শেষ কর্মদিবস || @shy-fox 10% beneficiary
এই যাত্রা মুহূর্তটি ছিল মূলত কর্ম দিবসের শেষের দিনে । যেহেতু সামনে একটা উৎসব আছে, তাই মোটামুটি আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি দীর্ঘ চার দিন চেম্বার বন্ধ রাখবো । আর আজকে যখন চেম্বারে যাচ্ছিলাম তখন অন্যান্য দিনের থেকে প্রকৃতির অবস্থা অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে । পুরো আকাশ ছেঁয়ে গিয়েছে কালো মেঘে ।
দেখা যেতে পারে যেকোনো সময় হুট করে বৃষ্টি নামতে পারে । এমনিতেই কয়েকদিন প্রচুর গরম ছিল, যার কারণে একদম নাজেহাল অবস্থা । আজকে যখন হঠাৎ করেই আবহাওয়ার এমন পরিবর্তন দেখলাম, তখন নিজের থেকেই কিছুটা ভালো লাগছিল । ভ্যপসা গরম এখন আর নেই বললেই চলে । খুব ভালই লাগছে, এমন পরিবেশে যাত্রা করতে পেরে । ইচ্ছে করেই সিএনজি থেকে মাথাটা বের করে দিলাম, পুরো শরীরে ঠান্ডা বাতাস লাগানোর চেষ্টা করলাম । কারণ এমন প্রাকৃতিক ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগলে আলাদা একটা অনুভূতির সঞ্চারণ হয় ।
যদিও আজকে শেষ কর্মদিবস তাই একটু আলাদা উত্তেজনা কাজ করছে । কারণ কর্মস্থলে আজকে অনেকগুলো কাজ আছে । কমপক্ষে চারটা রোগী দেখতে হবে । আগে থেকেই চারটা রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া আছে । আর এই তিন ঘন্টা সময়ের মধ্যেই চারটা রোগীর দন্ত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে । এটা সত্যি অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার । তারপরেও আমি মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি যে, চেম্বারে গিয়ে আগে রোগী গুলো দেখবো, তারপরে নিজের কিছু কাজ করব এবং দরজার সামনে একটা নোটিশ টাঙিয়ে দেবো যে, আগামী চার দিন উৎসবের কারণে চেম্বার বন্ধ থাকবে ।
আমি ভীষণ ভেবেচিন্তে কাজ করতে পছন্দ করি । ঐ যে বললাম আমি প্রত্যেকটা ব্যাপারকেই খুবই সতর্কতার সঙ্গে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করি তারপর সেটাকে বাস্তবায়ন করতে ভালো লাগে । যখন আমি রোগী দেখছিলাম, তখন রোগীরা আমাকে আবারও বলছিল , আমরা আবার কবে আপনার সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাৎকারের জন্য আসবো । আমি হাসিমুখে বারবার বললাম, দেখুন আমিও তো আপনাদের মত মানুষ। আমারও পরিবার আছে, আমারও উৎসব আছে । আপনারা কষ্ট করে উৎসবের পরবর্তী সময়ে আসুন । আমি তখন আপনাদের সমস্যা গুলো পুনরায় শোনার চেষ্টা করব এবং সমাধান দেব ।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজকে চেম্বারে আসার সময় যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করেছি , ঠিক যাওয়ার সময় একই অবস্থা । যদিও আজকে আমার অন্যান্য দিনের থেকে একটু দ্রুত বাড়িতে ফিরতে হবে । কারণ আজকে আমার কমিউনিটির হ্যাংআউট শো আছে এবং সেখানে গিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে । আর পুরো সপ্তাহের কার্যবিধি সবাইকে জানাতে হবে। এটা মূলত আপনারা সবাই জানেন । কারণ যেহেতু দীর্ঘ ছয়দিন পরে এই সময়টা আসে , তাই আমাকে সেইভাবে সেটআপ করা থেকে শুরু করে অডিয়েন্সের মানসিকতা বুঝে , সেই ভাবে সবকিছু পরিচালনা করতে হয় । সর্বোপরি একটু ঝামেলাকর হয়ে যায় , তাও চেষ্টাকরি শোটা গতানুগতিক নিয়ম ধরার মতো করে পরিবেশন করার জন্য ।
আমার আসলে কর্ম জীবন বলতে এইটাও বোঝায় । আমার বাংলা ব্লগের কমিউনিটির পেজ ও ডিসকর্ড সার্ভার এই দুটোও আমার জীবনের একটা বিশেষ অংশ । ঘুম থেকে উঠেই চোখ খুলে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বারবার চেক করি, কমিউনিটির কোথায় কি হচ্ছে বা ডিসকর্ডে দেখার চেষ্টা করি আমাদের ইউজাররা কি করার চেষ্টা করছে । আমি বিশ্বাস করি ,আমার বাংলা ব্লগের ইউজাররা পজেটিভ চিন্তার মানুষ, তারা সর্বদা পজেটিভ কাজগুলো করতেই পছন্দ করে । হোক সেটা ডিসকর্ড বা হোক সেটা কমিউনিটিতে ।
তারপরেও যেহেতু একত্রে বহু লোকের সমাগম হয় আমাদের কমিউনিটিতে । তাই মতের অমিল থাকতেই পারে এবং ভিন্ন মত থাকবেই এইটা ভীষণ স্বাভাবিক । তবে কারো মতামতে যেন কেউ কষ্ট না পায় , সেই বিষয়ে একটু খেয়াল রাখতে হয় । তবে আমি সেটা সবসময় করার চেষ্টা করি ও সকলের মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। ঐ যে বললাম, এটাও আমার কাছে আলাদা একটা কর্মের জগত ।
হয়তো বাস্তব জীবনে শেষ কর্ম দিবস বলে কিছু কথা আছে । কারণ হয়তো সেটা কোন উৎসব বা উপলক্ষ্য কে কেন্দ্র করে কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের কাজে আসলে শেষ কর্ম দিবস বলতে কিছু নেই । আর আমি মনেকরি আমরা নিজের থেকেই এটাতে আসক্ত হয়ে গিয়েছি । আমরা প্রতিনিয়ত বিনোদন, শেখা ও জানার জন্যই এখানে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি । তবে মাঝে মাঝে নেটওয়ার্কের ঝামেলার কারণে এখানে একটু ছুটিতে থাকতে হয় ।
আজ যখন যাচ্ছিলাম, তখন আবহাওয়ার এই সৌন্দর্য্য দেখে নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারিনি । মোটামুটি মুঠোফোনটা বের করে ঝটপট কয়েকটা ছবি তোলার চেষ্টা করেছি । এমন আবহাওয়ার মাঝ দিয়ে যাচ্ছি, তাই মুহূর্তটাকে সাক্ষী করে রাখলাম । বেশ ভালই লাগছিল ঠান্ডা বাতাসে ও হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাঝে । অতঃপর খানিক বাদেই কর্মস্থলে , তারপর ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ।
এমন পরিবেশে কর্মস্থলে বসে এই গল্পটা লিখছিলাম, তখন আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করছিল । সর্বোপরি শেষ কর্ম দিবসের সময়টা বেশ ভালই ছিল এবং আশা করছি আবারো নতুনভাবে কাজ শুরু করবো তবে সেটা উৎসবের পরে । ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন আর আপনারাও পরিবার নিয়ে উৎসবের সময়টা ভালোভাবে কাটানোর চেষ্টা করুন এমনটাই প্রত্যাশা করি ।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
এই বিষয়টি আসলেই একটু কেমন জানি। আমাদের দেশে যারা সেবাখাতে কাজ করে তাদের অনেকক্ষেএে পরিবারকে ছাড়াই ঈদ পালন করতে হয় এটা অনেক টা কষ্টের। তবে আপনার প্রস্তুতি দেখে ভালো লাগল ভাই। আপনি আগে থেকেই প্রস্তুত যে এই কদিন পরিবারের সঙ্গেই কাটাবেন। এবং পরিবেশটা আসলেই চমৎকার ছিল। একেবারে মনোমুগ্ধকর।ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ ধারণ করেছেন।।
পরিবেশ তার নিজের রুপে দারুণ লাগছে।এ রুপটা সবসময় থাকলেই কেনো জানিনা আমার বেশি ভালো লাগে।তবে এমন সময়ে কাজে যেতে আবার একদম ভালো লাগেনা।তাহলে ছুটি পেয়ে শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন কয়েকদিন।
আপনাদের মত মানুষ আমাদের পাশে আছে বলেই আমরা সকলেই একই সূত্রে গেঁথে রয়েছি এবং নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থেকে নিজেদের কাজগুলো করছি। এছাড়াও সকলেই পজিটিভ চিন্তা ধারায় কাজ করছে এবং আশা করছি আমরা সকলেই ভবিষ্যতেও এরকম পজেটিভ চিন্তাধারা নিয়েই কাজ করব। তবে শেষ কর্ম দিবসের মুহূর্তটি অনেক ভালো কাটিয়েছেন এটা বুঝতে পারছি। কয়েকদিন হঠাৎ প্রচন্ড গরম পড়েছে। এখন হঠাৎ করে মেঘলা আকাশ দেখলে ভালোই লাগে। তবে যাই হোক উৎসবের দিনগুলো আপনারও অনেক ভালো কাটুক এই কামনা করি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।❤️❤️❤️❤️❤️
আমি বিশ্বাস করি আপনাদেরকে নিয়েই আমরা বহু দূরে এগিয়ে যেতে চাই । আপনারা আমাদের চলার পথে একসঙ্গে থাকবেন, এমনটাই প্রত্যাশা করি । শুভেচ্ছা রইল উৎসবের ।
ভাবসা গরমের পর প্রকৃতির শীতল বাতাস, ঠান্ডা পরিবেশ, মেঘলা আকাশ সবকিছু সত্যিই অনেক মনমুগ্ধকর লাগে। এইরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ আমারও ভীষণ প্রিয়। উৎসব উপলক্ষে আপনি কর্মজীবন থেকে চার দিনের ছুটি নিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আপনি অনেক বেশি পরিশ্রম করেন, তাই দিনশেষে নিজেকে রিফ্রেস করার জন্য এবং পরিবারকে উৎসবের দিনগুলোতে সুন্দরভাবে সময় দেওয়ার জন্য এই ছুটি খুবই প্রয়োজন। অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইল । সব থেকে মজার ব্যাপার ঐ দিনের পরিবেশটা আসলেই বেশ ভাল ছিল, আমি উপভোগ করেছি সময়টা ।
আসলে ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগের সকল ইউজার পজিটিভ চিন্তার মানুষ, তারা সব সময় পজিটিভ চিন্তা করে থাকে। আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যময় পরিবেশের মধ্যে দিয়ে আপনি আসতে ছিলেন, আর এরকম আকাশের সৌন্দর্য এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দী না করলেই কি হয়। সত্যি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আজকে খুবই ভালো লেগেছে এবং সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আসলে আপনার লেখা গল্প আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শেষ কর্ম দিবসের দিন যাত্রা পথে বেশ ভালোই সময় উপভোগ করেছি । কারণ পরিবেশটা অনুকূলে ছিল, আর তার মধ্যে ছবিগুলো তুলতে পেরে বেশ ভালোলাগা বোধ কাজ করছিল নিজের মাঝে ।
বৃহস্পতিবার আমারও শেষ কার্যদিবস ছিল। আমিও শেষ বিকেলে অফিস শেষ করে ফ্যামিলি সহ সিএনজি রিজার্ভ করে বাড়ি এসে পৌঁছেছি আলহামদুলিল্লাহ।
জেনে ভালো লাগলো আপনিও শেষ তা যদি খুশি সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে চমৎকার একটি আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন। দোয়া করি পরিবারের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের সময় গুলো কাটুক।
বাহ , আপনার ব্যাপারটি জেনেও বেশ ভালো লাগলো । আপনি পরিবার নিয়ে ভালোভাবে উৎসব পালন করুন ,এমনটাই প্রত্যাশা করি ।
ঈদের ছুটিতে সবাই যে যার মত সময় কাটাতে ব্যস্ত আছে। তবে যারা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছেন তারা খুব অল্প সময় ছুটি কাটান। কারণ তারা নিজেরা সবসময় মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। সত্যি ভাইয়া আপনি সবকিছু সামলিয়ে এবং আপনার চিকিৎসা সেবা সামলিয়ে আমাদেরকে সময় দেন দেখে অনেক ভালো লাগে। আপনি হচ্ছেন আমাদের সকলের অনুপ্রেরণা। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনাদের মত পাঠক আছে বিধায় আমি আমার নিজের মতামত শেয়ার করে অনেক কৃতজ্ঞতাবোধ প্রকাশ করি। আপনারাই আমার লেখার অনুপ্রেরণা প্রতিনিয়ত যোগান ।
কর্মই জীবন৷ তবে আপনি আপনার কাজে অনেক ডেডিকেটেড । এটা অনেক ভাল লাগেছে আমার।
চেষ্টা করছি নিজের জায়গা থেকে শতভাগ উজার করে দেওয়ার জন্য। আমি আসলে কর্মের মানুষ, কর্মের ভিতরে থাকতেই পছন্দ করি ।
চার দিনের জন্য চেম্বার থেকে নিজেকে ছুটি দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাজের প্রতি ভালোবাসা আমার অনেক ভালো লাগে। আর আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে মনটা ভরে গেছে। এমন আবহাওয়া আমার অনেক অনেক ভালো লাগে। এইবার ঈদের দিন বৃষ্টি না থাকলেই হয়। খালেক মিয়ার কথা হঠাত করে মনে পড়ে গেলো। আপনার চম্বার তো চার দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো। খালেক মিয়ার কি অবস্থা??
হ্যাঁ এইটা সত্য কথা ঐদিন আবহাওয়ার অবস্থা বেশ নাজুক ছিল , তবে প্রাকৃতিক পরিবেশটা বেশ আমি উপভোগ করেছি আর ছুটি দিয়েছি মূলত চেম্বারটা ঈদের কারণে ।
একদম যদি চার দিন চেম্বারে না যান তাহলে হয়তো অনেক অসুস্থ রোগীদের জন্য সমস্যা হয়ে যাবে। তাই বলতে চাই, যাবেন অথবা নাই জাবেন তারপরে চেম্বারের দিকে একটু লক্ষ্য রাইখেন। কারণ উৎসবের আনন্দের চেয়ে বিশেষ রোগীদের সুস্থ করে তোলার মধ্যে এর চেয়ে বড় সুখ রয়েছে। অবশ্য এখন আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হয়েছে, আজ বৃষ্টি হলো।
এই কথাটা মন্দ বলেননি, তবে দিনশেষে নিজের শারীরিক সুস্থতা ও নিজের আরাম-আয়েশের একটু দরকার আছে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছি ।
বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছেন জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। কারণ মানুষ মানুষের জন্য।