অবশেষে হাতে পেলাম || @shy-fox 10% beneficiary
যদিও খুদেবার্তা পেয়েছিলাম বৃহস্পতিবার সকালে। তবে তা দেখতে দেখতে আমার বিকেল হয়ে গিয়েছিলো। মানে ঘুম থেকে উঠে যখন ক্ষুদেবার্তাটি দেখলাম তখন অফিস টাইম শেষ । মাঝে আবার দুই দিন সরকারি ছুটি , অবশেষে আজকে যেহেতু কাঙ্খিত সময় । তাই কাজটা করে ফেলতে হবে , এমন সিদ্ধান্তেই আমি বদ্ধ পরিকল্পিত ।
আমি জানি আমার বিগত পর্বগুলো যারা পড়েছে, তারা জানে যে এই পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আমাকে কত কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে । তবে দিনশেষে যে আমার হাতে পাসপোর্ট অবশেষে চলে এসেছে , এতেই আমি অনেক কৃতজ্ঞ এবং আমার ফেলে আসা কষ্টগুলো যেন মুহূর্তেই অনেকটাই হালকা মনে হচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে ।
কি করিনি এই পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য । সেই আমার বাসা থেকে গাইবান্ধায় বেশ কয়েকদিন যাতায়াত, দালাল ধরা, দালালকে ম্যানেজ করা, অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে সবকিছু একদম এলোমেলো করে ফেলেছিলাম । তবুও আমি চাচ্ছিলাম আমার কাঙ্খিত পাসপোর্টটি ।
আসলে আজকে আর তিক্ততার কথা জানাবো না। কারণ যা জানিয়েছি বিগত সময়ে । এখানে আসলে প্রতিটা পদে তিক্ততার সম্মুখীন হতে হবে এটাই স্বাভাবিক । তাই আর নতুন করে তিক্ততার গল্প বলে, আজকেরে আনন্দটা আমি নষ্ট করতে চাই না ।
গত রাতে ঘুমিয়েছিলাম ভোর পাঁচটার দিকে সম্ভবত । যাইহোক মোবাইলে বেশ কয়েকটা এলার্ম সেট করে রেখে ছিলাম । আমি যেন সকাল দশটার মধ্যেই জেগে যাঈ এই জন্য। অবশেষে ঘুম থেকে উঠেই একদম নিচে নেমে, বাসে চড়ে গন্তব্য আমার পাসপোর্ট অফিসের উদ্দেশ্যে ।
পৌনে এক ঘণ্টা পরে অবশেষে আমি পাসপোর্ট অফিসের সামনে চলে এসেছি । বাস থেকে নেমেই অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটা ছবি তুললাম এবং একটা ছবি ইচ্ছা করেই বিকৃত করে তুলেছি । কারণ অনেকটা প্রতিবাদের প্রতীক হিসাবে ।
অবশেষে অফিসে ঢুকতেই সেই কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা । যে কর্মকর্তা আমাকে প্রথম দিন ফিরিয়ে দিয়েছিল উল্টোপাল্টা বুঝিয়ে । আজ তাকেই বললাম যে পাসপোর্ট ডেলিভারির রুমটা কোন পাশে । আমার পাসপোর্ট আজকে ডেলিভারি হবে । ভদ্রলোক আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে ছিল, যেন সে অনেকটা স্বপ্ন দেখছে ।
তার কাছ থেকে যখন শুনলাম যে, পাশের রুমের ডানপাশের জানালার সামনে ডেলিভারি দেওয়া হয় । শুনেই আমি আর এক মুহূর্ত দেরি না করে, সেই জায়গাতে যাওয়ার চেষ্টা করলাম । কিন্তু গিয়ে দেখি সেই বিশাল লম্বা লাইন । যদিও আজ আমি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি, যত সময়ই লাগুক না কেনো । আমি আজ পাসপোর্ট নিয়েই বাড়িতে ফিরব ।
একটু লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে আশেপাশের লোকজনের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করলাম এবং দেখলাম যারাই ডেলিভারির কাগজ জমা দিচ্ছে, তাদেরটাই রিজেক্ট করা হচ্ছে । আসলে বোঝার চেষ্টা করলাম ঘটনা কি। পরে যেটা জানতে পারলাম, সেটা আসলে জেনে কিছুটা অবাক হলাম । আসলে সেই পাসপোর্টগুলো এখনো আসেনি পোস্ট অফিস থেকে । দুপুর দুইটার পরে তাদেরকে আসতে বলা হচ্ছে তাদেরকে পুনরায় ।
যাইহোক এইভাবে খুব তাড়াতাড়ি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লাইনের মানুষগুলো কাজ তারাতারি শেষ হয়ে গেল এবং অনেকটাই জটলা কেটে গেল । তবে আমি মনে মনে ভাবছিলাম, যদি আমার কাগজটা ফেরত দেয় এবং বলে যে, আপনি দুপুর দুইটার পরে আসুন ,তাহলে তো আমি বেশ মুশকিলে পড়ে যাব । কারণ সেই কাগজ আসবে, আবার রেডি করবে । প্রসেসিং অনেকটাই ঝামেলা বলতে গেলে । তাহলে তো আজ আর পাওয়া হবে না । আমি এইসব চিন্তা মনে মনে করছি । এমনিতেই দূর থেকে এসেছি ।
অবশেষে এলোমেলো ভাবতে ভাবতে ডেলিভারির কাগজটা জমা দিয়ে দিলাম । অপরপ্রান্ত থেকে এক ভদ্রলোক বললো আপনার বই রেডি আছে এখানে একটা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন এবং বইটা নিন । কথা গুলো শোনার পরে , মুহূর্তেই যেন আমার সমস্ত চিন্তাধারাগুলো পরিবর্তন হয়ে গেল । যাইহোক অবশেষে হাতে পেয়ে গেলাম সেই কাঙ্খিত পাসপোর্ট । যেটার জন্য এতটা দিন আমি ঘোরাঘুরি করেছি এই অফিসে । বেশ ভালই লাগছে এই মুহূর্তে । বিগত সময়ের তিক্ত যে অভিজ্ঞতা গুলো ছিল , তবে আজ পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে সেই গুলো অনেকটাই মুছে গিয়েছে ।
যাইহোক, এখন শুধু ফুরুত করে উড়ে যাওয়া বাকি ।।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আপনি যে কেনো ছবিটি তুলেছেন তা ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। যারা আপনার বিগত পোস্টগুলো পড়েছে তারা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। যাইহোক, রিলাক্স ম্যান- পাসপোর্ট এখন আপনাত হাতে। সত্যি ভাই, পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কারণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিগত পোস্টগুলোতে শুরু ভোগান্তির গল্প শুনেছি। আজ সকল ভোগান্তির অবসান ঘটলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো প্রিয় ভাই আমার।
যাক, খুশি হলাম। অনেক হয়রানি, অনেক ঘোরাঘুরি, অনেক ভোগান্তির শেষে আপনি আপনার কাঙ্খিত জিনিসটি অর্জন করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য ভাই ।
অবশেষে শত কষ্টের অবসান ঘটল। যাই হোক ভালো লাগলো ভাইয়া।তাহলে আমাদের মিষ্টি খাওয়া দিন এসে গেলো😉।লাইন ধরা যে কি কষ্টের কাজ।তারপর ভালো কাজ টা হয়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ।
বাসায় বেড়াতে আসুন অবশ্যই মিষ্টি খাওয়াবো । আসলেই ব্যাপারটা বেশ ঝামেলার ছিল । তবে ভালোই লাগছে এখন পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর।
এই পাসপোর্ট নিয়ে এর আগেও আপনি লেখা পড়েছিলাম। ভালই বেগ পেতে হয়েছে পাসপোর্টটি হাতে পেতে। পাসপোর্ট অফিসের সামনে আপনার বিকৃত ছবিটি প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ ফুটে তুলেছে। শেষ অংশে তো মনে হচ্ছিল আপনাকেও বুঝি ফিরিয়ে দেয়। পাসপোর্টটা আপনার হাতে পাওয়ার পর আপনার মত আমারও খুশি লাগছিল। ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই কিছু জিনিস অন্যভাবে বুঝে নিতে হয় । এইটার জন্য তো আর কম ঝামেলার শিকার হলাম না । তাই একটু স্মৃতি জমিয়ে রাখলাম আরকি ।
ওই ছবিটা দেখে আমি একটু জন্য থমকে গিয়েছিলাম। পরে আপনার মনের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করেছি। কারণ বেশ ভালই সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন আপনার এই পাসপোর্ট এর সমস্যা নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত পাসপোর্ট আপনি হাতে পেয়েছেন এটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।
মুখ যখন প্রতিবাদের জন্য বন্ধ ,তাই একটু আঙুল ব্যবহার করেছি । তবে আসলেই ব্যাপারটা বেশ ভালোই বেগ দিয়েছিল আমাকে ।
এত কাঠখড় পোড়ানোর পরে অবশেষে আপনি পাসপোর্টটি হাতে পেয়েছেন ভাইয়া, এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অনেক কষ্ট করে দালালকে টাকা ও পেট পুরে ভাত খাওয়ানোর মাধ্যমে আপনি যে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন তা সত্যিই অনেক আনন্দের বিষয়। আজও আপনি অনেক ভোগান্তির চিন্তাভাবনা করেছিলেন কিন্তু অবশেষে ভোগান্তির হাত থেকে বেঁচে গিয়ে পাসপোর্টে হাতে পেয়েছেন এজন্য খুব ভালো লাগছে। বিগত সময়ে তিক্ত যে অভিজ্ঞতাগুলো ছিল, আজ পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে সেই গুলো অনেকটাই মুছে গিয়েছে। এই কথাটির রেশ ধরে বলছি ভাইয়া, পুরনো তিক্ততার কথা ভুলে গিয়ে এখন শুধু ফুরুত করে উড়ে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে থাকুন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই রে ভাই কি আর বলবো , এই পাসপোর্টের জন্য নাজেহাল হয়েছিলাম। তবে এখন অনেকটাই ফুরফুরে লাগছে ।
এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, যে কোন জিনিসই বা যেকোনো কাজের জন্য অনেক কষ্ট করি তখন অনেক কষ্ট হয়, মাঝে মাঝে অনেক বিরক্ত লাগে। তবে আমরা যদি সেই কাজে সফল হযই কিংবা সেই কাঙ্ক্ষিত জিনিস আমরা পেয়ে যাযই। তখন কিন্তু সেই কষ্ট নিমিষেই দূর হয়ে যায়।
আপনার কথায় যুক্তি আছে ভাই । বেশ ভালই অনুভূতি ছিল সেই মুহূর্তটাতে ।
প্রথমে একটু হেসে নিয়েছি পরে বলছি ভাইয়া আমি আপনাকে দেখে নিয়েছি 😀😀😀 আপনার আইডি কার্ডে আপনার ছবি দেখা যাচ্ছে।
আমার আব্বুও পাসপোর্ট করতে খুব ঝামেলায় পড়েছে। কতবার যে যেতে হয়েছে কত দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। দালাল ধরেছে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেছে এখন পর্যন্ত আব্বুর হাতে পাসপোর্ট আসেনি। কিছুদিন আগেও ভেরিফিকেশনের জন্য 1000 টাকা দিয়ে এসেছে। আপনিও অনেক ঝামেলা পার করে অবশেষে আপনার পাসপোর্টটি পেয়েছেন। আপনার খুশি দেখে আমরা খুব খুশি।
আমি তো আপনাদেরি মানুষ , দেখলে ক্ষতি কোথায় । তবে আপনার বাবার ব্যাপারটি জেনে বেশ খারাপ লাগলো ।
ভাই আপনার পাসপোর্ট পাওয়ার কথা শুনেই সেই পুলিশ ভদ্রলোকের কথা মনে পড়লো। যিনি ভেরিফিকেশনের নামে আপনার কাছ থেকে এতগুলো টাকা আদায় করেছিলেন। আসলে নামে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ হলেও ডিজিটাল ব্যবস্থার সুফল পেতে আমাদের এখনো অনেক দেরি। যাইহোক শেষমেষ পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন এটাই বড় কথা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমিও আসলে সব ভুলেই গিয়েছি পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আনন্দে । ধন্যবাদ ভাই অতীত মনে রাখার জন্য।
ভাইয়া আপনি অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে নিজের পাসপোর্ট তৈরির কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে এই পাসপোর্ট তৈরীর কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয়েছে। আমরা যারা আপনার পাঠক আছি তারা সবাই জানি আপনি কতটা ঝামেলার মধ্য দিয়ে এবং কতটা পরিশ্রম করে এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন। অবশেষে আপনার এই কাজটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি তুলে ধরেছেন। তবে প্রতিবাদের প্রতীক চিহ্ন হিসেবে তোলা ফটোগ্রাফিটি কিন্তু ভালো ছিল। আমার কাছে ভালোই লেগেছে। ভিন্নভাবে প্রতিবাদ হয়েছে। ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। 💗💗
মুখ যখন বন্ধ, তাই আঙুল দিয়ে প্রতিবাদের চেষ্টা করেছি মাত্র। এই জায়গা গুলো আসলেই বেশ ভোগান্তির।