ভাবছি, কি করা যায় ? || @shy-fox 10% beneficiary
একই মানুষ তবে এতো বিভাজন কেন । আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারি না । এত পদ-পদবী ও ক্ষমতার বুলি , এত অহংকার, এত বৈষম্য, আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারি না । কিছুই ঢোকে না আমার ছোট্ট মাথায় । এতো মানুষের ভিড়েও আমি মানুষ খোঁজার চেষ্টা করি । তবে কি মানুষ নেই নাকি ভাববো অন্য কিছু ।
ভীষণ তিক্ততা জমে গিয়েছে জীবনের উপর আর ভালো লাগেনা । অনেকদিন থেকেই এক ঘেয়ামি জীবনযাপন করছি । দিনদিন যতটা পরিমাণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখার চেষ্টা করছি, ততটা পরিমাণ যেন প্রতিনিয়ত ভিন্নরকম অভিজ্ঞতার সঞ্চারণ হচ্ছে নিজের ভিতরে । এ কেমন ব্যাপার প্রতিনিয়ত বৈষম্যের ছড়াছড়ি, এ কেমন ব্যাপার প্রতিনিয়ত ক্ষমতার ঝনঝনানি ও পদ-পদবির রেষারেষি ।
এমনটাই যদি প্রতিনিয়ত হয় তাহলে তো মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমি মানুষ বোঝার চেষ্টা করি, মানুষ খোঁজার চেষ্টা করি । দিনশেষে সবই আছে কিন্তু মানুষ খুঁজতে গেলেই সমস্যা । আমি ভেঙে পড়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত । এ সমাজব্যবস্থা ও নিয়মতান্ত্রিক সিস্টেম আমাকে প্রতিনিয়ত ভঙ্গুর করে ফেলছে । বড্ড হাঁপিয়ে উঠেছি নিজের জীবন নিয়ে ।
পুস্তকের বই খাতা খুলে এদের আসলে কোন মাথা খোলেনি । এদের মাথাগুলো দিন দিন আরো মোটা থেকে আরো ক্রমাগত মোটা হয়ে গিয়েছে । ক্রমাগত নিয়মধারার কাছে এরা নিজেকে বিসর্জন দিয়ে ফেলেছে । এখান থেকে এদের কোন মুক্তির পথ নেই । এরা নিজেও শেষ হবে এবং নিজের পরর্বতী প্রজন্মটাকেও শেষ করে ফেলার পাঁয়তারা করছে । তবে আমি এখান থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। আমার চিন্তা-চেতনা সবটাই আলাদা । আমি নিজেকে নিজের মতো করে দেখা,জানা ও বোঝার চেষ্টা করছি ।
বিকেলের পরে ইচ্ছে করেই অফিসে যাইনি । বাহিরে যে পরিমাণ গরম এবং পারিপার্শ্বিক যে অবস্থা , তাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজ বাবুকে কোলে করে নিয়ে বাহিরে হাঁটাহাঁটি করবো । বাসা থেকে ইচ্ছে করেই অর্ধনগ্ন হয়ে বড় রাস্তা পর্যন্ত গিয়েছি । এ তল্লাটে আমাকে সবাই চেনে , বলতে গেলে সবার কাছে পরিচিত মুখ আমি । সবাই আমাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখে অনেকটাই চক্ষু কপালে তোলার মতো অবস্থা ।
অনেকে বলতেই লাগলো, কিগো ডাক্তার শরীরে কাপড় নাই যে । এক গাল হেসে বলেই দিলাম, নিচের কাপড়টুকু তো আছে পারলে মনে হয় ওটাও খুলে ফেলি । লজ্জা-শরম তো তোমাদের হবে না । সারাদিন যদি বিদ্যুৎ না থাকে, তাও তো তোমাদের মুখ ফুটে দুটো কথা কখনো বের হবে না । তোমাদের শরীরের উপর দিয়ে বুলডোজার মেশিন উঠিয়ে দিলেও, তাও মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করে বসে থাকবে আর বলবে আহা বেশ আরামদায়ক তো ।
বাপ-বেটা মিলে হাওয়া খেতে বের হয়েছি । শরীরে বাতাস লাগাচ্ছি, প্রকৃতির গরম বাতাস । আমার শরম-লজ্জা নেই, এটা আমি স্বীকার করছি । তবে আপনাদের শরম-লজ্জা ও চক্ষু-লজ্জা দেখে আমি বেশ হতবাক হয়ে গিয়েছি । হারামজাদা গুলো মুখ ফুটে জায়গা মতো দুটো কথা বলার সাহস পায় না, আবার আমাকে জ্ঞান দিতে এসেছে, যত্তসব ।
আমার নাম ধরে ডাকবি নতুবা ভাই বলে সম্মোধন করবি । এত পদ-পদবী ধরে আমাকে ডাকার দরকার নেই । কি একটা বৈষম্যভেদ সৃষ্টি করে ফেলেছে । আচ্ছা এত বৈষম্যভেদ সৃষ্টি করে যদি সমাজের ভালোই হতো, মঙ্গল হতো এবং সমাজটা যদি কলুষিত মুক্ত ও সর্বদিক দিয়ে যদি ত্রুটি হীন থাকতো তাহলে আমি স্বেচ্ছায় পদ-পদবীর বুলিতে কোন প্রশ্ন রাখতাম না । তখন এত বিভাজনের ব্যাপার নিয়েও, সেখানে আমার কোন মাথাব্যথা আসতো না । তবে দিনশেষ তো সবকিছুর ফলাফল শূন্যের কোঠায় পৌঁছে যাচ্ছে ।
শুনলাম ইদানিং নাকি লোডশেডিং বেড়েই যাচ্ছে সঙ্গে নাকি আরো অনেক নিয়ম-কানুন জারি হয়েছে । তা এমতাবস্থায় তোমরা কি করছ সুশীল সমাজ । আমার না হয় লজ্জা শরম নেই, তাই খালি গায়ে অনেকটা অর্ধনগ্ন হয়েই বাহিরে বেরোতে পেরছি । তো তোমাদের তো অনেক লজ্জা-শরম কিভাবে সময়গুলো কাটাবে ।
পা চাটা স্বভাব থেকে বেড়িয়ে আসো । নিজের বিবেক খাঁটাও, সমাজটাকে পরিবর্তন করার চিন্তা চেতনায় মনোযোগী হও । নিজেকে দিনশেষে, নিজের মতো করে চেনার চেষ্টা করো , নিজের পচে যাওয়া বিবেক কে জাগ্রত করো ।
তোমার বিবেক যদি জাগ্রত হয় , তাহলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে , তোমার পারিপার্শ্বিক অবস্থায় কি চলছে , কে তোমাকে ব্যবহার করছে আর কে তোমার থেকে সুবিধা নিয়ে, নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে । জানি ঘুনে ধরা এই সমাজে পরিবর্তন নিয়ে সঠিকভাবে কথা বলার মানুষ খুবই অপ্রতুল । তবে তারপরেও স্বপ্ন দেখি । এ অবস্থার পরিবর্তন হবে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সেটা অনেকটাই নির্দেশনা হিসেবে থাকবে ।
অর্ধনগ্ন হয়ে সুশীল সমাজের মাঝে ঘুরতে খারাপ লাগে নি বরং বেশ ভালই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সুশীল সমাজ আজ সব থেকে মেরুদন্ডহীন।সবাই তেলবাজ।
তেমনটাই তো পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে মনেহচ্ছে ।
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া আপনার মত করে যদি সবাই চিন্তা করত তাহলে হয়তো সমাজের চিত্র বদলে যেত। সবাই শুধু মুখে অনেক বড় বড় কথা বলতে পারে। কিন্তু কাজের বেলায় সবাই অনেক পিছনে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো থাকা বড়ই কঠিন। তার উপর লোডশেডিং জন জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এই সমাজের হাজার মানুষের ভিড়ে মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই অনেক কঠিন। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️♥️
কি যে অপেক্ষা করছে সামনে , কে জানে । দেখি কি হয় ।
খুবই সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। এভাবেই যদি সবাই চিন্তা করত তাহলে সমাজটা পরিবর্তন হয়ে যেত কেউ কোনো খারাপ চিন্তা করত না। সত্যি ভাই অসাধারণ লিখেছেন। আপনার মত করে যদি সবাই চিন্তা করত তাহলে সত্যিই সমাজটা বদলে যেত। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দিন শেষে সবাই ব্যস্ত আপন জায়গাতে , কে কার খোঁজ-খবর রাখে ভাই ।
আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবন তিক্ততায় পরিপূর্ণ। সব সমস্যাগুলো যখন জীবনের উপর প্রভাব ফেলে তখন এই জীবনের অনুভূতিগুলো তিক্ততার মাঝে হারিয়ে যায়। জানিনা সবকিছু কবে স্বাভাবিক হবে। তবুও আমরা আশায় থাকি হয়তো কোনদিন সবকিছু ঠিক হবে এবং সমাজ কাঠামোর পরিবর্তন হবে।
হয়তো এমনটাই প্রতিনিয়ত চিন্তা হয় আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের।
আজকে সারাদিন অনেক ক্লান্ত ছিলাম।বিশেষ করে একদিক দিয়ে প্রচন্ড গরম অন্যদিকে কাজের ব্যস্ততা। অফিস থেকে আসার পর অফিস থেকে আসার পর পর ঘুমিয়ে পড়ি। রাত্র নয়টার দিকে উঠে গোসল করে যখন কমেন্টস করতে শুরু করি তখন চারটি লেখার পর আপনার এই লেখাটি পড়া শুরু করি। প্রথম দিকে একটু বিরক্ত লাগছিল কিন্তু ষষ্ঠ অনুচ্ছেদে এসে আপনার লেখা পড়ে প্রচন্ড হাসি পায়। স্ত্রী জিজ্ঞাসা করে এভাবে হাসছো কেন? তখন বললাম এমনি। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটি লেখার জন্য এবং লেখাটি পড়ে মন ভালো হওয়ার জন্য।
কিছুই করতে পারছি না ভাই , প্রতিবাদের তো একটা আকার ইঙ্গিত থাকা লাগবে , নইলে কেমনে কি হয় বলেন । এইভাবে আর কতো ।
আজ আমার ও সারাদিন প্রায় একই অবস্থা গরমে একটা পাতলা গেঞ্জি পরেই কাটিয়েছি শুধু মসজিদে যাওয়ার সময়টুকু বাদে । এই যে এত্ত রাত অবধি জেগে আছি কারেন্ট নেই এখনো । কিছু বলার ও নেই । ফাঁকা বুলি আওড়ানো লোক গুলো তাদের সামর্থের ঢেকুর তুলে ফেলেছে । বোঝায় যাচ্ছে কি ছিল তাদের পেট ভর্তি কথার মাঝে । নিজের থেকেই বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া এমন লোডশেডিং এর হাত থেকে বাচার উপায় নেই ।
ভাইয়া আপনার মাথা এতটাও ছোট্ট না ঠিকঠাকই আছে হি হি হি ।
আসলেই রে ভাই এমনটাই হচ্ছে আজকাল আশেপাশে । অবস্থা বেশ বেগতিক।
ভাইয়া আজকে তো আপনি একা অর্ধনগ্ন হয়েছেন কয়েক মাস পরে পরো দেশ অর্ধনগ্ন হয়ে যাবে। দেশের ভবিষ্যৎ অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। ক্ষমতাবানরা যে যার মত করে আখের গুচাচ্ছে। আমাদের এলাকায়ও প্রচুর লোডসেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের অভাবে চিটাগং এর সবথেকে বড় সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর দব্যমুল্যের উর্ধগতির কারনে মন চাচ্ছে দেশ ছেড়ে পালায়। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর কথা বলছেন।
চট্টগ্রামের অবস্থাটা জেনে খারাপ লাগলো ভাই । আসলেই বাজে একটা পরিস্থিতি চলছে ।