ফরিদের বিয়েতে || @shy-fox 10% beneficiary
কয়েকদিন থেকে শুধু পারিবারিক অনুষ্ঠান , বন্ধুর বিয়ে এইসব লেগেই আছে । একটা সময় কেউ দাওয়াত না দিলে , মনে অভিমান জমাট বাঁধতো । তবে এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে, এখন কেউ দাওয়াত দিলে খুব একটা বেশি যেতে ইচ্ছা করে না । কারণ গেলেই অনেকগুলো পয়সা খরচ হয়ে যায় । হয়তো অকপটে সত্য কথাটা মুখ ফসকে বলে দিলাম। তবে এটা শুনতে খারাপ লাগলেও , এটাই আমার কাছে বাস্তব ।
যাইহোক ফরিদ আমাদের এলাকার ছেলে, একসঙ্গে বাল্যকাল থেকে বড় হয়েছি । বন্ধু মানুষ, একটু দেরীতে হলেও বিয়ে করছে । বিয়ে তো আর চাইলেই করা যায় না । হয়তো সামাজিকতা থাকে, নিয়মকানুনের কিছু বিষয় থাকে , তাছাড়াও পারিবারিক ও অর্থনৈতিক ব্যপারগুলো তো একটু আছেই । মানে অনেক লোকের আয়োজন, তাছাড়াও আত্মীয় স্বজনদেরও অনেক আকাঙ্ক্ষা থাকে এ অনুষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে । সর্বোপরি অনেকটা জটিলতা সম্পন্ন একটা বিষয় ।
তবে চাইলেই কিন্তু আবার একদম পানির মতো সহজ করে ফেলে দেওয়া যায় ব্যাপারটাকে । এককথায় ছেলে-মেয়ে উভয়েই রাজি থাকলে আর কিছুর দরকার হয় না । শুধু কাজী ডাকলেই হয়ে যায় । যাইহোক ঐদিকে আর না যাই ।
যাইহোক তাও যে বন্ধু আমার বিয়ে করছে, এটাই বা কম কিসের । মোটামুটি এই উর্ধগতির দ্রব্যমূল্যের বাজারে একটা চাকুরি জুটিয়ে নিয়েছে । তারপরে নিজের চাচাতো বোনের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই সে বিবাহবন্ধনে যুক্ত হতে যাচ্ছে । যেহেতু ব্যাপারটা পুরো পারিবারিকভাবে তারা করেছে, তাই সেখানে আয়োজনটা একটু ভিন্ন ছিল ।
আমরা আসলে দাওয়াতের মানুষ । আমাদের আসলে এতো কিছু না জানলেও চলে । বন্ধু দাওয়াত দিয়েছে তাই পরিবার নিয়ে গিয়েছি । এটাই একদম শেষ কথা । যদিও আমার খুব একটা যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না । তবে বন্ধু মানুষ, একসঙ্গে বড় হয়েছি এলাকায় । তাই বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছে । অনেকটা সামাজিকতা রক্ষার জায়গা থেকে ।
আমি যদিও এই বিয়েকে কেন্দ্র করে, একটা ভিডিও পর্ব পরবর্তী ব্লগে শেয়ার করব । সেখানে চেষ্টা করব আমার এই বিয়েতে অভিজ্ঞতা কেমন ছিল , সেই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য। এই পর্বে আমি শুধুমাত্র আমার চিন্তাধারাগুলো নিয়ে একটু ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করব আর আমাদের কিছু মুহূর্তের ফটো দেওয়ার চেষ্টা করব । তবে পুরো বিষয়টা জানতে হলে অবশ্যই পরবর্তী ব্লগটা পড়তে হবে ।
ফরিদকে দেখে আসলে মনে হয় না যে, ওর বয়স ত্রিশ বছর অতিক্রম করেছে । যাইহোক অনার্স মাস্টার্স শেষ করে বেশ ভালই দৌড়াদৌড়ি করেছে চাকুরির পিছনে । অবশেষে কোনরকমে একটা চাকুরি জুটেছে । আচ্ছা মেয়ের বাবারা কি ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় নাকি চাকুরী নামক ঐ পদ-পদরীর সঙ্গে বিয়ে দেয় । এই ব্যাপারটা কিন্তু আমার আসলে কোনভাবেই বোধগম্য হয়ে উঠে না ।
হয়তো দু'পক্ষের ভিতরে খুব ভালো মহব্বত ছিল, হয়তো ফরিদের বাবা আর মেয়ের বাবার ভিতরে আন্তরিকতা বেশ ভালো ছিল বিধায় এটা সম্ভব হয়েছে । তাছাড়াও হয়তো ফরিদ প্রেম ভালোবাসার মতো জায়গায় নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারেনি বা ঐ সম্পর্কগুলোতে এগিয়ে যায় নি নতুবা ফরিদ আগে থেকেই জানতো তার চাচাতো বোনের সঙ্গেই তার হয়তো বিয়ে-শাদী হবে। তাই হয়তো সে অনেকটা সময় পেয়েছে, নিজেকে গুছিয়ে নিতে । যাইহোক তাও ভালই ভালই বিয়েটা হয়ে গেল, এটাই তো খুশির সংবাদ।
বাল্যবন্ধু আমার দীর্ঘ ত্রিশ বছরের ব্যাচেলর জীবন ছেড়ে, নতুন এক অধ্যায়ে পা দিতে যাচ্ছে । এমতাবস্থায় এলাকার মানুষ বলেন আর বন্ধুই বলেন, এই সময়ে তার পাশে থাকতে পেরেছি এতেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যদিও একটু আমার ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা ছিল, তবে সেটা জানতে পরবর্তী ব্লগে কিন্তু চোখ রাখতে হবে । সর্বোপরি আমি আমার বন্ধুর জন্য আশীর্বাদ করছি , তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া আপনি সবসময় বাস্তব চিন্তাগুলো আপনার লেখায় প্রকাশ করেন এজন্য ভালো লাগে। আসলে এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে কারো বিয়েতে দাওয়াত খেতে গেলেও দুবার ভাবতে হয়। কারণ আমাদের মত মধ্যবিত্তরা যদি সামাজিকতা রক্ষা করতে যায় তাহলে মাঝে মাঝে বিপাকে পড়তে হয়। তবে কি আর করার সামাজিকতা রক্ষা করতেই হয়। তবে যাই হোক আপনি আপনার বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার বন্ধু ব্যাচেলর জীবনের অবসান ঘটিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চলেছে এইজন্য আপনার বন্ধুর জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। 💗💗💗💗💗
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনি আপনার বাল্য বন্ধু ফরিদের বিয়েতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।তবে ঠিকই বলেছেন ভাই মেয়ের বাবা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় নাকি ছেলের চাকুরীর সঙ্গে বিয়ে দেয় সেটা আমার এখনও ঠিকভাবে বুঝে আসেনা।পারিবারিক ভাবে আমার বন্ধুর গত মাসে বিয়ে হয়েছে।পরবর্তী ভিডিওর জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আশাকরা যায় পরবর্তী পর্বেই ভিডিও আসবে । সঙ্গেই থাকুন।
বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে অসাধারণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। আসলে বিয়ে মানে আনন্দ। দুইটি মানুষের মিলবন্ধন। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বাবুকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। বিয়ের সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
বিয়ে অত্যন্ত সহজ এবং সওয়াবের একটি কাজ।তবে আমাদের সমাজ ই এটাকে অতিরিক্ত কঠিন বানিয়ে ফেলেছে।তার জন্য অবশ্যই আমরা সমাজের লোকেরাই দায়ী।সেসব থাক।সামাজিকতা রক্ষার চেষ্টা সবসময় ই সুন্দর।
হুম । চেষ্টা করেছি সময় উপযোগী ব্যাপার নিয়ে একটু কথা বলার জন্য।
ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এই দুর্মূল্যের বাজারে একটি চাকরি জোগাড় করা খুবই কষ্টের হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তোবা প্রত্যেকটি মেয়ের বাবা চায় তার মেয়েকে সুখী দেখতে। হয়তো বাবাদের ধারণার মাঝে ভুল রয়েছে। ছেলে চাকরি করে মানেই যে সে মানুষ হিসেবে ভালো হবে এমনটা নাও হতে পারে। চাকরি করলেই ভালো মানুষ হওয়া যায় না। ভালো মানসিকতা না থাকলে এই চাকরির কোন মূল্য নেই। তবে যাইহোক ভাইয়া এটা আমার উপলব্ধি। অন্য কারো ক্ষেত্রে ব্যাপারটি কি রকম তা আমি জানিনা। আশা করছি আপনার বাল্যকালের বন্ধু তার দাম্পত্য জীবনে অনেক সুখি হবেন। আপনার বন্ধুর জন্য ও তার জীবন সঙ্গিনীর জন্য শুভকামনা রইল।
পয়সাই জীবন, পয়সাই সব ।এইসব চিন্তা থেকে আমাদের বেড়িয়ে আসা দরকার। তবে আবার পয়সা ছাড়া জীবনটাও অচল ,কি একটা অবস্থা ।
আপনার বন্ধুর বিয়েতে দারুন মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সত্য কথা হল, আপনি অকপটে বাস্তবতায় বিশ্বাসী মানুষ। খুব সহজেই সত্য কথাগুলো গড় গড় করে বলে ফেলেন। এখনকার মেয়ের বাবারা ভালো জামাইয়ের চেয়ে সরকারি চাকরিজীবী বেশি খোঁজে।
যাই হোক, দাম্পত্য জীবন সুখী হোক। ভালোবাসায় ভরে উঠুক নতুন পৃথিবী। আপনার বন্ধু ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
জীবন হয়ে গেছে পয়সাময় । তাই চিন্তাধারা পরিবর্তন করা দরকার সকলের । দিনশেষে ভালো মানুষ হওয়া জরুরী । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ, ভাই।পয়সার সাথেই বসবাস।
বাল্য কালের বন্ধুর বিয়ে বলে কথা এরকম একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারলে ভালোই লাগে। একদম একটি সত্যি কথা আপনি অকপটে বলে ফেলেছেন সেজন্য আমার খুব ভালো লেগেছে। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে কোনো অনুষ্ঠান বা দাওয়াতের কথা শুনলে কপালে একটু ভাঁজ দেখা দেয়। যাই হোক আপনাদের দেখে মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়িতে অনেক আনন্দ ও খাওয়া দাওয়া হয়েছে সবমিলিয়ে ভালোই কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। শাহান বাবাকে একদম দুশ্চিন্তামুক্ত লাগছে মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়িতে এসে সে অনেক খুশি আর যত চিন্তা আপনার কাছেই থাকুক। সবার জন্য শুভকামনা।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই । ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।
আপনার বন্ধু ফরিদের পরবর্তী জীবন আনন্দদায়ক হোক সে শুভকামনা করি। এবং নিজের চাচাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে এটাও বেশ ভালো লাগল। এবং কেউ যদি দাওয়াত দেয় সেটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
এটা আমার নিজেরও বোধগম্য হয় না। কী আশ্চর্যের ব্যাপার। অনেক ভালো এবং গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ভিডিও ব্লগ এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।।
অবশ্যই পরবর্তী পর্বের জন্য নিমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ফরিদ আপনার বাল্যকালের বন্ধু সে এখন বিয়ে করছে। আসলে চাকরির পেছনে ছুটতে ছুটতে তার বয়স বেশি হয়ে গেছে। আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এরকমই চাকরি ছাড়া বিয়ে দিতে চায় না। আপনি ঠিকই বলেছেন মেয়ের বাবারা ছেলের সাথে বিয়ে দেয় নাকি চাকরি সাথে বিয়ে দেয় সেটাই বোঝা মুশকিল। আসলে চাকরি ছাড়া সমাজে মানুষ যেন অবহেলিত, কোন মূল্য নেই। যদি ভাল চাকরি করে তাহলে তারা অনেক দাম রয়েছে। আর চাকরি না করলে কোন দাম নেই।যাই হোক অবশেষে আমার বন্ধু বিয়ে করেছে পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে তাদের জীবনটা আনন্দ এবং সুখী হোক এই দোয়া রইল।
আমি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করছি ভাই । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বিয়েতে আপনি বেশ ভালই মজা করেছেন ভাই। বন্ধুর বিয়ে বলে কথা, তবে আপনি কিছু বাস্তব সত্য কথা তুলে ধরেছেন তা আমার খুবই ভালো লেগেছে। মানুষ আহত হয় বলে অন্য ভাবে না থাকে তবে আমার কাছে এগুলো সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। এই দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধ গতির বাজারে বাইরে বের হলে অনেক টাকা পয়সার ব্যাপার স্যাপার থাকবে। যারা একটু অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তাদের জন্য এই জামানায় চলাফেরাটা অনেক জটিল হয়ে পড়েছে। ধন্যবাদ ভাই ভালোবাসা নেবেন অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পাঠকের সন্তুষ্টি লেখকের আত্মতৃপ্তি । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।