গিন্নির শৈশবের স্কুলে কিছুসময়

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

গত কয়েকদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম, এটা হয়তো কম বেশি সকলেই জানেন। যেহেতু এবার গ্রামে গিয়ে কমপক্ষে এক সপ্তাহের মতো ছিলাম, তাই বলা যায় সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল। এমনিতেই সেসময় শরীরটাও অসুস্থ ছিল, তার মাঝেও গ্রামের খোলামেলা পরিবেশে কয়েকটা দিন নিরিবিলি সময় কাটাতে পেরে বেশ ভালই লেগেছিল।

মূলত এবার দীর্ঘদিন পরে আমার গিন্নির শৈশবের স্কুলে বেড়াতে গিয়েছিলাম কোন এক বিকেল বেলায়। সেখানে যাওয়ার অবশ্য কারণ ছিল, যেহেতু ওকে বাড়িতে রেখেই একদিন আমি নিজেই সেখানে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েছিলাম এবং বাড়িতে ফিরে এসে ওর কাছে গল্প করেছিলাম, তাই ও এক প্রকার বায়নাই ধরেছিল।

আমি ওকে কথা দিয়েছিলাম, আমরা শহরে ফেরার আগে একদিন সময় করে ওকে নিয়ে, ওর স্কুলে বেড়াতে যাব। ঠিক সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে, অবশেষে একদিন ওকে নিয়ে চলেই গিয়েছিলাম সেখানে।

20230918_171934-01.jpeg

20230918_171929-01.jpeg

20230918_171816-01.jpeg

20230918_171802-01.jpeg

20230918_171753-01.jpeg

20230918_171739-01.jpeg

20230918_171734-01.jpeg

20230918_171730-01.jpeg

20230918_171643-01.jpeg

কমপক্ষে দীর্ঘ আট বছর পরে আমার গিন্নি তার শৈশব জীবনের স্কুলে গিয়ে অনেকটা সময়ের জন্য বিচরণ করে বেরিয়েছিল। ও বারবার আমাকে বলার চেষ্টা করছিল, আমাদের বেলায় না এত বিল্ডিং এখানে ছিল না, তাছাড়া এইভাবে পুরো স্কুলটা বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা ছিল না। সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।

যেহেতু আমরা বিকেল বেলায় গিয়েছি, তাই সেই সময় স্কুল বন্ধ ছিল। ওর খুব ইচ্ছে ছিল, ওর শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করার। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। অনেকটা সময় ধরে এদিক-সেদিক হাঁটা চলাফেরা করেছিল, আর আমাকে বলছিল এদিকটাতে আমরা ক্লাস করেছি, ঐ দিকটাতে টিফিন বেলা ঘুরে বেড়িয়েছে। ঐ পাশে আমাদের কমন রুম ছিল, এইসব গল্প।

আমি বারবার খেয়াল করছিলাম, ওর চোখে মুখে যেন কিছুটা আনন্দের ছাপ, তারথেকেও বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছিল অজানা একটা দীর্ঘশ্বাস। হয়তো সেটা ওর পুরনো জীবনকে কেন্দ্র করে। শৈশব আসলে অনেকটাই সবার কাছে স্মৃতিমধুর, যা হয়তো কখনো কোনভাবেই ফিরে পাওয়া সম্ভব না।

যেহেতু দীর্ঘদিন পরে ওর স্কুলে বেড়াতে এসেছি, তারপরও ও চেষ্টা করল বিশেষ করে যারা স্কুল দেখাশোনার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আমি সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছি এটা ভেবে, কারণ সেই সকল বয়স্ক লোকরা এখনও ওকে মনে রেখেছে । ও তো লোকজন গুলোর সঙ্গে বেশ হেসেই কথা বলল, আমাকে পরিচয় করিয়ে দিল। তারপর অনেকটা সময় মাঠে আগত কিশোর ছেলেদের ফুটবল খেলা দেখে, সেদিন সন্ধ্যেবেলা আমরা বাড়ি ফিরেছিলাম।

ও হয়তো মনে মনে অনেকটাই খুশি হয়েছে, তবে কিছুটা আফসোস হয়তো থেকেই গিয়েছিল। যদি ওর শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে একত্রে মিলিত হতে পারতো আবার এই স্কুলে, এই সময়ে এসেও, তাহলে হয়তো সেই আফসোস আর ওর মাঝে থাকতো না। তবে সত্য কথা কি, এমন আফসোস গুলো হয়তো প্রতিনিয়ত থেকেই যায়।

Banner-16.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 11 months ago 

স্কুলটা তো দেখে অনেক ভালো লাগলো খুব সুন্দর একটি খোলামেলা পরিবেশ। তাছাড়া স্কুলের মাঠগুলো খুবই ভালো লাগে সবুজ ঘাসে ভরা থাকে। গিন্নিকে নিয়ে খুব সুন্দর বিকেল বেলায় স্কুল পরিদর্শন করলেন। সেই সাথে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিলেন। অনেক ভালো লেগেছে স্কুলের এরিয়াটি। আসলে শৈশবের স্মৃতিগুলো খুব বেশি ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করলেন।

 11 months ago 

এটা সত্য যে আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল সেদিন।

 11 months ago (edited)

প্রত্যেকের জীবনে এই স্কুল লাইফ একটা আবেগের জায়গা।সময়ের পরিবর্তনে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটে।তাই ভাবি বলছিলেন তাদের সময়ে এতো বিল্ডিং বাউন্ডারি কিছুই ছিলনা।কিন্তু বিকেল বেলা যাওয়াতে তার মনের ইচ্ছে পূরণ হলোনা।শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে পারলে আরো অনেক ভালো লাগতো তার।আর শৈশবের বন্ধুদের সাথে আলাপ হলে সব আফসোস পূরণ হয়ে যেত।অন্য আর একদিন না হয় আলাপ হয়ে যাবে ঠিকই,প্ল্যান করে গেলে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ।

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

এই কথাটা একদম ঠিক বলেছেন, আসলেই আমার গিন্নি সেদিন বেশ ভালোই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল।

 11 months ago 

আমার মনে হয় শৈশবের বেস্ট সময় কাটে মাধ্যমিক স্কুলে এসে। স্কুলে যে বন্ধুগুলা পাওয়া যায় তারা সবসময় ডায়রীতে ঠিকই থেকে যায়, কথা না হলেও। আট বছর পর আপু শৈশবের সেই স্কুলে গেল! কিছুটা সময় হয়তো উপভোগ করতে পেরেছে। এখন বিল্ডিংগুলাও পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের স্কুলে যে পুরাতন ভবন ছিল সেটা এখন নেই। তবে নতুন করে বিল্ডিং করেছে।

 11 months ago 

আমার কাছেও ঠিক তেমনটাই মনে হয় ভাই, আসলেই সবথেকে সুন্দর সময় কাটে শৈশবের মাধ্যমিক স্কুলেই।

 11 months ago 

শৈশব আসলেই সবার কাছে স্মৃতিমধুর।আর অনেক দিন পর স্কুলে যাওয়াতে আপুর কাছে অন্য রকম ভালো লেগেছে। আর আপনিও আপুর একটা ইচ্ছে পুরণ করলেন।তবে আপুর ক্লাস টিচার ও স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা হলে আপুর আরো ভালো লাগতো।অনেক ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 11 months ago 

এটা সত্য ওর কাছে সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল আর ও বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিল।

 11 months ago 

আপু যে দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছিল সেটা হয়তো ঐদিন গুলো কে মনে করে ছেড়েছিল। এই কয় বছরে স্কুলের কতকিছু পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে সেটা উনিও বেশ নজর করে দেখছিলেন। আর ঐসময় টা কে স্মরণ করার চেষ্টা করছিল। নিজের স্কুলের প্রতি এইরকম আবেগ সবসময়ই থেকে যায়। আপনি নিয়ে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন। দুজনের সময় টাই বেশ ভালো কেটেছে।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আসলেই ওর দীর্ঘশ্বাসটা হয়তো অন্যকিছু প্রকাশ করছিল। বেশ আবেগের জায়গা ছিল মাধ্যমিক স্কুল।

 11 months ago 

দীর্ঘদিন পর স্কুল বা কলেজে গেলে পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আপনি ভাবীকে নিয়ে ভাবীর শৈশবের স্কুলে গিয়ে বেশ ভালো করেছেন ভাই। এতে করে ভাবী অবশ্যই খুব খুশি হয়েছে। যদিও শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে পারেনি বিকেল বেলা গিয়েছিলেন বিধায়। যাইহোক পরবর্তীতে স্কুল চলাকালীন সময়ে ভাবীকে একদিন নিয়ে যাবেন। তাহলে ভাবী আরো বেশি খুশি হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 11 months ago 

তেমনটা ইচ্ছা আছে যে, আর একদিন সময় করে সেখানে যাওয়ার।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47