যেখানে ঝামেলা, সেখানেই সমাধান || @shy-fox 10% beneficiary
আমি যতই সহজ সরল স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে চাই , ততই কোন না কোন জায়গায় একটু এলোমেলো ভাব চলে আসে । যাইহোক আজকের ঘটনাটা অন্যান্যদিনের থেকে বেশ ব্যতিক্রম ছিল । তবে আমার ছোট্ট পরিচয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের যে , একটু হলেও মন গলবে এবং ব্যাপারটা আন্তরিকভাবে দেখার চেষ্টা করবে, এটা আমি কোন ভাবেই ভাবতে পারি নি । তবে শেষমেষ তাদের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়েছি ।
আমি বিগত সময়েও বলেছি যে, আমি শুধুমাত্র তিন ঘন্টার জন্য বিকেলবেলা করে গ্রামীণ চেম্বারে মানুষকে দন্ত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি । যেহেতু একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দিতে যেতে হয়, তাই মোটামুটি যাতায়াতের জন্য বেশ ভালোই বেগ পেতে হয় প্রতিনিয়ত আমাকে । তবে দিনশেষে কষ্ট গুলো অনেকটাই সুখে পরিণত হয় , যখন গ্রামীণ সহজ সরল মানুষগুলোর মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটাতে পারি খুব স্বল্প পয়সার বিনিময়ে ঠিক তখন ।
এমনিতেই দন্ত চিকিৎসা সেবা , উপজেলা থেকে জেলা পর্যায়ে বা বড় আধুনিক শহরে অনেক ব্যয়বহুল । সেখানে গ্রামীণ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা দেওয়া, আসলেই কিছুটা কষ্টসাধ্য । কারণ অন্যান্য চিকিৎসা সেবায় সবকিছু প্রথমত দেখে প্রেসক্রিপশন করলেই হয়ে যায় । তবে এক্ষেত্রে দন্ত চিকিৎসা সেবার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা । কারণ প্রযুক্তিগত মেশিন এবং যন্ত্রপাতি থাকতে হয় এবং তাছাড়াও বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালস এর প্রয়োজন হয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য । সর্বোপরি হাতে কলমে কাজ করতে হয় ।
তাছাড়াও যেহেতু সবকিছুই এই চিকিৎসায় অনেকটাই ব্যয়বহুল, তবে এই বহু অংশের ব্যয়কে সীমিত করে নিয়ে এসে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে অল্প সময়ের জন্য হলেও চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি । মাঝে মাঝে এটা ভাবলেই অনেকটা আত্মতৃপ্তি পেয়ে যাই । তারপরেও আমার চলার পথ এখানে আসলে কখনোই সহজ ছিল না ।
আমার এখনো মনে আছে , যখন আমি এই এলাকাতে প্রথম চেম্বার করার মনস্থির করি এবং চেম্বারে প্র্যাকটিস শুরুকরি, তখন কিছু এই এলাকার জৈনেক লোকজন কর্তৃক আমাকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল । আমার ব্যক্তিগত ড্রাইভারকে তারা শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছিল এবং আমাকেও তারা বিভিন্ন রকম বিদ্রুপ মন্তব্য করেছিল । কারণ আমি তাদের কথায় কর্ণপাত করিনি এবং তাদেরকে চাঁদা দেওয়ার ব্যাপারটা আমি উপেক্ষা করে গিয়ে ছিলাম এজন্য ।
তবে দিনশেষে তারাও এখন আমাকে নিয়ে দু-একটা ভালো কথা বলে । এটা শুনতে বেশ ভালোই লাগে । আসলে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়, তবে একটু সময় লাগে । আজকের ব্যাপারটা একটু খোলাসা করে বলার চেষ্টা করি । তখনও আমি বাসা থেকে বের হইনি । যেহেতু প্রতিদিন বিকালবেলা করে বাসা থেকে বের হই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য । ঠিক আজকেও তার ব্যতিক্রম ছিল না । তবে আমি আজ বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই আমার গ্রামীন চেম্বারের এক রোগী আমাকে খুবই জরুরিভাবে ফোন দিয়েছে এবং তার সমস্যার কথাটা বলেছে এবং আমি তাকে বললাম, আমার তো এখনো যেতে কমপক্ষে এক ঘন্টার মত সময় লাগবে ।
কারণ যেহেতু বিশ কিলোমিটার পথ যেতে হয় , তাই যাতায়াতের জন্য আমাকে মাঝেমাঝেই বেশ ভালোই ঝামেলায় পড়তে হয় । কারণ অনেক সময় গাড়ি পেতে ঝামেলা হয়ে যায় , তাই ব্যাপারটা অনেকটাই জটিলতাপূর্ণ হয়ে যায় আমার জন্য মাঝেমাঝেই । হঠাৎই দেখলাম রোগীর লোকজন মিনিট বিশেক পরেই তারা দ্রুত মোটর বাইক নিয়ে আমার বাসার নিচে চলে এসেছে এবং আমাকে পুনরায় ফোন দিয়েছে ।
অবশেষে তাদের সঙ্গেই আমি যাত্রা শুরু করলাম । তবে মূলত ঝামেলাটা হয়ে গিয়েছিল মাঝপথে গিয়ে , যখন ট্রাফিক সিগন্যাল দিয়েছে এবং সার্জেন্ট মূলত গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং অন্যান্য যে ব্যপারগুলো থাকে , সেই নিয়ম গুলো দেখার চেষ্টা করছে কড়াকড়ি ভাবে ঠিক সেই সময়টাতে ।
আমি মানছি যে, আমরা মোটরবাইকে তিনজন ছিলাম এবং আমাদের কারো মাথাতেই হেলমেট ছিল না । কারণ ব্যাপারটা এতটাই জরুরি ছিল যে, সেই অবস্থায় আসলে এত কিছু মেইনটেইন করা আসলেই খুবই কষ্টদায়ক । তার মধ্যে আমি মোটরবাইকে করে যাতায়াতে অভ্যস্ত নই, তারপরেও যারা এসেছে তারাও আসলে খুবই দ্রুত এসেছে আমাকে নেওয়ার জন্য । সর্বোপরি একটা অগোছালো ভাব লেগেই ছিল সকলের মাঝে । তার ভিতরে ট্রাফিক সার্জেন্ট যখন গাড়িটা থামিয়েছে এবং বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করা শুরু করেছে এবং মামলা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে, তখন অবশেষে বাধ্য হয়ে আমি তাদের সঙ্গে খুবই ঠান্ডা মাথায় কথা বলার চেষ্টা করলাম ।
যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব একটা নিজের পরিচয় দিতে পছন্দ করি না । তবে আজকের ব্যাপারটা একদম কিছুটা এলোমেলো ছিল, অবশেষে ট্রাফিক সার্জেন্ট ভাইকে বলেই ফেললাম । ভাই আমি মূলত প্রান্তিক অঞ্চলে মানুষকে দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করি । এককথায় দাঁতের ডাক্তার আর তারা মূলত আমাকে নেওয়ার জন্যই আমার বাসায় গিয়েছিল । কারণ তাদের একটা ইমারজেন্সি রোগী এসেছে আমার চেম্বারে । মূলত সমস্যাটা এখানেই ছিল আর যেহেতু তারাও আমাকে ব্যাপারটা আগে থেকে না জানিয়ে হুট করে তারা আমার বাসায় চলে এসেছে , তাই তাদের সঙ্গে বাধ্য হয়ে আমাকে যেতে হচ্ছে , মূলত ব্যাপারটা এতোটুকুই ।
এখন আপনার উপর নির্ভর করছে সম্পূর্ণ ব্যাপারটি , যে আপনি কিভাবে ব্যাপারটিকে গ্রহণ করবেন । কমপক্ষে তিন থেকে চার মিনিট ভাবার পরে সার্জেন্ট ও তার সহকারী নিজের থেকে আমার আইডি কার্ড দেখতে চাইল এবং আমার কর্মস্থলের ঠিকানা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তারা কিছু প্রশ্ন করল । আমি শুধু তাদের কথা অনুযায়ী কাজগুলো করে ফেললাম এবং স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করলাম এবং এটাও বললাম যদি আরো বিশেষ কিছু তথ্য প্রয়োজন হয় , তাহলে আপনারা আপনাদের ডিউটি শেষে আমার চেম্বারে চায়ের দাওয়াত নিতে পারেন ।
অতঃপর কিছুটা সময় পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট নিজের থেকেই বলল, ঠিক আছে যেহেতু ব্যাপারটা একদম স্পর্শকাতর , তাই আমরা মামলা দিচ্ছি না । তবে আমার সঙ্গে থাকা ভদ্রলোক দুজনকে খুবই ভালোভাবে বুঝিয়ে বলল, এরপর থেকে অবশ্যই মোটরবাইক নিয়ে বের হলে যেন তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট এবং অন্যান্য কাগজপত্র সঙ্গে রাখে এই কথা গুলো বলে দিল । এবং আমার সঙ্গে থাকা লোক দুজন তারাও বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে ট্রাফিক সার্জেন্টের কথাগুলো । তারপরে আমাদের পুনরায় আবার যাত্রা শুরু হয়ে গেল ।
যদিও আমি আসলে এ সকল কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে ইচ্ছুক না । কারণ আইনগত ব্যাপার গুলো আসলেই একটু জটিলতা সম্পন্ন । তার ভিতরে হেলমেট ছিল না এবং একই মোটরবাইকে তিনজন, ব্যাপারটা আসলেই মোটেও গ্রহণযোগ্য না । তারপরেও যেহেতু মানবিকতার ব্যাপার এখানে জড়িত আছে , মূলত চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য আমি যাচ্ছি হয়তো এজন্যই তারা আমার ব্যাপারটা একটু মানবিকভাবে দেখার চেষ্টা করেছে । তারপরেও অবশ্যই মোটরবাইকে নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে চলাচল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
যাইহোক মোটামুটি এ যাত্রায় ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যাপারটি আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং সে যে আমার সময় নষ্ট না করে, আমাকে দ্রুত যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বিনা মামলায়,এই জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
আমি অনেক আগে থেকেই জানি ভাইয়া আপনি সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন। আসলেই গ্রাম্য পরিবেশের মানুষ সুবিধাবঞ্চিত আপনাদের মত সেবা প্রদানকারী দের সবসময় সমর্থন করি। ইমারজেন্সি রোগী গুলো দ্রুততম চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হয়। আপনি তাড়াতাড়ি করে সেখানে চলে যান সত্যিই এটা অনেক বড় পাওয়া। তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশের নিয়ম-শৃঙ্খলা সম্পর্কে অবগত না থাকায় একটু ঝামেলায় পড়তে হয়। আপনার ঠান্ডা মাথায় সমাধান করার বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আমি আসলে চেষ্টা করেছি, আমার জায়গা থেকে নিজের কাজটা করা জন্য । হয়তো এ যাত্রায় পুলিশ ভাই মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে ।
আসলেই ডাক্তারি পেশা এমন একটি মহান পেশা যার সঙ্গে অন্য কোন কিছুর তুলনা চলে না। শুধু দরকার একটু পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতা। আমি মনে করি আপনার মধ্যে যা পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। এই যে 20 কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রতিদিন সামান্য কিছু ফি এর বিনিময়ে গ্রামীণ দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে দন্ত চিকিৎসা দিয়ে আসছেন এক কথায় এটা আপনার মহত্ত্বেরই একটা উদাহরণ। আর ট্রাফিক সার্জেন্ট ভাইকে ও বেশ মানবিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ বলেই মনে হলো। তাই তিনি ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। আশা করি মানুষের প্রতি আপনারই এই মনোভাব চিরকাল অটুট থাকবে।
দিনশেষে আমি মনেকরি একজন ব্লগার হিসাবে আপনাদের মত পাঠক পেয়ে আমি চির কৃতজ্ঞ । আপনারাই আমার উৎসাহ প্রদানের প্রথম ও শেষ হাতিয়ার ।
কথায় আছে না রাখে আল্লাহ মারে কে, বিষয়টা যদিও অনেক জটিলতা পূর্ণ ছিল কিন্তু খুব সহজেই আপনি সমাধান পেয়েছেন। তবে আমি একটা কথা দৃঢ় বিশ্বাস করি। আপনি যদি কারো উপকার করেন সেই উপকারের প্রতিদান আপনি কোন না কোন ভাবে পাবেন। আল্লাহ আপনাকে বিপদ থেকে অবশ্যই অবশ্যই রক্ষা করবেন। আপনার বিস্তারিত মনের ভাবগুলো পড়ে ভালই লেগেছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।
এ যাত্রায় কিন্তু তেমনটাই আমার কাছে মনে হয়েছে । কারণ পুলিশ ভাইয়ের আচরণে আমি মুগ্ধ হয়েছি ।
এটাই তো সেবামূলক কাজের ভালোদিক ভাই। মনে হচ্ছে ট্রাফিক সার্জন অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। ভালোই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রথম ছবি দেখে ভেবেছিলাম আপনি মটোর সাইকেল নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন। পরে দেখি অন্য ঘটনা। পরে সেই রুগির কি হলো ভাই?
প্রথমদিকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল । তবে শেষের দিকে যখন পুরো ব্যাপারটা আমি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, তখন তারা আর ঝামেলা করেনি ।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষের দন্ত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আপনি এতটা পথ জার্নি করেন জেনে অনেক ভালো লাগল। আসলে আপনার মতো মানুষ আছে বলেই গ্রামের মানুষরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে এবং নিজেদের সমস্যা গুলো থেকে কাটিয়ে উঠতে পারছে। হয়তো তাদের সামর্থ্য কম। কিন্তু তাদের এই হাসিমুখ দেখলে প্রাণের মাঝে আলাদা রকমের প্রশান্তি আসে। টাকা হয়তো আমাদের জীবনে অনেক আসবে যাবে কিন্তু হাসিমাখা মুখ দেখতে পাওয়া অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। তবে যাই হোক ট্রাফিক সার্জন আপনাদের বিপদে সহায় হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
আমার কাছেও তো ঠিক তেমনটাই মনে হয় । হয়তো সেই নিরীহ লোক গুলোর কথা চিন্তা করি বিধায়, এতটা পথ অতিক্রম করে হলেও তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ।
ভাইয়া মনে হচ্ছে সার্জেন্ট অনেক ভাল মানুষ। তিনি আপনাদের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন। আর সাধারনত ডাক্তাদের সবাই সম্মান করে। অসুস্থ হলে বুঝা যায় ডাক্তারদের কি মূল্য। আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে অন্যের পেশাকে সম্মান করা উচিত।
শুধুমাত্র ডাক্তার বলে কথা না , আমি মনে করি মানবিকতা সকল জায়গাতেই দেখানো উচিত । তবে এটাও, ঠিক আইন মেনে চলা উচিত ।
ট্রাফিক সার্জেন্টের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম ভাই।কারণ তারা এত সহজে কখনো বোঝে না আমি যতদূর জানি। আর এর চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে যে আপনি ডাক্তার মানুষ জেনে এত সহজে মেনে নিয়েছি আপনার কথা। তবে আমাদের মত সাধারন মানুষ হইলে তারা এত সহজে মেনে নেয় না আমি জানি। খুব ভালো লাগলো ভাই। যদিও সব পুলিশ সদস্য এক না। তবে সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনি সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করেছেন। তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই মুহূর্তকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনি যেটা ভেবেছেন, এটা একদম সত্য কথা । কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে এমন মন্তব্য হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক । যাইহোক তারপরেও কিছু ভালো লোক থাকে প্রত্যেকটা সেক্টরেই , এটাই তো স্বাভাবিক । আমি হয়তো তেমন মানুষের পাল্লায় পড়েছিলাম ।
সুস্থ ভাবে হাসতে হলেও দাঁতের যত্ন প্রয়োজন নতুবা মুখ লুকাতে হবে । আপনার মহান পেশাকে আমি সন্মান জানাই । তবে ভাইয়া জরুরী মুহুর্তে রোগীর জন্য সময় দেওয়া আসলেই অনেক ঝামেলা পুর্ণ যেইটা ডাক্তারী পেশার মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত করেই যাচ্ছে মানবিকতার তরে ।
কিচ্ছু করার নেই ভাই, জীবন যেখানে যেমন । যাইহোক আপনার সাবলীল মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই ।
প্রথমেই আপনাকে স্যালুট জানাই ভাই। প্রত্যেকটা দিন নিজের এত ব্যস্ততার মাঝেও তিন ঘন্টা সময় বের করেছেন। ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে শুধুমাত্র সেবার মত মহৎ উদ্দেশ্যে আপনি চেম্বার করেন। যাইহোক ট্রাফিক সার্জন শুধুমাত্র আপনার এই মহৎ পেশার গুনে আপনাদের ছেড়ে দিয়েছেন। তা নাহলে এক বাইকে তিনজন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকার কারণে মামলা নিশ্চিত ছিল। তাছাড়া আপনার আন্তরিকতা দেখেও ট্রাফিক সার্জন মুগ্ধ হয়েছিলেন নিশ্চয়ই। খুব সামান্য খরচে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমিও সেটাই ভাবছি, কারণ অনেকগুলো মামলা খেয়ে যেতাম । কারণ যে ঘটনাটা ছিল, সেটা আসলে কোনভাবেই আইন সম্মত নয় । তারপরেও পুলিশ ভাই যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে , এতে আমি মুগ্ধ হয়েছি ।
সত্যিই হেলমেট না থাকাটা গ্রহণযোগ্য নয়, তবুও যেহেতু রুগী সংক্রান্ত বিষয় সেহেতু ভুল হতেই পারে।তো সেই বিষয়টি যে ট্রাফিক সার্জেন্ট ভালোভাবে উপলব্ধি করে আপনাদের তেমন কিছুই বলেন নি সেটা খুবই ভালো লাগলো জেনে।তবে এই নিয়মটি ভঙ্গ করলে অনেক ট্রাফিক সার্জেন্ট ছাড় দেন না কোনোভাবে বরং জরিমানা দিতে হয় অনেক।আশা করি আপনার সঙ্গে থাকা মানুষ দুইজন পরবর্তীতে সতর্কতা অবলম্বন করবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপু , তবে এ যাত্রায় হয়তো সবকিছু সহনশীল ছিল বিধায়, বেঁচে গেছি ।