনার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে ভাইয়া।আসলে মাঝে মাঝে যদি কোথাও বেড়াতে না যাওয়া হয় তাহলে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকেনা। আর জীবনে একঘেয়েমি চলে আসে। মাঝে মাঝে এনার্জি পেতে হলেও ঘুরতে যাওয়া উচিত আত্মীয়স্বজনের বাসায়। শেষের কথাটি কিন্তু দারুন ছিল। শ্বশুরবাড়ি মধুর হাঁড়ি, যদি মাঝে মাঝে যাওয়া হয়। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আপনার অনুভূতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া।♥️♥️
আমি আসলে সব পরিবেশেই কিছুটা মানানসই তবে ঠিকমত নেটওয়ার্ক থাকলে আমি যেকোনো জায়গায় থাকতে পারি ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, মাঝে মাঝে এরকম আবহাওয়া পরিবর্তন করা দরকার এবং গ্রামীণ পরিবেশে গেলে তো আর কোন কথাই থাকে না। সেখানে সবকিছুই তাজা তাজা পাওয়া যায়। একটি ছবি দেখলাম গাছে আম ঝুলছে, এরকম আমার নানী বাসায় ও দেখেছি। এই পরিবেশ গুলো ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক ভালো লাগে।।
মানসিক ভাবে বেশ চাঙ্গা থাকা যায় । এমনটা মাঝে মাঝেই দরকার আমি মনেকরি ।