শৈশব হাতছানি দেয়
জীবন থেকে একবার কোন কিছু চলে গেলে সেটা আর কোনোভাবেই ফেরত আসে না। এটা কেউ বিশ্বাস না করলেও, আমি সেটা খুব ভালোভাবেই বিশ্বাস করি। তবে এটাও সত্য নতুন যে মুহূর্তগুলো আসে, সেটা অনেকটাই শৈশব কে হাতছানি দেওয়ার মতো, এর বেশি আর কিছুই না ।
শৈশব কি আর চাইলেই ফিরে পাওয়া যাওয়া যায়। তেমনটাই যদি হতো, তাহলে তো কেউ আর প্রবীণ হতে চাইতো না, সবাই নবীন থাকারই চেষ্টা করতো ।
ঠিক কত বছর পরে সকলে মিলে এমন ভাবে দেখা করলাম, এটা হয়তো এই মুহুর্তে আমি বলতে পারছি না। তাও তো দীর্ঘ সময় পরে হবেই । এই এলাকাতেই আমি জীবনের অনেকটা বছর কাটিয়ে দিয়েছি। সেই ছোটবেলা থেকেই এই এলাকার ধুলোবালি মেখে বড় হয়েছি আর ওদেরকেও দেখছি সেই ছোটবেলা থেকেই। যেহেতু একই এলাকায় থাকি,তাই সকলের সঙ্গেই মোটামুটি বেশ ভালোই সম্পর্ক ছিল বা এখনো আছে।
একটা সময়ের পরে গিয়ে হয়তো কর্মের তাগিদে নতুবা সময়ের পরিবর্তনে জীবন থেকে অনেক কিছুই আলাদা হয়ে গিয়েছে বা প্রতিনিয়ত যাচ্ছে। যদিও এটা নতুন কিছুই না হয়তো এটাই বাস্তবতা। তাই এটা কে মেনে নেওয়াই শ্রেয়।
আগে প্রায়ই ডিসেম্বর মাসে, এই শীতের সময়ে সকলে মিলে পিকনিক খেতাম। সকলে মিলে চাঁদা তুলে ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠে বেশ ধুমধাম করেই পিকনিকের আয়োজন হতো । সেকি চিৎকার-চেঁচামেচি মানে পুরো শৈশবটা যেন অস্থিরতা পূর্ণ সময় কাটিয়ে ছিলাম। কত যে দুরন্ত ছিলাম তা হয়তো বলা বাহুল্য ।
এটা জানি, আজ সেগুলো সবই অতীত। সেগুলো আর চাইলেও ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে এমন একটা মুহূর্ত যদি হুটহাট তৈরি করা যায় তাহলে শৈশবটা কে মনে হয় আবারও একটু নেড়েচেড়ে দেখার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়। এইতো যেমনটি হয়েছিল কয়েকদিন আগে ।
এখন ব্যাডমিন্টন মাঠের আশেপাশে সবদিকে পাকা দালানকোঠা বেশ পরিপক্ব ভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। বেশ ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে এলাকাটা। আগের মত আর খোলামেলা নেই। আর যাদের সঙ্গে মিলে পিকনিক খাচ্ছি তাদেরও বয়সে বেশ ভালোই পরিবর্তন এসেছে ।
হয়তো এ যাত্রায় যারা এমন উদ্যোগ নিয়েছিল, তাদেরকে আমি মন থেকেই ধন্যবাদ দিচ্ছি। কারণ এমন একটা মুহূর্তের সঙ্গে আমাকে সহযাত্রী করে নেওয়ার জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেদিন যখন আমি ব্যাপারটি শুনেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম।
যাইহোক ওরা সব কিছু নিজ দায়িত্বেই আগে থেকে ব্যবস্থা করে রেখেছিল। আমি যখন সন্ধ্যা বেলায় সেই মাঠটাতে দীর্ঘদিন পরে গিয়েছিলাম, গিয়েই যেন শৈশব স্মৃতি হাতড়ে বেড়াচ্ছিলাম। দেখতে দেখতে কতগুলো বছর যেন চলে গেল,তা ভাবতেই মুহূর্তেই যেন আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম।
সত্যি বলতে কি, ওরা আমাকে কোন কাজ ই করতে দেয়নি। ওরা নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছিল সবগুলো কাজ ঠিকঠাক করে করার জন্য। সেই বাজার করা থেকে শুরু করে একদম রান্নাবাড়ি করা পর্যন্ত। অতঃপর আবারও সেই গান-বাজনা ও খাওয়া-দাওয়া।
এখন আর চাইলেও এসব আগের দিনের পিকনিকের মতো আমেজটা খুব একটা ভালোভাবে জমে ওঠেনা। তবে সুযোগ যেহেতু পেয়েছিলাম, তাই চেষ্টা করেছিলাম নিজেকে শতভাগ উজাড় করে দেওয়ার জন্য।
অনেকেই উপস্থিত ছিল আবার অনেকেই অনুপস্থিত। তবে তারপরেও সকলে মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়ে দিয়েছি, এটাই তো অনেক কিছু।
ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলেই যদি বয়স টাকে ধরে রাখা যেত তাহলে বেশ ভালো হতো,তাহলে কেউ প্রবীন হতো না।মাঝে মাঝে শৈশবের ফ্রেন্ডের দেখলে ছোটবেলার কথা মনে পরে।এই ডিসেম্বর মাসে কত মজাই না করতাম।পিকনিক থেকে শুরু করে কত কি।যাই হোক পিকনিক বেশ ভালোই মজা করেছেন,যদিও আপনার কাজ করতে হয়নি।গানবাজনা খাওয়া দাওয়া সব মিলে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ
ছোট্টবেলার স্মৃতি বিজড়িত দিনগুলো সত্যিই অনেক মধুর কতইনা বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দারুন সময় অতিবাহিত করেছি। যেটা এখন আর করতে পারি না সবাই এখন অনেকটা আলাদা হয়ে গেছে ঠিক তেমনি আপনার ক্ষেত্রে। সেই ছোট্টবেলায় কাটানো সকলের সাথে দারুন সময় অতিবাহিত করলেন যেটা শৈশবের হাতছানি দেয় অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
সত্যি শৈশব চাইলেও ফিরে পাওয়া যায় না। অনেকদিন পরে সবার সাথে দেখা হয়েছে এই বিষয়টি বেশ ভালো লাগলো। এরকম পিকনিক করতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে। তবে সবাই মিলে কাজ করে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনাকে তো অবশ্য কিছু করতেই দিল না। দেখছি, আপনাকে সম্মান করল। এরকমের মুহূর্তগুলো চিরদিন মনে থেকে যায়। অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
শৈশব সব সময়ই অনেক বেশি রঙিন হয়ে থাকে ভাইয়া। আপনি এখন যে মুহূর্তটা কাটিয়েছেন সেটা হয়তো অনেকের কাছে স্বপ্ন, আমি মনে করি এইরকম মুহূর্ত সকলেই অতিবাহিত করতে চাইবে। এরকম মুহূর্ত সকলের জীবনেই ফিরে আসে না অনেকেই হয়তো ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে যার কারণে ছোটবেলার সেই সময়গুলো তারা ফিরে পাবে না কখনোই। আসলে এলাকাতে কোন পিকনিকের আয়োজন করলে বড় ভাইয়েরা যদি সেখানে যায় অবশ্যই তাকে দিয়ে কোন কাজ করানো হয় না সকল কাজকর্ম ছোটড়াই করে থাকে আপনার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। তবে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে আপনি খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার এই মুহূর্তটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।
বাহ ভাইয়া সবার সাথে তো বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আমরাও প্রতিবার ডিসেম্বর মাসে যখন স্কুল ছুটি হতো তখন নানুর বাড়িতে গিয়ে সবাই মিলে পিকনিক করতাম। আর একসাথে খাওয়া দাওয়া করতাম। আসলে নানুর বাড়িতে যাওয়া, পরীক্ষার পরে বেড়ানো এই সময় গুলো খুব বেশি আনন্দদায়ক ছিল। যদিও এই দুইদিন আগেও গিয়েছিলাম তবে সেই রকম মজা আর হয়নি। আপনাদের এই মুহূর্তগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে।
জীবন বড়ই অদ্ভুত, যায় দিন ভালো, আসে দিন বেশ স্মৃতিকাতর।
জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো সময়! একবার চলে গেলে আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না! শৈশবের সময়টাকে আমরা সবাই খুব খুব মিস করি! আবার যদি হারিয়ে যেতে পারতাম, কেমন হতো! কিন্তু চাইলেই তো আর হারানো শৈশবে ফিরে যাওয়া যাবে না! শৈশবের সেই পিকনিক খেলা তো এখনও আমার মনে পড়ে। শৈশবকে স্মরণ করে এমন পিকনিকের আয়োজন করলে ভালোই হয়! সবাই মিলে কিছুটা সময় উপভোগ করা যায় 🌼
এইটা একদম বাস্তব সত্য, জীবন থেকে যা একবার চলে যায় তা আর কোন ভাবেই ফিরে আসে না।
শৈশবের স্মৃতি শুধুমাত্র স্মৃতি হয়েই থাকে। প্রতিটি মানুষের শৈশব বড় হওয়ার পর স্মৃতিচারণ করে। আপনার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আসলে শৈশবের মত সেই পিকনিকের আনন্দ গুলো বড় হওয়ার পর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। শৈশবের স্মৃতিচারণ করে খুব সুন্দর কথাগুলো ব্যক্ত করেছেন ধন্যবাদ।
ঠিক ই বলেছে ভাইয়া , এই ছোট খাটো বিষয় গুলো তে আমরা আমাদের ছেলে বেলা খুঁজে বেড়াই , যা হাজার বার চাইলে ও আর ফিরে পাওয়া সম্ভব না , তবে বলতে হবে দারুন একটা সময় পার করেছেন ,আমার কাছে দারুন লাগে শীতের দিনের পিকনিক। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সবাই দূরে চলে গেছে। তাই হয়তো একত্রিত হয়ে এভাবে শৈশবের স্মৃতিচারণ করা হয় না। তবে এরকম দৃশ্য গুলো দেখলে শৈশবের কথা মনে পড়ে যায়। যাই হোক যারা এই সুন্দর পিকনিকের আয়োজন করেছে তাদেরকে অবশ্যই ধন্যবাদ জানানো উচিত। ভাল লাগল ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে।
আমিও বেশ উপভোগ করেছিলাম সময়টা আপু। ধন্যবাদ আমার অনুভূতি বোঝার জন্য।
আসলেই ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর হয়ে থাকে। আর হ্যাঁ আমরা ছোটবেলায় যে জায়গায় বেশিরভাগই থাকতাম সেই জায়গায় অনেকদিন পর গেলে এমনিতেই মনের ভিতর খারাপ লাগা কাজ করে। আপনারা ব্যাডমিন্টন কোর্টে পিকনিক করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনারা নিশ্চয়ই খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। মুহূর্তটা পড়ে ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।